অনেকে লিখছে- “কোরবানীর চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলুন”। আমার মনে হয়- এটা ভুল সিদ্ধান্ত। এন.সি-২৩০
অনেকে লিখছে- “কোরবানীর চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলুন”।
আমার মনে হয়- এটা ভুল সিদ্ধান্ত।
Image result for বিমান
অনেকে লিখছে- “কোরবানীর চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলুন”।
আমার মনে হয়- এটা ভুল সিদ্ধান্ত।
আমার জানা মতে ইসলাম ধর্ম মতে কোরবানীর চামড়া খাওয়া নিষিদ্ধ নয়,
অনেক এলাকা, বিশেষ করে আফ্রিকা, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানরা পশুর চামড়া খায়।
মুসলমানদের জন্য ‘হালাল-হারাম’ বলে একটা বিষয় আছে,
আমার অনেক মুসলমান বন্ধুর সাথে আলাপ করে জেনেছি, তাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে কোরবানীর পশুর ৮টি জিনিসকে নিষিদ্ধ (হারাম) বলা হয়েছে, সেই তালিকায় কিন্তু চামড়া নেই।
আসলে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে চামড়া খাওয়ার কালচার গড়ে উঠেনি বলেই, এদেশে ট্যানারি শিল্প এত দ্রুত বেড়ে উঠেছে। অপরদিকে অন্য মুসলমান দেশগুলো চামড়া খেয়ে ফেলায় বিধায়, তাদের দেশের ট্যানারি শিল্প অত বেশি প্রসার লাভ করেনি। তবে হা তারাও চামড়ার ট্যানারি নিয়ে কিছু কাজ করে, কিন্তু সেটা অন্য কোন উপায়ে মৃত পশুর চামড়া, ধর্মীয় উপায়ে জবাই করার পশুর চামড়া নয়।
চামড়া খায় কিভাবে ?
হ্যা চামড়া খাওয়া যায়। উচ্চতাপমাত্রা বা গরম পানিতে চামড়া ডুবিয়ে দিলে পশমগুলো উঠে আসে, তখন পুরো চামড়াটা পাওয়া যায়। আমার কিছু বিদেশী মুসলিম বন্ধুর কাছে বিষয়টি জিজ্ঞেস করেছিলাম স্বাদ কেমন। তাদের বক্তব্য- একেক স্থানের চামড়ার একের রকম স্বাদ। আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রে গরুর চামড়া দিয়ে অনেক স্পেশাল আইটেম রান্না করা হয়, সেগুলো দেশ বিদেশে প্রসিদ্ধ। বাংলাদেশেও অনেক এলাকায় গরুর মাথার চামড়ার খাওয়ার প্রচলন আছে, যা নেহারীর পায়ার রবারের মত অংশের সাথে তুলনা করা যায়।
চামড়ায় কি থাকে ?
আসলে আমরা চামড়া বলতে বুঝি শুধু উপরের পশমী অংশ। কিন্তু চামড়া মূল অংশটা কিন্তু থাকে ভেতরের অংশে, যেটাকে বলা হয় কোলাজেন। গরুর চামড়ায় কোলেজেনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে, তাই গরুর চামড়া বেশি উপদেয়। তাই উপরের পশমী অংশটা (বা চাইলে শক্ত অংশটাও) যদি ফেলে দেয়া যায়, তবে ভেতরে কোলাজেন নামক প্রোটিন পাওয়া সম্ভব, যা মাংশের মতই খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য।
চামড়া খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে কি লাভ হবে ?
আসলে আমাদের দেশে এতদিন কোরবানীর চামড়া মসজিদ মাদ্রাসায় দান হিসেবে ব্যবহৃত হতো । কিন্তু গত বেশ কিছু বছর যাবত চামড়ার দাম কমে যাওয়ায়, মসজিদ মাদ্রাসায় সেই টাকা আসছে না। এবং কবে নাগাদ চামড়ার দাম বাড়বে তাও বলা যাচ্ছে না। ট্যানারির মালিকদেরও একটা ধারণা তৈরী হইছে, “যদি আমরা চামড়া না নেই, তবে চামড়া পচে যাবে, চামড়া দেয়ার কোন উপায় থাকবে না। তাই যত কম দামই দেই না কেন, চামড়া আমাদের কাছে আসবেই, না দিয়ে যাবে কোথায় ?” তাই ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছে। এতে তারাও যে খুব একটা লাভবান হতে পারছে তা নয়, বরং এই দাম কমার সুযোগ নিচ্ছে পাশ্ববর্তী ভারতীয় চামড়ার ব্যবসায়ীরা। তারা এই কম দামের সুযোগে প্রুচুর পরিমাণে চামড়া কিনে ভারতে পাচার করে দিচ্ছে। এই অবস্থায় জনগণ যদি চামড়া খাওয়া শুরু করে দেয়, তবে চামড়ার মালিকরা অন্তত এটা ভাবতে পারবে না যে চামড়ার যেই দাম দিবো, পাবালিক সেই দামেই বিক্রি করবে।
এখানে বোঝার বিষয় হলো- বাংলাদেশের চামড়া গুলোর ওজন প্রায় ২০ কেজি থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত হয়। চামড়া খাওয়ার কালচার শুরু হলে ধনীরা হয়ত এগুলো খাবে না, কারণ সেখানে প্রসেসিং এর বিষয় থাকে। কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তরা (যারা হাত পেতে মাংশ চাইতে পারে না) মাংশের বিকল্প হিসেবে চামড়া খেতে পারে। যদি চামড়ার প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে হয়, তবে প্রতি চামড়ার দাম ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দাড়াবে।
লক্ষনীয়, ইসলাম ধর্মের নিয়ম হচ্ছে- কোরবানীর পশুর সবকিছু কোরবানীকারী ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু যদি অংশ বিক্রি করে, তবে বিক্রির টাকা ব্যবহার করতে পারবে না, সেটা ‘গরীবের হক্ব’ হবে।
আমার বলার উদ্দেশ্য, যদি কোরবানী গরুর চামড়া খাওয়ার কালচার শুরু হয়, তবে নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মধ্যে (যারা হাত পেতে মাংশ চাইতে পারে না) গরুর চামড়া খাওয়ার কালচার শুরু হলে তারা টাকা দিয়ে চামড়া কেনা শুরু করবে, তখন প্রতি চামড়ার মূল্য দাড়াবে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। তখন সেই টাকা কিন্তু ধনীরা ব্যবহার করতে পারবে না, এতিম বা গরীবকেই দিতে হবে। ফলে এখন যেমন চামড়া প্রতি ট্যানারি মালিকরা ২-৩শ’ টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে, সেই কাজটা আর করবে পারবে না, তাদেরকে চামড়া খাওয়াওয়ালাদের সাথে প্রতিযোগীতা করেই চামড়া কিনতে হবে। আর এতে চামড়া নিয়ে যে অপচয়টা হচ্ছে সেটাও হবে না, পাশাপাশি এত বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।
ট্যানারি শিল্পের পাশাপাশি জিলেটিন শিল্প:
ট্যানারি শিল্পের পাশাপাশি আমাদের জিলেটিন শিল্প গড়ে তোলা দরকার। কারণ বাংলাদেশের ঔষধসহ অনেক খাদ্যে জিলেটিনের ব্যবহার আছে। উল্লেখ্য চামড়ার ভেতরের অংশে কোলাজেন নামক উপদান থাকে, সেই কোলাজেন থেকে জিলেটিন তৈরী হয়। পাকিস্তান কিন্তু চামড়ার ট্যানারির থেকে জিলেটিন তৈরীতে বেশি মনোযোগী। বিশ্বব্যাপী হালাল পশু থেকে আগত জিলেটিনের চাহিদাও অনেক। যেহেতু ইউরোপ থেকে আগত জিলেটিনের বড় অংশ হলো শুকর থেকে আগত, আবার চীন বা এসমস্ত রাষ্ট্রে গরুর জিলেটিন থাকলেও সেগুলো ইসলাম ধর্মীয় মতে জবাই করা হয় না। তাই মুসলমানরা হালাল পশু থেকে জিলেটিন উৎপাদন করতে পারে। বাংলাদেশে যেহেতু কোরবানীর সময় প্রচুর পরিমাণে হালাল উপায়ে জবাই করা পশুর চামড়া পাওয়া যায়, সেহেতু সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে জিলেটিন পাওয়া সম্ভব, যা দেশ বিদেশে মুসলিমদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশে যদি জিলেটিনের কারখানা তৈরী করা যায়, তবে তখন চামড়া বিক্রির জন্য শুধু ট্যানারির উপর নির্ভর করতে হয় না, জিলেটিন কারাখানাগুলোও চামড়া নিয়ে যাবে। এতে চামড়ার দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
এখন চামড়ার কোলাজেনের কি হচ্ছে ?
