আজকে খবর দেখলাম- বাংলাদেশের সমস্ত মহাসড়কগুলোতে টোল আদায় করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রী।
খুব ভালো- ৫ লক্ষ কোটি বাজেট করছে, সেই টাকা দিয়ে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,
বড় বড় রাস্তাঘাট, সেতু করছে, এবার সেই খরচ জনগনকে বহন করতে হবে না ?
জনগণের থেকে থেকে নানান কায়দায় ট্যাক্স নিবে-
উঠতে ট্যাক্স নিবে, বসতে ট্যাক্স নিবে, ঘুমাইতে ট্যাক্স নিবে।
নাহলে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট আসবে কোথা থেকে ?
আজকে একজন বললো গ্রামগঞ্জেও নাকি টাক্সের লোকজন পৌছে গেছে।
কাঁচাবাড়ি, পাকাবাড়িগুলো থেকেও ট্যাক্স উঠাচ্ছে, যা আগে কখন হয়নি।
খুব ভালো- ৫ লক্ষ কোটি বাজেট করছে, সেই টাকা দিয়ে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,
বড় বড় রাস্তাঘাট, সেতু করছে, এবার সেই খরচ জনগনকে বহন করতে হবে না ?
জনগণের থেকে থেকে নানান কায়দায় ট্যাক্স নিবে-
উঠতে ট্যাক্স নিবে, বসতে ট্যাক্স নিবে, ঘুমাইতে ট্যাক্স নিবে।
নাহলে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট আসবে কোথা থেকে ?
আজকে একজন বললো গ্রামগঞ্জেও নাকি টাক্সের লোকজন পৌছে গেছে।
কাঁচাবাড়ি, পাকাবাড়িগুলো থেকেও ট্যাক্স উঠাচ্ছে, যা আগে কখন হয়নি।
যাই হোক, ট্যাক্স উঠাচ্ছে ভালো কথা,
কিন্তু এই দেশের মাটি, পানি, বায়ু রাস্তাঘাট ব্রীজ ফ্লাইওভার তো শুধু বাংলাদেশীরা ব্যবহার করে না,
১০ লক্ষ ভারতীয়, যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরীরত আছে তারাও ব্যবহার করে।
তাহলে তাদের ট্যাক্স কোথায় ? তারা কতজন ট্যাক্সের আওতায় আছে ?
সরকার এ বছর তাদের থেকে কতটাকা ট্যাক্স আদায় করেছে, তার হিসেবে কোথায় ?
কিন্তু এই দেশের মাটি, পানি, বায়ু রাস্তাঘাট ব্রীজ ফ্লাইওভার তো শুধু বাংলাদেশীরা ব্যবহার করে না,
১০ লক্ষ ভারতীয়, যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরীরত আছে তারাও ব্যবহার করে।
তাহলে তাদের ট্যাক্স কোথায় ? তারা কতজন ট্যাক্সের আওতায় আছে ?
সরকার এ বছর তাদের থেকে কতটাকা ট্যাক্স আদায় করেছে, তার হিসেবে কোথায় ?
ভারতীয় নাগরিকরা যদি বাংলাদেশে চাকুরী বৈধ পথে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের হিসেবে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায় (https://bit.ly/2NYwJrh)
তবে এদের থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা, যা দিয়ে প্রতি বছর ১টি করে পদ্মা সেতু অথবা ১টি করে মেট্রোরেল বানানো সম্ভব। কথা হলো- সরকার যদি বাংলাদেশী নাগরিকদের থেকে শুইতে, আর উঠতে বসতে ট্যাক্স নিতে পারে, তবে ভারতীয়দের থেকে ট্যাক্স তুলছে না কেন ? কেন জনগণকে হাইকোর্টের দ্বারস্ত হয়ে এইসব ভারতীয় নাগরিক থেকে ট্যাক্স নেয়ার জন্য রিট করতে হচ্ছে ?
