আজকে জামালপুরের ডিসি সাহেবের ভিডিও দেখে অনেকেই কমেন্ট করেছেন-“আরে ভাই, এটা একটা অফিসের চিত্র না, সব অফিসেই এমন আছে।”এন.সি-২০০

আজকে জামালপুরের ডিসি সাহেবের ভিডিও দেখে অনেকেই কমেন্ট 
করেছেন-“আরে ভাই, এটা একটা অফিসের চিত্র না, সব অফিসেই এমন আছে।”

Related image
আজকে জামালপুরের ডিসি সাহেবের ভিডিও দেখে অনেকেই কমেন্ট করেছেন-“আরে ভাই, এটা একটা অফিসের চিত্র না, সব অফিসেই এমন আছে।”
লেখক `বিবাহিত লাল সালু' একটা লেখা লিখছে “কর্পোরেট স্লাট-৭” শিরোনামে, লেখাটা একটু রগরগে হইলেও বাস্তবতা নিরিখেই করেছেন তিনি। লেখায় তিনি বর্তমান অফিসগুলোতে- জুনিয়র নারী কর্মীর থেকে সিনিয়র পুরুষ কর্মীর যৌন সুবিধা নেয়ার বিষয়টি খুব স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ বলে একটা টার্মও লিখেছেন। অর্থাৎ দুইজন বিবাহিত নারী-পুরুষ কলীগ দুইজনের সাথে মাখামাখি করার কালচার নাকি এখন দেশের প্রায় অফিসের কমন বিষয়।
লেখাটা দেখে আমার এক বৃদ্ধ আত্মীয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। আত্মীয় আজ থেকে ৫০ বছর আগে সরকারি অফিসের কর্মকর্তা। তার ছেলে-মেয়ের সংখ্যা ১ ডজন। মেয়েরা বড়, শিক্ষিত। ছেলেরা ছোট বাচ্চা। তখন সরকারী অফিসের কর্মকর্তা হলেও সেই বেতনে সংসার টেনেটুনেই চালাতে হতো। তখন সরকারী অফিসের ভালো পদে থাকলে ছেলে-মেয়েদের ঢোকানো কোন ব্যাপার ছিলো না। আমার ঐ আত্মীয়ের মেয়েরা সব শিক্ষিত, কিন্তু তিনি কষ্ট করে সংসার চালাতেন দেখে অনেকে বলেছিলো- “মেয়েদের চাকুরীতে ঢোকালেই পারেন।” তখন তিনি তা অস্বীকার করেন। তার বক্তব্য ছিলো- “অফিসের মেয়ে কর্মীদের রাখাই হয়, পুরুষ কর্মীদের মনোরঞ্জনের জন্য। আমি কষ্ট করে সংসার চালাবো, কিন্তু আমার মেয়েদেরকে পুরুষ কর্মীদের মনোরঞ্জনের কাজে ব্যবহার করতে পারবো না।”
আমি চিন্তা করলাম, আজ থেকে ৫০ বছর আগেই যদি একজন অফিস কর্মকর্তা নারী কর্মীদের পুরুষ কর্মীদের মনোরঞ্জন করার জন্য রাখা হয়, এই উক্তি করতে পারেন, তবে ৫০ বছর পর বর্তমান সিচ্যুয়েশন কি ?
