রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেক বাংলাদেশী মুসলমানকে দেখি এগ্রেসিভ হয়ে যায়,
এ ঘটনাগুলো দেখলে- আমার ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ার যুদ্ধ এবং ইউরোপে মুসলমানদের শরনার্থীদের কথা মনে পড়ে যায়।
ঐ সময় কুর্দি শিশু আয়লানের মরদেহ সাগরে ভেসে আসার ছবি দেখে অনেক ইউরোপীদের মধ্যে শরনার্থীদের প্রতি ভালোবাসা জেগে ওঠেছিলো। অনেক দেশ মুসলিম শরনার্থীদের যায়গাও দেয়।
কিন্তু যায়গা দেয়ার কিছুদিন পর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে এবং সেই দোষ
পড়তে থাকে শরনার্থীদের উপর।
যেমন প্যারিসে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর তার দোষ দেয়া হয়, মুসলিম শরনার্থীদের উপর।
ব্যস ফ্রান্সের জনগণ শরনার্থীদের উপর ক্ষেপে যায়। উত্তেজিত হয়ে প্যারিসের শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়ে আসে (ছবি আছে)।
ঐ সময় ইউরোপে অনেকগুলো কথিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে এবং সবগুলোর দোষ পরে মুসলিম শরনার্থীদের ঘাড়ে। কয়েকদিন আগে যে শরনার্থীদের প্রতি মায়া দেখিয়েছিলো ইউরোপীয়া, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ঘৃণায় রুপান্তরিত হয়। একটা গ্রুপ হঠাৎ রটিয়ে দেয় শরনার্থী মুসলমানদের মধ্যে ‘তাহাররুশ’ নামক একটা কালচার আছে, যার মাধ্যমে তারা সম্মিলিতভাবে নারীদের লাঞ্চিত করে। ব্যস এবার আরো ঘৃণা বাড়ে মুসলিম শরনার্থীদের উপর। জার্মানিতে জনগণের মধ্যে অনেক লাঠি দল বের হয় যারা মুশোস পরে লাঠি দিয়ে শরনার্থীদের পিটিয়ে থাকতো। এভাবে ইউরোপের প্রতি দেশেই শরনার্থীবিরোধী গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে এবং যুদ্ধের নিজ দেশ থেকে পালিয়ে এসেও বিপদে পড়ে যায় শরনার্থীরা। তাদেরকে যায়গায় যায়গায় নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তখন রিফিউজি নামে গালি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিলো। কোন ঘটনা ঘটলে আগে নন্দঘোষের মত দোষ পড়তো মুসলিম রিফিউজিদের উপর, একজন নয় সবার উপর। টিভি, নিউজপেপার, ফেসবুকের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হতো, অনেককে গ্রেফতারও করা হতো, অনেককে পিটিয়ে মারা হতো।
ঐ সময় কুর্দি শিশু আয়লানের মরদেহ সাগরে ভেসে আসার ছবি দেখে অনেক ইউরোপীদের মধ্যে শরনার্থীদের প্রতি ভালোবাসা জেগে ওঠেছিলো। অনেক দেশ মুসলিম শরনার্থীদের যায়গাও দেয়।
কিন্তু যায়গা দেয়ার কিছুদিন পর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে এবং সেই দোষ
পড়তে থাকে শরনার্থীদের উপর।
যেমন প্যারিসে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর তার দোষ দেয়া হয়, মুসলিম শরনার্থীদের উপর।
ব্যস ফ্রান্সের জনগণ শরনার্থীদের উপর ক্ষেপে যায়। উত্তেজিত হয়ে প্যারিসের শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়ে আসে (ছবি আছে)।
ঐ সময় ইউরোপে অনেকগুলো কথিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে এবং সবগুলোর দোষ পরে মুসলিম শরনার্থীদের ঘাড়ে। কয়েকদিন আগে যে শরনার্থীদের প্রতি মায়া দেখিয়েছিলো ইউরোপীয়া, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ঘৃণায় রুপান্তরিত হয়। একটা গ্রুপ হঠাৎ রটিয়ে দেয় শরনার্থী মুসলমানদের মধ্যে ‘তাহাররুশ’ নামক একটা কালচার আছে, যার মাধ্যমে তারা সম্মিলিতভাবে নারীদের লাঞ্চিত করে। ব্যস এবার আরো ঘৃণা বাড়ে মুসলিম শরনার্থীদের উপর। জার্মানিতে জনগণের মধ্যে অনেক লাঠি দল বের হয় যারা মুশোস পরে লাঠি দিয়ে শরনার্থীদের পিটিয়ে থাকতো। এভাবে ইউরোপের প্রতি দেশেই শরনার্থীবিরোধী গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে এবং যুদ্ধের নিজ দেশ থেকে পালিয়ে এসেও বিপদে পড়ে যায় শরনার্থীরা। তাদেরকে যায়গায় যায়গায় নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তখন রিফিউজি নামে গালি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিলো। কোন ঘটনা ঘটলে আগে নন্দঘোষের মত দোষ পড়তো মুসলিম রিফিউজিদের উপর, একজন নয় সবার উপর। টিভি, নিউজপেপার, ফেসবুকের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হতো, অনেককে গ্রেফতারও করা হতো, অনেককে পিটিয়ে মারা হতো।
আসলে ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ, মুসলিম রিফিউজি হলেই যে খারাপ কাজ করবে না, তা নয়।
কিন্তু সমস্যা হলো স্থানীয়রা দোষ করলে এক জনের ঘাড়ে দোষ পরে, আর কোন রিফিউজি দোষ করলে সকল রিফিউজির উপর দোষ পরে। আর স্থানীয়দের মধ্যে একটা কথা বেশ প্রচলিত হয়ে যায়- “কত বড় সাহস আমার দেশে এসে এমন করে ? অমন করে ?