সরকার এ ব্যাপারে উদাসহীন কেন ? নাকি রাষ্ট্রের ট্যাক্সকে ফাঁকি দিতে তারা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সাথে আলাদা লেনদেন করে সেটাও যাচাই বিবেচনা করা উচিত।
তবে এদের থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা, যা দিয়ে প্রতি বছর ১টি করে পদ্মা সেতু অথবা ১টি করে মেট্রোরেল বানানো সম্ভব। কথা হলো- সরকার যদি বাংলাদেশী নাগরিকদের থেকে শুইতে, আর উঠতে বসতে ট্যাক্স নিতে পারে, তবে ভারতীয়দের থেকে ট্যাক্স তুলছে না কেন ? কেন জনগণকে হাইকোর্টের দ্বারস্ত হয়ে এইসব ভারতীয় নাগরিক থেকে ট্যাক্স নেয়ার জন্য রিট করতে হচ্ছে ?
সরকার এ ব্যাপারে উদাসহীন কেন ? নাকি রাষ্ট্রের ট্যাক্সকে ফাঁকি দিতে তারা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সাথে আলাদা লেনদেন করে সেটাও যাচাই বিবেচনা করা উচিত।
মোটামুটি নিশ্চিত, এই সব ভারতীয় নাগরিক যে ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে, তার এ্যামাউন্ট অবশ্যই বিশাল। সম্প্রতি আগরতলা বিমানবন্দর বাংলাদেশের ভেতর এক কিলো ঢুকানোর জন্য যে অনুরোধ করেছে ভারত, আমার তো মনে হয়, সেই সব অবৈধ টাকা বিনাবাধায় দেশ পারাপারের জন্যই দেশের দেশের মধ্যে ভারতীয়দের একটি নিরাপদ ‘টেইক অফ জোন’ চায় ভারত। সে জন্যই দেশের ভেতর ভারতীয় বিমানবন্দর চাওয়া।
যাই হোক,
যে সব বাংলাদেশী মালিক, বাংলাদেশী নিয়োগ না দিয়ে ভারতীয় নিয়োগ দেন,
তাদের যুক্তি হলো- ভারতীয়দের দক্ষতা বাংলাদেশীদের থেকে বেশি।
কথা হলো- দক্ষতা তো কেউ মায়ের পেট থেকে নিয়ে জন্মায় না,প্রত্যেককে কষ্ট করে অর্জন করতে হয়।
তারা (বংলাদেশী মালিকরা) বিদেশী কর্মী নিচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তাদের এমন প্ল্যান আছে কি যে, তারা যে বিদেশী কর্মী/কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে, তারা এত বছরের মধ্যে তার তার জুনিয়র বাংলাদেশীকে তার কাজটা শিখিয়ে দিবে?
যে সব বাংলাদেশী মালিক, বাংলাদেশী নিয়োগ না দিয়ে ভারতীয় নিয়োগ দেন,
তাদের যুক্তি হলো- ভারতীয়দের দক্ষতা বাংলাদেশীদের থেকে বেশি।
কথা হলো- দক্ষতা তো কেউ মায়ের পেট থেকে নিয়ে জন্মায় না,প্রত্যেককে কষ্ট করে অর্জন করতে হয়।
তারা (বংলাদেশী মালিকরা) বিদেশী কর্মী নিচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তাদের এমন প্ল্যান আছে কি যে, তারা যে বিদেশী কর্মী/কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে, তারা এত বছরের মধ্যে তার তার জুনিয়র বাংলাদেশীকে তার কাজটা শিখিয়ে দিবে?
