ইমরান খানের ভাষণ ও ‘তুই অপরাধী’ থিউরী
কয়েকদিন আগে, একটা গান ভাইরাল হইছিলো। গানটার শিরোনাম ছিলো- “ও মাইয়া ও মাইয়া তু্ই অপরাধী রে”, ঐ গানে একটা ছেলে তার প্রেমিকাকে অপরাধী বলে উল্লেখ করে।
এই যে কাউকে অপরাধী বলা, এর মধ্যে কিন্তু বিরাট একটা গোমর রয়ে গেছে। কাউকে অপরাধী বলার মধ্যে আছে ক্ষমতা, আছে কর্তৃত্ব, আছে নিজের পৃথক অস্তিত্ব স্বীকার করতে অপরকে বাধ্য করা।
এই যে কাউকে অপরাধী বলা, এর মধ্যে কিন্তু বিরাট একটা গোমর রয়ে গেছে। কাউকে অপরাধী বলার মধ্যে আছে ক্ষমতা, আছে কর্তৃত্ব, আছে নিজের পৃথক অস্তিত্ব স্বীকার করতে অপরকে বাধ্য করা।
সম্প্রতি ইমরান খানের জাতিসংঘে দেয়া একটা ভাষণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ইমরানের খানের ভাষণটা খেয়াল করবেন-
১) সে পরিবেশ দূষণের জন্য অভিযুক্ত করেছে কথিত সুপার পাওয়াদের।
২) মানি লন্ডারিং এর সুবিধাপ্রাপ্ত হিসেবে অভিযোগ করেছে পশ্চিমাদের।
৩) মুসলামরা শুধুই মুসলমান, উগ্রবাদী আর মডারেট বলে কোন ভাগ নেই। পশ্চিমারা এই দুইভাগে ভাগ করে মুসলমানদের এক ঘরে করে। এখানেও পশ্চিমাদের দোষ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সে।
৪) মুসলমানদের শেষ নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলে মুসলমানরা প্রতিবাদ করবেই। কিন্তু সেটাকে উগ্রবাদ হিসেবে প্রচার করা যাবে না। পশ্চিমারা সেটা একচেটিয়া করে বলে দেখিয়ে দিলেন ইমরান খান।
৫) সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে। এতে পাকিস্তানের ৭০ হাজার লোক মারা গেছে, ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এখানেও মূল দোষী আমেরিকা।
৬) আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকামীদের সন্ত্রাসী নয়, আফগানিস্তান দখল করতে যাওয়া আমেরিকার হলো দখলদার রাষ্ট্র।
৭) পাকিস্তানে কোন জঙ্গী নেই, ভারত নিজেই হামলাকারী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।
৮) পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্ষতি করতে চাওয়ায় ভারত অপরাধী।
৯) কাশ্মীরীদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য ভারত দোষী।
১০) হিন্দুত্ববাদীরা অপরাধী, সন্ত্রাসী, জঙ্গী।
১১) বাজারের লোভে মোদির পক্ষ নেয়ায় সুপারপাওয়ারদের দোষী সাব্যস্ত।
১২) ভারতে কোন হামলার ঘটনা ঘটলে তার জন্য দোষী হবে মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত।
১৩) মুসলমানদের বন্দি রাখার বিরুদ্ধে কথা না বলায়, পশ্চিমারা দোষী।
১৪) কাশ্মীরের মুসলমানরা স্বাধীনতাকামী হলে এর জন্য ভারত সরকার দোষী।
