করোনায় যে পয়েন্টগুলো দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়েছে মিডিয়া-
১) পেনডেমিক এর বাংলা অনুবাদ মহামারী করে।
পেনডেমিক এর বাংলা হচ্ছে যে রোগ পৃথিবী জুড়ে ছড়ায়। কিন্তু মিডিয়া পেনডেমিক এর বাংলা অনুবাদ মহামারী করে মানুষকে ভয় লাগিয়ে দিয়েছে। এমনকি হুজুর শ্রেণী সেই ভুল অনুবাদ অনুসারে ফতওয়া দিয়ে মসজিদে নামাজ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে অনেক মহামারীর উদাহরণ আছে, যেমন প্লেগ। প্লেগে পূর্বে সব বয়সের লোকের ১০০% মানুষের মৃত্যুর সম্ভবনা হতো এমনকি গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যেতো। কিন্তু করোনা এমন এক মহামারী যেখানে ৮০% লোককে হাসপাতালে চিকিৎসাই নিতে যেতে হয় না, অধিকাংশ উপসর্গবিহীন থাকে।
২) আক্রান্তের সংখ্যা দিয়ে।
মিডিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যা দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে। অথচ করোনার মত ফ্লু লাইক ভাইরাস এভাবে দ্রুত ছড়ায় এটা বহু পুরাতন জিনিস, নতুন কিছু না। মানুষ আগে জানতো না, এখন নতুন করে জেনে ভয় পেয়েছে। কিছুদিন আগে আমি ইতালির একটি খবরের লিঙ্ক দিয়েছিলাম, সেখানে ২০১৮ সালে তাদের দেশে যে ফ্লু হয়, তাতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ লক্ষ লোককে চিকিৎসা নিতে হয়েছিলো।
৩) কেস ফ্যাটালিটি রেট (সনাক্তের মৃত্যুহার) ও ইনফেকশন ফ্যাটালিটি রেট (আক্রান্তের মৃত্যুহার) দিয়ে।
এটা ছিলো মিডিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কৌশল। তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে কৌশলে সাইড কেটে মানুষকে জাস্ট বোকা বানাইছে। যে কোন পেনডেমিক এর ক্ষেত্রে মৃত্যুহার যাচাই করতে হয় প্রকৃতপক্ষে কতজন আক্রান্ত হইছে তার মধ্যে মৃত্যুহার দিয়ে। কিন্তু কতজন প্রতিদিন পরীক্ষা করে সনাক্ত হইলো, এটা দিয়ে যদি আপনি মৃত্যুকে যাচাই করতে যান, তবে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুহার অনেক বেশি দেখাবে, কারণ কোন দেশের পক্ষেই ফ্লু লাইক ভাইরাসের প্রকৃত সংখ্যা পরীক্ষা করে বের করা সম্ভব না। মিডিয়া সেই সুযোগটা কাজে লাগাইছে। টেস্টের স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে তারা মৃত্যুহার ৭-১২% পর্যন্ত দেখিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এখন বিভিন্ন স্থানে এন্টিবডি টেস্ট করে প্রমাণিত হচ্ছে করোনায় মৃত্যুহার ০.১%-০.২% এর মত। এবং সেটাও বৃদ্ধদের জন্য। তরুণ বা মাঝ বয়সীদের জন্য এটি ০.০০৩% এর কাছাকাছি।
৪) ভুয়া ও অপ্রমাণিত বিভিন্ন খবর দিয়ে-
যেমন- করোনা বার বার মিউটেশন করে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে, করোনার বিরুদ্ধে শরীরে এন্টিবডি তৈরী হয় না, করোনা হইলে রক্ত জমাট বেধে যায়, করোনায় অমুক দেশে ২২ লক্ষ, তমুক দেশে ৫ লক্ষ লোক মারা যাবে টাইপের জ্যোতিষি বাণী।
৫) যুক্তি- পৃথিবীর সব দেশ করতেছে, সবাই কি তাহলে ভুল করছে ?
আসলে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের সিন্ডিকেট সারা বিশ্বজুড়েই আছে। তারা সারা বিশ্বে তাদের পরিচালিত মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত তৈরী করে সরকারকে চাপ দিয়েছে দিয়েছে তাদের মতবাদ অনুসারে চলার জন্য। তারা যে দেশে সফল হয়েছে, সেটাকে অন্যদেশের জন্য উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তবে প্রথম দিকে রিপাবলিকান ব্লক সদস্য যেমন- ট্র্যাম্প, বোরিস জনসন (ব্রিটেন), জাইর বলসোনারো (ব্রাজিল) তাদের ঘোর বিরোধীতা করেছে। কিন্তু পরে যখন দেখছে ম্যাংগো পাবলিক মিডিয়ার খবর দেখে মাতাল হয়ে গেছে, তাদের বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না, তখন তারা উল্টা চাল দিছে। মানে জনমতের বিরোধীতা না করে নিজেই জনমতের পক্ষে করোনার আসনে বসে নিজের যত স্বার্থ আছে সব উদ্ধার করা শুরু করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এন্টি-ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের। সেও প্রথমে মানতে চায় নাই। পরে রিপাবলিকান ব্লক যা করছে, সেও সেটার অনুকরণ করছে। মানে করোনার অস্ত্র নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজের স্বার্থ উদ্ধার শুরু করছে। বিশ্বজুড়ে যদি বিভিন্ন যুদ্ধের ইতিহাস দেখেন, তবে এটাই দেখবেন। সবস্থানে বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে কামড়াকামড়ি। মাঝখান দিয়ে জীবন দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এইজন্য আমি একবার জনগণের ব্লক খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।