একটা ইতিহাস জেনে রাখা ভালো-
একটা সময় আমেরিকা-চীন কোয়ালিশন করেছিলো। অফিসিয়ালি সেটা শুরু হয় ১৯৭২ থেকে।
৯০’র এর সময় থেকে পশ্চিমের অনেক মালিক চীনে এসে ফ্যাক্টরি দেয়।
চীনই তাদের সুযোগ করে দেয়, প্রাইভেটাইজেশনের পক্ষে আইন করে।
পশ্চিমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো- তারা ফ্যাক্টরি দেবে এবং চীনারা লেবার হিসেবে কাজ করবে।
কিন্তু চীনরা করে ভিন্ন পলিসি। তারা পশ্চিমা এক্সপার্ট সাথে পাশে লেবার হিসেবে থাকার সাথে সাথে তাদের থেকে ধাপে ধাপে কাজ শিখতে থাকে। মোটামুটি দুই দশকের মধ্যে চীনারা ধাপের পর ধাপ পেরিয়ে অনেক কাজ শিখে ফেলে এবং পশ্চিমা কোম্পানির পাশাপাশি নিজেরও কোম্পানি দিতে থাকে এবং প্রডাকশন শুরু করে। ফলে এক সময় লেবার রাষ্ট্র চীন বিশ্বের অন্যতম বড় রফতানিকারক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
শুধু তাই নয়, তারা সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে ডিঙ্গিয়ে নিজেরাই সুপার পাওয়ার হওয়ার সপ্ন দেখছে সেই ব্যবসার জোরে।
একটা সময় আমেরিকা-চীন কোয়ালিশন করেছিলো। অফিসিয়ালি সেটা শুরু হয় ১৯৭২ থেকে।
৯০’র এর সময় থেকে পশ্চিমের অনেক মালিক চীনে এসে ফ্যাক্টরি দেয়।
চীনই তাদের সুযোগ করে দেয়, প্রাইভেটাইজেশনের পক্ষে আইন করে।
পশ্চিমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো- তারা ফ্যাক্টরি দেবে এবং চীনারা লেবার হিসেবে কাজ করবে।
কিন্তু চীনরা করে ভিন্ন পলিসি। তারা পশ্চিমা এক্সপার্ট সাথে পাশে লেবার হিসেবে থাকার সাথে সাথে তাদের থেকে ধাপে ধাপে কাজ শিখতে থাকে। মোটামুটি দুই দশকের মধ্যে চীনারা ধাপের পর ধাপ পেরিয়ে অনেক কাজ শিখে ফেলে এবং পশ্চিমা কোম্পানির পাশাপাশি নিজেরও কোম্পানি দিতে থাকে এবং প্রডাকশন শুরু করে। ফলে এক সময় লেবার রাষ্ট্র চীন বিশ্বের অন্যতম বড় রফতানিকারক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
শুধু তাই নয়, তারা সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে ডিঙ্গিয়ে নিজেরাই সুপার পাওয়ার হওয়ার সপ্ন দেখছে সেই ব্যবসার জোরে।
আমার বলার উদ্দেশ্য- চীনারা যদি পশ্চিমা এক্সপার্টদের থেকে শিখে নিজেরা বিশ্বের বড় রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে,
তবে আমরা বাংলাদেশীরা ভারতীয় দুইচারটা পদের স্কিল শিখে নিজের দেশের দায়িত্ব নিজের কাধে নিতে পারবো না ?
এটা কি কঠিন কোন কিছু ? চীনাদের পুরো শক্তিশালী হতে যদি ২০ বছর লাগে, তবে আমাদের শিখতে কি ৫ বছরের বেশি সময় লাগবে ?
তাহলে আমদের দক্ষতা নেই, শিক্ষা নেই এগুলো নিয়ে এত হাউকাউ কেন ?