এখন যেটা হচ্ছে, চামড়াগুলো ট্যানারিতে যাচ্ছে, সেই চামড়া প্রসেসিং করার সময় চামড়া থেকে ঝরে পড়া কোলাজেনসহ প্রোটিন অংশটুকু বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর চামড়া ধোয়ার সময় ট্যানারিগুলো এমন রং ব্যবহার করছে, যেখানে ভারি ধাতু আছে। সেই ভারি ধাতু মিশ্রিত পানি আর চামড়া থেকে ঝড়ে পরা কোলাজেন ও প্রোটিন মিশ্রিত হয়ে ট্যানারি বর্জ্য্ তৈরী করছে। দেখা যাচ্ছে, সেই বর্জ্যের প্রোটিন অংশটা নিয়ে মাছ ও মুরগীর ফিড কোম্পানিগুলো খাদ্য তৈরী করছে। কিন্তু সেখানে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কিছু ভারি ধাতু মিশ্রিত থাকছে। এটা নিয়ে বিদেশী সমর্থিক পরিবেশবাদী গ্রুপগুলোর চিল্লাচিল্লিতে সেই সব ফিড নিষিদ্ধ করছে সরকার। অথচ চামড়া ধোয়ার সময় যদি ভারি ধাতুর রং এর পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব রং এর ব্যবহার করা হয়, তবে কিন্তু সেই ট্যানারির বর্জ্য্গুলো আর বিষাক্ত হয় না। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশের ট্যানারির বর্জ্য থেকে প্রোটিন নিতে না পারায় মাছ ও মুরগীর ফিড কোম্পানিগুলো থাইল্যান্ড বা তারপাশের দেশ থেকে শুকরের মাংশ, চর্বি, হাড় এমনকি কিছু কিছু সময় বিষ্ঠা পর্যন্ত আমদানি করতেছে। অপরদিকে ট্যানারির বর্জ্যগুলো রিসাইক্লিং না হওয়ায় সেগুলো পরিবেশের মধ্যে থেকে তা পরিবেশকে আরো দূষিত করে তুলছে। ফলে ট্যানারিগুলো সব সময় জনগণের চোখে খারাপই থেকে যাচ্ছে। এতদিন হাজারীবাগ দূষিত হয়েছে বলে সরকার জোর করে ট্যানারিগুলো সাভার সরিয়ে দিলো। এতে পথে বসে গেলো ট্যানারিগুলো। এখন সাভারে গেছে, ইতিমধ্যে অনেকে বলছে সাভারের পরিবেশও নাকি ট্যানারি দূষিত করা শুরু করেছে। ৫-১০ বছর পর যখন যখন ট্যানারিগুলো কিছুটা হলেও দাড়াতে পারবে, তখন দেখা যাবে পরিবেশ দূষণের কথা বলে সাভার থেকেও সেগুলো বিতাড়ন করা হয়েছে।
আমি দেখেছি, এখন যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবি দাবী করে, মিডিয়াতে কাজ করে বা সরকার প্রশাসনে আছে, তারা কেউ কোন কিছুর সমাধান চায় না্। শুধু মার মার কাট কাট অবস্থা। তাদের কথা মত না চললেই শেষ করে দাও, মাথা ব্যাথ্যা হয়েছে তো মাথা কেটে ফেলো। অথচ সমস্যাটা সামান্য একটু যায়গায়ই থাকে, সেটুকু অংশ সমাধান করলেই কিন্তু পুরো জিনিসটা নষ্ট করতে হয় না।
Dhaka North City Corporation said in an advertisement yesterday - এন.সি-২২৯
Dhaka North City Corporation said in an advertisement yesterday -
Image result for বিমান
Dhaka North City Corporation said in an advertisement yesterday -
" do not keep qurbani animals by taking the streets / footpath of ḍi'ēnasisira. The law will be taken according to the law by the mobile court. (https://bit.ly/2GUg3vD)
Today, a man of city corporation fined rs. 20 thousand rupees for putting cows on the footpath. (https://bit.ly/31tZLl5)
I have posted some pictures, where you can see, the Hindu religious roads are completely closed by the busy roads of Dhaka. The people are suffering from traffic, Muslims have to walk down their heads under the statue, but they do not see any law or fine, nor notice. The Eyes-mouth are completely closed.
Three four days before Eid, the culture of buying cows in Dhaka's residential areas is very old, it is very old, it is called the tradition of Dhaka. But that's why I have never seen a problem with traffic or transport. But suddenly there is a doubt why the dhaka city corporation suddenly had a sudden itching to the tradition.
Further, it is also noted that the city corporation has spread horrible dengue in the country, then proved each of them a joke of humor, they are actually ineligible. These worthless people have now gone after the sacrifice of the Muslims of Muslims, shame
So the city corporation should withdraw such statements and apologize to the public by taking care of the religious sentiments of the majority.
কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। এন.সি-২২৮
কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন।
অনেকে লিখছে-
কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন।
আসলে আমার মনে হয়,
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে তাদের উপর যতটুকু প্রেসার দেয়া যাবে,
বরং তার থেকে আরো বড় প্রেসার দেয়ার পলিসি বাংলাদেশের মুসলমানদের হাতে আছে।
Related imageযেমন ধরেন-
ভারত থেকে বাংলাদেশে বছরে বৈধ পথে আসে ৮৬২ কোটি ডলারের পণ্য।
টাকায় হিসেব করলে যার পরিমাণ দাড়ায়- ৭২ হাজার কোটি টাকা।
অপরদিকে ২০১৭ সালের হিসেবে
বাংলাদেশ থেকে ভারতে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স গিয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
টাকার হিসেবে যার পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
এই দুইটি টাকা যদি তুলনা করেন, তবে পন্যতে কিন্তু শতভাগ লাভ নেই।
মানে ৭২ হাজার কোটি টাকা পণ্য বিক্রি করে ভারতের লাভ হচ্ছে হয়ত সর্বোচ্চ ২০%।
তারমানে ভারত পণ্য বিক্রি করে পাচ্ছে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
অথচ রেমিটেন্স হিসেবে পাচ্ছে পুরো ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ পণ্যের তুলনায় যদি ভারতের রেমিটেন্স আটকানো যায়, তবে ক্ষতি হবে প্রায় ৬ গুন বেশি।
এটা ঠিক বাংলাদেশে অনেক ভারতীয় নাগরিক চাকুরী করে ভারতে পাঠায়, কিন্তু এজন্য এই অ্যামাউন্টটা এত বেশি হওয়ার কথা না। রেমিটেন্সের এই অ্যামাউন্টটা এত বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম ভাবে, ভারতকে ভাবে ফার্স্ট হোম। তারাই এ দেশ থেকে ইনকাম করে ভারতে টাকা পাঠায়। কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।
যেমন-
(১) সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শাহাজাহান মিয়ার এপিএস শৈলেন।
পুরো নাম সৌমেন্দ লাল চন্দ শৈলেন।
শৈলেনের বাবা এক সময় ছিলো চা-সিগারেটের দোকানি। শৈলেন ও তার বাবা থাকতো বাংলাদেশে, কিন্তু তার ভাইবোনরা থাকতো ভারতে। ভাইবোনরা ভারতে বিভিন্ন দোকানের নিম্নশ্রেণীর কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো।
কিন্তু হঠাৎ আওয়ামী রাজনীতির হাত ধরে শৈলেন হয়ে গেলো ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর এপিএস,
ব্যস তাকে আর পায় কে?
