অনেকেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান। কিন্তু সমস্যা হলো আজকালকার বানানো কোন আইনেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নেই। এন.সি- ২০৫

অনেকেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান। কিন্তু সমস্যা হলো আজকালকার বানানো কোন আইনেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নেই
Related image(১)
অনেকেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান। কিন্তু সমস্যা হলো আজকালকার বানানো কোন আইনেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নেই। শুধু মুসলিম আইনের মধ্যে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অনেকে ইসলাম ও মুসলমানের বিরোধীতা করলেও এখানে এসে ইসলামীক নিয়মেই শাস্তি চাইতে হয়।
(২)
বাংলাদেশী বর্তমান নাটকগুলো দেখেছি, পশ্চিমা অনেক শর্ট ফ্লিম দেখলাম, একটা বিষয় প্রায় সব যায়গায় এক- গার্লফ্রেণ্ড কখন চায় না তার বয়ফ্রেন্ড তাকে ছাড়া অন্য নারীর দিকে তাকাক, এমনকি সামান্য একটা নজরও না দিক। দেখা গেলো- গার্লফ্রেণ্ড আর বয়ফ্রেন্ড একসাথে বসে আছে, পাশ দিয়ে অন্য একটা মেয়ে যাচ্ছে, বয়ফ্রেন্ড হয়ত তাকালো, ব্যস এটা নিয়ে গার্ল ফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে গেলো। তারমানে সামাজিকভাবে একটা দৃষ্টিভঙ্গী সৃষ্টি হয়েছে, বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ছাড়া অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাবে না। এ ধরনের কোন নিয়ম কোন ধর্ম বা সমাজে আছে কি না, তা আমার জানা নাই, কিন্তু বিষয়টি আমার কাছে মুসলমানদের ধর্মের পর্দা সিস্টেমের সাথে মিলে যায়। মুসলমানদের ক্ষেত্রে কোন নারী/পুরুষ স্বামী/স্ত্রী ব্যতিত অন্য পুরুষ/নারীর (যাদের সাথে বিয়ে বৈধ) দিকে তাকাতে পারে না।
(৩)
ইসলামে নাকি নারী দেশ প্রধান নিষিদ্ধ। অনেক মুসলিম স্কলার বলে, যে দেশে নারী নেতৃত্ব আছে, তারা কখন উন্নতি করতে পারে না। অপরদিকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সব সময় বাংলাদেশে এসে বলে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। কিন্তু অবাক করার মত বিষয়, আমেরিকা এই পর্যন্ত ৪৫টা দেশ প্রধান হইছে, এর মধ্যে ১টাও নারী দেশ প্রধান হয় নাই।
(৪)
বাঙালী মুসলমানরা সব সময় বাঙলা টয়লেট (লো কমোড) ব্যবহার করে। তবে সেসব বাঙালী পশ্চিমে আসে তারা ধিরে ধিরে সাহেবেনা স্ট্যাইলে টয়লেটে (হাই কমোড) অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ছি ছি করে বলে, “তোরা এভাবে করিস কিভাবে ?” আজকাল বাংলাদেশের শহরগুলোতে হাই কমোডের ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আজকাল ইউরোপ-আমেরিকায় ভিন্ন খবর পাচ্ছি। তারা বলছে, এভাবে সাহেবানা স্ট্যাইলে হাই কমোড ব্যবহার নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এভাবে চেয়ার স্টাইলে বসলে নাকি পাকস্থলির শেষ অংশে চাপ লাগে না, ফলে পেট ঝেড়ে কাজ হয় না, একটা অংশ বাকি রয়ে যায়। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য তারা পায়ের নিচে একটা টুল রাখতে বলে এবং বাঙলা স্ট্যাইলের মত কোমড়ে ভাজ সৃষ্টি করতে বলে। এতে পাকস্তলির শেষ অংশে চাপ লাগে, পেটও ক্লিয়ার হয়।
(৫) বাংলাদেশে কোরবানীর ঈদ আসলেই দেখি, গরুর মাংশ খাওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি টাইপের খবর ছেয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশীরা আর গরুর মাংশ কতটুকু খায় ? অথচ ইউরোপ-আমেরিকায় গরুর মাংশ খুবই মজাদার ও দামী খাবার হিসেবে গণ্য। এক একজন ইউরোপীয় একবারে বসে ১ কেজি ওজনের একটা স্টেক সাবার করে ফেলে। অথচ বাংলাদেশীরা একবারে বসে ১ কেজি পিওর মাংশ কবে খেয়েছে তা বলতে পারবে না। আবার শুকরের মাংশ অনেক পশ্চিমার কাছে অপছন্দনীয়। কারণ শুকরের মাংশ খেলে মানুষের চামড়ার নিচে, চোখের ভেতর বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে এক ধরনের পোকা/কেচো হয়। আবার স্বাস্থ্য সচেতন পশ্চিমারা তাদের রেগুলার খাবারের মধ্যে খেজুরকে স্থান করে নিচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে খেজুরের মধ্যে এমন উপদান আছে যা খেলে মানুষ বৃদ্ধ হয় না, বয়স ধরে রাখা যায়, রোগ বালাই কম হয়, আয়ু বৃদ্ধি পায়।