আমেরিকান সামরিক বাহিনীতে পুরুষ কর্মীর দ্বারা নারী কর্মী ধর্ষণের ঘটনা খুব স্বাভাবিক বিষয়। পুরুষ কর্মীরা লিস্ট করে নারী কর্মীদের নিয়মিত ধর্ষণ করে। তো ওবামা এসে বিষয়টির প্রতিরোধে খুব জোর দিলো। আমার মনে আছে, প্রায় ৫-৬ বছর আগের কথা। ওবামা একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলো নারী সেনারা যেন ধর্ষণের শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় ছিলো, ঐ দায়িত্বশীল পুরুষ কর্মকর্তাই কয়েকদিন পর ধরা খেলো নারী সেনা ধর্ষণ করতে গিয়ে।
আসলে আমরা খুব চেতনা নির্ভর হয়ে গেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাহেবা দুইদিন পর পর জাতিসংঘে গিয়ে নারী ক্ষমতায়ন ও নারীর চাকুরায়নের সংখ্যা বৃদ্ধির ডাটা নিয়ে পশ্চিমাদের থেকে পুরস্কার নিয়ে আসেন। পশ্চিমা এনজিও’র খাম পেয়ে প্রায় মিডিয়াও খবর করে- ‘অদম্য নারী’. ‘এগিয়ে যাচ্ছে নারী’, ‘পুরুষের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে নারী’, অমুক তমুক- ফলনা দপনা। আরে ভাই আসলেই নারীরা কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে, নাকি কোমড়ে কোমড় মিলিয়ে কাজ করছে সেটা দেখার জন্য বাইরের অফিসে যেতে হবে না, যেসব মিডিয়া নারীদের চাকুরীতে নামাতে উস্কানি দিচ্ছে তাদের অফিস কক্ষে নারীদের কি অবস্থা সেটা নিয়ে গবেষণা করলেই তো হাকিক্বত প্রকাশ পেয়ে যাবে।
দৈনিক প্রথম আলোর অফিসে সহকারী সম্পাদক অরুণ চৌধুরীর নারী কেলেঙ্কারীর কথা মনে আছে? এখনও সার্চ দিলে অনলাইনে পাওয়া যায় সেই ভিডিও। যেই ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর পদত্যাগ করেছিলো প্রথম আলোর সেই সাব এডিটর।
একুশে টিভির অফিসে বস মঞ্জুর আহসান বুলবুলের যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে তো নারী কর্মীরা রাস্তায় পর্যন্ত নামলো। তিনি অফিসের বস সেজে কত নারীর সম্ভ্রম খেয়েছেন তার হিসেব তো করা সম্ভব না বলে তার অফিসের সাংবাদিক ফাঁস করে দিয়েছেন। ফলাফল অনেক চিৎকার করে অবশেষে পদত্যাগ করা।
চ্যানেল আইতে যতদিন ফারজানা ব্রাউনিয়া স্বামী পরিত্যাক্তা ছিলেন, ততদিন ফরিদুর রেজা সাগরের কাছে ভালো ছিলেন। যেইদিন তিনি একজনকে পার্মানেন্ট স্বামী হিসেবে বিয়ে করলেন, তখনই ফরিদুর রেজা সাগরের চোখে তিনি খারাপ হয়ে গেলেন, সব কাজ থেকে বহিষ্কার করলেন।
কথা হলো – যে মিডিয়াগুলো আমাদের নারীদের পুরুষের পাশাপাশি চাকুরী করতে চেতনা শিক্ষা দিচ্ছে, তারা পারলে আগে নিজেদের অফিস ঠিক করুক, সেটা তো তারা পারছে না। তাহলে কার থেকে আপনি শিক্ষা নিবেন ?
আমি কয়েকটা জিনিস চিন্তা করলাম-
ক) জামালপুরের ডিসি সাহেবকে দেখে আমার কাছে সেক্সুয়্যালি ডিজেবল মনে হয়েছে। তার ঘরেও সুন্দরি স্ত্রী আছে। কথা হলো, একজন সেক্স্যুয়ালি ডিজেবল লোক, যার ঘরে সুন্দরী বউ আছে, সে কি না অফিসে গিয়ে নারী জুনিয়রদের থেকে সুবিধা নিচ্ছে এবং সেটা নিয়মিত করার জন্য বিশ্রামগার পর্যন্ত বানিযেছে। তারমানে অফিসে নারী জুনিয়রদের সানিধ্য কতটা এভলএবইল! এক্ষেত্রে যারা সেক্সুয়ালি তাগড়া, ঘরে সুন্দরি বউ নেই বা বউ দূরে থাকে, তারা তাহলে কি করে ??