মসজিদ বানাতে ঘুষ দিতে হয় শৈলেনকে, হজ্জে যেতে হলে ঘুষ দিতে হয় শৈলেন কে। শুধু ৪০৩টি হজ্ব এজেন্সির লাইসেন্স দেয়া নামে হাতিয়ে নেয় ৫০ কোটি টাকা। হজের সময় মেডিকেল সাপ্লাই, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার দান-অনুদান এবং মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদারি খাতে নির্দিষ্ট অংকের পার্সেন্টিজ দিতে হতো শৈলেনকে। জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া। আর এই সুযোগে সবার থেকে ঘুষ চেয়ে বসতো শৈলেন। তাকে এড়িয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাটাও ছিল কঠিন।
শৈলেন এপিএস নিয়োগ হওয়ার পরই পাল্টে যায় ভারতে থাকা তার ভাইবোনদের জীবন যাত্রা। শৈলেনের ভাই রবিন চন্দ কোলকাতার ৪ নং সন্তোষ রাইবাজার রোডে একটি বাড়ির মালিক হয়ে। আরেক ভাই সচীন চন্দ ভারতের চব্বিশ পরগনার ১৫৪, হাঁসপুকুর, গ্রীণ পাকজোকায় বাড়ির মালিক। বোন নমিতার নামেও রয়েছে কোলকাতার ২৩/১, রামগোপাল পাল রোড, মিত্রপাড়ায় একটি বাড়ি। এছাড়া তাদের প্রত্যেকের আলাদা বড় বড় ব্যবসা । ভগ্নিপতি কিষেন মিত্র নামে অঢেল সম্পদ রয়েছে। (https://bit.ly/31wH28t)
(২) খবর-
বাঁশখালীতে ৩৫ কোটি টাকা মেরে হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ভারতে পলায়ন
দিনমজুর, গৃহিণী, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবী, গ্রাম্য ডাক্তার, পানচাষি, কাঠ ব্যবসায়ী, সবজি ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ী, সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের গ্রামজুড়ে টাকা আর স্বর্ণালংকারের জন্য উদ্বেগ আর কান্না। এসব মানুষের জীবনের সম্বল নিয়ে দোকানের ম্যানেজারসহ সপরিবারে ভারতে পালিয়ে গেছে বাঁশখালীর নাপোড়া বাজারের নামকরা স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনাদি ধর। এই খবর গত ৯ আগস্ট থেকে জানাজানি হলে ভুক্তভোগীদের আর্তনাদে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এরকম অন্তত ২ হাজার মানুষের সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা আর সর্বনিম্ন আধা ভরি থেকে সর্বোচ্চ ২০ ভরি পর্যন্ত স্বর্ণালংকার ছিল। যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৩৫ কোটি টাকা হবে। তম্মধ্যে স্বর্ণ কমপক্ষে ১ হাজার ভরি। (https://bit.ly/2MPkj36)
(৩) খবর-
লক্ষীপুরে গ্রাহকদের কোটি টাকা নিয়ে হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ভারতে পলায়ন, যাওয়ার সময় নিজ বাড়িও বিক্রি করে গেছে। (https://bit.ly/33hZVNX)
(৪) খবর-
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়া গ্রামের এক মহাজনের বাড়ি থেকে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৭ কেজি বন্ধকী স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে। স্বর্গগুলো রাখা হয়েছিলো ৮ বস্তায়। (https://bit.ly/31mVM9C)
আমার ধারণা, বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়া অর্থের পরিমাণ ৮৫ হাজার কোটি টাকা হয়, তবে অবৈধ পথে এর পরিমাণ ১০ গুন বেশি হবে। এবং এই কাজগুলো করে থাকে বাংলাদেশে থাকা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই। যারা ঘরের মধ্যে বস্তা ভরে টাকা জমায়, আর সুযোগ বুঝে টাকার বস্তাটা সীমানা ক্রস করিয়ে দেয়। এই তো কিছুদিন আগে এক হিন্দু প্রিজন গ্রেফতার হলো। তার দৈনিক ইনকাম ছিলো ১০ লক্ষ টাকা। এই টাকাগুলো তো বৈধ পথে ভারত নেয়া সম্ভব হতো না। এগুলোকে বস্তায় ভরেই সীমানা দিয়ে পার করতে হতো।
এই সব অবৈধ টাকা যেন খুব সহজেই ভারত পাচার করা হয়, এই জন্যই ভারত সরকার আগরতলা বিমানবন্দরের কিছু অংশ বাংলাদেশের সীমানাতে ঢোকাতে চাইছে, যেন বিনা বাধায় এই সম্পদগুলো ভারতে পাচার করা যায়।
যাই হোক, এখন আপনি যদি কাশ্মীরীদের জন্য কিছু করতে চান,
তবে বাংলাদেশে থাকা ভারতের আর্থিক সোর্সগুলো বন্ধ করতে হবে।
আর বাংলাদেশে ভারতীয়দের সবচেয়ে বড় আর্থিক সোর্স হলো হিন্দু জনগোষ্ঠী।
এজন্য বাংলাদেশের মুসলমানরা যে কাজগুলো করতে পারে-
ক) আপনার কোন প্রতিষ্ঠান/ব্যবসায় মুসলিম ব্যতিত অন্য ধর্মের লোককে চাকুরী দেবেন না। যাদের দিয়েছেন, এখনই ছাটাই করুন।
খ) সরকারী প্রতিষ্ঠানে জনসংখ্যার অনুপাত হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চাকুরী দেয়া। অতিরিক্তদের ছাটাই করার দাবী তোলা।
গ) মুসলিম ব্যতিত অন্য ধর্মের লোকের দোকান (মিষ্টি, কাপড়, মুদির দোকান) থেকে কিছু কিনবেন না।
ঘ) মুসলিম ছাড়া কোন ধর্মাবলম্বীর রেস্ট্রুরেন্ট থেকে খাবেন না।
ঙ) মুসলিম ব্যতিত অন্য ধর্মের লোকের কাছে আপনার সন্তানকে প্রাইভেট পড়াবেন না।
চ) কোন অমুসলিমের দোকান থেকে চুল কাটাবেন না। জুতা সেলাই করবেন না।
ছ) কোন অমুসলিম থেকে কোন জমিজমা কিনবেন না।
জ) অমুসলিমের গাড়ি-যানবাহন এড়িয়ে চলুন।
ঝ) অটোবি, শ্যামলি পরিবহণ টাইপের অমুসলিম মালিকানাধীন কোম্পানির পণ্য- সেবা নিবেন না।
ঞ) কোন অমুসলিম উকিলের কাছে মামলা নিয়ে যাবেন না।
ট) মুসলিম স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করুন। অমুসলিম স্বর্নকারের কাছে যাবেন না।
আমার মনে হয়, ভারতীয় পণ্যের বর্জণ থেকে ভারতীয় অর্থের সোর্সকে (বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী) বয়কট করলে ভারতের উপর আরো বহুগুন প্রেসার তৈরী করা সম্ভব। তাই কাজগুলো বুদ্ধিমত্তার সাথেই করতে হবে।
এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ? এন.সি-২২৭
এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ?
