এগুলো ভালো খবর না খারাপ খবর ?

1omuatS4 pohApnriismorelSdde 
অনেকগুলো খবর আসছে, সেগুলো দেখে আসলে আমরা বুঝতেছি না,
এগুলো ভালো খবর না খারাপ খবর ?
(১) “করোনায় আক্রান্তের মধ্যে শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবকদের সংখ্যা বেশি।”
এটা আসলে খারাপ নয়, বরং ভালো খবর। কারণ শিশু-কিশোর-তরুণ ও যুবকরা যত বেশি আক্রান্ত হবে, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় তাদের শরীরে তত বেশি ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ইমিউনি সিস্টেম ডেভেলপ করবে। আর যত বেশি লোকের মাঝে ইমিউনি সিস্টেম ডেভেলপ করবে, তার তাড়াতাড়ি হার্ড ইমিউনিটি ডেভেলপ করবে এবং এই সমাজ থেকে তত তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাস দূর হবে।
(২) চীনের তথ্য: ৩ জনে ১ জনের শরীরে করোনার লক্ষণই প্রকাশ পায় না, তাদের মাধ্যমেও করোনা ছড়ায়
এই খবরটাও কিন্তু ভালো্। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস প্রতি ৩ জনের ১ জনের শরীরে আক্রমণ করার পরও তার শরীরের সামান্যতম লক্ষণও তৈরী করতে পারে না। রোগীর শরীরে রোগ প্রতি ক্ষমতা তার আগেই ভাইরাসকে কাবু করে ফেলে। এটা যদি চীনের ক্ষেত্রে ৩ জনের ১ জন হয়, তবে বাংলাদেশের আরো বেশি হবে। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যার শিশু, তরুণ, যুবকের সংখ্যা পৃথিবীর অন্যতম বেশি। ফলে অধিকাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মানোয় আমাদের দেশে হার্ড ইমিউনিটি এচিভ করা অনেক সহজ।
(৩) “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনায় মৃত্যুহারে বেশি”
অথবা- “আক্রান্ত ১০০, মৃত্যু ১০, তারমানে মৃত্যুহার ১০%”
এই খবরগুলো আসলে ভুল খবর।
কারণ-
যে কোন পেনডেমিক এর ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে “যাদের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে, তারাই শুধু করোনা আক্রান্ত” এটা মনে করা একটি ভুল কথা। এবং সেই আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করে মৃত্যুর সংখ্যা পার্সেন্টিজ করা আরো একটি ভুল। কারণ- পেনডেমিকের ক্ষেত্রে ঠিক কতজন আক্রান্ত হয়েছে, এটা মাপা কখনই সম্ভব নয়। অধিকাংশের তো লক্ষণ সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের কোথাও করোনা ভাইরাসে ঠিক কত লোক আক্রান্ত হয়েছে, তা মাপা সম্ভব হয়নি এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যা প্রকাশ হচ্ছে, এটা একটা ভুল তথ্য। তাই কত লোক করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, এটার আসলে খুব একটা গুরুত্ব নেই। হিসেব করতে হবে, কোন একটি নির্দ্দিষ্ট এলাকার মোট জনসংখ্যার কতজন ঐ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হলো, তার পার্সেন্টিজ দিয়ে। ধরুন স্পেনে ৬ কোটি মানুষ, এর মধ্যে ২০ হাজার করোনা ভাইরাসে মারা গেছে। তাহলে করোনা ভাইরাসের মৃত্যুহার হবে ০.০৩% (স্পেনে স্বাভাবিক মৃত্যুহার ০.৯%, অর্থাৎ করোনার থেকেও ৩০ গুন বেশি)। এই পার্সেন্টিজ দিয়ে বুঝতে হবে, আসলে ঐ পেনডেমিকটা ঐ এলাকার জন্য আসলে কতটুকু শক্তিশালী। এটাই ভাইরাসটির সামর্থ বা গুরুত্ব বোঝার প্রকৃত উপায়। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের মধ্যে একটি গ্রুপ, পরীক্ষা করে আক্রান্তদের দিয়ে মৃত্যুহার পরিমাপ করে তা প্রকাশ করে চলেছে। এতে মৃত্যুহার অনেক বেশি দেখাচ্ছে, যা জনমানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ভীতি তৈরী করছে।