খ) মানুষের সেক্স্যুয়ালী অনুভূতিগুলো জাগ্রত হয় তখন, যখন শরীর সুস্থ থাকে, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকে, শরীর সবল লাগে। কথা হলো, যে ঘরে স্বামী স্ত্রী একত্রে বাইরে কাজ করে, তারা ১০-১২ ঘণ্টা বাইরে কাটিয়ে এসে, ঘরের কাজকর্ম করে, বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লি শেষে রাতে কিছু করার এনার্জি থাকে ? অথচ রাতের বেলায় ঘুমিয়ে সকালে ফুরফুরে মেজাজ ও শরীরে, সাজগুজে বিপরীত লিঙ্গের কলিগ দেখলে কয়জন সাধুবাবা বা সাধুমা সেজে থাকেন, সেটা হিসেব করার দরকার আছে। সে দিক বিবেচনা করলে যেসব সব স্বামী স্ত্রী উভয়েই চাকুরী করেন, তাদের টাইমটাই তাদেরকে পরস্ত্রী বা পরস্বামীর দিকে ঝুকিয়ে দেয়।
গ) ফ্রি টাইম একটা বড় জিনিস। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আমার ধারণা ছিলো- সরকারী অফিসগুলোতে যেহেতু অগাধ ফ্রি টাইম, নারী-পুরুষ সহকর্মী মিলে ইটিশ পিটিশ করা বা রগরগে কথা বলা যায়। কিন্তু বেসরকারি অফিসগুলোতেও কি এমন হয় ? আজকে বিবাহিত লালসালু’র কথা শুনে ভুল ভাঙ্গলো। তার পুরো বক্তব্যটাই ছিলো বেসরকারি অফিসগুলোকে কেন্দ্র করে।
ঘ) অনেক নারী পড়ালেখা শেষ করে চাকুরী করবে বলে খুব চেতনা ধারণ করে। কিন্তু চাকুরী সেক্টরে গিয়ে তার সেই চেতনা থাকে না। অনেক নারীকে আমি দেখেছি, অফিসে ঢুকে সে এসব ব্যাপারে চুপ হয়ে যায়। সে না সইতে পারে, না কইতে পারে। কারণ অফিস করার কারণে মাস শেষ হয়ত ১০/২০ হাজার টাকা সংসারে যোগ করেছেন। এই টাকার উপর সংসারের অনেক কিছু নির্ভর হয়ে গেছে, সেগুলো বন্ধ করা সম্ভব না। এখন ফেরত আসার কোন পথ নেই, তাই মুখ বুজে সহ্য করাই শ্রেয়।
আমি একটা কথা সব সময় বলি,
প্রধানমন্ত্রী ওয়েম্যান এমপাওয়ারমেন্ট করে হয়ত বহিঃবিশ্বে পুরষ্কার পেয়েছেন, কিন্তু সেই নারীকে কর্মক্ষেত্রে কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন সেটার উপর ভিত্তি করে পুরষ্কার নেয়া উচিত। আমি নারীকে বাইরে পাঠালাম, কিন্তু তাকে নিরাপত্তা দিতে পারলাম না, তবে সেই ওয়েম্যান এমপাওয়ারমেন্টের কি গুরুত্ব থাকতে পারে ?
হ্যা, নারীদের চাকুরী বন্ধ করার দরকার নাই।
তবে নারী পুরুষের পৃথক কর্মক্ষেত্র তৈরী করে দেয়া হোক।
নারীদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নারীরাই সার্ভিস দেবে। যেমন
নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু নারী শিক্ষক ও নারী স্ট্যাফ নিয়োগ দেয়া হোক।
নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতালে শুধু নারী ডাক্তার ও নারী স্ট্যাফ নিয়োগ দেয়া হোক।
নারীদের জন্য পৃথক মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, কাচাবাজারে শুধু নারী বিক্রেতা থাকবে,
নারীদের জন্য নারী দিয়ে বিচারবিভাগ তৈরী করা হোক,
নারীদের জন্য পৃথক যানবাহনে নারী স্ট্যাফ (ড্রাইভার নয়) নিয়োগ দেয়া হোক।
নারী চাকুরীজীবীদের বাচ্চা রাখার সুবিধার্থে নারীদের দিয়ে ডে কেয়ার খোলা।
এতটুকু করতে পারলেই নারীরা অনেক এগিয়ে যাবে। একদিকে কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা হবে, অন্যদিকে অফিস আদালতে নারীদের লোভীদের দৌরাত্মও ক