এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ? এন.সি-২২৭

এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ?
August 9, 2019
Image result for বিমান
এবার কি তবে নারায়গঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ আর নরসিংদীর নদীর পাড়ের শিল্প কারখানা বন্ধ হবে ?
সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্প নিয়ে ওয়াসা ও সরকারের সাথে চূক্তিবদ্ধ হয়েছে জার্মানীর সরকারী ব্যাংক কেএফডাব্লিউ। প্রকাশিত সংবাদ বলছে- “এ চূক্তির আওতায় ঢাকার বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহে সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্পের তৃতীয় পর্য়ায় অর্থাৎ মেঘনা নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন করে ঢাকাবাসীকে সরবরাহ করা হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে কেএফডাব্লিউ ওই প্রকল্পে অর্থায়ন ছাড়াও পানির উৎস্থল মেঘনা নদীর পরিবেশ তথা নদীতে যেন শিল্পবর্জ্য না পড়তে পারে তা তদারকি করবে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার (তৃতীয় পর্য়ায়) প্রকল্পে ৯ কোটি ইউরো অর্থায়ন চুক্তি হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। (https://bit.ly/2KB7WoS)
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও নরসিংদী এই তিনজেলায় মেঘনা নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বৃহৎ শিল্প কারখানা। এই শিল্প কারখানাগুলোকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা যায়। বিদেশী ফান্ড নির্ভর পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে কথিত নদী দূষণের কথা বলে এই শিল্পকারখানাগুলো বিরুদ্ধে বলে আসছিলো।
উল্লেখ্য ‘কেএফডাব্লিউ’ ব্যাংক কিন্তু সাধারণ কোন ব্যাংক নয়, এটি জার্মান ব্যাংক বলা হলেও এর মূল অর্থায়ন কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপে যেন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইনভেস্ট করে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে, সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘মার্শাল পরিকল্পনার’ আওতায় ফান্ড দিয়ে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। অর্থাৎ ইউরোপে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই ‘কেএফডাব্লিউ’ ব্যাংক।
কথা হলো, এই ‘কেএফডাব্লিউ’ কিন্তু ইহুদীদের নতুন মাস্টারপ্ল্যান সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এর আওতায় জলবায়ু-টলবায়ুর কথা বলে বিভিন্ন দেশের শিল্পকারখানার উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। সারা বিশ্বজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাজ্যবাদ দীর্ঘায়িত করতে তৃতীয় বিশ্বের নিজস্ব শিল্পকারখানা ডেভেলপ হতে না দেয়া বা দরিদ্র করে রাখা জরুরী। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘কেএফডাব্লিউ’ মেঘনা নদীতে এমন এলাকায় পানি তোলা ও কল-কারখানা তদাররিক দায়িত্ব নিছে, যে এলাকাগুলোতে দেশের বৃহৎ বৃহৎ কল কারখানাগুলো উপস্থিত।
এ অবস্থায় একটি আশঙ্কা যাগে,
তাহলে কি জার্মান ব্যাংকের সাথে পানি নিয়ে এ চূক্তি দেশী শিল্প-কারখানা ধ্বংসের নতুন কোন পদক্ষেপ ?
আমরা কি অতি শিঘ্রই মেঘনা নদীর পাড়ে হাজার হাজার শিল্প কারখানা বন্ধে নতুন কোন ষড়যন্ত্রের মঞ্চায়ন দেখতে পাবো ?
সময় হয়ত কথা বলবে, তবে বিপদের সম্ভবনা দেখেই জনগণেরও সচেতন ও প্রতিবাদী হওয়া জরুরী।
Image may contain: 4 people, people smiling