“বাংলাদেশ আমেরিকার মত করোনায় মহামারী হবে”
এই দাবী করতে গিয়ে অনেকে আমেরিকার বিভিন্ন ডাটার সাথে বাংলাদেশের ডাটা মিলান।
কিন্তু আমেরিকা একটি যুক্ত রাষ্ট্র, মানে অনেকগুলো রাষ্ট্রের সমন্বয়।
এজন্য পুরো আমেরিকার সাথে মিলালে আসলে বিষয়টি ঠিক মিলে না।
মিলাতে হবে তার যে কোন স্টেটের সাথে।
এজন্য আমেরিকার অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্টেটকে আমরা বেছে নেই বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার জন্য।
ধরে নেই স্টেটটি নিউইয়র্ক।
নিউইয়র্কে ১ম করোনা ধরা পরে ১লা মার্চ,
বাংলাদেশে ১ম করোনা ধরা পরে ৮ই মার্চ।
নিউইয়র্কে লকডাউন ঘোষিত হয় ২২শে মার্চ।
বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষিত হয় ২৬শে মার্চ।
৫০ তম দিনে নিউইয়র্কে করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার এর মত।
৫০ তম দিনে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ১৫০ এর মত।
নিউইয়র্কে স্টেটে পজিটিভ এসেছে প্রায় ৩ জনে ১ জন।
বাংলাদেশে স্টেটে পজিটিভ এসেছে প্রায় ৯ জনে ১ জন।
নিউইয়র্কের জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি, ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ১৬০ জন।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ১১০০ জন।
নিউইয়র্কের সাথে যদি বাংলাদেশের তুলনা করি, তবে আমরা কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি-
১) বাংলাদেশে করোনা আমেরিকার নিউইয়র্কের মত হয়নি।
২) লকডাউন এর কোন গুরুত্ব নেই। নিউইয়র্ক লকডাউন দিয়েও মহামারী ঠেকাতে পারেনি। অপরদিকে বাংলাদেশে ‘ভুয়া’ লকডাউন দিয়েও মহামারী (বৃহৎ আকারে মরণ) ঠেকাতে পেরেছে। তারমানে লকডাউন এখানে ফ্যাক্টর না, ফ্যাক্টর অন্যটা।
৩) সোশ্যাল ডিসটেন্সের কোন গুরুত্ব নেই, কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ার পরও বাংলাদেশে করোনা নিউইয়র্কের মত হয়নি। সোশ্যাল ডিসটেন্সের যদি সত্যিই গুরুত্ব থাকতো তবে জনসংখ্যা ঘনত্বের কারণে নিউইয়র্কে করোনা কম আর বাংলাদেশে বেশি ছড়াতো। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে ঠিক তার উল্টা।