মেহেরপুর জেলায় এক মেয়ে পুরুষের বাড়ি গেছে বিয়ে করতে,
এটা দিয়ে দাবী করা হচ্ছে- এতে নাকি নারী-পুরুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
এটা দিয়ে দাবী করা হচ্ছে- এতে নাকি নারী-পুরুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
কথায় বলে, “পুরুষ বিয়ে করে আর নারী বিয়ে বসে”।
কথাটা শুনতে নারীবাদীদের খারাপ লাগলেও বাস্তবে এটা কিন্তু নারীদের জন্য উপকার বটে।
নারী যদি বিয়ে করতে যায়, আর পুরুষ যদি বিয়ে বসে, তাহলে কিন্তু নারীদের জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে।
একটু ব্যাখ্যা করলে বুঝতে পারবেন-
সাধারণত পুরুষ যখন নারীকে বিয়ে করতে যায়, তখন শর্ত থাকে, বিয়ের পর নারী ও সন্তানের যাবতীয় খরচ পুরুষ বহন করবে।
এখন নারীবাদীদের দাবী অনুযায়ী-
নারী যদি বিয়ে করতে যায়, আর পুরুষ যদি বিয়ে বসে,
তখন কিন্তু পুরুষের পক্ষ থেকে উল্টো দাবী আসবে-
“ ঠিক আছে, আমি বসে থাকবো, তুমি আমাকে ইনকাম করে খাওয়াবা। ”
বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় এবং ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়াতেও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থা আছে। যেখানে পুরুষরা ঘরে বসে থাকে, আর নারীরা ইনকাম করে পুরুষ আর সন্তানকে খাওয়ায়। আমি শুনেছিলাম- মালয়েশিয়ার মেয়েরা নাকি বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেখলে অবাক হয়ে যায়, তাদের বিয়ে করতে চায়, কারণ বাংলাদেশের পুরুষরা অনেক কষ্ট ইনকাম করে স্ত্রী-সন্তানের জন্য টাকা পাঠায়, এটা দেখে তাদের হিংসা হয়। অথচ মালেশিয়ার মেয়েদের সারাদিন কষ্ট করে ইনকাম করে ঘরে বসে থাকা স্বামীকে খাওয়াতে হয়।
আমার কথা হলো- নারীবাদীরা যে নিয়ম চালু করছে, সেটা কি নারীদের জন্য উপকার নাকি কষ্টের সিস্টেম, সেটা নারীদেরই যাচাই বাছাই করা উচিত। কারণ আমার দৃষ্টিতে নারীবাদীরা যে নিয়মগুলো প্রমোট করে, সেগুলোর বেশিরভাগই নারীদের জন্য কষ্টদায়ক।
কথাটা শুনতে নারীবাদীদের খারাপ লাগলেও বাস্তবে এটা কিন্তু নারীদের জন্য উপকার বটে।
নারী যদি বিয়ে করতে যায়, আর পুরুষ যদি বিয়ে বসে, তাহলে কিন্তু নারীদের জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে।
একটু ব্যাখ্যা করলে বুঝতে পারবেন-
সাধারণত পুরুষ যখন নারীকে বিয়ে করতে যায়, তখন শর্ত থাকে, বিয়ের পর নারী ও সন্তানের যাবতীয় খরচ পুরুষ বহন করবে।
এখন নারীবাদীদের দাবী অনুযায়ী-
নারী যদি বিয়ে করতে যায়, আর পুরুষ যদি বিয়ে বসে,
তখন কিন্তু পুরুষের পক্ষ থেকে উল্টো দাবী আসবে-
“ ঠিক আছে, আমি বসে থাকবো, তুমি আমাকে ইনকাম করে খাওয়াবা। ”
বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় এবং ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়াতেও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থা আছে। যেখানে পুরুষরা ঘরে বসে থাকে, আর নারীরা ইনকাম করে পুরুষ আর সন্তানকে খাওয়ায়। আমি শুনেছিলাম- মালয়েশিয়ার মেয়েরা নাকি বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেখলে অবাক হয়ে যায়, তাদের বিয়ে করতে চায়, কারণ বাংলাদেশের পুরুষরা অনেক কষ্ট ইনকাম করে স্ত্রী-সন্তানের জন্য টাকা পাঠায়, এটা দেখে তাদের হিংসা হয়। অথচ মালেশিয়ার মেয়েদের সারাদিন কষ্ট করে ইনকাম করে ঘরে বসে থাকা স্বামীকে খাওয়াতে হয়।
আমার কথা হলো- নারীবাদীরা যে নিয়ম চালু করছে, সেটা কি নারীদের জন্য উপকার নাকি কষ্টের সিস্টেম, সেটা নারীদেরই যাচাই বাছাই করা উচিত। কারণ আমার দৃষ্টিতে নারীবাদীরা যে নিয়মগুলো প্রমোট করে, সেগুলোর বেশিরভাগই নারীদের জন্য কষ্টদায়ক।
যাই হোক, এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি-
আরো ২টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি-
১) বিয়ে পরবর্তী ভোজের আয়োজন।
২) বিয়ে পরবর্তী সময়ে নারী বা পুরুষ কোথায় বসবাস করবে ?
