আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিতে খবর বিশ্লেষণ-
১) খবর: কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করছে সরকার (https://bit.ly/2P8T5Hv)
বিশ্লেষণ- আমি আপনাদের কর্পোরেটোক্রেসি’র কথা আগেই বলেছি। কোন দেশ কর্পোরেটোক্রেসি পলিসি বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে, এটা বুঝবার জন্য সবচেয়ে ভালো লক্ষণ হচ্ছে- গবেষণায় গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া এবং কথিত কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়া। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা না বানিয়ে শিক্ষিত কামলায় পরিণত করা। কর্পোরেটোক্রেসি মূলত পূজিবাদীদের পলিসি, আর রিপাবলিকান ব্লক ব্যবসায়ীদের ডাকা হয় ‘পূজিবাদী ব্যবসায়ী’ বলে। এক্ষেত্রে মার্কিন রিপবালিকান ব্লক, ভারতের রিপাবলিকান ব্লক সদস্য মোদি, নব্যপূজিবাদী চীন, সবাই এই পলিসির পক্ষে এবং সরকার সম্ভবত তাদের পলিসি-ই বাস্তবায়ন করছে।
২) হঠাৎ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরব হওয়ার কারণ কি ?
বিশ্লেষণ- আসলে চীন চাইছিলো, রোহিঙ্গাদের যেন সরকার ঠ্যাঙ্গারচরে নতুন বাসস্থানে পাঠিয়ে দেয়। আওয়ামী সরকারও সেটা চায়। তবে বাধ সাথে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লক সদস্যরা। ডেমোক্র্যাটাদের এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরেও দেয় না। আবার সরকার কিছু রোহিঙ্গাকে পরীক্ষামূলকভাবে মিয়ানমারে পাঠাতে চাইছে। ডেমোক্র্যাট ব্লকের এনজিও ও মিডিয়া সেখানে যেতেও বাধা দেয়। ডেমোক্র্যাটদের এহেন আচরণ দেখে তাই ক্ষেপে গেছে সরকার। সরকারের ভয় হলো- ডেমোক্র্যাটরা যে দলের সাথে যুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যেই ধর্মীয় উগ্রবাদী দল তৈরী করেছে। রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে ডেমোক্র্যাটরা এমন কোন কিছু করে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরী করে কি না, সেটাকেই ভয় পায় সরকার।
৩) খবর: ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গলে আগুন।
বিশ্লেষণ- ডেমোক্র্যাটপন্থী মিডিয়া ও পরিবেশবাদীরা সরব হয়েছে।
অপরদিকে ব্রাজিলের রিপাবালিকান ব্লক সদস্য প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এর বিরোধীতা করেছে।
তার দাবী- এটা তার বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষের (ডেমোক্র্যাটাদের) প্রোপাগান্ডা ষড়যন্ত্র, এটা প্রাকৃতিক নিয়মের অংশ হিসেবেই আগুন লেগেছে। গত ১ বছরে এমন ৭২ হাজার বার আগুন লেগেছে। তাহলে হঠাৎ করে এটা নিয়ে এত চিৎকার কেন ?
অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, অ্যামাজন জঙ্গল এলাকায় ব্যবাসায়ীরা (রিপাবলিকানরা) ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আগুন লাগিয়ে এলাকা খালি করছে। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরাও চায় না রিপাবলিকানদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হোক!
অপরদিকে ব্রাজিলের রিপাবালিকান ব্লক সদস্য প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এর বিরোধীতা করেছে।
তার দাবী- এটা তার বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষের (ডেমোক্র্যাটাদের) প্রোপাগান্ডা ষড়যন্ত্র, এটা প্রাকৃতিক নিয়মের অংশ হিসেবেই আগুন লেগেছে। গত ১ বছরে এমন ৭২ হাজার বার আগুন লেগেছে। তাহলে হঠাৎ করে এটা নিয়ে এত চিৎকার কেন ?
অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, অ্যামাজন জঙ্গল এলাকায় ব্যবাসায়ীরা (রিপাবলিকানরা) ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আগুন লাগিয়ে এলাকা খালি করছে। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরাও চায় না রিপাবলিকানদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হোক!
