ভিডিওটা দেখুন, এটা একটা বিজ্ঞাপন-
পরমাণু প্রযুক্তি বা তেজস্ক্রিয়তা ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা। এক্ষেত্রে পুরুষ পোকার চাষ করে সেগুলোকে রেডিয়েশন দেয়া হবে। এরপর সেই রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা সমৃদ্ধ সমৃদ্ধ পোকাগুলো নারী পোকার সাথে মিলিত হলে তাদের দাবী অনুযায়ী নারী পোকার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে। একে বলা হচ্ছে The sterile insect technique (SIT) বাংলায় জীবাণুমুক্ত কীট প্রযুক্তি (এসআইটি)। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এ প্রযুক্তিটি তৈরী করেছে। তারা প্লেনের মাধ্যমে পুরুষ পোকাগুলো ঐ অঞ্চলের ছড়িয়ে দিবে। এই প্রযুক্তিটি ডেঙ্গু দমনের নামে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে,
খবর দেখি-
“গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এডিস মশার উপদ্রবের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসছেন উচ্চ পর্যায়ের বিদেশি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলেরসদস্যরা ২১-২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করবেন।
বাংলাদেশে এডিস মশার মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিএইচও) সমন্বয়ে যৌথ বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে। এই বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের মূল উদ্দেশ্য হবে The sterile insect technique (SIT) বা জীবাণুমুক্ত কীট প্রযুক্তির (এসআইটি) সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগ নেওয়ায় আইএইএ থেকে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুমোদন দেয়। প্রতিনিধিদলে খাদ্য ও কৃষি পারমাণবিক প্রযুক্তির যৌথ এফএও/ আইএইএ বিভাগের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রযুক্তিবিদ রাফায়েল আরগিলিস হেরেরো, ডানিলো ডি অলিভিয়ারা কারভালহো, ডাব্লিএইচও’র বিশেষজ্ঞ রাজপাল যাদব রয়েছেন। ” (https://bit.ly/2KJZXXG)
“গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এডিস মশার উপদ্রবের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসছেন উচ্চ পর্যায়ের বিদেশি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলেরসদস্যরা ২১-২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করবেন।
বাংলাদেশে এডিস মশার মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিএইচও) সমন্বয়ে যৌথ বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে। এই বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের মূল উদ্দেশ্য হবে The sterile insect technique (SIT) বা জীবাণুমুক্ত কীট প্রযুক্তির (এসআইটি) সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগ নেওয়ায় আইএইএ থেকে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুমোদন দেয়। প্রতিনিধিদলে খাদ্য ও কৃষি পারমাণবিক প্রযুক্তির যৌথ এফএও/ আইএইএ বিভাগের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রযুক্তিবিদ রাফায়েল আরগিলিস হেরেরো, ডানিলো ডি অলিভিয়ারা কারভালহো, ডাব্লিএইচও’র বিশেষজ্ঞ রাজপাল যাদব রয়েছেন। ” (https://bit.ly/2KJZXXG)
এখানে আমার মনে কতগুলো প্রশ্ন আসছে-
১) পুরুষ মশাটিকে তেজস্ক্রিয়তা দিয়ে ডিএনএ পরিবর্তন করা হচ্ছে। পুরুষ মশাটি যখন নারী মশার সাথে মিলিত হবে, তখন কি শুধুই নারী মশার ডিম নষ্ট হবে ? যদি ডিম নষ্ট না হয়ে মশার নতুন প্রজাতি উদ্ভব হয়, যা আমাদের জন্য আরো ক্ষতিকর, তখন কি হবে ? সেই নতুন ধরনের মশা যে সম্রাজ্যবাদীদের নতুন কোন জীবাণুঅস্ত্র বহনে সক্ষম হবে না, সেটাও তো আমাদের জানা নেই।
১) পুরুষ মশাটিকে তেজস্ক্রিয়তা দিয়ে ডিএনএ পরিবর্তন করা হচ্ছে। পুরুষ মশাটি যখন নারী মশার সাথে মিলিত হবে, তখন কি শুধুই নারী মশার ডিম নষ্ট হবে ? যদি ডিম নষ্ট না হয়ে মশার নতুন প্রজাতি উদ্ভব হয়, যা আমাদের জন্য আরো ক্ষতিকর, তখন কি হবে ? সেই নতুন ধরনের মশা যে সম্রাজ্যবাদীদের নতুন কোন জীবাণুঅস্ত্র বহনে সক্ষম হবে না, সেটাও তো আমাদের জানা নেই।
২) আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিএইচও) সবগুলো হলো ইহুদীবাদী সম্রাজ্যবাদীদের একেকটা হাত। তারা মশা কমানোর নাম করে পুরো দেশজুড়ে কি ধরনের ক্ষতিকর মশা বা জীবাণু ছড়ালো, তা যাচাইয়ের জন্য কি আমাদের দেশের নিজস্ব কোন গবেষণা আছে ?
৩) বহুজাতিক কোম্পানি সানোফির ভ্যাক্সিন টেস্টের পর ফিলিপাইন বা ব্রাজিলে মহামারি আকারে ডেঙ্গু জ্বর ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে, যা পরবর্তীতে অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সম্রাজ্যবাদীদের এসব টেস্টের পেছনে বড় ধরনের ব্যবসায়ীক পলিসি লুকায়িত থাকা স্বাভাবিক। কথা হলো- প্লেন থেকে পুরুষ মশার নাম করে কিছু ছড়ানোর পর যদি বাংলাদেশে মহামারী আকারে বড় ধরনের কোন রোগ দেখা দেয়, তবে তার দায় কে নেবে?
মূল কথা হলো-
যাকে আমি বিশ্বাস করি না, তার থেকে এ ধরনের নতুন প্রযুক্তি নেয়ার ঘোর বিরোধী আমি। হ্যা বিষয়টি যদি গণহারে ব্যবসায়ীকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং আমাদের নিজস্ব গবেষণায়ও তার যথার্থতা প্রমাণ হয়, তখন বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু তার আগে `পুরো দেশের উপর প্রয়োগ করা' সম্রাজ্যবাদীদের অজানা প্রযুক্তি নেয়ার পক্ষপাতি আমি নই। ডেঙ্গু দমনে দেশী সকল পলিসির যথার্থ ব্যবহার হওয়ার পর যখন ব্যর্থ হবো, তখন বিদেশীদের ভেবে দেখা যেতে পারে। এর আগে বিশাল অর্থ ব্যয় করে সম্রাজ্যবাদীদের নতুন প্রযুক্তি আনার পেছনে অন্য কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
যাকে আমি বিশ্বাস করি না, তার থেকে এ ধরনের নতুন প্রযুক্তি নেয়ার ঘোর বিরোধী আমি। হ্যা বিষয়টি যদি গণহারে ব্যবসায়ীকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং আমাদের নিজস্ব গবেষণায়ও তার যথার্থতা প্রমাণ হয়, তখন বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু তার আগে `পুরো দেশের উপর প্রয়োগ করা' সম্রাজ্যবাদীদের অজানা প্রযুক্তি নেয়ার পক্ষপাতি আমি নই। ডেঙ্গু দমনে দেশী সকল পলিসির যথার্থ ব্যবহার হওয়ার পর যখন ব্যর্থ হবো, তখন বিদেশীদের ভেবে দেখা যেতে পারে। এর আগে বিশাল অর্থ ব্যয় করে সম্রাজ্যবাদীদের নতুন প্রযুক্তি আনার পেছনে অন্য কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।