August 9, 2019
Image result for বিমান
এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ?
সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্প নিয়ে ওয়াসা ও সরকারের সাথে চূক্তিবদ্ধ হয়েছে জার্মানীর সরকারী ব্যাংক কেএফডাব্লিউ। প্রকাশিত সংবাদ বলছে- “এ চূক্তির আওতায় ঢাকার বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহে সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্পের তৃতীয় পর্য়ায় অর্থাৎ মেঘনা নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন করে ঢাকাবাসীকে সরবরাহ করা হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে কেএফডাব্লিউ ওই প্রকল্পে অর্থায়ন ছাড়াও পানির উৎস্থল মেঘনা নদীর পরিবেশ তথা নদীতে যেন শিল্পবর্জ্য না পড়তে পারে তা তদারকি করবে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার (তৃতীয় পর্য়ায়) প্রকল্পে ৯ কোটি ইউরো অর্থায়ন চুক্তি হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। (https://bit.ly/2KB7WoS)
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও নরসিংদী এই তিনজেলায় মেঘনা নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বৃহৎ শিল্প কারখানা। এই শিল্প কারখানাগুলোকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা যায়। বিদেশী ফান্ড নির্ভর পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে কথিত নদী দূষণের কথা বলে এই শিল্পকারখানাগুলো বিরুদ্ধে বলে আসছিলো।
উল্লেখ্য ‘কেএফডাব্লিউ’ ব্যাংক কিন্তু সাধারণ কোন ব্যাংক নয়, এটি জার্মান ব্যাংক বলা হলেও এর মূল অর্থায়ন কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপে যেন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইনভেস্ট করে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে, সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘মার্শাল পরিকল্পনার’ আওতায় ফান্ড দিয়ে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। অর্থাৎ ইউরোপে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই ‘কেএফডাব্লিউ’ ব্যাংক।
কথা হলো, এই ‘কেএফডাব্লিউ’ কিন্তু ইহুদীদের নতুন মাস্টারপ্ল্যান সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এর আওতায় জলবায়ু-টলবায়ুর কথা বলে বিভিন্ন দেশের শিল্পকারখানার উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। সারা বিশ্বজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাজ্যবাদ দীর্ঘায়িত করতে তৃতীয় বিশ্বের নিজস্ব শিল্পকারখানা ডেভেলপ হতে না দেয়া বা দরিদ্র করে রাখা জরুরী। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘কেএফডাব্লিউ’ মেঘনা নদীতে এমন এলাকায় পানি তোলা ও কল-কারখানা তদাররিক দায়িত্ব নিছে, যে এলাকাগুলোতে দেশের বৃহৎ বৃহৎ কল কারখানাগুলো উপস্থিত।
এ অবস্থায় একটি আশঙ্কা যাগে,
তাহলে কি জার্মান ব্যাংকের সাথে পানি নিয়ে এ চূক্তি দেশী শিল্প-কারখানা ধ্বংসের নতুন কোন পদক্ষেপ ?
আমরা কি অতি শিঘ্রই মেঘনা নদীর পাড়ে হাজার হাজার শিল্প কারখানা বন্ধে নতুন কোন ষড়যন্ত্রের মঞ্চায়ন দেখতে পাবো ?
সময় হয়ত কথা বলবে, তবে বিপদের সম্ভবনা দেখেই জনগণেরও সচেতন ও প্রতিবাদী হওয়া জরুরী।
Image may contain: 4 people, people smiling
বৃহস্পতিবার মোদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে আদর করে বললো- এন.সি-২২৬
বৃহস্পতিবার মোদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে আদর করে বললো-
বৃহস্পতিবার মোদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে আদর করে বললো-
১) বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল,
২) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কোন গোষ্ঠী যেন ভারতের ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষে হাসিনার গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসার প্রাপ্য। (https://bit.ly/2ZPYa8x)
Related imageপরদিন শুক্রবার র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির বললো-
১) কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি আমাদের সমস্যা বা বিষয়ও নয়।
২) এ বিষয় নিয়ে দেশে অনাকাঙ্খিতভাবে, অযাচিতভাবে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(https://bit.ly/2YE4Wlx)
দুটি ঘটনা মিলালে বোঝা যায়-
মোদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোখিক সমঝোতা করে বলেছে-
“আমরা তোমাদের প্রিয়া সাহা ইস্যুতে কিছু বলবো না, তোমাদের দেশেরও কেউ যেন কাশ্মীর ইস্যুতে কিছু না বলে বা করে সেটাও তোমরা খেয়াল রাখবে। প্রিয়া সাহা তোমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
পরদিন তাই মোদির দিক নির্দেশনা অনুসারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকা র‌্যাবের ডিজি মোদির সুরেই কথা বললো।
এ ঘটনা থেকে ক্যালকুলেশন করে আরো কিছু জিনিস বের করা যায়-
ক) বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ‘কাশ্মীর আযাদি আন্দোলন’ মোদিকে ভীত করেছে।
খ) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ ধরনের ‘সমঝোতা করতে চাওয়া’ মোদির নিচু/নরম হওয়ার লক্ষণ। তবে মোদি নিচু হলেও হাসিনা সরকারের স্বাভাবিক আচরণ অধিক আজ্ঞাবহতা প্রকাশ করা।
গ) মোদির এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য একেবারে হতাশাজনক। কারণ বাংলাদেশের হিন্দুরা মোদিকে অনেক বড় কিছু বা ত্রাণকর্তা মনে করলেও মোদি তাদেরকে ২ টাকা দিয়েও গোনায় ধরে না। বরং মোদির নিজের স্বার্থে বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে সে যেখানে সেখানে বিক্রি করতে পারে।
ঘ) হাসিনা সরকারের জন্য প্রিয়া সাহা’র সাথে কাশ্মীর ইস্যু মিলানো ঠিক হলো কি না ? কারণ-কাশ্মীরের স্বাধীনতা একটি যৌক্তিক বিষয়, অপরদিকে প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে মিথ্যা সেটা ‘৩ কোটি ৭০ লক্ষ গুম’ হওয়ার তথ্যই বলে দেয়। এক্ষেত্রে সরকার দুটি বিষয় একই মাপকাঠিতে মেপে “প্রিয়া সাহা’র মিথ্যা বক্তব্যকে সত্য রূপ দিলো কি না ?