১৫) পাকিস্তান যদি পরমাণু হামলা চালায়, এর জন্য পাকিস্তান দোষী হবে না। দোষী হবে বিশ্বশক্তিরা। কারণ তারা কাশ্মীরের ইস্যুকে সমাধান করেনি।
১) সে পরিবেশ দূষণের জন্য অভিযুক্ত করেছে কথিত সুপার পাওয়াদের।
২) মানি লন্ডারিং এর সুবিধাপ্রাপ্ত হিসেবে অভিযোগ করেছে পশ্চিমাদের।
৩) মুসলামরা শুধুই মুসলমান, উগ্রবাদী আর মডারেট বলে কোন ভাগ নেই। পশ্চিমারা এই দুইভাগে ভাগ করে মুসলমানদের এক ঘরে করে। এখানেও পশ্চিমাদের দোষ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সে।
৪) মুসলমানদের শেষ নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলে মুসলমানরা প্রতিবাদ করবেই। কিন্তু সেটাকে উগ্রবাদ হিসেবে প্রচার করা যাবে না। পশ্চিমারা সেটা একচেটিয়া করে বলে দেখিয়ে দিলেন ইমরান খান।
৫) সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে। এতে পাকিস্তানের ৭০ হাজার লোক মারা গেছে, ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এখানেও মূল দোষী আমেরিকা।
৬) আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকামীদের সন্ত্রাসী নয়, আফগানিস্তান দখল করতে যাওয়া আমেরিকার হলো দখলদার রাষ্ট্র।
৭) পাকিস্তানে কোন জঙ্গী নেই, ভারত নিজেই হামলাকারী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।
৮) পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্ষতি করতে চাওয়ায় ভারত অপরাধী।
৯) কাশ্মীরীদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য ভারত দোষী।
১০) হিন্দুত্ববাদীরা অপরাধী, সন্ত্রাসী, জঙ্গী।
১১) বাজারের লোভে মোদির পক্ষ নেয়ায় সুপারপাওয়ারদের দোষী সাব্যস্ত।
১২) ভারতে কোন হামলার ঘটনা ঘটলে তার জন্য দোষী হবে মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত।
১৩) মুসলমানদের বন্দি রাখার বিরুদ্ধে কথা না বলায়, পশ্চিমারা দোষী।
১৪) কাশ্মীরের মুসলমানরা স্বাধীনতাকামী হলে এর জন্য ভারত সরকার দোষী।
১৫) পাকিস্তান যদি পরমাণু হামলা চালায়, এর জন্য পাকিস্তান দোষী হবে না। দোষী হবে বিশ্বশক্তিরা। কারণ তারা কাশ্মীরের ইস্যুকে সমাধান করেনি।
ইমরানের এই ভাষণটা থেকে মুসলমানদের অনেক কিছু শেখার আছে। ইমরান যে কথাগুলো বলেছে, এখানে কিন্তু নতুন কিছু নেই, কিন্তু যে চর্চাটা করেছে সেটা মুসলমানদের মধ্যে থেকে হারিয়ে গেছিলো। সেটা হলো- অপরাধীর দোষ চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলা ‘তুই অপরাধী’।
অনেকে বলতে পারে- ইমরান খান অমুক এলাকায় সৈণ্য দিয়ে আক্রমণ করে না কেন ?
