ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের। এন.সি-২২৫

ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের।
Related image
ভিডিওটি গত ৫ই আগস্ট, ২০১৯ রাশিয়ার একটি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণের। ভিডিও দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হয়ত অস্ত্রগারে পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষিত ছিলো, এক্সপ্লোশনের ধরণ দেখলে সেরকম অনুমান করা যায়। বিষ্ফোরণের পর ঐ অস্ত্রগারের আশেপাশ থেকে ১৬ হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার দাবী করে রুশ কর্তৃপক্ষ, জারি করে জরুরী অবস্থা।
এর ২ দিন পর, অর্থাৎ গত ৮ই আগস্ট রাশিয়াতে আরেক দুর্ঘটনায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি রকেট ইঞ্জিন বিষ্ফোরণ ঘটলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। (https://bit.ly/2YGrzpr)
এরপর দিন, ৯ই আগস্ট রাশিয়াতে আরেকটি অস্ত্রগারে শক্তিশালী বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। (https://bit.ly/2KG0FUM)
আমরা অনেকেই ভাবি,
এসব অস্ত্র-সস্ত্র ও পরমানু তেজস্ক্রিয়তা মজুদের দিক থেকে হয়ত রাশিয়া অনেক উন্নত দেশ হবে। আর সে কারণেই তাদের দিয়ে আমাদের দেশের পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হচ্ছে। মিডিয়ার সামনে প্রায় বলতে শুনি, “রাশিয়ানরা এমন প্রযুক্তি রূপপুরে দিচ্ছে, যা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।”
আমার কথা হলো, রাশিয়ানদের কাছে যদি এত নিরাপদ প্রযুক্তি থাকে, তবে মাত্র মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ২টি অস্ত্রগারে বিষ্ফোরণ (যেখানে পুরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে) এবং ১টি পরমানু রকেট ইঞ্জিনের বিষ্ফোরণ ঘটলো কিভাবে ?
তাদের সেই নিরাপত্তা প্রযুক্তি তারা তাদের দেশে প্রয়োগ করছে না কেন ?
আর তাদের দেশেই যদি তাদের নিরাপত্তার এই বেহাল দেশা হয়, তবে তারা বাংলাদেশের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারবে তারা??
আজকে একটা খরব দেখলাম-
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কনটেইনারে আগুন (https://bit.ly/2ZQYsMH)
খবরটা দেখেই আমার মনটা আতকে উঠলো।
ভাবলাম, রাশিয়া বাংলাদেশের তুলনায় আয়তনে প্রায় ১০০ গুন বড়।
কিন্তু জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় সমান।
তাই তাদের দেশে এত এত বিষ্ফোরণ ঘটলেও হয়ত বড় হয়ে ধরা পড়বে না।
কিন্তু বাংলাদেশের মত ছোট দেশে যদি এরকম একটা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তবে কি যে হবে, তা খোদ সৃষ্টিকর্তাই জানে।
আসলে যে সব ক্ষমতাশীলরা বাংলাদেশের মত ছোট দেশে এসব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আসছে, তাদের প্রত্যেকেরই ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়িঘর আছে। বাংলাদেশে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তারা মুহুর্তে দেশ ত্যাগ করে ইউরোপ আমেরিকায় চলে যাবে। কিন্তু তখন সাধারণ জনগণ কি করবে ? তাদের তো যাওয়ার কোন যায়গা নেই।
আসলে এজন্য একজন বলেছিলো-
তিনি বোধহয় তার পিতা-মাতা-ভাইদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছেন দেশের জনগণের উপর,
নয়ত দেশকে এত বড় বিপদে ফেলে কিভাবে রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারেন?
এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না।