গার্মেন্টস বা চামড়া ব্যবসায়ীদের মুখে প্রায় একটা কথা শোনা যায়,
বিদেশীরা প্রডাক্ট নিচ্ছে না, তাই ব্যবসা থেমে আছে।
আরে ভাই- এক বিদেশীদের দিকে কেন চেয়ে থাকেন ?
বাংলাদেশের ২০ কোটি লোককে দেখেন না ?
আগে দেশের মার্কেট ধরার চেষ্টা করেন, সেটা না করে অন্য দেশের মার্কেট ধরার চেষ্টা করেন।
আর এদিকে দেশের মার্কেট ধরে ফেলে ভারত-চীনারা।
বিদেশীরা প্রডাক্ট নিচ্ছে না, তাই ব্যবসা থেমে আছে।
আরে ভাই- এক বিদেশীদের দিকে কেন চেয়ে থাকেন ?
বাংলাদেশের ২০ কোটি লোককে দেখেন না ?
আগে দেশের মার্কেট ধরার চেষ্টা করেন, সেটা না করে অন্য দেশের মার্কেট ধরার চেষ্টা করেন।
আর এদিকে দেশের মার্কেট ধরে ফেলে ভারত-চীনারা।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বিদেশে পাইকারী রেটে জামা প্যান্ট রফতানি করে,
অথচ বাংলাদেশের মানুষও জামা-প্যান্ট পড়তেছে।
পাইকারী রেটে খুব বেশি টাকা যে পান তা তো না।
কয়েক বছর আগে এক বন্ধূর কাছে পাইকারী রেটে রফতানি করা গেঞ্জির দাম দেখে চোখ ছানাবড়া হইছিলো।
আপনার গেঞ্জি বানান, সেই গেঞ্জি বিদেশী কোম্পানিরা নিজেদের ব্র্যান্ডের সিল লাগায় নিজেদের নাম দিয়ে বিক্রি করে মোটা টাকা কামায়।
কথা হইলো- গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা সারা জীবন অন্যের চূলায় জ্বালানি দিয়ে গেলো, নিজেরা বাংলাদেশে একটা ব্র্যান্ড বানাতে পারলো না। তাই যখন বিদেশীরা অন্যদিকে পথ ধরে,
এই সেই উছিল দেয়, তখন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা হা-হুতাশ শুরু করে।
আমি বলতেছিনা, বিদেশে রফতানি কইরেন না, কিন্তু দেশী-বিদেশী দুই দিক ধরা উচিত ছিলো।
শুধু বিদেশীদের উপর নির্ভর করলে, বিদেশীরা যখন অমুক-তমুক অজুহাত দিয়ে পণ্য নিতে না চাইবে, তখন দেশের মানুষ আপনার পণ্য নিয়ে অন্তত আপনার মিল সচল রাখবে, আপনার পথে বসতে দিবে না।
একইভাবে চামড়া ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে। বিদেশীরা চামড়া নেয় না বলে তারাও চামড়া বিক্রি বন্ধ করে লসে বসে আছে। আরে ভাই দেশের চামড়া দিয়ে কিভাবে দেশের জুতা-ব্যাগ-চামড়ার কার্পেটের বাজার ধরা যায়, সেই ধান্ধা করতেন। প্রয়োজনে নতুন কলকারাখানা আপনারাই গড়ে তুলতেন, তাহলে আজকে কাঙ্গালের মত বিদেশীদের দিকে চেয়ে থেকে হা হুতাশ করতে হতো না।
বলতে হইতো – বিদেশীরা নেয় নাই বলে, দুই বছর চামড়া গোডাউনে জমে আছে।
অথচ বাংলাদেশের মানুষও জামা-প্যান্ট পড়তেছে।
পাইকারী রেটে খুব বেশি টাকা যে পান তা তো না।
কয়েক বছর আগে এক বন্ধূর কাছে পাইকারী রেটে রফতানি করা গেঞ্জির দাম দেখে চোখ ছানাবড়া হইছিলো।
আপনার গেঞ্জি বানান, সেই গেঞ্জি বিদেশী কোম্পানিরা নিজেদের ব্র্যান্ডের সিল লাগায় নিজেদের নাম দিয়ে বিক্রি করে মোটা টাকা কামায়।
কথা হইলো- গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা সারা জীবন অন্যের চূলায় জ্বালানি দিয়ে গেলো, নিজেরা বাংলাদেশে একটা ব্র্যান্ড বানাতে পারলো না। তাই যখন বিদেশীরা অন্যদিকে পথ ধরে,
এই সেই উছিল দেয়, তখন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা হা-হুতাশ শুরু করে।
আমি বলতেছিনা, বিদেশে রফতানি কইরেন না, কিন্তু দেশী-বিদেশী দুই দিক ধরা উচিত ছিলো।
শুধু বিদেশীদের উপর নির্ভর করলে, বিদেশীরা যখন অমুক-তমুক অজুহাত দিয়ে পণ্য নিতে না চাইবে, তখন দেশের মানুষ আপনার পণ্য নিয়ে অন্তত আপনার মিল সচল রাখবে, আপনার পথে বসতে দিবে না।
একইভাবে চামড়া ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে। বিদেশীরা চামড়া নেয় না বলে তারাও চামড়া বিক্রি বন্ধ করে লসে বসে আছে। আরে ভাই দেশের চামড়া দিয়ে কিভাবে দেশের জুতা-ব্যাগ-চামড়ার কার্পেটের বাজার ধরা যায়, সেই ধান্ধা করতেন। প্রয়োজনে নতুন কলকারাখানা আপনারাই গড়ে তুলতেন, তাহলে আজকে কাঙ্গালের মত বিদেশীদের দিকে চেয়ে থেকে হা হুতাশ করতে হতো না।
বলতে হইতো – বিদেশীরা নেয় নাই বলে, দুই বছর চামড়া গোডাউনে জমে আছে।
আমি জানি, আপনারা বলবেন, আরে ভাই এসব ব্যয়বহুল পণ্যের ব্যবহারের ক্রেতা বাংলাদেশে কোথায় ?
