গত কয়েকদিনে ৩টা ঘটনা শুনলাম-
১টা শুনলাম রাজধানীর বাসাবোর পাশে মানিকনগরে,
২য়টা শুনলাম কুমিল্লার,
৩য়টা শুনলাম নারায়নগঞ্জের চাষাড়া।
৩টি এলাকায় ৩ ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাস হয়েছে বলে, পুলিশ নিয়ে গেছে, তার আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা নাই, ১ দিন পর আত্মীয়দের কাছে এসে পুলিশ জানায়- “আপনার লোক করোনায় মারা গেছে।”
যারা আমাকে এ ধরনের তথ্য জানিয়েছে, তাদের দাবী হলো- এই লোকগুলোকে করোনার কথা বলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে। আমি অবশ্য তাদের কথা আমলে নেইনি। কারণ এখন সত্য/মিথ্যা অনেক গুজবই থাকতে পারে। কিন্তু প্রায় সবার ঘটনাই কাছাকাছি হওয়ায় আমি চিন্তিত ছিলাম, আসল ঘটনা কি, করোনায় ১ দিনের মধ্যে মারা যাওয়াটা আসলে সম্ভব নয়। কারণ সাধারণত কোভিড-১৯ হইলে কিছু লক্ষণ আছে, ১ম দিন, ২য় দিন, ৩য় দিন তা প্রকাশ পাবে। এভাবে ক্রিটিকাল কন্ডিশনে যেতে ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত লাগে। করোনা আজকে হইলে কালকে মারা যাবে, বিষয়টি কিন্তু এমন নয়।
যাই হোক, আমি আরো তথ্য খুজতে থাকলাম, Deb Prasad Debu নামক একজনের রেফারেন্সে একটি লেখা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে, যেখানে প্রিন্স গার্মেন্টস এর চেয়ারম্যান তসলিম, যাকে করোনা ভাইরাসে মারা গেছে বলে দাবী করা হয়, তার ছোট ভাইয়ের বক্তব্য দেখা যাচ্ছে, প্রায় সেই বিষয়টি মিলে যাচ্ছে, ব্যবসায়ী তসলিমের ভাইয়ের দাবী, তিনি ডায়বেটিকস ও প্রেসারের পেশেন্ট ছিলেন। তার কাছে সঠিক সময় খাবার না পৌছালে তার সুগার ফল করতে পারে। কিন্তু কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে যাচ্ছে-তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেখানে ঐ ব্যক্তির খাবার তো দূরের কথা, ডাক্তারও আসে না। তার ভাইয়ের বক্তব্য হচ্ছে, তার ভাই চিকিৎসা বেডে নয়, বরং বাথরুমে ভেতরে মৃত অবস্থায় ছিলো, তাকে দরজা কেটে বের করে আনতে হয়েছে। সে করোনায় নয় বরং অব্যবস্থাপনার কারণে মারা গিয়েছে। (https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=112586313740212&id=109568724041971&__tn__=-R)
আরেকজন ডাক্তারের রেফারেন্স জানতে পারলাম, কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালের আইসোলেশনে প্রোপার ম্যানেজমেন্ট এবং খাবার সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা নেই। সেখানে অন্যান্য রোগে ভোগা বা দুর্বল রোগীরা অব্যবস্থাপনার কারণে মারা যেতে পারে।
আমি গতকাল একটা স্ট্যাটাসে বলেছিলাম, করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা আসলে কোন কারণে মারা যাচ্ছে, সেটা কিন্তু স্পষ্ট না। অন্তত যারা ব্রিফিং করছে তাদের কথার মধ্যে কেমন যেন লুকোচুরি দেখছি। আসলেই কি করোনায় রোগী মারা যাচ্ছে, নাকি সরকারের কার্যক্রমের গুরুত্ব বোঝাতে নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক লাশ সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটাই যাচাই করা উচিত।
[আরো দুজনের কমেন্ট-
১) সীতাকুণ্ডে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত তার পিতার চিকিৎসা শুরু হয়নি। কোন ডাক্তার দেখতে যায়নি। ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত রোগীকে কোন খাবার দেয়া হয়নি।
২) একজন বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করে। ওনার বাবার Covid-19 positive আসার পর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৪৮ ঘন্টা আগে। এই ৪৮ ঘন্টা ওনাকে কোন ডাক্তার, নার্স দেখতে যায়নি। কোন খারারও দেইনি৷ আজ সন্ধ্যায় ওই বড় ভাই দুঃখ করে বলতেছিল, মনে হয় বাবা বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে।
সূত্র: https://bit.ly/3bcAj93]