আমাদের শিক্ষা কি ?-
আমাদের শিক্ষা হলো- ডেমোক্র্যাট ব্লকের প্রতিপক্ষ দমনের একটা হাতিয়ার হলো ‘পরিবেশ’- এটা মাথায় রাখা। এর মানে এই নয় আমরা পরিবেশ ধ্বংস করবো। কিন্তু এভাবে কোন পরিবেশবাদী ইস্যু আসলে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে আমাদের যাচাই করতে হবে, এই ইস্যু তৈরীর পেছনে কারা আছে, তাদের আসল উদ্দেশ্য কি ? শুধুই কি পরিবেশ ? নাকি প্রতিপক্ষ দমন বা তাদের ব্যবসা বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্য আছে তা খতিয়ে দেখা।
আমাদের শিক্ষা হলো- ডেমোক্র্যাট ব্লকের প্রতিপক্ষ দমনের একটা হাতিয়ার হলো ‘পরিবেশ’- এটা মাথায় রাখা। এর মানে এই নয় আমরা পরিবেশ ধ্বংস করবো। কিন্তু এভাবে কোন পরিবেশবাদী ইস্যু আসলে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে আমাদের যাচাই করতে হবে, এই ইস্যু তৈরীর পেছনে কারা আছে, তাদের আসল উদ্দেশ্য কি ? শুধুই কি পরিবেশ ? নাকি প্রতিপক্ষ দমন বা তাদের ব্যবসা বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্য আছে তা খতিয়ে দেখা।
৪) খবর-
বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ দমন ও সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবিলা বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ক উপ-সমন্বয়কারী জন টি গডফ্রে। বলেছে- “বাংলাদেশ নিয়ে আইএস-সহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর আগ্রহ আছে”( https://bit.ly/2MBgFuq)
বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ দমন ও সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবিলা বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ক উপ-সমন্বয়কারী জন টি গডফ্রে। বলেছে- “বাংলাদেশ নিয়ে আইএস-সহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর আগ্রহ আছে”( https://bit.ly/2MBgFuq)
বিশ্লেষণ- আমি একটু আগে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে বলেছিলাম- ডেমোক্র্যাটর কোন গোষ্ঠীর মধ্যে ঢুকে তাদের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী তৈরী করতে পারে।
আবার এ খবরে আমরা `জন টি গডফ্রে’ নামক যে লোকটা দেখতে পাচ্ছি, সে হলো রিপাবলিকান ব্লকের সদস্য। তাদের কাজ হলো ডেমোক্র্যাটদের বানানো উগ্রবাদী দমন করা।
অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরা কথিত জঙ্গীবাদ তৈরী করবে, আর রিপাবলিকানরা দমন করবে- এটাই আমেরিকান ব্যালেন্স পলিসি করে বিশ্বজুড়ে জাল বিস্তার করে।
আমি গতকালকে এক পোস্টে বলেছিলাম- আওয়ামীলীগ সরকার রিপাবলিকান ব্লকের পলিসি গ্রহণ করেছে।
এইক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ `জন টি গডফ্রে’দের দেয়া পলিসি গ্রহণ করে।
এই `জন টি গডফ্রে’রা মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের পুলিশ বা র্যাবের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটকে তালিম দিয়ে যায়, অথবা তারাও আমেরিকায় গিয়ে ওদের থেকে তালিম নিয়ে আসে।
ওদের বুদ্ধিতেই মাঝে মাঝে ওরা কথিত জঙ্গিবাদী ইনডিকেটর প্রকাশ করে বলে, “৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে আর মুখে দাড়ি রাখা জঙ্গীবাদের লক্ষণ।”
আবার এ খবরে আমরা `জন টি গডফ্রে’ নামক যে লোকটা দেখতে পাচ্ছি, সে হলো রিপাবলিকান ব্লকের সদস্য। তাদের কাজ হলো ডেমোক্র্যাটদের বানানো উগ্রবাদী দমন করা।
অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরা কথিত জঙ্গীবাদ তৈরী করবে, আর রিপাবলিকানরা দমন করবে- এটাই আমেরিকান ব্যালেন্স পলিসি করে বিশ্বজুড়ে জাল বিস্তার করে।
আমি গতকালকে এক পোস্টে বলেছিলাম- আওয়ামীলীগ সরকার রিপাবলিকান ব্লকের পলিসি গ্রহণ করেছে।
এইক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ `জন টি গডফ্রে’দের দেয়া পলিসি গ্রহণ করে।
এই `জন টি গডফ্রে’রা মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের পুলিশ বা র্যাবের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটকে তালিম দিয়ে যায়, অথবা তারাও আমেরিকায় গিয়ে ওদের থেকে তালিম নিয়ে আসে।
ওদের বুদ্ধিতেই মাঝে মাঝে ওরা কথিত জঙ্গিবাদী ইনডিকেটর প্রকাশ করে বলে, “৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে আর মুখে দাড়ি রাখা জঙ্গীবাদের লক্ষণ।”