অনেকে মোদিকে আরব আমিরাতের শাসক পুরস্কৃত করেছে দেখে খুব অবাক হচ্ছেন।
কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়টি বুঝলে এখানে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
মূলত আরব আমিরাতের বর্তমান শাসক বা সৌদির বর্তমান সালমান ও তার ছেলে, এরা সবাই আন্তর্জাতিকভাবে রিপাবলিকান ব্লক মেইনটেইন করে।
আর মোদিও যেহেতু রিপাবলিকান ব্লকের তাই,
তাই দুই দেশের একই দলের লোকের মধ্যে এত খাতির।
কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়টি বুঝলে এখানে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
মূলত আরব আমিরাতের বর্তমান শাসক বা সৌদির বর্তমান সালমান ও তার ছেলে, এরা সবাই আন্তর্জাতিকভাবে রিপাবলিকান ব্লক মেইনটেইন করে।
আর মোদিও যেহেতু রিপাবলিকান ব্লকের তাই,
তাই দুই দেশের একই দলের লোকের মধ্যে এত খাতির।
এখানে একটা বিষয় বোঝার আছে-
আওয়ামীলীগ কিন্তু রাশিয়ার পেট থেকে বের হইছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সাথে ভালো সম্পর্ক হইলো চীনের। তবে আওয়ামীলীগের মধ্যে রিপাবলিকান ব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করারও একটা প্রবণতা আছে। দুই বিপরীত ধর্মীয় গ্রুপ (রিপবালিকান ও চীন) এর ব্যালেন্স করার মাধ্যমে হয়ত শেখ হাসিনা চায় এসব সম্রাজ্যবাদীদের নেকনজর যেন শেখ হাসিনা ভিন্ন অন্য কোন রাজনৈতিক দলের দিকে না যায়। তবে লক্ষণীয় হলো আওয়ামীলীগের রিপাবালিকান ব্লক নেটওয়ার্কের সাথে কিন্তু রিপাবলিকান মোদির ডাইরেক্ট কোন যোগাযোগ দেখা যায় না।
আওয়ামীলীগ কিন্তু রাশিয়ার পেট থেকে বের হইছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সাথে ভালো সম্পর্ক হইলো চীনের। তবে আওয়ামীলীগের মধ্যে রিপাবলিকান ব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করারও একটা প্রবণতা আছে। দুই বিপরীত ধর্মীয় গ্রুপ (রিপবালিকান ও চীন) এর ব্যালেন্স করার মাধ্যমে হয়ত শেখ হাসিনা চায় এসব সম্রাজ্যবাদীদের নেকনজর যেন শেখ হাসিনা ভিন্ন অন্য কোন রাজনৈতিক দলের দিকে না যায়। তবে লক্ষণীয় হলো আওয়ামীলীগের রিপাবালিকান ব্লক নেটওয়ার্কের সাথে কিন্তু রিপাবলিকান মোদির ডাইরেক্ট কোন যোগাযোগ দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবরে যখন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক দিল্লীতে গেলো, তখন মোদি সরকার বললো- বাংলাদেশ যেন চীনের বেল্ড রোড ইনেশিয়েটিভ থেকে সরে আসে। তখন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বেশ শক্ত ভাষায় ভারতের কথা অস্বীকার করলো, এবং চীনের পক্ষে সমর্থন জানালো (https://bbc.in/30Bw1Cu)। আমার কাছে মনে হয়েছে, এ ঘটনার পর আওয়ামী-মোদি সরকারের মধ্যে একটা দূরত্ব দেখা যাচ্ছিলো।
কিন্তু শেখ হাসিনা মোদিকে পাশ কাটায় মিডল ইস্টের রিপাবলিক ব্লকের সাথে সংযুক্ত হওয়ার একটা প্রচেষ্টা দেখা যায়। অর্থাৎ রিপাবলিকান ব্লকের সাথে সম্পর্ক থাকবে, কিন্তু সেটা মোদির সাথে না হলেও মিডল ইস্টের মাধ্যমে হোক। এ কারণে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে শেখ হাসিনা সৌদি আরবের যুবরাজ বিন সালমান এবং নির্বাচনের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সফরে শেখ হাসিনা শেখদের মা ‘ফাতিমা বিনতে মুবারক রাশিদ আল মাকতুম’ এর সাথে আলাদা একটা সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। (https://bit.ly/2zmDrh8)।
আমার কাছে মনে হয়েছে, মিডল ইস্টে গিয়ে শীর্ষ রিপাবলিকানদের সাথে ব্যালেন্স করার পর মোদির ডিস্ট্রার্ব অনেকটাই কম ছিলো(অথবা মোদি নিজে দেশের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলো)। মোদির দ্বিতীয় নির্বাচনে জয় পর মোদি যখন হাত-পা খুলতে শুরু করেছে, তখনই প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে বিচার দেয়ার পর, আমার কাছে পরিস্থিতি একটু বেশি ঘোলা হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য প্রিয়া সাহা উগ্রহিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করে যারা রিপাবলিকান ব্লকের। আর ট্রাম্প তো নিজেই মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