কথায় আছে, যাকে দেখতে নারী তার চলন বাকা। মানে সে যাই করুক, সেটা দৃশ্যত্ব বৈধও হয়, তবুও সেটার মধ্যেই খারাপ খোঁজা হতো। সে সময় মুসলিম শরনার্থীদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের যে সব অভিযোগ ছিলো, তার মধ্যে অন্যতম –
---“মুসলিম শরনার্থীরা আমাদের দেশ দখল করে নেবে”,
-- -“তারা ডজন ডজন বাচ্চা পয়দা করে, কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে বেড়ে যাবে”,
--তারা আমাদের পরিবেশ নষ্ট করছে”।
কিন্তু সমস্যা হলো স্থানীয়রা দোষ করলে এক জনের ঘাড়ে দোষ পরে, আর কোন রিফিউজি দোষ করলে সকল রিফিউজির উপর দোষ পরে। আর স্থানীয়দের মধ্যে একটা কথা বেশ প্রচলিত হয়ে যায়- “কত বড় সাহস আমার দেশে এসে এমন করে ? অমন করে ?
কথায় আছে, যাকে দেখতে নারী তার চলন বাকা। মানে সে যাই করুক, সেটা দৃশ্যত্ব বৈধও হয়, তবুও সেটার মধ্যেই খারাপ খোঁজা হতো। সে সময় মুসলিম শরনার্থীদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের যে সব অভিযোগ ছিলো, তার মধ্যে অন্যতম –
---“মুসলিম শরনার্থীরা আমাদের দেশ দখল করে নেবে”,
-- -“তারা ডজন ডজন বাচ্চা পয়দা করে, কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে বেড়ে যাবে”,
--তারা আমাদের পরিবেশ নষ্ট করছে”।
এ কারণে আজকে যখন দেখি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা বাংলাদেশীরাই রোহিঙ্গাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে তখন আমি সেগুলো দেখে অবাক হই না, ইউরোপীদের সাথে মিলিয়ে নেই।
সত্যিই বলতে, আপনি যদি ৯/১১ বা গত ২০ বছরের ইতিহাস দেখেন,
তবে আসলেই শরনার্থী হয়েছে কারা? কোন ধর্মের লোক হয়েছে?
দেখবেন- শরনার্থীর প্রায় সবই মুসলমান।
আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, তিউনেশিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, চাদ, মায়ানমার (রোহিঙ্গা মুসলিম), দেশগুলোতেই শরনার্থীর প্রায় সব।
এ সব মুসলমানরা পূর্ব থেকেই এমন ছিলো তা নয়। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতো, অনেকে সম্ভ্রান্ত-ধনী পরিবারের লোকজন যুদ্ধের কারণে সব হারিয়ে এখন অন্য দেশে এসে বস্তি, দুর্গন্ধ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। রোদ, বৃষ্টি, ঠাণ্ডাবরফ থেকে কোন রক্ষা তাদের নেই। আর অপরের উপর নির্ভর হওয়ায় শুনচ্ছে হচ্ছে নানান ধরনের গালি, পিটুনি, অবজ্ঞা।
আজকে আমি যখন দেখি-বাংলাদেশের মুসলমানরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের গালি দেয়,
যখন দেখি আসামের সম্ভাব্য মুসলিম শরনার্থীদের ঢুকতে না দেয়ার হুশিয়ারী দেয়,
তখন আমি চিন্তা করি-
বাংলাদেশীরা হয়ত বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে শরনার্থী সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে,
কিন্তু মুসলমান হয়ে মুসলিম শরনার্থী সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে না।
গতকালকে হয়ত রোহিঙ্গা মুসলমানরা শরনার্থী হয়েছে,
আজকে আসামের মুসলমানদের শরনার্থী হওয়ার প্রসেস চলছে,
আগামীকাল যে বাংলাদেশী মুসলমানরা শরনার্থী হবে না, তার গ্যারান্টি কি ?
