বিদেশী বিনিয়োগ বা ঋণের পেছনে ছুটে আমাদের লাভ কতটুকু ? -১
আসলে বিদেশী বিনিয়োগ বা বিদেশী ঋণ,
আমরা সাধারণ জনগণ যেভাবে মনে করি আসলে সেভাবে আসে না।
মিডিয়ায় মুখে মুখে রটিয়ে দেয় অমুক দিতেছি, তমুক দিতেছি,
কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় পুরোটাই ফাকি।
অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্পের কথা মুখে মুখে রটে গেছে অনেক,
কিন্তু সেটার কোন খবরই নেই।
আমরা সাধারণ জনগণ যেভাবে মনে করি আসলে সেভাবে আসে না।
মিডিয়ায় মুখে মুখে রটিয়ে দেয় অমুক দিতেছি, তমুক দিতেছি,
কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় পুরোটাই ফাকি।
অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্পের কথা মুখে মুখে রটে গেছে অনেক,
কিন্তু সেটার কোন খবরই নেই।
যেমন আমরা জেনেছি-
-বাংলাদেশের পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে,
-কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে,
-কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো-
পায়রাতেও গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে না।
সোনাদিয়াতেও গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে না।
আর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
ঠিক যেভাবে পায়রা বা সোনাদিয়া নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলো চীন, কিন্তু পরে সেই আশ্বাস যে কোন কারণেই হোক ফিরিয়ে নিয়েছে।
এখন মাতারবাড়িতেও যে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে, আদৌ সেটা শিওর বলা যাচ্ছে না।
হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। এটার মধ্যে তাদের ব্যবসায়ীক হিসেব নিকেশ আছে।
-বাংলাদেশের পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে,
-কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে,
-কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো-
পায়রাতেও গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে না।
সোনাদিয়াতেও গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে না।
আর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
ঠিক যেভাবে পায়রা বা সোনাদিয়া নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলো চীন, কিন্তু পরে সেই আশ্বাস যে কোন কারণেই হোক ফিরিয়ে নিয়েছে।
এখন মাতারবাড়িতেও যে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে, আদৌ সেটা শিওর বলা যাচ্ছে না।
হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। এটার মধ্যে তাদের ব্যবসায়ীক হিসেব নিকেশ আছে।
আবার ১০টা প্রকল্পের কথা দিলে একটা যদি চূড়ান্ত করে, তবে সেটার টাকাও ঠিকমত দেয় না।
আর দিলেও নানান তালবাহানা ও পলিসি করে।
যেমন, ধরেন- তারা একটা চূক্তি করলো-
অমুক প্রকল্পের জন্য অমুক দেশ ঋণ দেবে।
আমরা ভেবে বসলাম- অমুক দেশ মনে হয় টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসায় ফেলতেছে।
