প্রথমেই বলে রাখি, আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না।
কোন আওয়ামীলীগ সদস্য যদি ভালো কাজ করে তবে আমি তাকে সপোর্ট দেবো।
আবার বিএনপির কোন সদস্যও যদি ভালো কাজ করে তবে আমি তাকেও সাপোর্ট দেবো।
আর কেউ খারাপ কাজ করলে তার বিরোধীতা করবো, সে যে দলেরই হোক।
কোন আওয়ামীলীগ সদস্য যদি ভালো কাজ করে তবে আমি তাকে সপোর্ট দেবো।
আবার বিএনপির কোন সদস্যও যদি ভালো কাজ করে তবে আমি তাকেও সাপোর্ট দেবো।
আর কেউ খারাপ কাজ করলে তার বিরোধীতা করবো, সে যে দলেরই হোক।
তবে এটা ঠিক, আমার ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি একটি আলাদা শ্রদ্ধাবোধ ছিলো এবং এখনও আছে। তাই কেউ যদি সত্যিই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক দাবী করে তার আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কেউ যদি মুখে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে দাবী করে, কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত করে, তবে আমি তার ঘোর প্রতিবাদ করি।
যাই হোক, গতকালকে থেকে প্রায় শতাধিক পাঠক ইনবক্সে, ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সম্পর্কে আমার মন্তব্য চেয়েছেন। এই পাঠকদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন সংখ্যাও কম নয়। আসলে আমি সেই সব ছাত্রলীগ সদস্যের মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা কষ্টটা বুঝতে পেরেছি।
বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের অধিকাংশ সদস্য অনেক প্র্যাকটিসিং মুসলিম ফ্যামিলি থেকেই এসেছেন। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুসারে, ছাত্রলীগকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে ধরা হয়। এই গঠনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে অনেক মুসলিম ছাত্রলীগ সদস্যকেই তাদের ধর্মীয় পরিচয়ে ভাটা দিতে বলা হয়, কাটছাট করা বলা হয় তাদের ধর্মীয় আচরণেও। আমার জানা মতে, অনেক ছাত্রলীগ সদস্যকে লুকিয়ে ধর্ম পালন করতে হয়। এমনকি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেলেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না সেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা ও প্রগতিশীলতা’ খোলস ঠিক রাখতে।
কিন্তু তাদের কষ্টটা তখন হয়, যখন দেখে ডান হাতে লাল সুতা পরিহিত এক হিন্দুযোদ্ধা সেই ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তাদের কষ্টটা তখন বৃদ্ধি পায়, যখন দেখে- একজন নেতা উগ্রহিন্দুত্ববাদের সিল প্রকাশ্যে নিয়ে ঘুড়তে পারে, তখন প্রগতিশীলতা আর ধর্মনিরপেক্ষতার সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ সদস্য হলেও মুসলিম হওয়ার কারণে তাকে তার ধর্মীয় আচরণে বিধি টানতে বলা হয়। মুসলিম পরিচয়ের কারণে কখন শিবির ট্যাগ খায়, সেই ভয়ে থাকতে হয়। এটা কি তবে সমান অধিকার হলো ??
তাদের কষ্টটা তখন বৃদ্ধি পায়, যখন দেখে- একজন নেতা উগ্রহিন্দুত্ববাদের সিল প্রকাশ্যে নিয়ে ঘুড়তে পারে, তখন প্রগতিশীলতা আর ধর্মনিরপেক্ষতার সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ সদস্য হলেও মুসলিম হওয়ার কারণে তাকে তার ধর্মীয় আচরণে বিধি টানতে বলা হয়। মুসলিম পরিচয়ের কারণে কখন শিবির ট্যাগ খায়, সেই ভয়ে থাকতে হয়। এটা কি তবে সমান অধিকার হলো ??
অনেক হয়ত বলতে পারেন-
“একটা দুর্ঘটনার মত ঘটে গেছে। পদের ধারবাহিকতা অনুসারেই তাকে পদ দেয়া হয়েছে।”
“একটা দুর্ঘটনার মত ঘটে গেছে। পদের ধারবাহিকতা অনুসারেই তাকে পদ দেয়া হয়েছে।”
হতে পারে। তবে ছাত্রলীগ রাষ্ট্রীয় নিয়মতান্ত্রিক কোন অংশ নয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলোর একটি হচ্ছে প্রধান বিচারপতির পদ। ইসকনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এসকে সিনহাকে কয়েকজন সিনিয়র বিচারপতিকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান বিচারপতি করেছিলো আওয়ামী সরকার।
যেই আওয়ামীলীগ প্রধানবিচারপতির পদায়ন করতে রাষ্ট্রীয় নিয়মতন্ত্র ভাঙ্গতে পারে, সে তার ছাত্র সংগঠনের পদের ক্ষেত্রে নিয়মতন্ত্র ভাঙ্গতে পারবে না, এটা মানতে সত্যিই কষ্ট হয়।
----
এসকে সিনহার ইসকন কানেকশন- https://bit.ly/2mjTrxd
পোস্টটি আমার । কিন্তু আমার টাইমলাইনে খুজে পাচ্ছি না, অন্য একটি পেইজে পেলাম।
এসকে সিনহার ইসকন কানেকশন- https://bit.ly/2mjTrxd
পোস্টটি আমার । কিন্তু আমার টাইমলাইনে খুজে পাচ্ছি না, অন্য একটি পেইজে পেলাম।