ছোটবেলায় একটা চুটকি পড়েছিলাম, চুটকিটা ছিলো এরকম-
“রাজনীতি আর করা যাবে না ?
কেন ?
কারণ রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকে গেছে।”
করোনা ভাইরাস নিয়ে যা কিছু হচ্ছে, তাতে আমারও একইভাবে মনে হচ্ছে,
সাইন্সের মধ্যে আর্টস ঢুকে গেছে।
একটা টকশো’র কথা মনে আছে নিশ্চয়ই-
আর্টসে পড়া বিজ্ঞানী- “আচ্ছা করোনায় মৃতদের সৎকার নিয়ে সাইন্স কি বলে ?”
সাইন্সে পড়া বিজ্ঞানী- “না তাদের কবর দিতে সমস্যা নেই।”
আর্টসে পড়া বিজ্ঞানী- “না ! না ! পিওর সাইন্স কি বলে ? তাদের আগুনে পুড়ালে ভালো হয় না??”
সাইন্সে পড়া বিজ্ঞানী- “না কবর দিতে নিষেধ নেই”
আর্টসে পড়া বিজ্ঞানী- “না না, তবুও বলুন, বিজ্ঞান কি বলে ? আগুনে পোড়ালে ভালো হয় না?”
সাইন্সে পড়া বিজ্ঞানী- “এর দরকার নাই”।
আর্টস পড়া বিজ্ঞানী- আমার মনে হয় আপনি হুজুদের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে চাইছেন। বলুন না, বলুন সাইন্স কি বলে ?
সাইন্সে পড়া বিজ্ঞানী- বললাম তো কবর দেয়া বিজ্ঞান ভিত্তিক।
আর্টসে পড়া বিজ্ঞানী – দূর শালা ! তোর মত বিজ্ঞানী …টুট…টুট..। আমরাই কত বিজ্ঞান বানাইতে পারি।
বর্তমানে করোনার নামে যা হচ্ছে, সব হচ্ছে আর্টসে পড়া বিজ্ঞানীদের কাজ কারবার।
সাইন্সে পড়া বিজ্ঞানীরা নিজেরাই শিওর না, তাই তারা এখনও ট্রায়ালে আছে। তাই নিশ্চিত কিছু বলতে পারতেছে না, এদিক-ওদিক বলছে।
যেমন-
একবার বলছে মাস্ক পড়েন, আবার বলতেছে মাস্ক সবার পড়ার দরকার নাই।
একবার বলছে মৃতদেহ থেকে করোনা ছড়ায়, আবার বলতেছে ছড়ায় না।
একবার বলতেছে, ভেনটিলেটর হইলে সবাইকে বাচানো যাবে, আবার বলতেছে ভেনটিলেটরে ঢুকাইলে সবাই মারা যায়।
একবার বলতেছে, লকডাউন একমাত্র সমাধান, আবার বলতেছে লকডাউন একমাত্র সমাধান না।
এখন বলতেছে সোশ্যাল ডিসটেন্স কার্যকর, কয়দিন পর বলবে সোশ্যাল ডিসটেন্স ছাড়াও করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কথা হইলো এই যে বিজ্ঞানীদের এদিক-ওদিক নড়নচরণ, এটা তো এই প্রথম না,
সেই প্রথম থেকেই হয়ে আসছে।
এক বিজ্ঞানী এক রকম বলবে, আরেক বিজ্ঞানী দুইদিন পর পরীক্ষা করে সেটাকে অন্যরকম বলতেছে, অর্থাৎ তাদের কথার ঠিক নাই।
কিন্তু কথা হইলো- বিজ্ঞানীদের এই নড়ন-চরনের মাঝখান দিয়ে সেই টকশোর মত ঢুকছে আর্টসে পড়া বিজ্ঞানী বা নাস্তিকরা। তারা সেই সুযোগে তাদের ধর্মবিদ্বেষী এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করতেছে।
সমস্যা হইলো- আমাদের হুজুর শ্রেনীও সেই আর্টসে পড়া বিজ্ঞানীদের ফান্দে পা দিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দিছে।
যদিও তাদের বলা উচিত ছিলো- মসজিদের হুজুরদের যদি করোনা ভাইরাসের কারণে মসজিদ বন্ধ করতে হয়, তবে যমুনা টিভি আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিকদের করোনা হওয়ার কারণে তাদের টিভি চ্যানেলও বন্ধ করা উচিত। পুলিশ-র্যাবে করোনা ধরা পড়ছে, তাদেরও অফিসও বন্ধ করা উচিত।
মসজিদে ৫ জনের বেশি এক হওয়া যাবে না, কিন্তু মিডিয়া সেন্টারগুলোতে কতজন লোক এক হয় ? পুলিশ-আর্মির গাড়িতে গুলোতে কতজন একত্রিত হয় ? মুখোমুখি করে একত্রে ঠাসাঠাসি করে বসে।
টিভি,পত্রিকা অফিস, র্যাব-পুলিশ-আর্মির অফিসে ৫ জনের বেশি একত্র হওয়ার উপর বিধি নিষেধ দেয়া হোক। তাদের গাড়িতে ঠাসাঠাসি করে বসা বন্ধ করা হোক।
মসজিদের হুজুররা বিভিন্ন যায়গায় ঘুড়ে বলে তাদের ভাইরাস হয়,
কিন্তু সাংবাদিক, পুলিশ, আর্মি, র্যাবও তো নানান যায়গায় ঘুড়ছে, তাদের শরীরও তো ভাইরাসবাহী হতে পারে।
দোষ শুধু হুজুরের, বাকিরা সব নিষ্পাপ।--- এটাই তাহলে সাইন্স !!!
[ছবি: বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ভীতি ছড়াইতে আর্টসে পড়া বিজ্ঞানীদের নিউজ]