বাস্তবে চূক্তিটা এমনভাবে হয়- বাংলাদেশ দিবে ২০%, তারা হয়ত দিবে ৮০%।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাজেট করে সেই টাকা খরচ শুরু করে দেয়।
কাজ কিছুটা আগালে খবর আসে, অমুক দেশের অর্থায়নে অমুক প্রকল্পের কাজ শুরু।
এরপর যখন তাদের দেয়ার পালা আসে, তখন দেখা যায়, তারা ঐ প্রকল্পের জন্য নিজের দেশের শ্রমিক ইঞ্জিনিয়ার পাঠায় দিছে, একেক জনের বেতন ৮-১০ লক্ষ টাকা করে ধরা হইছে, সেগুলো তাদের ঋণ হিসেবে কাউন্ট হচ্ছে। এরপর ঐ দেশে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতি, মালামাল আসা শুরু করছে, সেগুলোও ঋণ হিসেবে কাউন্ট হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশের কোন প্রকল্পে কথিত ঐ দাতা দেশ নিজের দেশের মালামাল ও শ্রমিক উচু দরে বিক্রিও করলো আবার সেই টাকাটা সুদে আসলে বৃদ্ধি করে ফেরত নিলো। হিসেব করলে দেখা যাবে ৮০% এর মধ্যে ৬০-৭০% এভাবেই তাদের ব্যয় হয়ে যায়্। মানে এসব প্রকল্পে ঋণের নামে তাদের পণ্য/শ্রমিক বিক্রি করতে আসে এবং পরবর্তীতে সুদে আসলে তা ফেরত নেয়। বিষয়টা অনেকটা এরকম যে-
আপনি নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ। তো বাজারের এক বিলাশবহুল ঝাড়বাতি ব্যবসায়ী আছে। সেই ব্যবসায়ী আপনার এক বন্ধুকে কৌশল করে আপনার কাছে পাঠালো। সেই বন্ধু আপনাকে বুঝালো, ঝাড়বাতি আপনার পরিবারের জন্য খুব দরকার, আপনাকে অনেক উন্নত করবে এই ঝাড়বাতি, আপনার অনেক উপকার হবে, আপনার বাড়ি সিঙ্গাপুর-লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িঘরের মত দেখাবে। টাকার অভাব? সমস্যা নাই সেই বাকিতে দিবে, প্রয়োজনে কিস্তিকে টাকা ফেরত নিবে। এত এত সুবিধা দেখে আপনি নিম্নবত্ত পরিবারের মানুষ হয়েও সেই ঝাড়বাতি কিনে ঘরের ঝুলায় দিলেন। সত্যিই দেখতে সুন্দর বিশালবহুল সেই ঝাড়বাতি দেখে আপনার পরিবারে মূর্খ আন্ডা-বাচ্চারা খুব খুশি। সারাদিন সেটার দিকে তাকায় বসে থাকে।
আর দিলেও নানান তালবাহানা ও পলিসি করে।
যেমন, ধরেন- তারা একটা চূক্তি করলো-
অমুক প্রকল্পের জন্য অমুক দেশ ঋণ দেবে।
আমরা ভেবে বসলাম- অমুক দেশ মনে হয় টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসায় ফেলতেছে।
বাস্তবে চূক্তিটা এমনভাবে হয়- বাংলাদেশ দিবে ২০%, তারা হয়ত দিবে ৮০%।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাজেট করে সেই টাকা খরচ শুরু করে দেয়।
কাজ কিছুটা আগালে খবর আসে, অমুক দেশের অর্থায়নে অমুক প্রকল্পের কাজ শুরু।