ঙ) প্রিয়া সাহা’র ঘটনার পর ভারতের সাধারণ হিন্দুরা তার পক্ষে গরম বক্তব্য দিয়েছে। অপরদিকে কাশ্মীরের ঘটনার পর বাংলাদেশের সাধারণ জনতা কাশ্মীরীদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে।
এই সমঝোতা তখনই সমান সমান হতো, যদি “প্রিয়া সাহার পক্ষে ভারতে যে কথা বলবে- মোদি সরকার তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিবে”- ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় যদি এ ধরনের প্রজ্ঞাপন দিতো তখন। কিন্তু আওয়ামী সরকার সমঝোতা করলো শুধু মোদির একপক্ষীয় মুখের কথায়।
লক্ষণীয়- মোদির মুখের কথা যখন বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের উপর আইন হিসেবে চাপিয়ে দেয়া হয়, তখন বিষয়টি-
---বাংলাদেশের আওয়ামী সরকারের জিরো ওজনের কূটনীতি এবং
-- কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি প্রাদেশিক সরকারের মত আনুগত্যতা প্রদর্শণ নির্দেশ করে।
ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের। এন.সি-২২৫
ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের।
Related image
ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের। ভিডিও দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হয়ত অস্ত্রগারে পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষিত ছিলো, এক্সপ্লোশনের ধরণ দেখলে সেরকম অনুমান করা যায়। বিষ্ফোরণের পর ঐ অস্ত্রগারের আশেপাশ থেকে ১৬ হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার দাবী করে রুশ কর্তৃপক্ষ, জারি করে জরুরী অবস্থা।
এর ২ দিন পর, অর্থাৎ গত ৮ই আগস্ট রাশিয়াতে আরেক দুর্ঘটনায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি রকেট ইঞ্জিন বিষ্ফোরণ ঘটলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। (https://bit.ly/2YGrzpr)
এরপর দিন, ৯ই আগস্ট রাশিয়াতে আরেকটি অস্ত্রগারে শক্তিশালী বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। (https://bit.ly/2KG0FUM)
আমরা অনেকেই ভাবি,
এসব অস্ত্র-সস্ত্র ও পরমানু তেজস্ক্রিয়তা মজুদের দিক থেকে হয়ত রাশিয়া অনেক উন্নত দেশ হবে। আর সে কারণেই তাদের দিয়ে আমাদের দেশের পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হচ্ছে। মিডিয়ার সামনে প্রায় বলতে শুনি, “রাশিয়ানরা এমন প্রযুক্তি রূপপুরে দিচ্ছে, যা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।”
আমার কথা হলো, রাশিয়ানদের কাছে যদি এত নিরাপদ প্রযুক্তি থাকে, তবে মাত্র মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ২টি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণ (যেখানে পুরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে) এবং ১টি পরমানু রকেট ইঞ্জিনের বিষ্ফোরণ ঘটলো কিভাবে ?
তাদের সেই নিরাপত্তা প্রযুক্তি তারা তাদের দেশে প্রয়োগ করছে না কেন ?
আর তাদের দেশেই যদি তাদের নিরাপত্তার এই বেহাল দেশা হয়, তবে তারা বাংলাদেশের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারবে তারা??
আজকে একটা খরব দেখলাম-
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কনটেইনারে আগুন (https://bit.ly/2ZQYsMH)
খবরটা দেখেই আমার মনটা আতকে উঠলো।
ভাবলাম, রাশিয়া বাংলাদেশের তুলনায় আয়তনে প্রায় ১০০ গুন বড়।
কিন্তু জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় সমান।
তাই তাদের দেশে এত এত বিষ্ফোরণ ঘটলেও হয়ত বড় হয়ে ধরা পড়বে না।
কিন্তু বাংলাদেশের মত ছোট দেশে যদি এরকম একটা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তবে কি যে হবে, তা খোদ সৃষ্টিকর্তাই জানে।
আসলে যে সব ক্ষমতাশীলরা বাংলাদেশের মত ছোট দেশে এসব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আসছে, তাদের প্রত্যেকেরই ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়িঘর আছে। বাংলাদেশে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তারা মুহুর্তে দেশ ত্যাগ করে ইউরোপ আমেরিকায় চলে যাবে। কিন্তু তখন সাধারণ জনগণ কি করবে ? তাদের তো যাওয়ার কোন যায়গা নেই।
আসলে এজন্য একজন বলেছিলো-
তিনি বোধহয় তার পিতা-মাতা-ভাইদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছেন দেশের জনগণের উপর,
নয়ত দেশকে এত বড় বিপদে ফেলে কিভাবে রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারেন?
এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না।
আজকে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় অনেকে কান্নাকাটি করতেছেন, আমি তাদেরকে দুইটা প্রশ্ন করতে চাই- এন.সি-২২৪
আজকে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় 
অনেকে কান্নাকাটি করতেছেন,
আমি তাদেরকে দুইটা প্রশ্ন করতে চাই-
Related image
আজকে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় অনেকে কান্নাকাটি করতেছেন,
আমি তাদেরকে দুইটা প্রশ্ন করতে চাই-
১) ২০১১ সালে যখন পরিবেশ দূষণ ও ভারি ধাতু ছড়াচ্ছে, এই অজুহাতে মার্কিনব্লক মেইনটেইন করা আইনজীবি মোনজিল মোরশেদ হাইাকোর্টে রিট করলো- ট্যানারিগুলো হাজারিবাগ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য, তখন কি তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেছিলেন ?
নাকি উল্টো ঐ সময় বলেছিলেন-
“খুব ভালো হবে ট্যানারিগুলো সরে গেলে, পরিবেশ ভালো হবে। আমরা ভালো থাকবো।”
২) ২০১৭ সালে যখন আরেক মার্কিনপন্থী চীফ জাস্টিস ইসকন সদস্য এসকে সিনহা সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত রায় দিলো হাজারিবাগের ট্যানারিগুলো দ্রুত সরিয়ে দেয়ার জন্য, তার আদেশের পর হাজারিবাগের গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো, তখন কি আপনি প্রতিবাদ করেছিলেন ? নাকি উল্টো বলেছিলেন- “দূর শালা, এইসব ট্যানারির মালিকের গুষ্টি কিলাই। তোদের কারণে পরিবেশে শেষ হচ্ছে। তোরা মর।”
অথচ এই ঘটনাগুলো যখন তখন কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছিলাম
কারণ আমি জানি, ব্যবসায়ীরা তখন যে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, সেটার প্রভাব জনগণের উপর পড়তে ২-৩ বছর লাগবে। ঐ সময় ট্যানারি মালিকরা কান্নাকাটি করেছিলো, আর আপনি হেসেছিলেন। আজকে আপনি কানতেছেন, আশা করি সেটা দেখে ট্যানারি মালিকরা হাসবে।
সত্যি বলতে- মিডিয়াগুলোও চূড়ান্ত মাত্রার কালপ্রিট। এই ট্যানারিগুলো সরাতে তাদের ভূমিকা ৯৫%, তাদের উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্টের কারণে ট্যানারিগুলো সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আজকে মিডিয়াগুলো এমন ভাব নিচ্ছে, যেন চামড়ার দাম পরে যাওয়ার সম্পর্কে তারা কিছু জানেই না।
আপনারা মনে করে দেখুন, কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার আগুনকে অজুহাত করে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাতে চেয়েছে, তখন মিডিয়াগুলো অপপ্রচারমূলক রিপোর্ট করে। দুধে এন্টিবায়োটিক আছে, এটা নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে, মিডিয়া সেখানে ঘি ঢালে। নির্ধারিত স্পটে গরু কুরবানী করতে হবে, এটা নিয়ে মোনজিল মোরশেদের রিট, সরকার ও মিডিয়ার অতি উৎসাহি কার্যক্রম দেখেও অনেকেই এগুলোকে সাপোর্ট করেন। কিন্তু এগুলো যদি জারি হয়, তখন দেশের কি হবে, এটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন ? এগুলো কি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, না ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত?
আপনি যদি একটা ২০ তলা বাড়ি ডিনামাইট দিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে চান, তবে ১ সেকেন্ড সময়ই যথেষ্ট। কিন্তু ঐ বাড়িটি যখন আপনি তৈরী করবেন, তখন সেটা ১টা ইটের সাথে ১টা ইট জোড়া দিয়েই করতে হবে। তাই ট্যানারি শিল্প বলেন, পুরান ঢাকার শিল্প-বানিজ্য বলেন, ডেইরী শিল্প বলেন, কিংবা কুরবানীর ঐতিহ্য বলেন, কোনটাই এক দিনেই গড়ে উঠেনি, এগুলো যুগের পর যুগ কোটি কোটি মানুষের প্রচেষ্টার ফসল। এগুলোর উপর নির্ভর করতেছে কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা। লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি এসব শিল্পের সাথে জড়িত। অথচ মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব রটিয়ে এসব শিল্প এক নিমিষে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয় আর আপনারা জনগণ সেটার পক্ষে কাজ করেন।
সত্যিই বলতে- প্রতিটি প্রাণী দূষণকারী। আপনি নিজেও দূষণকারী। আপনি প্রতিদিন যে টয়লেট করেন, সেটা দিয়ে অবশ্যই পরিবেশ দূষণ হয়। তাহলে দূষণকারী হিসেবে আপনাকে মেরে ফেলি ? কি বলেন ?