আছে আছে, অ্যাপল যদি বাংলাদেশে আইফোনের মার্কেট খুজে পাইতে পারে,
তবে বাংলাদেশের চামড়া আর গার্মেনেন্টের মার্কেটও আছে।
কিন্তু সেটার জন্য দরকার ক্রিয়েটিভি। নতুনত্ব তৈরী।
যদি প্রডাক্টে নতুনত্ব আনতে পারতেন, তবে বাংলাদেশের মার্কেট তো পাইতেনই, উপরন্তু বিদেশীরা হাতে পায়ে ধরে প্রডাক্ট নিয়ে যাইতো।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ছোটবেলায় শুনতাম বাংলাদেশ নাকি বিদেশী সিনেমা নকল করে।
কিন্তু এখন দেখি দেশী ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা।
তারা বিদেশী পণ্যের খুব ভালো কপি বের করতে পারে, কিন্তু নতুন কিছু আনতে পারে না।
এর পেছনে অবশ্য দুইদিক থেকে দোষ আছে,
একটা হইলো, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চাকুরী বা চাকর হওয়া শিখাইছে,
কিন্তু কিভাবে ক্রিয়েটিভ কিছু করে উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেটা শিখায় নাই।
যার কারণে মেধাগুলো চলে যায় সব চাকর হতে।
বড় বড় ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ দেখা যায় মূর্খ,
অনেককে প্রযুক্তির কথা বললে মুখ ঝামটা মারে।
আছে আছে, অ্যাপল যদি বাংলাদেশে আইফোনের মার্কেট খুজে পাইতে পারে,
তবে বাংলাদেশের চামড়া আর গার্মেনেন্টের মার্কেটও আছে।
কিন্তু সেটার জন্য দরকার ক্রিয়েটিভি। নতুনত্ব তৈরী।
যদি প্রডাক্টে নতুনত্ব আনতে পারতেন, তবে বাংলাদেশের মার্কেট তো পাইতেনই, উপরন্তু বিদেশীরা হাতে পায়ে ধরে প্রডাক্ট নিয়ে যাইতো।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ছোটবেলায় শুনতাম বাংলাদেশ নাকি বিদেশী সিনেমা নকল করে।
কিন্তু এখন দেখি দেশী ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা।
তারা বিদেশী পণ্যের খুব ভালো কপি বের করতে পারে, কিন্তু নতুন কিছু আনতে পারে না।
এর পেছনে অবশ্য দুইদিক থেকে দোষ আছে,
একটা হইলো, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চাকুরী বা চাকর হওয়া শিখাইছে,
কিন্তু কিভাবে ক্রিয়েটিভ কিছু করে উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেটা শিখায় নাই।
যার কারণে মেধাগুলো চলে যায় সব চাকর হতে।
বড় বড় ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ দেখা যায় মূর্খ,
অনেককে প্রযুক্তির কথা বললে মুখ ঝামটা মারে।
আরেকটা হইলো, গবেষণা্।
আমাদের গবেষণা করার মানসিকতা নাই। কেউ বললেও বলি- তুই বেশি বুঝস !
আমাদের প্রডাক্ট আছে, কিন্তু গবেষণা নাই। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কিছু করা যায়,
কিভাবে সিস্টেম পলিসি আপডেট করা যায়, সেই ধান্ধা আমাদের ব্যবসায়ী মহলের নাই।
যার কারণে একটা সময় গিয়ে মাইর খাইতে হয়।
বিশ্বের যে সব ব্যবসায়ী বড় ব্যবসা করছে,
তাদের ব্যবসার পেছনে অন্যতম বড় রহস্য হইলো গবেষণা করে নতুনত্ব নিয়ে আসা।
আমাদের গবেষণা করার মানসিকতা নাই। কেউ বললেও বলি- তুই বেশি বুঝস !
আমাদের প্রডাক্ট আছে, কিন্তু গবেষণা নাই। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কিছু করা যায়,
কিভাবে সিস্টেম পলিসি আপডেট করা যায়, সেই ধান্ধা আমাদের ব্যবসায়ী মহলের নাই।
যার কারণে একটা সময় গিয়ে মাইর খাইতে হয়।
বিশ্বের যে সব ব্যবসায়ী বড় ব্যবসা করছে,
তাদের ব্যবসার পেছনে অন্যতম বড় রহস্য হইলো গবেষণা করে নতুনত্ব নিয়ে আসা।
এই সমস্যাগুলা আমাদের ব্যবসায়ী মহলকে একই ওভারকাম করতে হবে।
বাংলাদেশে সব আছে, মেধা আছে, কাচামাল আছে, জনবল আছে।
শুধু সিস্টেমমত সবকিছু মিলাইলেই হয়।