আরো ২টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি-
১) বিয়ে পরবর্তী ভোজের আয়োজন।
২) বিয়ে পরবর্তী সময়ে নারী বা পুরুষ কোথায় বসবাস করবে ?
যেহেতু- বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারি এবং বিয়ের বিষয়টি মুসলিম পারিবারিক আইন থেকে আগত, তাই ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে দুটি বিষয় আলোচনা করছি-
প্রথমত, বিয়ে পরবর্তী ভোজের আয়োজন পুরুষের করার কথাই ইসলামে বেশি বলা হয়েছে। যেটাকে বলা হয় ‘ওয়ালিমা’, বাংলাদেশে যেটাকে বলা হয় ‘বউভাত’। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘বিয়ে’টা হাইলাইট হয়ে গেছে, কিন্তু ওয়ালিমা বা বউভাত গৌন হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়ত, ইসলামে বিয়ে পরবর্তী সময়ে নারী পুরুষ সুবিধামত স্থানে বসবাস করতে পারে। সেটা পুরুষের বাড়িও হতে পারে আবার নারীর বাড়িও হতে পারে, এখানে বাধ্যবাধকতা নেই।
সাধারণত স্ত্রীর বাড়িতে স্বামী বসবাস শুরু করলে সেটাকে বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় বলে ‘ঘরজামাই’। বর্তমান সময়ে আমরা দেখি ‘ঘর জামাই’র বিষয়টি মিডিয়া জগত বেশ অবজ্ঞা ও অবমাননা অর্থে চাষ করে। অথচ ইসলামের শীর্ষস্থানীয় বক্তিদের মধ্যে বিয়ের পর স্ত্রীর বাড়িতে বসবাস করার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। যেমন- মুসলমানদের শেষ নবী প্রথম বিবাহের পর স্ত্রীর বাড়িতে থাকতেন। আবার উনার চতুর্থ কন্যার স্বামীকেও নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন। তাই ইসলাম ধর্ম এ বিষয়টিকে বৈধ করে, যদিও স্ত্রীর বাড়িতে স্বামীর বসবাস করার বিষয়টিকে ‘ঘরজামাই’ নাম দিয়ে অবমাননাসূচক নাটক/সিনেমা/গল্প বাংলাদেশে বেশ প্রচলিত করা হয়েছে।
সাধারণত স্ত্রীর বাড়িতে স্বামী বসবাস শুরু করলে সেটাকে বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় বলে ‘ঘরজামাই’। বর্তমান সময়ে আমরা দেখি ‘ঘর জামাই’র বিষয়টি মিডিয়া জগত বেশ অবজ্ঞা ও অবমাননা অর্থে চাষ করে। অথচ ইসলামের শীর্ষস্থানীয় বক্তিদের মধ্যে বিয়ের পর স্ত্রীর বাড়িতে বসবাস করার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। যেমন- মুসলমানদের শেষ নবী প্রথম বিবাহের পর স্ত্রীর বাড়িতে থাকতেন। আবার উনার চতুর্থ কন্যার স্বামীকেও নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন। তাই ইসলাম ধর্ম এ বিষয়টিকে বৈধ করে, যদিও স্ত্রীর বাড়িতে স্বামীর বসবাস করার বিষয়টিকে ‘ঘরজামাই’ নাম দিয়ে অবমাননাসূচক নাটক/সিনেমা/গল্প বাংলাদেশে বেশ প্রচলিত করা হয়েছে।