কেন জাফরুল্লাহ’র কীটকে সরকার অনুমতি দিতে চায় না ?
জাফরুল্লাহ’র টেস্ট হলো এন্টিবডি টেস্ট। অর্থাৎ কেউ হয়ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু তার সামান্য উপসর্গ ছিলো অথবা ছিলো না, এতে সে টেস্ট করায় নাই। ফলে সেটা আড়াল হয়ে গেছে। এখন যদি সে টেস্ট করায়, তবে সে দেখতে পারবে, তার শরীরে করোনা প্রবেশ করেছিলো কি না।
সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি এ টেস্ট করায়। টেস্ট করে দেখতে পায়, তারা যতসংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলোর তার মাত্রা কমপক্ষে ৫৫ গুন বেশি। এবং শুধু ঐ কাউন্টিতে আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ সোয়া চার লক্ষের মত (https://cnb.cx/2SoBNWn)। ঐ সময় ঐ কাউন্টিতে মৃত্যু ছিলো সাড়ে ৬শ’ মত। এতে কনফার্ম কেসের উপর মৃত্যুহার দাড়াচ্ছে, ০.১%। এর মধ্যে যারা মারা গেছে তার ৫৫% হচ্ছে ৬৫+ বয়স, ৪১-৬৫ হচ্ছে ১১%, ১৮-৪০% হচ্ছে ৩%, এর নিচে মৃত্যু নেই। তবে যারা মারা গেছে তাদের ৮৯% অন্য শারীরিক সমস্যা ছিলো। (https://lat.ms/353UDXO)
অর্থাৎ-১৮-৪০বছরের মধ্যে মৃত্যুহার দাড়াচ্ছে ০.০০৩% বা ১ লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে ৩ জন, এবং ৪১-৬৫ বছরের মৃতুহার দাড়াচ্ছ ১০ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ১ জন। অর্থাৎ এটা সিজনাল ফ্লু থেকে এর ফ্যাটালিটি রেট বেশি কিছু না।
মূল কথা হচ্ছে, এন্টিবডি টেস্ট করালে দেখা যাবে, বহু লোক আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে। কোন ন্যূনতম চিকিৎসা লাগেনি। ফলে করোনা নামক যে ভীতির বেলুন ফোলানো হয়েছিলো সেটা মুহুর্তে ঠুস করে ফুটে যাবে। কারণ এটা এমন দৈত্যাকার রোগ যেটা হলে কেউ টেরই পায় না তার রোগ হয়েছিলো, বিনা চিকিৎসায় সেরে যায়। ফলে রোগটি তার গুরুত্ব হারাবে।
এছাড়া বহু সুস্থ (রিকভার) ব্যক্তি পাওয়ায় তাদের রক্ত ব্যবহার প্লাজমা থেরাপি দেয়া যাবে, তখন বৃদ্ধরোগীদের মৃত্যুহার অনেক কমে আসবে।
উল্লেখ্য এর আগেও পিজি হাসপাতালের অধ্যাপক আবু সালেহ মুন্সি এই টেস্টের অনুমতি চায়। তিনিও আশঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশে বহু লোক ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছে (https://tinyurl.com/yaduucak)। কিন্তু সরকার তাকেও অনুমতি দিচ্ছে না। এবং হু এটাতে সায় দিচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন ভ্যাকসিন কোম্পানির টাকা খেয়ে ভুল-ভাল স্টেটমেন্ট দেয়া হু’র অনেক পুরাতন স্বভাব(https://bit.ly/3bFf9QT)। সেও চাইতেছে মানুষ অপেক্ষা করুক, তাহলে ভ্যাকসিন/এন্টি ভাইরাল ওষুধ কোম্পানির ব্যাবসা হবে। কিন্তু এন্টিবডি টেস্ট (তাদের ভাষায় সেরোলোজিকাল টেস্ট) করালে তাদের বানানো করোনা নামক বিরাট দৈত্য মুহুর্তেই বিড়ালে পরিণত হবে।
সোজা ভাষায়- সরকার করোনাকে পূজি করে বহু ব্যবসার ফাদ পেতেছে। বিদেশ থেকে টাকা চেয়েছে, দেশী ধনীদের থেকে টাকা চেয়েছে, ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণদনা প্যাকেজ ছেড়েছে। আবার সরকারী কর্মচারিদের করোনা হলেই পাবে ৫ লক্ষ টাকা। ফলে অনেকেই হয়ত এন্টিবডি টেস্ট করিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করতে পারবে। ফলে এখানে বিরাট টাকা খসে যাবে সরকারের।
সমস্যা অনেক। তবে মূল সমস্যা হলো, করোনা নামক উত্তেজনার মুহুর্তেই পতন ঘটবে। লকডাউন গুরুত্ব হারাবে, মানুষ তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। কিন্তু ধান্ধাবাজদের ব্যবসার পতন হবে। তাই এন্টিবডি টেস্ট এর অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সরকার বা হু কেউ।