ইউরোপ-আমেরিকা লক ডাউন করছে,


ইউরোপ-আমেরিকা লক ডাউন করছে,
মসজিদ-গির্জা বন্ধ করে দিছে,
ত্রাণের জন্য তারা ভীড় করে না,
সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে,
তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত,
জনগণের মধ্যে শিক্ষার হারও বেশি
কিন্তু তারপরও কেন তাদের করোনা মহামারী হইলো ?
অপরদিকে-
বাংলাদেশে তো জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি,
বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ করে নাই, ৫ ওয়াক্ত জামাত হইছে,
ত্রাণের জন্য মানুষ ভীড় করেই আছে,
লক ডাউনের কিছুই হয় নাই, পাবলিক ছুটি পেয়ে শহর থেকে গ্রামে গেছে,
চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত না,
শিক্ষার হারও কম,
সোশ্যাল ডিসটেন্সও কয় জনই বা পালন করছে ।
কিন্তু তারপরও কিন্তু বাংলাদেশে করোনা মহামারী হয় নাই।
কোন এলাকার সব মানুষ একত্রে অসুস্থ হচ্ছে না, বা একত্রে মারা পরতেছে না্।
তারমানে বোঝা যাচ্ছে-
করোনার ছড়ানোর জন্য তারা যে তত্ত্ব দিছে সেটা এখনও সঠিক বা পরিপূর্ণ না।
কিংবা তার বিপরীতে করোনা দমনের জন্য তারা যে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ তত্ত্ব দিছে সেটাও সঠিক না।
ইউরোপ-আমেরিকার পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে তাদের দেয়া তত্ত্বের সাথে
করোনা মহামারী হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই,
করোনা মহামারী হওয়ার জন্য অন্য কোন শর্ত বা তত্ত্ব আছে,
যেটা তারা হয় জানে না, এখনও আবিস্কার করতে পারে নাই,
অথবা তারা জানে, কিন্তু এখনও প্রকাশ করে নাই।
হয়ত পরে প্রকাশ করবে।
এক সময় যেমন বলছে- সবাই মাস্ক পড়েন,
এখন বলতেছে সবার পড়ার দরকার নাই। মাস্ক পড়লে উল্টো ক্ষতি হইতে পারে ।
আবার
এক সময় বলছে- করোনায় মৃতদের থেকে করোনা ছড়ায়,
আবার এখন বলতেছে, মৃতদেহ থেকে করোনা ছড়ায় না।
একটা সময় বলছে- লক ডাউন-ই একমাত্র সমাধান,
আবার এখন বলতেছে, লক ডাউন-ই একমাত্র সমাধান হয়।
হয়ত দেখা যাবে, তাদের কথিত স্যোশাল ডিসটেন্স নিয়েও তারা বিবৃতি দিবে,
বলবে- সোশ্যাল ডিসটেন্স কোন সমাধান নয়।
কিন্তু কথা হইলো, তাদের দেয়া ভুল তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে,
এই যে যে লক ডাউন, শাট ডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্স দিতেছে,
এতে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, তা কিন্তু মিস নাই।
না খাইলে মানুষ বাচে না, এটা চিরন্তন তত্ত্ব
এই তত্ত্বে কোন ভুল নাই।
তবে মজার বিষয় হইলো-
আমরা অপ্রমাণিত একটি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে এমন সব ডিসিশন নিলাম,
এর ফলে যে ইমপ্যাক্ট হবে সেটা কিন্তু অপ্রমাণিত নয়, বরং প্রমাণিত।
এখান থেকে বোঝা যায়, মানুষ মুখে যত কথাই বলুক-
উপর নিচে সব লেভেলের লোক আসলে অন্ধকারকেই বেশি বিশ্বাস করে, আলোকে নয়।