আমাদের পাওয়ারকে নলেজ আর স্কিল দিতে মুরব্বীরা কতটুকু কাজ করেছে, সেটাও জানা উচিত।
আমি তো বলবো- এখানে মালিকদের গাফেলতি আছে কিংবা তারা এসব নিয়ে চিন্তা করাকে বোঝা মনে করেন।
ভাবেন বিদেশীদের হাতে কোম্পানি তুলে দিয়েছে তো নিশ্চিন্ত হয়েছি। অথবা কেউ তাদের মধ্যে ফলস বিলিভ ঢুকিযে দিয়েছে-
বাংলাদেশীদের পক্ষে সম্ভব নয়, ভারতীদের পক্ষেই সম্ভব। তাই চোখ বন্ধ করে ভারতীয়দের হাতে কোম্পানি দিন।
তবে আমরা বাংলাদেশীরা ভারতীয় দুইচারটা পদের স্কিল শিখে নিজের দেশের দায়িত্ব নিজের কাধে নিতে পারবো না ?
এটা কি কঠিন কোন কিছু ? চীনাদের পুরো শক্তিশালী হতে যদি ২০ বছর লাগে, তবে আমাদের শিখতে কি ৫ বছরের বেশি সময় লাগবে ?
তাহলে আমদের দক্ষতা নেই, শিক্ষা নেই এগুলো নিয়ে এত হাউকাউ কেন ?
আমাদের পাওয়ারকে নলেজ আর স্কিল দিতে মুরব্বীরা কতটুকু কাজ করেছে, সেটাও জানা উচিত।
আমি তো বলবো- এখানে মালিকদের গাফেলতি আছে কিংবা তারা এসব নিয়ে চিন্তা করাকে বোঝা মনে করেন।
ভাবেন বিদেশীদের হাতে কোম্পানি তুলে দিয়েছে তো নিশ্চিন্ত হয়েছি। অথবা কেউ তাদের মধ্যে ফলস বিলিভ ঢুকিযে দিয়েছে-
বাংলাদেশীদের পক্ষে সম্ভব নয়, ভারতীদের পক্ষেই সম্ভব। তাই চোখ বন্ধ করে ভারতীয়দের হাতে কোম্পানি দিন।
অথচ- মালিকরা যে তিন-চারগুন বেশি বেতন দিয়ে ভারতীয়দের টানছেন,
সেই বেতন অফার করলে অনেক স্কিলড বাংলাদেশী যারা প্রবাসে কর্মরত আছেন,
তারাও সেটা গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসতে পারতো।
সবার নিশ্চয়ই পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে থাকতে ভালো লাগে না।
সেই বেতন অফার করলে অনেক স্কিলড বাংলাদেশী যারা প্রবাসে কর্মরত আছেন,
তারাও সেটা গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসতে পারতো।
সবার নিশ্চয়ই পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে থাকতে ভালো লাগে না।
আমি বলবো- কোম্পানির মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে,
কারণ তারাই তাদের কোম্পানির বড় বড় পদে ভারতীয় নিয়োগ দিয়ে রেখেছে।
তারা যদি ২, ৩ বা ৫ বছরের উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশী দক্ষ স্ট্যাফ তৈরী করে ভারতীয়দের বাদ দিতে পারে,
তবে তাদেরও ভারতীয়দের পেছনে মোটা বেতন খরচ করতে হবে না।
বাংলাদেশীরা ভারতীয়দের তুলনায় ৩ বা ২ ভাগের ১ ভাগে বেতন দিলেই খুশি থাকবে।
যা কোম্পানির খরচ হ্রাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কারণ তারাই তাদের কোম্পানির বড় বড় পদে ভারতীয় নিয়োগ দিয়ে রেখেছে।
তারা যদি ২, ৩ বা ৫ বছরের উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশী দক্ষ স্ট্যাফ তৈরী করে ভারতীয়দের বাদ দিতে পারে,
তবে তাদেরও ভারতীয়দের পেছনে মোটা বেতন খরচ করতে হবে না।
বাংলাদেশীরা ভারতীয়দের তুলনায় ৩ বা ২ ভাগের ১ ভাগে বেতন দিলেই খুশি থাকবে।
যা কোম্পানির খরচ হ্রাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।