প্রিয়া সাহার সাথে ট্রাম্পের সেই মিটিং শেখ হাসিনাকে এ বার্তা দেয়-
বাংলাদেশের রিপাবলিকান ব্লকের সদস্যরা শেখ হাসিনার ভিন্ন খুজছে। ব্যস এটুকু মেসেজই শেখ হাসিনাকে বেশ দুর্বল করে দেয়।
যার কারণে প্রিয়া সাহার ঘটনার পর আমার কাছে মোদি বা ট্রাম্পের কাছে শেখ হাসিনাকে একটু বেশি পরিমাণই দুর্বল বলে মনে হচ্ছে।
আর সে সুযোগ মোদি সরকার ও ট্রাম্প সরকার শেখ হাসিনা সরকার থেকে বেশ বড় বড় জিনিস দাবী করা শুরু করেছে আর শেখ হাসিনাও তাদের ঠাণ্ডা করতে বড় বড় জিনিস অফার করছে।
বাংলাদেশের রিপাবলিকান ব্লকের সদস্যরা শেখ হাসিনার ভিন্ন খুজছে। ব্যস এটুকু মেসেজই শেখ হাসিনাকে বেশ দুর্বল করে দেয়।
যার কারণে প্রিয়া সাহার ঘটনার পর আমার কাছে মোদি বা ট্রাম্পের কাছে শেখ হাসিনাকে একটু বেশি পরিমাণই দুর্বল বলে মনে হচ্ছে।
আর সে সুযোগ মোদি সরকার ও ট্রাম্প সরকার শেখ হাসিনা সরকার থেকে বেশ বড় বড় জিনিস দাবী করা শুরু করেছে আর শেখ হাসিনাও তাদের ঠাণ্ডা করতে বড় বড় জিনিস অফার করছে।
অতি সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক হেগের আদালতের রায়ে বাংলাদেশ যে সমুদ্র অঞ্চল বিজয় করে, সেই রায় বাতিল করে মোদি-হাসিনার সমঝোতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমানা নির্ধারণের ঘোষণা দেয়। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সীমানায় ১০টি গ্যাস ব্লক চলে আসে। এখন সেই রায় বাতিল করে যদি শেখ হাসিনা-মোদির মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমঝোতার ভিত্তিকে কিছু হয়, তবে দেখা যাবে গ্যাস ব্লক এলাকাগুলোকে বেছে বেছে ভারতকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। সোজা ভাষায়- সমুদ্র বিজয়ের পর যে সম্পদ দর্শণে ব্লু-ইকোনমির কথা শোনা যাচ্ছিলো, তা কিছুদিন পর ভারতীয় ব্লু ইকোনোমির সাথে সংযুক্ত হবে। (https://bit.ly/2KWDGGf, https://bit.ly/341v3l5,
সমুদ্র বিজয়ের বিস্তারিত-https://bit.ly/2U1TTgm)
সমুদ্র বিজয়ের বিস্তারিত-https://bit.ly/2U1TTgm)
আবার আজকে খবরে দেখছি,
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার।
খবরের পড়ে যা বুঝলাম-
যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনায় ‘আকসা’ আর ‘জিসোমিয়া’ সইয়ের কথা তুলেছে।
আকসা অর্থ- “দ্য একুইজেশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট”
জিসোমিয়া অর্থ- “জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট”
মূলত- এ অঞ্চলে চীনকে সামাল দিতে ভারত মহাসাগরে সামরিক ঘাটি এবং অস্ত্র ও রসদ বিস্তারের প্রয়োজন আমেরিকার। তারা এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। (https://bit.ly/2UdQtr3)
খবরের পড়ে যা বুঝলাম-
যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনায় ‘আকসা’ আর ‘জিসোমিয়া’ সইয়ের কথা তুলেছে।
আকসা অর্থ- “দ্য একুইজেশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট”
জিসোমিয়া অর্থ- “জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট”
মূলত- এ অঞ্চলে চীনকে সামাল দিতে ভারত মহাসাগরে সামরিক ঘাটি এবং অস্ত্র ও রসদ বিস্তারের প্রয়োজন আমেরিকার। তারা এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। (https://bit.ly/2UdQtr3)
আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রিয়া সাহার ঘটনার পর চীন ও রিপাবলিকানদের ব্যাপারে ব্যালেন্স করতে অতি তৎপর হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। তিনি হয়ত চাইছেন, দুইদলকেই তিনি খুশি রাখবেন, এতে দুই দলই তার উপর সন্তুষ্ট থাকবে, অন্তত ক্ষমতা ধরে টান দেবে না। কিন্তু দুই দলকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে তিনি নিজ দেশের অনেক কিছুই তাদের ভাগবাটোয়ারে করে বিলিয়ে দিচ্ছেন। এতে হয়ত তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারছেন, কিন্তু ধিরে ধিরে শূণ্য হয়ে পড়ছে দেশ ও জনগণ।