আসলে যে দূষণকারী তাকে মারতে হয় না,
যে সিস্টেমের কারণে দূষণ হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে।
যেমন ধরুন- ট্যানারি’র দূষণ। সে সিস্টেমের কারণে দূষণ হচ্ছে, সেটা পরিবর্তন করেন।
তা না করে সেগুলো জোর করে তুলে দিয়ে তাদের এতদিন ধরে গড়ে তোলা শিল্পকে ডিস্ট্র্যাব করলেন, এখন চামড়ার দাম তো কমবেই। আপনি একটা মানুষকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে বাড়িছাড়া করেছেন। এখন নতুন বাড়িতে উঠে, হাত-পা চিকিৎসা করে, আগের মত বাড়িঘর সাজাতে তো ৪-৫ বছর সময় লাগবে, একদিনে তো আগের অবস্থা হবে না। তাই চামড়া নিয়ে আপনাকেও ৪-৫ বছর কষ্ট করতে হবে। এটাই বাস্তব, এবং বাস্তবতাই আপনাকে মেনে নিতে হবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি সময় দেশি ব্যবসা ও শিল্পের পক্ষে।
মিডিয়া যত অপপ্রচার করুন, আমি সব সময় বলি-
সমস্যা হলে সমাধান করুন, মাথ্যা ব্যাথা হলো ঔষধ খান,
কিন্তু মাথা কেটে ফেইলেন না।
দেশী শিল্পে কোন সমস্যা হইলে, সমস্যাটা ঠিক কোন যায়গায় সেটা চিহ্নিত করে সমাধান করুন।
কিন্তু দেশী শিল্প ধ্বংস করা যাবে না।
একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা সব সময় চায়-
কোন রাষ্ট্রে যেন নিজস্ব দেশীয় শিল্প গড়ে না উঠে, কারণ দেশী শিল্প মানে নিজের পায়ে দাড়ানো।
আর নিজের পায়ে দাড়ালে কেউ অপরকে পাত্তা দেয় না।
তেমনি কোন রাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিকভাবে নিজের পায়ে দাড়ায় তবে তা কখন সম্রাজ্যবাদীদের অনুগত থাকবে না, তাদের কথা শুনবে না। উল্টো তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করবে।
আর এ কারণেই সম্রাজ্যবাদীরা সব সময় চায়- আমাদের দেশীয় শিল্প যেন ধ্বংস হয়ে যায়।
আরেকটা কথা-
সাধারণ মানুষ মিডিয়া দ্বারা খুব প্রভাবিত। অনেকে মিডিয়ার অন্ধ ভাক্ত, মিডিয়া যা বলে, তাই চোখ মুখ বুজে তাই বিশ্বাস করে।
অথচ একটা জিনিস বুঝতে চান না- প্রত্যেক মিডিয়া (টিভি/পত্রিকা) চালাতে যে পরিমাণ খরচ লাগে, বিজ্ঞাপন থেকে যে পরিমাণ টাকা আসে তা দিয়ে মোটেও চালানো সম্ভব না। তাহলে নিশ্চয়ই এমন কোন যায়গা থেকে অতিরিক্ত ফান্ড আসে, যা দিয়ে ঐ মিডিয়া তার খরচ চালায়।
আমি দেখেছি, অনেকে বিটিভি নিয়ে ঠাট্টা মষ্করা করেন। বলেন- বিটিভি সরকারের পক্ষে অন্ধ দালালি করে। আরে ভাই, যে বেতন দেয়, তার কথাই তো ঐ মিডিয়া বলবে।
তাহলে এখানে কথা উঠে, বিটিভি যদি সরকারের টাকা খেয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলে,
তবে অন্য মিডিয়াগুলো কার কার টাকা খেয়ে
কার পক্ষে কথা বলে, কার স্বার্থের দিকে জনগণকে ধাবিত করে ?
বিটিভি যেমন জনগণকে সরকারের পক্ষের দিকে ধাবিত করতে চায়,
ঠিক তেমনি অন্য মিডিয়াগুলো বিদেশী টাকা খেয়ে
বিদেশী স্বার্থ উদ্ধার করতে- দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে অপ্রচার চালায়।
এই জিনিসটা জনগণ যতদিন না বুঝতে, যতদিন তারা মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হবে
ততদিন তারা ‘বিদেশীদের বিনা পয়সার দালাল’, এটা মনে রাখবেন।

বুড়িগঙ্গার তীরে বিশ্বব্যাংকের পর্যটন এবং আমাদের শিল্প বাণিজ্য ধ্বংসের রূপরেখা। এন.সি- ২২৩
বুড়িগঙ্গার তীরে বিশ্বব্যাংকের পর্যটন এবং আমাদের শিল্প বাণিজ্য ধ্বংসের 
রূপরেখা

Image result for বিমান
বুড়িগঙ্গার তীরে বিশ্বব্যাংকের পর্যটন এবং আমাদের শিল্প বাণিজ্য ধ্বংসের রূপরেখা
কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে আমি অনেক আলোচনা করেছি এক সময় । বলেছিলাম- কর্পোরেটোক্রেসি আসলে- ঐ দেশের নিজস্ব কোন শিল্প-বাণিজ্য টিকে ধাকবে না, তারা আমদানি নির্ভর হবে। তবে শুধু একটা শিল্প রমরমা থাকবে, সেটা হলো পর্যটন শিল্প। আর শিল্প-ব্যবসা না থাকায় পুরুষরা বেকার থাকবে, তবে নারীদের জন্য ভালো সুযোগ থাকবে পর্যটন শিল্পে। বিদেশী পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে সংসার চালাবে নারীরা।
সম্প্রতি চামড়া শিল্পে বেহাল অবস্থা আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি, কিভাবে একটি দেশীয় শিল্প সম্পূর্ণ রূপে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। চামড়া শিল্প বলতে যদি আমরা শুধু আড়ৎদার, ট্যানারি মালিক ও চামড়া শ্রমিক বুঝি, তবে ভুল করবো। বরং এর সাথে জড়িত আরো কোটি লোকের রুটি রুজি।
যেমন-
 ট্যানারির সাথে জড়িত কেমিক্যাল ব্যবসা। চামড়া প্রসেসিং বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেলে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাবে।
 আড়ৎ এর সাথে জড়িত লবন ব্যবসা। লবন ব্যবসায়ীরা আগের মত সেই ব্যবসায় ইনকাম করতে পারবে না।
 চামড়াকে কেন্দ্র করে আরো হাজার ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্র গড়ে উঠেছে যার কোন সুনির্দ্দিষ্ট হিসেব নেই। কিন্তু চামড়া শিল্প ধ্বংস করে প্রায় কোটি লোককে বেকার করে দেয়া হচ্ছে।
চামড়ার দামে ধস নামার পর সরকার কাচা চামড়া রফতানির ঘোষণা দিয়েছে। সত্যিই বলতে চামড়া যতটুকু সংরক্ষণের দরকার সেটা হয়ে গেছে, বাকিটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তাই নতুন করে কাচা চামড়া রফতানি করার দরকার ছিলো না। কিন্তু কাচা চামড়া রফতানির ঘোষণা দিয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, আসলে সরকার চাচ্ছে না- বাংলাদেশে ট্যানারি শিল্প থাকুক। বরং বাংলাদেশে কোরবানীর সময় যে চামড়াগুলো আসছে তা ভারতে চলে যাক, তারা সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করুক। কারণ ট্যানারি শিল্পের মূল কাচামাল কাচা চামড়া, বাংলাদেশের কোরবানী উপলক্ষে যেটা পর্যাপ্ত ছিলো, এখন সরকার সেই কাচামাল বিদেশে রফতানির ঘোষণা দিয়ে দেশী ট্যানারি শিল্পের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলো। উল্লেখ্য এর আগে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সরকার ট্যানারি শিল্পে ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে। যেমন-
১) চামড়া শিল্প গার্মেন্টস শিল্পের পর একটি বৃহৎ শিল্প। অথচ সরকার এই শিল্পের দায়িত্ব দিয়েছে ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)’কে। কথা হলো বিসিকের মত প্রতিষ্ঠানটি চামড়া শিল্পের মত বড় একটি শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কি ?