তবে আসলেই শরনার্থী হয়েছে কারা? কোন ধর্মের লোক হয়েছে?
দেখবেন- শরনার্থীর প্রায় সবই মুসলমান।
আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, তিউনেশিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, চাদ, মায়ানমার (রোহিঙ্গা মুসলিম), দেশগুলোতেই শরনার্থীর প্রায় সব।
এ সব মুসলমানরা পূর্ব থেকেই এমন ছিলো তা নয়। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতো, অনেকে সম্ভ্রান্ত-ধনী পরিবারের লোকজন যুদ্ধের কারণে সব হারিয়ে এখন অন্য দেশে এসে বস্তি, দুর্গন্ধ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। রোদ, বৃষ্টি, ঠাণ্ডাবরফ থেকে কোন রক্ষা তাদের নেই। আর অপরের উপর নির্ভর হওয়ায় শুনচ্ছে হচ্ছে নানান ধরনের গালি, পিটুনি, অবজ্ঞা।
আজকে আমি যখন দেখি-বাংলাদেশের মুসলমানরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের গালি দেয়,
যখন দেখি আসামের সম্ভাব্য মুসলিম শরনার্থীদের ঢুকতে না দেয়ার হুশিয়ারী দেয়,
তখন আমি চিন্তা করি-
বাংলাদেশীরা হয়ত বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে শরনার্থী সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে,
কিন্তু মুসলমান হয়ে মুসলিম শরনার্থী সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে না।
গতকালকে হয়ত রোহিঙ্গা মুসলমানরা শরনার্থী হয়েছে,
আজকে আসামের মুসলমানদের শরনার্থী হওয়ার প্রসেস চলছে,
আগামীকাল যে বাংলাদেশী মুসলমানরা শরনার্থী হবে না, তার গ্যারান্টি কি ?
আমি সব সময় আপনাদের ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান ব্লকের রাজনীতি নিয়ে বলি।
ডেমোক্র্যাট ব্লক হইলো- শরনার্থীদের শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় দেয়ার পক্ষে, ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করার পক্ষে। অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক হইলো- শরনার্থীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো, দোষারোপ করা, তাদের পিটানো, উচ্ছেদ করা, আগুন দেয়ার পক্ষে।
সাধারণত আমরাও ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান ব্লকের শেখানো এই দুই ধরনের মানসিকতাই বহন করি এবং সেগুলোই সব সময় আওড়াই। কিন্তু কথা হলো সম্রাজ্যবাদীদের বানানো এই দুই ব্লকের পলিসির মধ্যেই যদি থাকি, তবে সারা জীবন এর মধ্যেই ঘুরপাক থেকে থাকবো, কারণ এই দুই ব্লক তৈরী হয়েছে আমাদের ধোকা দেয়ার জন্য বা ব্ল্যালেন্স করানোর জন্য। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বলতে ওদের পলিসি দিয়ে শরনার্থী নিয়ে চিন্তা করলে সারা জীবনেও শরনার্থী সমস্যার সমাধান হবে না, আর যেহেতু শরনার্থী অধিকাংশই মুসলিম শরনার্থী, তাই সেসব পলিসি মুসলমানদের সমস্যা কখনই দূর করবে না।
ডেমোক্র্যাট ব্লক হইলো- শরনার্থীদের শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় দেয়ার পক্ষে, ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করার পক্ষে। অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক হইলো- শরনার্থীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো, দোষারোপ করা, তাদের পিটানো, উচ্ছেদ করা, আগুন দেয়ার পক্ষে।
সাধারণত আমরাও ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান ব্লকের শেখানো এই দুই ধরনের মানসিকতাই বহন করি এবং সেগুলোই সব সময় আওড়াই। কিন্তু কথা হলো সম্রাজ্যবাদীদের বানানো এই দুই ব্লকের পলিসির মধ্যেই যদি থাকি, তবে সারা জীবন এর মধ্যেই ঘুরপাক থেকে থাকবো, কারণ এই দুই ব্লক তৈরী হয়েছে আমাদের ধোকা দেয়ার জন্য বা ব্ল্যালেন্স করানোর জন্য। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বলতে ওদের পলিসি দিয়ে শরনার্থী নিয়ে চিন্তা করলে সারা জীবনেও শরনার্থী সমস্যার সমাধান হবে না, আর যেহেতু শরনার্থী অধিকাংশই মুসলিম শরনার্থী, তাই সেসব পলিসি মুসলমানদের সমস্যা কখনই দূর করবে না।
শেষ কথা হলো- শরনার্থী সমস্যা যেহেতু বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের সমস্যা, তাই এ সমস্যা নিয়ে মুসলমানদের আলাদা কোন চিন্তা বা পলিসি আছে কি ?