আমি বলবো- ইমরান খানের এই ‘তুই অপরাধী’ থিউরী হাজারটা যুদ্ধ বাহিনী পাঠানোর থেকেও বেশি শক্তিশালী। কারণ মুসলমানের তো শক্তি আছে, কিন্তু হীনমন্যতা তাকে গ্রাস করেছে। সে অপরাধীকে অপরাধী বলতে পারে না। অপরদিকে অমুসলিমরা মুসলমানদের উপর ফলস ‘তুই অপরাধী’ থিউরী চালিয়ে দিচ্ছে, যদিও মুসলমানরা দায়ী না হোক।
যেমন-
ক. মুসলমানরা দোষী নয়, তারপরও সকল মুসলমানদের উপর জঙ্গীবাদ নামক অপরাধের ওজন চাপিয়ে রাখা হয়েছে। এতে মুসলমানরা তাদের উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে ভয় পায়, যদি তারা জঙ্গী ট্যাগ খায়।
খ. তারা নারীদের পণ্য বানাবে, এতে অপরাধী হবে না। কিন্তু মুসলমানরা নারীদের সেভ করতে কোন কার্যক্রম নিলে সেটা মুসলমানরা অপরাধী হয়ে যাবে, নারী স্বাধীনতাহরণ কারী হয়ে যাবে।
গ. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিছু না করলেও ভারতীয় মিডিয়ায় ছাপা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জঙ্গী আছে । বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থ্যান হচ্ছে। অথচ ভারত প্রতিদিন সীমান্তে কত মানুষ মারতেছে, বাংলাদেশ ভারতকে কিছুই বলতে পারছে না।
ঘ. প্রিয়া সাহা গংরা বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে অপরাধী বলতেছে, মোসাদের সঙ্গে মিটিং করতেছে, প্রকাশ্যে ভারতীয় দূতাবাস, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বলতেছে, সৈন্য আনতে বলতেছে। তারা যেটা করতেছে সেটা স্পষ্ট রাষ্ট্রবিরোধী কাজ, কিন্তু সেটা আমরা আমরা প্রকাশ্যে বলতে পারতেছি না্, বলতে পারতেছি না- তুই অপরাধী।
ঙ. হাতে লাল সূতা পড়ে ভার্সিটিগুলোতে তারা সারাদিন মানুষ পিটায়তেছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা দোষী বলতে পারি না। অথচ তারা ভার্সিটিতে আইন করতে চায়, যেন মুসলমানরা নিষিদ্ধ হয়, অর্থাৎ নিজের অধিকারের কথা বলতেও অপরাধী হয়।
চ. রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে তাদের পার্মানেন্ট অপরাধী বানায় দেয়া হয়েছে। তারা যেটা করবে সেটাই অপরাধ হবে। কিন্তু যারা তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলো, তাদের উপর গণহত্যা চালালো তাদেরকে কেউ অপরাধী বলতে পারলো না।
ছ. বাংলাদশের একটা ধর্মের লোকেরা নিজেদের ধর্মীয় উপসানালয় নিজেরাই ভেঙ্গে মুসলমানদের দোষ দিয়ে দেয়, অপরাধী বানায় বলে- ‘তুই অপরাধী’।
জ. ভারতে বিজেপি ইচ্ছামত গরুর মাংশের বিজনেস করতেছে, সমস্যা নাই। কিন্তু মুসলমানরা গরুর কথা বললেই তুই অপরাধী।
অনেকে বলতে পারে- ইমরান খান অমুক এলাকায় সৈণ্য দিয়ে আক্রমণ করে না কেন ?
আমি বলবো- ইমরান খানের এই ‘তুই অপরাধী’ থিউরী হাজারটা যুদ্ধ বাহিনী পাঠানোর থেকেও বেশি শক্তিশালী। কারণ মুসলমানের তো শক্তি আছে, কিন্তু হীনমন্যতা তাকে গ্রাস করেছে। সে অপরাধীকে অপরাধী বলতে পারে না। অপরদিকে অমুসলিমরা মুসলমানদের উপর ফলস ‘তুই অপরাধী’ থিউরী চালিয়ে দিচ্ছে, যদিও মুসলমানরা দায়ী না হোক।
যেমন-
ক. মুসলমানরা দোষী নয়, তারপরও সকল মুসলমানদের উপর জঙ্গীবাদ নামক অপরাধের ওজন চাপিয়ে রাখা হয়েছে। এতে মুসলমানরা তাদের উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে ভয় পায়, যদি তারা জঙ্গী ট্যাগ খায়।