এরপর যখন তাদের দেয়ার পালা আসে, তখন দেখা যায়, তারা ঐ প্রকল্পের জন্য নিজের দেশের শ্রমিক ইঞ্জিনিয়ার পাঠায় দিছে, একেক জনের বেতন ৮-১০ লক্ষ টাকা করে ধরা হইছে, সেগুলো তাদের ঋণ হিসেবে কাউন্ট হচ্ছে। এরপর ঐ দেশে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতি, মালামাল আসা শুরু করছে, সেগুলোও ঋণ হিসেবে কাউন্ট হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশের কোন প্রকল্পে কথিত ঐ দাতা দেশ নিজের দেশের মালামাল ও শ্রমিক উচু দরে বিক্রিও করলো আবার সেই টাকাটা সুদে আসলে বৃদ্ধি করে ফেরত নিলো। হিসেব করলে দেখা যাবে ৮০% এর মধ্যে ৬০-৭০% এভাবেই তাদের ব্যয় হয়ে যায়্। মানে এসব প্রকল্পে ঋণের নামে তাদের পণ্য/শ্রমিক বিক্রি করতে আসে এবং পরবর্তীতে সুদে আসলে তা ফেরত নেয়। বিষয়টা অনেকটা এরকম যে-
আপনি নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ। তো বাজারের এক বিলাশবহুল ঝাড়বাতি ব্যবসায়ী আছে। সেই ব্যবসায়ী আপনার এক বন্ধুকে কৌশল করে আপনার কাছে পাঠালো। সেই বন্ধু আপনাকে বুঝালো, ঝাড়বাতি আপনার পরিবারের জন্য খুব দরকার, আপনাকে অনেক উন্নত করবে এই ঝাড়বাতি, আপনার অনেক উপকার হবে, আপনার বাড়ি সিঙ্গাপুর-লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িঘরের মত দেখাবে। টাকার অভাব? সমস্যা নাই সেই বাকিতে দিবে, প্রয়োজনে কিস্তিকে টাকা ফেরত নিবে। এত এত সুবিধা দেখে আপনি নিম্নবত্ত পরিবারের মানুষ হয়েও সেই ঝাড়বাতি কিনে ঘরের ঝুলায় দিলেন। সত্যিই দেখতে সুন্দর বিশালবহুল সেই ঝাড়বাতি দেখে আপনার পরিবারে মূর্খ আন্ডা-বাচ্চারা খুব খুশি। সারাদিন সেটার দিকে তাকায় বসে থাকে।
কিন্তু পরবর্তীতে হিসেব করে দেখলেন ২০ হাজার টাকার ঝাড়বাতি আপনাকে বাকি দেয়ার নাম করে ৮০ হাজার টাকা দাম ধরেছে। এখন মাস শেষে যখন আপনি বেতন পেলেন, তখন সেই ঝাড়বাতির কিস্তি শোধ করার পালা। ঝাড়বাত্তির কিস্তি শোধ করতে গিয়ে দেখলেন- আপনার ছেলের স্কুলের বেতনে শর্ট পড়লো, কয়েক দিন পরিবার শুদ্ধু আলু ভর্তা-ডাল দিয়ে ভাত খেতে হলো, ঈদে বাচ্চাদের জামা কিনে দিতে পারলেন না, এক বাচ্চার অসুখ হলো, কিন্তু তাকে ভালো চিকিৎসা দিতে পারলেন না। মানে আপনার ঘরে ঝাড়বাতি আছে, দেখতে খুব সুন্দর, সবাই বাহবা দেয়, কিন্তু আপনার ঘরের মৌলিক চাহিদা পূরণে ঘাটতি হয়ে গেলো সেই ঝাড়বাতির কিস্তি দিতে গিয়ে। তবে লক্ষণীয় বিষয়, যে বন্ধুটি আপনাকে ঝাড়বাতির প্রশংসা আপনার গলায় ঝাড়বাতি ঝুলিয়ে দিয়েছিলো, আপনি প্রথম কিস্তি দেয়ার পর সেখান থেকে ১০-২০% কমিশন কিন্তু আপনার বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে সেই ঝাড়বাতি ব্যবসায়ী।
ঠিক একইভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে আসলে কথিত দাতা রাষ্ট্রগুলো তাদের পণ্য উচ্চমূল্যে আপনার কাছে বাকিতে গছায় দিচ্ছে। আর সেই টাকা আপনার দৈনন্দিন খরচ বৃদ্ধি করে সেখান থেকে কৌশলে কেটে নিচ্ছে। আপনি বুঝতেছেন আপনার খরচ বাড়ছে, কিন্তু কেন বাড়ছে সেটা টের পাচ্ছেন না। আর দেশী যে সব আমলা-কামলারা সেই সব বিদেশী প্রজেক্ট নিয়ে আসছে, নির্দ্দিষ্ট কমিশন ঐ দাতা রাষ্ট্র বা সংস্থার পক্ষ থেকেই আলাদাভাবেই তাদের কাছে পৌছে যাওয়ার কথা। আবার যত প্রজেক্ট তত বালিশকাণ্ড আর পর্দাকাণ্ড, সুতরাং আমলা-কামলাদেরও অন্যপথেও ইনকামের সুযোগ আছে। তাহলে তারা বিদেশীদের ধরে আনবে না কেন ? (চলবে)