অনেক লোক না খেতে পেয়ে অসুস্থ হবে, বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়ে রাস্তায় পরে থাকবে। কিন্তু কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না।


এই কথাটা আগেই বলেছিলাম- অনেক লোক না খেতে পেয়ে অসুস্থ হবে, কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়ে রাস্তায় পরে থাকবে। কিন্তু কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। উল্টো ফেসবুকে সেই ছবি প্রচার করে বলবে- করোনার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ মরে পরে আছে। কিন্তু করোনার যে লক্ষণ তা ধিরে ধিরে উঠে। একবারে হঠাৎ উঠে কেউ মারা যায় না।
বরং ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে, গরমের মধ্যে, পরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক মানুষের এমন রাস্তায় পরে থাকতে পারে। কেউ মারাও যেতে পারে। কিন্তু কারোনাকে বড় করতে গিয়ে সেই নির্মম সত্যটাই যেন লুকিয়ে ফেলতে চাইছে অনেকে।
ছবিতে দেখুন, বণানীতে একজন ছেলে প্রচণ্ড গরমে ক্ষুধার্ত অবস্থায় যানবাহন না থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু ফেসবুকে সেটা ছড়িয়ে অনেকেই করোনা ভীতি প্রচারে ব্যস্ত।
আরেক জায়গায় দেখলাম সেলিম নামক সাতকানিয়ার একজন লোক স্ট্রোক করে মারা গেছে (https://bit.ly/2xQIvNd)। কিন্তু ফেসবুকে অনেকেই তাকে করোনা বলে প্রচার করেছে। আরে ভাই, মানুষের এখন সংসার চালানানোর চিন্তায় স্ট্রোক বাড়বেই। এই কষ্ট বাপের হোটেলের খাওয়া মানুষ বুঝবে না। অথচ স্ট্রোক করার পর মানুষ যদি এগিয়ে আসতো, যদি তাকে হাসপাতালে নেয়া যেতো কিংবা হাসপাতালেও যদি চিকিৎসা পাওয়া যেতো হবে অব্যশই এ লোকটিকে বাচানো সম্ভব ছিলো।