গাজীপুরে মসজিদ খোলা নিয়ে মেয়রের বক্তব্যের পর ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বেশ আক্রমণাত্বক বক্তব্য দিয়েছে।


ts9 ircoApSponsorredgieSld 
গাজীপুরে মসজিদ খোলা নিয়ে মেয়রের বক্তব্যের পর ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বেশ আক্রমণাত্বক বক্তব্য দিয়েছে।
মসজিদ নিয়ে সরকারের প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের কথা শুনলে আসলে করোনার কার্যক্রম নিয়েই সন্দেহ তৈরী হয়।
আসলেই কি করোনার কারণে মসজিদ বন্ধ হয়েছে ?
নাকি বড় কোন ইসলামবিদ্বেষীদের প্ল্যান বাস্তবায়নে মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে ??
গার্মেন্টস, বাজার খোলার পর তো কোন মন্ত্রী মিনিস্টার এমন আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখায় নি।
কিন্তু মসজিদের বেলায় এমন মার মার কাট কাট হুমকি কেন ?
মানুষ আর কতটুকু সময় মসজিদে থাকে, তারপরও প্রশাসন মসজিদের বেলায় শক্ত অবস্থানের খবর মিডিয়া দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে নোয়াখালীতে মসজিদের ভেতর ঢুকে চাকমা ম্যাজিস্ট্রেট মুসল্লীদের ধরে জরিমানা খবর সবাই জেনেছে।
তবে প্রশাসন ছাড়া আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন মসজিদে সমস্যা তৈরী করছে। ফেসবুকে আমাকে অনেকেই ইনবক্সে জানিয়েছে, তাদের এলাকায় আওয়ামী নেতারা সরকার নির্ধারিত ওয়াক্তে ৫ এবং তারাবীতে ১২ জনের বেশি হলে ইমামকে হুমকি ধামকিসহ মুসল্লীদের হেনস্থা করছে। কোন স্থানে গিয়ে মুসল্লীদের ধরে ধরে পেটাচ্ছে। অনেক স্থানে সেই বিরোধের সূত্র ধরে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এই খবরগুলো কিন্তু মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত আসছে-
১) পাবনায় মসজিদের তারাবীর নামাজে ১২ জন রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-লুটপাট (https://bit.ly/2yZd4kf)
২. মাদারীপুরে মসজিদে নির্ধারিত সংখ্যা নিয়েও সংঘর্ষে ২০ জন আহত (https://bit.ly/2yPsfMZ)
৩. নারায়নগঞ্জে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০
৪. গোপালগঞ্জে মসজিদে নামাজের মুসল্লী সংখ্যা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০ (https://bit.ly/3aJ1Duk)
৫. মসজিদে ঢুকে মুসল্লী পেটালেন যুবলীগ নেত্রী
৬. জুমার নামাজে মুসল্লি বেশি, মুয়াজ্জিনসহ ৭ জনকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করল আ.লীগ নেতারা
উল্লেখ্য, আওয়ামী সরকারের টার্গেট বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা হ্রাস করে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করা, এটা নিয়ে আমি অনেক আলোচনা করেছি। গত কয়েক বছরে তারা কথিত উন্নয়নের নামে অনেক মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তালিকা করে নতুন মসজিদ ভাঙ্গছে। মন্দির-শ্মশানাঘাট-গির্জা না ভাঙ্গলেও মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছে। নৌ পরিবহণ সচিব মিটিং করে মসজিদের ইমামদের ডেকে নিয়ে ডাইরেক্ট বলেছে, বিদেশীরা এত বেশি মসজিদ দেখলে ভালো বলবে না। ভারতে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের কার্যক্রম দেখলে বাংলাদেশে আওয়ামী সরকারের অনুকরণ স্পষ্ট হয়।
তবে বহু মুসল্লী মসজিদে প্রতিদিন নামাজ পড়ায় তাদের এই কাজে কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছিলো। আমার মনে হয়, কথিত লকডাউনের নামে তারা যে মসজিদের উপর কড়াকড়ি হস্তক্ষেপ করেছে, এটা শুধু করোনার জন্য, বরং এতে তাদের আরো প্ল্যান লুকিয়ে আছে। মুসল্লীদের দীর্ঘমেয়াদে মসজিদ বিমুখ করা তাদের উদ্দেশ্যে।
এছাড়া কোরবানীর ঈদে চামড়ায় ধস, হাফেজদের তারাবীর ইনকাম বন্ধ করে দেয়া, এবং রমজানে লকডাউনের নামে মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোকে জাকাত-দান থেকে বঞ্চিত করলে অনেক মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। তখন সেগুলোকে ভাঙ্গতে আর জটিলতা পোহাতে হবে না, অনেক সহজেই তা ভাঙ্গা যাবে।
Image may contain: 1 person, beard, text that says "JAGONEWS24.COM মসজিদ খোলার বিষয়ে মেয়রের ঘোষণা প্রত্যাহার না হলে কড়া ব্যবস্থা"