করোনা ভাইরাস নিয়ে সত্যিই প্রথম থেকে আমার কোন সমস্যা ছিলো না।
করোনা ভাইরাস সত্যি না মিথ্যা, ল্যাবে বানানো না প্রাকৃতিকভাবে বানানো,
এগুলো নিয়ে আমি কোন কথা প্রথম থেকেই বলি নাই, এখনও বলবো না।
আমার সমস্যা ছিলো – লকডাউন, শ্যাটডাউন আর স্যোশাল ডিসটেন্স নিয়ে।
আমার কথা ছিলো- একটা মহল শুরু থেকে করোনা নিয়ে রহস্যজনক আচরণ করছে,
এবং করোনাকে সামনে দিয়ে লকডাউন, শ্যাটডাউন, স্যোশাল ডিসটেন্স জনগণের উপর চাপায় দিতে চাইতেছে।
ঠিক যেভাবে একাত্তর টিভিতে সাইন্সের কথা বলে লাশ পুড়াতেই চাইছিলো, ঠিক সেইভাবে।
তাদের একমাত্র বক্তব্য লকডাউন, শ্যাটডাউন আর স্যোশাল ডিসটেন্সই হলো করোনা দমনের একমাত্র সমাধান।
যদিও তাদের দাবীর পেছনে তেমন কোন এভিডেন্স নেই।
সম্প্রতি আমেরিকার দুটি অঙ্গরাজ্য নিয়ে খুব কথা হচ্ছে,
একটি নিউইয়র্ক, অন্যটি ফ্লোরিডা।
দুটি স্টেটেই একই দিনে করোনা ধরা পড়েছে, ১লা মার্চ।
দুটোর জনসংখ্যাও প্রায় সমান, নিউইয়র্কের ২ কোটি, ফ্লোরিয়ার ২ কোটি ২০ লক্ষ।
নিউইয়র্ক করোনার জন্য আগেভাবেই সব বন্ধ করছে।
কিন্তু ফ্লোরিডা করছে তার দুই সপ্তাহ পর।
যদিও ফ্লোরিডার সব বন্ধ করা নিউইয়র্কের মত এত কড়াকড়ি ছিলো না।
ফ্লোরিডা চার্চ, সিনাগগ বা কিছু বীচও খোলা রাখছে।
এর জন্য অবশ্য ফ্লোরিডার গভর্নরকে অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে।
কিন্তু দিন শেষে হিসেব করে দেখা গেলো-
নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার, সেখানে ফ্লোরিডায় মাত্র ১১শ’।
অর্থাৎ নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা ফ্লোরিডার তুলনায় ২০ গুন বেশি।
ঠিক কি কারণে ফ্লোরিডায় মৃতের সংখ্যা এত কম হয়েছে, তা আমার জানা নাই।
হতে পারে, দুটি স্টেটের আবহাওয়াগত পার্থকের কারণে।
কিন্তু দুটো স্টেটের তুলনা করলে এটা কিন্তু শিওর হওয়া যায়-
লকডাউন, শ্যাটডাউন আর স্যোশাল ডিসটেন্স কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমানোর কোন ফ্যাক্টর না।
যদি হতোই, তবে নিউইয়র্কে ফ্লোরিডার তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হতো।
আমার কথা হচ্ছে,
করোনা একটি রোগ ঠিক আছে। কিন্তু আপনি এর সঠিক চিকিৎসা দিতে না পারেন,
ভুল চিকিৎসা দিবেন কেন ?
আপনার ভুল চিকিৎসার কারণে তো হিতে বিপরীত হতে পারে।
ব্রিটেনের পরিসংখ্যান বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তারা দেখিয়েছে, করোনা ভীতির কারণে অসুস্থ লোকদের প্রতি যে অসহযোগীতা হয়েছে, তাতে প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটেছে।
বাংলাদেশেও আমরা সে খরব পেয়েছি। মানুষ মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছে, কেউ তাকে বাচাতে এগিয়ে আসেনি, এক ফোটা পানিও দেয়নি। হাসপাতালে ডাক্তারদের মধ্যে ভীতি এত তীব্র হয়েছে যে,
তারা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে অনেকে।
বাংলাদেশে এগুলোর পরিসংখ্যান নেই, থাকলে ব্রিটেনের থেকেও আমাদের মৃত্যু কম হতো না।
এগুলো কিন্তু সব হচ্ছে, “সোশ্যাল ডিসটেন্স” নামক হাতুরে থিউরীর ফসল।
শেষ কথা হলো-
একটা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে তার বহু ট্রায়াল হয়, বিভিন্ন পর্যায়ে ডাটা সংগ্রহ করা হয়।
দেখা হয়, এর কার্যকরীতা কত পার্সেন্ট এবং সাইড ইফেক্ট কত পার্সেন্ট।
ট্রায়ালে কার্যকরীতা ও সাইড ইফেক্টের পার্সেন্টিস দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়-
আদৌ ভ্যাকসিনটি মার্কেটে ছাড়া হবে কি না।
কথা হলো- করোনার ওষুধ হিসেবে এই যে লকডাউন, শ্যাটডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্স গণহারে বাজারে ছাড়া হলো,
এগুলোর কার্যকরীতা কত পার্সেন্ট ??
মানুষ সামাজিক জীব, সমাজের মধ্যেই সে বেচে থাকে। তাকে সোশ্যাল ডিসটেন্সের নামে সমাজচ্যূত করার সাইড ইফেক্ট হয়েছে কত পার্সেন্ট?
লকডাউন, শ্যাটডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্সের কি আগে কখন ট্রায়াল দেয়া হয়েছে?
নাকি ট্রায়াল ছাড়াই শুধু হুজুগ তুলে এগুলো জারি করা হয়েছে?
একটা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে যদি তার কার্যকরীতা ও সাইডইফেক্ট নিয়ে পর্যালোচনা হয়,
তবে লকডাউন, শ্যাটডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্সের এসব বিষয় কেন পর্যালোচনা হলো না?
কারা এগুলোর সঠিক পর্যালোচনা ছাড়াই মার্কেটে ছাড়লো,
কারা হুজুগ তুলে এগুলো জারি করলো ?
কারা এর পেছনে ইন্ধন দিলো?
তাদের স্বার্থ কি??
আমার মনে হয়, সময় এসেছে এসব প্রশ্ন করার।