তুমি বন্দি, আমি মুক্ত

tSgoiup26 oAnpridresuoraeld 
তুমি বন্দি, আমি মুক্ত
কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য জেলে ভরা হয়।
বন্দিদশা এক প্রকার শাস্তি।
কারো ক্ষতি করতে চাইলেও তাকে বন্দি করে রাখুন।
এরপর তার সম্পদ লুটে নিন।
সম্প্রতি করোনাতে আমাদের সাধারণ জনগণকে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে ‘স্টে হোম’।
মানে ঘরে বন্দি থাকুন।
কিন্তু যারা শিক্ষা দিচ্ছে, যেমন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিরা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিংবা মিডিয়া কর্মী, তারা কেউ কিন্তু ঘরে বন্দি নয়। তারা কিন্তু তাদের কাজ ঠিকই বাইরে চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারিরা নিয়মিত মিটিং করছে,
রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা ত্রাণের নামে তাদের রাজনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছে,
কিংবা মিডিয়া কর্মীরা তাদের সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছে।
সরকারী দলের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ঠিকই চলতেছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে-
তারা জনগণের ভালোর জন্য, নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে,
নিজেরা বাইরে ঝুকি নিয়ে ঘুড়ছে।
আসলেই কি তাই ?
একটা মানুষ আমাকে সঠিক শিক্ষা দিচ্ছে কি না,
সেটা বোঝা যাবে, তখন সে নিজের মধ্যে সেই শিক্ষা বাস্তবায়ন করবে, সেটা দেখা।
দেখা যাচ্ছে, যারা আমাদের স্টে হোম করতে বলছে,
তারা নিজেরা কিন্তু স্টে হোমে নেই।
স্টে হোম করলে যদি ভালোই হয়, তবে তারা কেন স্টে হোম করে না?
তারা কেন সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায়।
ভাইরাস কি শুধু আমার মাধ্যমে ছড়ায়, তাদের মাধ্যমে ছড়ায় না ?
লক্ষ্য করবেন-
মিডিয়া কর্মীরা যখন নিউজ করে, তখন বলে-
“দেখুন রাস্তা ঘাটে কেমন করে লোকজন অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
সে কিভাবে করে বুঝলো ঐ লোকটা অপ্রয়োজনে ঘুড়ে বেড়াচ্ছ ?
আসলে প্রত্যেকের কাছে নিজের কাজটা প্রয়োজনীয় মনে হয়,
কিন্তু অপরের কাজটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।
এজন্য সে নিজের কাজটা চালু রাখে,
কিন্তু অপরের কাজ বন্ধ করে দিতে চায়।
কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের কাজই প্রত্যেকের কাছে ব্যক্তিগত বড় কাজ।
একজন রিকশা চালক যে রিকশা চালায় এটা তার ও পরিবারের কাছে সবচেয়ে বড় কাজ।
কারণ সেটা না হলে তার পরিবারকে না খেয়ে মরতে হবে।
যাই হোক, দিনশেষে দেখবেন-
যারা বাইরে ঘুড়তে পেরেছে তারাই লাভবান।
আর যারা ঘরে বন্দি তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
একদল ঘরে বন্দি হয়ে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সারা বছরের জন্য ঋণগ্রস্ত হয়েছে।
অপরদিকে যারা বাইরে ঘুরেছে তারা একদিকে যেমন নিজের কাজ করে নিয়েছে,
আবার বিভিন্ন টাকা হাতিয়ে আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছে,
প্রণোদনাও পেয়েছে দফায় দফায়।
আর কেউ যদি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে শো করতে পেরেছে,
তবে লাখ লাখ টাকা অনুদানও পেয়েছে।
সেই টাকা আবার এসেছে আবার নতুন নোট ছেপে, মূল্যস্ফীতি করে আমার-আপনার পন্যের দাম বাড়িয়ে।
অর্থাৎ আপনার টাকা আপনার থেকেই তারা কৌশলে লুটে নিয়েছে।
আপনি যদি করোনাকে ভয় না পেতেন, তবে তারা কি সেই সুযোগটা পেতো ?
তাই, কাউকে ধোকা দিয়ে খেতে চাইলে,
হয় তাকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জেলে ঢুকান,
নয়ত তাকে ভাইরাসের ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকান।
তারপর তার সম্পদ লুটে নিন।
তত্ত্ব একটাই, ম্যাংগো পাবলিক বুঝতে না পারলে, কার কি করার আছে?