খ. তারা নারীদের পণ্য বানাবে, এতে অপরাধী হবে না। কিন্তু মুসলমানরা নারীদের সেভ করতে কোন কার্যক্রম নিলে সেটা মুসলমানরা অপরাধী হয়ে যাবে, নারী স্বাধীনতাহরণ কারী হয়ে যাবে।
গ. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিছু না করলেও ভারতীয় মিডিয়ায় ছাপা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জঙ্গী আছে । বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থ্যান হচ্ছে। অথচ ভারত প্রতিদিন সীমান্তে কত মানুষ মারতেছে, বাংলাদেশ ভারতকে কিছুই বলতে পারছে না।
ঘ. প্রিয়া সাহা গংরা বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে অপরাধী বলতেছে, মোসাদের সঙ্গে মিটিং করতেছে, প্রকাশ্যে ভারতীয় দূতাবাস, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বলতেছে, সৈন্য আনতে বলতেছে। তারা যেটা করতেছে সেটা স্পষ্ট রাষ্ট্রবিরোধী কাজ, কিন্তু সেটা আমরা আমরা প্রকাশ্যে বলতে পারতেছি না্, বলতে পারতেছি না- তুই অপরাধী।
ঙ. হাতে লাল সূতা পড়ে ভার্সিটিগুলোতে তারা সারাদিন মানুষ পিটায়তেছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা দোষী বলতে পারি না। অথচ তারা ভার্সিটিতে আইন করতে চায়, যেন মুসলমানরা নিষিদ্ধ হয়, অর্থাৎ নিজের অধিকারের কথা বলতেও অপরাধী হয়।
চ. রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে তাদের পার্মানেন্ট অপরাধী বানায় দেয়া হয়েছে। তারা যেটা করবে সেটাই অপরাধ হবে। কিন্তু যারা তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলো, তাদের উপর গণহত্যা চালালো তাদেরকে কেউ অপরাধী বলতে পারলো না।
ছ. বাংলাদশের একটা ধর্মের লোকেরা নিজেদের ধর্মীয় উপসানালয় নিজেরাই ভেঙ্গে মুসলমানদের দোষ দিয়ে দেয়, অপরাধী বানায় বলে- ‘তুই অপরাধী’।
জ. ভারতে বিজেপি ইচ্ছামত গরুর মাংশের বিজনেস করতেছে, সমস্যা নাই। কিন্তু মুসলমানরা গরুর কথা বললেই তুই অপরাধী।
অন্য জাতির সত্যিকারের দোষটা ধরিয়ে দেয়া,
প্রকাশ্যে বলা- “তুই অপরাধী”।
এটা একটা বিরাট ক্ষমতা।
এই ক্ষমতাটা মুসলিম জাতি হারিয়ে ফেলেছে বহুদিন আগে।
শুধু রাষ্ট্রনায়ক নয়, সাধারণ মুসলমানরা অন্য জাতির দোষটা প্রকাশ্যে বলতে পারে না।
লুকিয়ে বলে, নয়ত চেপে যায়, যদি তারা কিছু মনে করে,
যদি তাকে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গী ট্যাগ দেয়। তাকে অন্যরা খারাপ মনে করে।
আমার মনে হয়, ইমরানের থেকে সেই শিক্ষা নিয়ে মুসলমানদের আবার তুই অপরাধী বলা শিখতে হবে।
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে অন্য জাতির দোষটা।
প্রকাশ্যে বলা- “তুই অপরাধী”।
এটা একটা বিরাট ক্ষমতা।
এই ক্ষমতাটা মুসলিম জাতি হারিয়ে ফেলেছে বহুদিন আগে।
শুধু রাষ্ট্রনায়ক নয়, সাধারণ মুসলমানরা অন্য জাতির দোষটা প্রকাশ্যে বলতে পারে না।
লুকিয়ে বলে, নয়ত চেপে যায়, যদি তারা কিছু মনে করে,
যদি তাকে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গী ট্যাগ দেয়। তাকে অন্যরা খারাপ মনে করে।
আমার মনে হয়, ইমরানের থেকে সেই শিক্ষা নিয়ে মুসলমানদের আবার তুই অপরাধী বলা শিখতে হবে।
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে অন্য জাতির দোষটা।