গত কোরবানীর ঈদে চামড়ার মূল্য ধসিয়ে দেয়ার পর অনেকেই বলেছিলো,
যেহেতু কোরবানীর ঈদের চামড়ার মূল্য বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার পেছনে একটি বড় ডোনেট করে,
তাই চামড়ার মূল্যে ধস মানে বাংলাদেশের মাদ্রাসার ফান্ডিং এর জন্য একটি বড় বাধা,
যা বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার বন্ধের একটি ষড়যন্ত্র।
আবার এখন, বাংলাদেশে যেভাবে লকডাউন দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে,
তা রোজার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষণ সু-স্পষ্ট।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মুসলমানদের ঘরেই তারাবী নামাজ পরার জন্য বক্তব্য দিয়েছে।
কিন্তু এই তারাবীর নামাজ মাদ্রাসাগুলো বিশেষ করে লক্ষ লক্ষ হাফেজদের ইনকামের একটি বড় সোর্স। এছাড়া তারাবীর নামাজের সময় মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো অনেক ডোনেশন (জাকাত) সংগ্রহ করে, যা দিয়ে তারা সারা বছর চলতে পারে। কিন্তু রোজার মাসে মসজিদ বন্ধের মাধ্যম দিয়ে সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে বাংলাদেশের ইসলামীক সেন্টার অর্থাৎ মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোর একটা বড় সংকট দেখা দিবে।
একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, বাংলাদেশ সরকারের পলিসি এখন করোনা ভীতিকে বিস্তৃতি করা। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে-
১) করোনাকে পূজি করে ব্যবসা ত্রাণ/প্রনোদনা ব্যবসা। অতঃপর সেই টাকা উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যত সরকারদলীয় লোক আছে, সবাই ভাগভাটোয়ারা লাভ করা।
২) মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে জাকাতের টাকা মসজিদ মাদ্রাসাকে না দিয়ে করোনার অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিতে বলা। অতঃপর সেই টাকা লুটপাট করা।
৩) প্রধানমন্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত ক্ষোভ আমরা সবাই জানি, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালে হারিয়েছেন। সেই ক্ষোভ তিনি মাঝে মধ্যেই দেশবাসীর উপর প্রতিশোধ হিসেবে উসুল করতে চান। এবার করোনাকে পূজি করে সেই সুযোগ তিনি পুরোদ্যমে পেয়েছেন।
৪) কর্পোরেটোক্রেসি সিস্টেমে দেশের জনগণের একটা বড় অংশকে অতিদরিদ্র করা প্রয়োজন, যাদের থেকে স্বল্পমূল্যে শ্রম নেয়া যায়, তথা দাস বানানো যায়। বাংলাদেশকে করোনার নাম দিয়ে যা হচ্ছে, তাতে পুরুষ দাস এবং নারী দাস (পতিতা) সংখ্যা অতি শিগ্রই প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশী কর্পোরেটদের আকৃষ্ট করতে সেই স্বল্পমূল্যের দাসবৃদ্ধির সংখ্যাকেও সাফল্য হিসেবে দেখছেন।
৫) সর্বপরি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে ধ্বংস করতে পারলে সরকার প্রধান আন্তর্জাতিক হোমরা-চোমড়াদের বিশেষ সু-দৃষ্টি লাভ করবেন। সেটা কেন তিনি মিস করবেন ?