২) সরকার ২০১৭ সালে জোর করে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সরিয়ে দিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে বলতেছে, ২০২০ সাল নাগাদ সাভারের ট্যানারি এলাকা প্রস্তুত হবে। (https://bit.ly/2Twl7LA)
কথা হলো- সরকার কেন নতুন ট্যানারি এলাকা প্রস্তুত না করে ৩ বছর আগে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে, দৈনিক জরিমানা ধরে ট্যানারিগুলো উচ্ছেদ করলো। এই ৩ বছরে যে ক্ষতি হয়েছে তা হয়ত বড় ট্যানারিগুলো কষ্ট করে পুষিয়ে নিতে পারবে, কিন্তু মাঝারি ও ছোট ট্যানারিগুলো এই ধাক্কায় চিরতরে হারিয়ে গেছে।
৩) দাবী করা হয়-“ট্যানারির কারণে বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হচ্ছে, তাই ট্যানারিগুলো সরাতে হবে।”
এ জন্য সরকার ইটিপি প্ল্যান্ট (বর্জশোধন ব্যবস্থা) এর কথা বলে ট্যানারিগুলো সাভারে সরালো, কিন্তু এখনও সাভারে ধলেশ্বরীতে ইটিপি প্ল্যান সরকার ঠিক মত দিতে পারেনি। অথচ হাজারীবাগে ট্যানারি রেখে সেখানেও ইটিপি প্ল্যান্ট (বর্জশোধন ব্যবস্থা) দেয়া সম্ভব ছিলো, তাহলে ট্যানারি শিল্পের এমন ১২টা বাজতো না।
৪) চামড়া শিল্পের দূরাবস্থার মধ্যে নতুন করে কমপ্লায়েন্সের কথা বলে বিষয়টি আরো জটিল করে তুলছে পশ্চিমাপন্থী একটি মহল। রানা প্লাজার ঘটনার পর কমপ্লায়েন্সের কথা বলে যেভাবে অনেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, একই কাজ করা হয়েছে ট্যানারি শিল্পের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট ষড়যন্ত্রকারীদের হাত স্পষ্ট।
প্রায় অনেকেই বলেছে,
বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের পাট শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে এবং সেই পাট শিল্প চলে গেছে ভারতে। (https://bit.ly/304cLxD)
চামড়া শিল্পের ক্ষেত্রেও বিষয়টি হয়েছে একইরকম। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক বুড়িগঙ্গার তীরে পর্যটন কেন্দ্র গড়তে ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর পরই বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে শিল্প-বাণিজ্যগুলো একের পর এক ধ্বংস হতে চলেছে। উল্লেখ্য বিশ্বব্যাংক অনেক আগে থেকেই বলছিলো- তারা বুড়িগঙ্গার তীরে পর্যটন শিল্প তৈরী করবে। তবে ২০১৬ সালে তারা চূড়ান্ত এ প্রকল্পে ১৬০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয় (https://bit.ly/2yZE8N3)। এর পরের বছরই এক হিসেবে জোর করে ট্যানারীগুলোকে জোর করে বুড়িগঙ্গার তীর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ঠিক একইভাবে ২০১৯ এর শুরুতে লালবাগে আগুনের স্যাবোটেজ ঘটিয়ে পুরান ঢাকার সমস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যগুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয় সরকার। মিডিয়াগুলোও সেখানে ঘি ঢালে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে এক পর্যায়ে পিছু হাটে সরকার। পাট শিল্পে সাথে যদি তুলনা করি, তবে বিষয়টি সোজা হিসেব মিলে যায়। মানে প্ল্যান হলো বিশ্বব্যাংকের, আর ব্যবসা চলে যাবে ভারতে। মানে বাংলাদেশের কাচামাল (কাচা চামড়া) থাকবে, কিন্তু ট্যানারিগুলো চলবে ভারতে। ১ হাজার টাকার কাচা চামড়া প্রসেসিং করে তারা ১ লক্ষ টাকার টাকার ফিনিশিং গুড বানাবে। এর সাথে কোটি কোটি ভারতীয় চাকুরী ব্যবসা হবে। অথচ কাচামাল সরবরাহকারী বাংলাদেশের মানুষ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ভারি চামড়া কাধে তুলে কান্নাকাটি করে মরবে।
বিষয়টি তুলনা করা যায় অনেক সিয়েরা লিওন নামক রাষ্ট্রটির সাথে।
সিয়েরা লিওন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ
কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম হীরা সমৃদ্ধ দেশ হলো সিয়েরা লিওন।
সিয়েরা লিওনে পৃথিবীর বড় বড় হীরা ব্যবসায়ীরা আসে।
সেই ব্যবসায়ীদের অধীনে সিয়েরা লিওনের জনগণ সারাদিন হীরা তুলে দেয়ার চুক্তিতে দুই বেলা খাবার পায়। অথচ সেই হীরা পশ্চিমা দেশগুলোতে গিয়ে পরিশোধন কোটি কোটি ডলারে বিক্রি হয়।
বলাবাহুল্য, সিয়েরা লিওনে নারীদের একটি বড় অংশ পতিতাবৃত্তি করে সংসার চালায়।
আসলে কর্পোরেটোক্রেসি বিষয়টি এমন-
দেশের সম্পদ থাকবে, কিন্তু জনগণ তা ব্যবহার করতে পারবে না।
সম্পদ চলে যাবে আন্তর্জাতিক কর্পোরেটদের হাতে, জনগণ বহু কষ্ট করবে, কিন্তু দিন শেষে দু’মুঠো খাবার জোগার করাই তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
নির্ধারিত স্পটেই কেন কুরবানী দিতে হবে ?এন.সি-২২২
নির্ধারিত স্পটেই কেন কুরবানী দিতে হবে 
?

Related image
নির্ধারিত স্পটেই কেন কুরবানী দিতে হবে ?
নির্ধারিত স্পটে কেন কুরবানী দিতে হবে ?- এই প্রশ্ন আমি তাদের কাছে জানতে চাই, যারা আমাদের এ শিক্ষাটা দিচ্ছে। আমি জানি তারা উত্তর দিবে- “পরিবেশ ভালো হবে, আপনি ভালো থাকবেন। ”
না না, আমি জনগণের উপকার জানতে চাই নি। আমি জানতে চেয়েছি-
যারা আমাদেরকে বার বার এই শিক্ষা দিতেছেন-
নির্ধারিত স্পটে কোরবানী দিলে, তাদের লাভ কি ?
আমাদের এত কষ্ট বলে বার বলার পেছনে তাদের গোপন্য এজেন্ডা কি ?
তাদের স্বার্থ কি ?
