কার বাড়া ভাত, কে খায় ?
পাবলিকের মাঝে করোনা ভীতি তৈরী করেছিলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লক। কিন্তু সেই ভীতিতে এখন ফায়দা লুটতে চাইছে আওয়ামীলীগ। যার কারণে অনেক ডেমোক্র্যাটিক সদস্য ইতিমধ্যে পিছুটান দিয়েছে, ফিরে এসেছে ভীতি তৈরী থেকে, ‘তাপমাত্রা ফ্যাক্টর’, অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ অনেক ফ্যাক্টর প্রচার করছে, পাবলিকের আবেগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু পাবলিকের মধ্যে যে ভীতি তারা সঞ্চার করেছে তা নিয়ন্ত্রণ তারা করতে পারছে না, আর সেখান থেকেই সুযোগ নিচ্ছে আওয়ামীলীগ।
করোনা দেখিয়ে ৭২ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্রনোদনা তৈরী করেছে। প্রনোদনা পাওয়ার পর হিসেব করে দেখবেন, এই টাকাগুলো ঘুরে ফিরে আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীরাই পাবে। অর্থাৎ করোনায় সব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও টিকে থাকবে আওয়ামী ব্যবসায়ী। ফলে আলটিমেট লাভবান হবে আওয়ামীলীগ।
আবার , ত্রাণ বিতরণ কিন্তু সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হলো না। এর কারণ, আওয়ামী সরকার নিজস্ব লোক দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করলে পাবলিকের টাকা দিয়েই নিজ দলের ক্যাম্পেইন হচ্ছে, ফিল্ডে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানও শক্তিশালী হচ্ছে। সবাই যখন বিপদগ্রস্ত, তখন আওয়ামীলীগরা হয়ে গেছে ত্রাণকর্তা, সেই সুযোগ তারা ছেড়ে দিবে কেন ?
আর দেশী-বিদেশী অনুদান তো আছেই, সেটার কথা না হয় নাই বললাম।
লক্ষ্য করবেন, এতদিন সবাই বললো, মাস্ক পরতে শেখ হাসিনা কিন্তু মাস্ক পড়েনি। এক সময় হু বললো, যে অসুস্থ নয়, তার মাস্ক পরার দরকার নাই। কিন্তু তারপরও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের সবাই মাস্ক পরা শুরু করলো। অর্থাৎ আওয়ামীলীগ নিজেই অতি করোনা ফাপানো শুরু করলো। হঠাৎ করে করোনা ধরার পরিমাণ বেড়ে গেছে। হয়ত আওয়ামীলীগ চাইছে ‘অতি করোনা’র ফিল্ড থেকে সে লাভ তুলে নিবে।
করোনা আদৌ বাংলাদেশে মহামারী হবে কি না হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত না। কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক ব্লকরা যে ভাত বেড়ে দিয়েছে, তাদের সরায় দিয়ে সেই ভাত খেতে নেমেছে আওয়ামীলীগ। দেখা যাক কি হয়।