করোনায় গত ৩ দিনে বাংলাদেশে ৩৪ জন মারা গেছে বলে দাবী করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
কথা হচ্ছে, এরা কি আদৌ করোনায় মারা গেছে, নাকি কোন ওধুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারা গেছে?
সম্প্রতি খবর বেড়িয়েছে, ব্রাজিলের অ্যামাজন প্রদেশ কর্তৃপক্ষ একটি গবেষণা শুরু করে। এতে মানাস শহরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮১ জন রোগীর উপর উচ্চমাত্রায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, এতে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ১১ রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর ঐ গবেষণা বন্ধ করে দেয়া হয়। (https://bit.ly/2xwKPt8, https://nyti.ms/2yqFeEu)
ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগে হার্টে সমস্যা হতে পারে, এটা ফ্রেন্চ স্টাডিও একই কথা জানিয়েছিলে আগে। তারা ১০০ জন করোনা রুগির উপর প্রয়োগ করে দেখেছে ৮২ জনের উপর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায় এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়। (https://bit.ly/3aiKkzZ)
উল্লেখ্য বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া প্রজ্ঞাপনে রোগীদের উপর এই ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করতেই নির্দেশনা দেয়া আছে। এবং সেই অনুসারে কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালও নাকি সবাইকে গণহারে হাই ডোওজ ম্যালেরিয়ার ওষুধ দিচ্ছে, বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সাধারণত, ম্যালেরিয়ার জন্য যে ক্লোরোকুইন বা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন খায়, এটা সপ্তাহে খুব স্বল্পমাত্রায় দেয়। কিন্তু করোনার জন্য পরীক্ষামূলক হিসেবে যে ক্লোরোকুইন বা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন প্রতিদিন হাইডোজের দুইবার এই ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। ম্যালেরিয়ার ওষুধের এভাবে ব্যবহারে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
উল্লেখ্য, কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে ডাক্তার/নার্স রোগীদের রুমেই ঠিকমত প্রবেশ করে না, রোগীর ক্লোওজ অবজারভেশন নেই বলে জানিয়েছে অনেকেই। এভাবে ক্লওজ অবজারভেশন ছাড়া রোগীদের উপর এসব পাওয়ারফুল ওষুধের প্রয়োগেই রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে কি না এটাই সন্দেহজনক বিষয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে ২০ লক্ষ পিস ম্যালেরিয়ার ওষুধ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (https://bit.ly/2KiTJgg)
চিন্তার বিষয় হলো, কোন বিশেষ স্বার্থের জন্যই রোগীদের উপর এধরনের ওষুধের এক্সপেরিমেন্ট ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে নাকি তাই চিন্তার বিষয়।