সেটা আমাকে আগে বলেন।
কেন তারা কোরবানী স্পট নির্দ্দিষ্ট করতে চাইছেন ?
কেন মিডিয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছেন?
কেন সরকারকে প্রেসার দিয়ে জনগণের উপর আইন হিসেবে চাপায় দিতেছেন?
তাদের আসল উদ্দেশ্যটা কি ? সেটা আগে জানা দরকার।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত স্পটে দেওয়ার পলিসি আমি প্রথম পাই মাহফুজ আনামের ডেইলি স্টার পত্রিকায়। ২০১৩ সালের ১৫ই অক্টোবর “The Slaughterhouse Solution” শীর্ষক এক কলামে বাংলাদেশে কোরবানী বিষয়টি কেমন হওয়া উচিত তার পরিপূর্ণ রূপরেখা সেই কলামে দেয়া হয় (https://bit.ly/2MgYLx6)। সেখানে বাংলাদেশের কোরবানীর বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে কসাইখানায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়, নির্ধারিত লোক দ্বারা জবাই করা এবং অতঃপর নির্ধারিত কসাই দ্বারা মাংশ কাটার সিস্টেম বাতলে দেয়া হয়। যেহেতু বাংলাদেশে কসাইখানা এত নেই, তাই সেই কসাইখানার ধারনায় উৎসাহিত করতেই নির্ধারিত স্পটে পশু কোরবানীর বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে। মানুষ যখন বুঝবে- যেখানে সেখানে নয়, নির্ধারিত স্পটে পশু কোরবানী করতে হবে, তারপর সেই নির্ধারিত স্পটকে লোকচক্ষুর আড়ালে নির্ধারিত কসাইখানায় কনর্ভাট করা হবে।
নির্ধারিত কসাই খানায় কেন কোরবানী ?
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মেইনটেইন করা একটা গ্রুপ আছে, যারা নিজেদের পশু প্রেমী দাবী করে। এই গ্রুপটি সারা বিশ্বে Ritual slaughter বা ধর্মীয় পশু জবাইয়ের রীতির বিরুদ্ধে। তারা এভাবে প্রকাশ্যে পশু কোরবানী নয় বরং লোকচক্ষুর আড়ালে হত্যা করতে বলে। এবং পশুকে হত্যার আগে ইঞ্জেকশন দিয়ে চেতনাহীন করারও পরামর্শ দেয় (https://bit.ly/2TAgPD1)। এদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা- পশু হত্যা বন্ধ করে কৃত্তিম মাংশ তৈরী করে মানুষকে মাংশ খাওয়ানো, এতে তাদের কর্পোরেট সদস্যদের একচেটিয়ে ব্যবসা হবে (https://bit.ly/31JYOFr)।
মূলত ঐ গ্রুপটি বাংলাদেশের পরিবেশের অজুহাতে কোরবানীর স্পট নির্দ্দিষ্ট করে কোরবানীকে ধরে বেধে সীমিত করতে চাইছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্পটে কোরবানী করলে কি হবে ?
আসলে বাংলাদেশে ঐ বিশেষ গ্রুপটি দুটি শ্লোগান প্রচার করেন-
একটি, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার – এটা হচ্ছে ইসলাম ধর্মের জন্য।
দ্বিতীয়টি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এটা হচ্ছে হিন্দু ধর্মের জন্য।
প্রথম শ্লোগানটির মধ্যে লুকিয়ে বলা হচ্ছে, ইসলাম ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে চর্চার জিনিস, এটা সামাজিক চর্চায় আনা যাবে না। অপরদিকে দ্বিতীয় শ্লোগানে বলা হচ্ছে, হিন্দু ধর্মটা সামাজিকভাবে চর্চার জন্য। সবাই পালন করতে পারবে।
সত্যিই বলতে ইসলামবিদ্বেষী গ্রুপটি চায়, ইসলাম ধর্ম যেন ঘরের গোপন প্রোকোষ্ঠে চর্চা হয়, সেটা যেন কোনভাবেই সামাজিকভাবে চর্চা না হয়। কিন্তু কোরবানী ঈদ তাদের এই পলিসির জন্য বড় বাধা। কারণ কোরবানী ঈদ ধর্মীয় অনুসঙ্গ হলেও এটা একা একা করা যায় না। গরু কিনতে, গরু রাখতে, গরু জবাই করতে, গরুর মাংশ বিলি করতে ইচ্ছা অনিচ্ছায় এটা সামাজিক চর্চায় চলে আসে। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা বৃদ্ধি পায়, মুসলমানরা তাদের ধর্মকে সামাজিকভাবে প্র্যাকটিস করে। ঐ বিশেষ গ্রুপটি এটার বিরোধী। কিন্তু গরু কোরবানীটা যদি একটি নির্ধারিত স্পটে বা পরবর্তীয়তে কসাই খানায় আনা যায়, তবে –
ক) সে শুধু টাকা দিবে, কিন্তু গরু কিনতে হাটে যেতে হবে না্
খ) সে নিজের গরুর পালতে পারবে না, গরুর চেহারাও দেখতে পাবে না।
গ) নিজের গরু নিজে জবাই করতে পারবে না।
ঘ) তাকে ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন এসএমএস করে কসাইখানায় আসতে বলা হবে, সে কসাইখানায় গেলে তাকে ৩-৪ প্যাকেট মাংশ দিয়ে বলা হবে এগুলো আপনার পশুর কোরবানীর মাংশ। সে কসাইয়ের দোকান থেকে মাংশ কিনলে যতটুকু অনুভূতি পেতো, ঠিক কোরবানীর পশুর মাংশ নিয়ে তার ততটুকুই অনুভূতি হতো, এর বেশি হবে না।
ইউরোপে কিভাবে কিভাবে কোরবানী হয় ?
১) ইউরোপে কোরবানির সমস্যা ও আমার অভিজ্ঞতা
(https://bit.ly/2KOiIIg)
২) বিলেতে যেভাবে কোরবানি দিতে হয় (https://bit.ly/2MjBB96)
এই দুইটি আর্টিকেল দেখে বুঝবেন- পশ্চিমাদের অনুকরণে বাংলাদেশের কোরবানীকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের দেখানো সিস্টেমে বাংলাদেশের মুসলমানদের কোরবানীকে ঘিরে ধর্মীয় চেতনাকে সম্পূর্ণরূপে কবর দেয়া হবে।
সরকার কি বলছে ?
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল বলেছে, “সামনের বার যত্রতত্র পশু জবাই চললে আইনি ব্যবস্থা”। (https://bit.ly/2TBOXOX)
উল্লেখ্য, তাদের দাবী- দুই সিটিতে ৫ লক্ষ কোরবানী হয় (মূল হিসেব আরো ৬ গুন বেশি)
সেক্ষেত্রে সরকার স্পট দিয়েছে ৮৭৫টি।
তাহলে গড়ে প্রতি স্পটে কোরবানী দিতে হবে ৫৭১টি কোরবানী।
এবার আপনারা ছবিতে দেখুন, স্পটের সাইজ, এখানে ৫৭১টি কোরবানী দেয়া কি সম্ভব ?
এখানে ২০০ বার সিরিয়ালেও তো ৫৭১টি কোরবানী হবে না।
কিন্তু মেয়র যেহেতু বলছে এখানেই কোরবানী দিতে হবে, না হলে আইনী ব্যবস্থা।
তাহলে মানুষ তো আইনের ভয়ে কোরবানী দেয়াই ব্ন্ধ করে দিবে ।
তারমানে সরকার আইন করে কোরবানী বন্ধ করতে চাইছে, যেটা ভারতে হয়েছে।
জনগণের এ ব্যাপারে শক্ত প্রতিবাদ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
Image may contain: 2 people