সিওপিডি আর অ্যাজমার রোগীদের করোনা মনে করে করা হচ্ছে


tsS5flpo nASpronsorilaied
 
সিওপিডি আর অ্যাজমার রোগীদের করোনা মনে করে করা হচ্ছে
সেইদিন আমার এক ডাক্তার বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো, তার বক্তব্য হলো- চিকিৎসার সময় আমরা প্রচুর সিওপিডি রোগী পাই। এই রোগীগুলোর শ্বাসকষ্ট থাকে। এই রোগীগুলোকে মানুষ করোনা মনে করতেছে। এমনিতেই এই রোগে অনেক লোক প্রতি বছর মারা যায়, তার উপরে চিকিৎসা না পেয়ে এই রোগের মৃত্যুর হার আরো বাড়তে পারে।
তার কথা শুনে অনলাইনে খুজতে গিয়ে পেলাম, ২০১৬ সালের একটা খবর পেলাম-
দেশে যে পাঁচ রোগে বেশি মৃত্যু হয়, তার মধ্যে তিন নম্বরে আছে সিওপিডি। সিওপিডি মানে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ। এই রোগে প্রতি বছর মারা যায় ৬৭ হাজার মানুষ। এই রোগের অনেকগুলো কারণ আছে। এই রোগের যে লক্ষণগুলো ধিরে ধিরে প্রকোট হয়- কাশি দেখা দেয়, সেই সঙ্গে কফ, নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ, দম ফুরিয়ে যায় ইত্যাদি।
বর্তমানে উন্নয়নের নামে কন্সট্রাকশন কাজ বেড়ে যাওয়ায় দেশে সিওপিডি এবং অ্যাজমার রোগী বিপুল হারে বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত ৫ বছরের ব্যবধানে অ্যাজমা আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৪ গুণ এবং এ রোগে মৃত্যু হার বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। একইভাবে সিওপিডি আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় ৫০ গুণ এবং মৃত্যু হার ১৯ গুণ। (https://bit.ly/3dYzli6)
লক্ষ করবেন- বর্তমানে মিডিয়ায় যারা শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছে বলে খবর আসছে, কিন্তু পরে পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন, এদের বড় অংশ কিন্তু অ্যাজমা বা সিওপিডি রোগী। তারা ক্রিটিকাল কন্ডিশনে বিভিন্ন হাসপাতালে যাচ্ছেন, কিন্তু চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। কিন্তু খবরে প্রচার হয়ে যাচ্ছে তারা শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছে। সবার লক্ষ করেনাার দিকে, কিন্তু মানুষ অ্যাজমায় মরলো না সিওপিডিতে মারা গেলো, সেটা নিয়ে কারো খেয়াল নেই।
১) রাজশাহীতে ‘অ্যাজমায়’ মৃত্যু, নাটোরে দাফন নিয়ে টানাটানি
২) করোনা আতঙ্কে পেলেন না অ্যাজমার চিকিৎসাও, ঢাবি ছাত্রের মায়ের মৃত্যু!
৩) সিওপিডি রোগীর মৃত্যুর, করোনা ভেবে দাফন নিয়ে জটিলতা]
সাংবাদিকতা ও মিডিয়া বিভাগ হচ্ছে আর্টসের একটি সাবজেক্ট, তাদের উচিত ছিলো ডাক্তারদের সাথে কথা বলে নিউজ করা। কিন্তু তারা যেভাবে সিওপিডি বা অ্যাজমা রোগীদেরও করোনার উপসর্গ বলে সংবাদ তৈরী করছে, এত আরো আতঙ্ক বাড়ছে, তৈরী হচ্ছে জনদুর্ভোগ। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আতঙ্কের কারণে সিওপিডি বা অ্যাজমা রোগীগুলো চিকিৎসা পাচ্ছে না, ফলে অনেকেই মারা যাচ্ছে বিনা চিকিৎসায়।