আজকে সংসদে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার বলেছে, “পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। (https://bit.ly/2lL4y1Y)
সত্যি বলতে, এসব মুখের কথা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। সরকারকে বাস্তবেই কোটি কোটি ইউক্যালিপটাস আর আকাশমনি গাছ কেটে প্রমাণ করতে হবে, সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। কারণ এই ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতির কথা সরকার বহু আগে থেকেই বলছে, কিন্তু সেটা শুধু মুখে মুখে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ইউক্যালিপটাস গাছের নাম দিয়েছিলেন, ‘হতচ্ছাড়া গাছ’। কিন্তু ঐ মুখ পর্যন্ত, বাস্তবে দেশজুড়ে এই ক্ষতিকর গাছ দুটি যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে খোদ সরকারের অবস্থানই প্রশ্ন বিদ্ধ।
উল্লেখ্য, ইউক্যালিপটাস গাছ ক্ষতিকর, এটা বের হওয়ার পর সরকার ২০০৮ সালে গাছটি নিষিদ্ধ করে। ২০১২ সালে সংসদ ভবনের ৪০০ ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেয় তৎকালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। (https://bit.ly/2kxhPLm)
কিন্তু সংসদ ভবনে কাটা হলেও দেশজুড়ে ইউক্যালিপটাস বা আকাশমনি গাছের বনায়ন বন্ধ হয়নি। দেশের জন্য ক্ষতিকর এই গাছ নিষিদ্ধেরও ১১ বছরের মধ্যে কেন সরকার কাটতে পারছে না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ আছে।
কিন্তু সংসদ ভবনে কাটা হলেও দেশজুড়ে ইউক্যালিপটাস বা আকাশমনি গাছের বনায়ন বন্ধ হয়নি। দেশের জন্য ক্ষতিকর এই গাছ নিষিদ্ধেরও ১১ বছরের মধ্যে কেন সরকার কাটতে পারছে না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ আছে।
কে নিয়ে আসলো এই গাছ ? অর্থায়ন করলো কে ??
১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের UNDP-এর মাধ্যমে এই বিদেশি প্রজাতির গাছ আমাদের দেশে আসে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলা পর্যায়ের “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি” এবং সরকারের বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, পাইন ইত্যাদি বিদেশি গাছ ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়েছে। গাছটিকে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাকের মত এনজিওরা স্বল্প খরচ ও ঋণে এই গাছের চারা দেশজুড়ে বিতরণ করে। এতে শুধু উত্তরাঞ্চলে ৪০ লক্ষ ইউক্যালিপটাস ছড়িয়ে পড়ে। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে কয়েক কোটি গাছ। শুষ্ক মৌসুমে বরেন্দ্র এলাকায় যে পানি সংকট দেখা দেয়, তার পেছনে অনেক কিছুকে দায়ী করা হলেও মূল কারণ হলো ইউক্যালিপটাস গাছের আধিক্য। অথচ বরেন্দ্র এলাকার কৃষকদের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, সরকার ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার পরিবর্তে কৃষকদের গম চাষে উব্ধুদ্ধ করতে ঋণ প্রদাণ করে। কারণ গম চাষ করতে কম পানি লাগে, কিন্তু ধানে পানি বেশি লাগে। শুষ্ক মৌসুম আসলে কৃষকরা সেখানে পানি পানি করে, সেই পানি পানি না করতেই গম চাষে উব্ধুদ্ধ করণ। অথচ এর পরেও ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার কথা বাস্তবায়ন করেনি সরকার। (https://bit.ly/2kwXG8d, https://bit.ly/2kywnKH)
১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের UNDP-এর মাধ্যমে এই বিদেশি প্রজাতির গাছ আমাদের দেশে আসে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলা পর্যায়ের “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি” এবং সরকারের বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, পাইন ইত্যাদি বিদেশি গাছ ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়েছে। গাছটিকে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাকের মত এনজিওরা স্বল্প খরচ ও ঋণে এই গাছের চারা দেশজুড়ে বিতরণ করে। এতে শুধু উত্তরাঞ্চলে ৪০ লক্ষ ইউক্যালিপটাস ছড়িয়ে পড়ে। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে কয়েক কোটি গাছ। শুষ্ক মৌসুমে বরেন্দ্র এলাকায় যে পানি সংকট দেখা দেয়, তার পেছনে অনেক কিছুকে দায়ী করা হলেও মূল কারণ হলো ইউক্যালিপটাস গাছের আধিক্য। অথচ বরেন্দ্র এলাকার কৃষকদের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, সরকার ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার পরিবর্তে কৃষকদের গম চাষে উব্ধুদ্ধ করতে ঋণ প্রদাণ করে। কারণ গম চাষ করতে কম পানি লাগে, কিন্তু ধানে পানি বেশি লাগে। শুষ্ক মৌসুম আসলে কৃষকরা সেখানে পানি পানি করে, সেই পানি পানি না করতেই গম চাষে উব্ধুদ্ধ করণ। অথচ এর পরেও ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার কথা বাস্তবায়ন করেনি সরকার। (https://bit.ly/2kwXG8d, https://bit.ly/2kywnKH)
বিষাক্ত ইউক্যালিপটাস গাছে ক্ষতিসমূহ-
১. ইউক্যালিপটাস এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যায়।
২. সেচ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৩. ১০-১২ ফুট সীমানার পানি শোষণ করে।
৪. এর আশে পাশে অন্য গাছ বা ফসল জন্মাতে পারে না।
৫. পাতা ও রেণু মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
৬. পাখি বাসা বাধতে পারে না। সহজে পাখি বসে না। (এজন্য যেখানে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে, সেখানে পাখির কিচির মিচির শব্দ শোনা যায় না।)
৭. বেশি পানি শোষণের ফলে উত্তরবঙ্গ মরুভূমির আকার ধারণ করছে।
৮. পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘন্টায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে শুষ্ক করে তোলে।
৯. এ গাছ লাগানোর ২০-৩০ বছর পর, পাশাপাশি অন্য গাছ জন্মাতে পারে না।
১০. অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
১১. পাতা সহজে পচে মাটিতে মিশে না।
১২. পুকুরের পানি দূষণ করে।
১৩. মাটির গভীরে সর্বোচ্চ ৩০-৩৬ ফুট পর্যন্ত যায়, ইত্যাদি।
১৪. এর রেণু ও ধূলিকণা মানুষের হাঁপানি রোগ সৃষ্টির সহায়ক।
১৫. এই গাছটিতে অধিক পরিমাণে তেল থাকায় এটা বেশ দাহ্য এবং খোদ এর আবাসভূমি অস্ট্রেলিয়াতে একে অগ্নি সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আমাদের দেশের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০৩ সেন্টিমিটারের বেশি নয়। অথচ এ প্রজাতির গাছের জন্য স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭০০-৮০০ সেন্টিমিটার দরকার। ফলে আশপাশের এলাকা সবসময় শুষ্ক থাকায় দাবানল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬. ইউক্যালিপটাসের পাতার কারণে পরিবেশের অনেক উপকারি পোকা-মাকড় মারা যায়।
(https://bit.ly/2keDB6l, https://bit.ly/2Md4J2J, https://tinyurl.com/y4o6tvv4, https://www.youtube.com/watch?v=ZTMCZxP4woU)
২. সেচ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৩. ১০-১২ ফুট সীমানার পানি শোষণ করে।
৪. এর আশে পাশে অন্য গাছ বা ফসল জন্মাতে পারে না।
৫. পাতা ও রেণু মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
৬. পাখি বাসা বাধতে পারে না। সহজে পাখি বসে না। (এজন্য যেখানে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে, সেখানে পাখির কিচির মিচির শব্দ শোনা যায় না।)
৭. বেশি পানি শোষণের ফলে উত্তরবঙ্গ মরুভূমির আকার ধারণ করছে।
৮. পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘন্টায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে শুষ্ক করে তোলে।
৯. এ গাছ লাগানোর ২০-৩০ বছর পর, পাশাপাশি অন্য গাছ জন্মাতে পারে না।
১০. অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
১১. পাতা সহজে পচে মাটিতে মিশে না।
১২. পুকুরের পানি দূষণ করে।
১৩. মাটির গভীরে সর্বোচ্চ ৩০-৩৬ ফুট পর্যন্ত যায়, ইত্যাদি।
১৪. এর রেণু ও ধূলিকণা মানুষের হাঁপানি রোগ সৃষ্টির সহায়ক।
১৫. এই গাছটিতে অধিক পরিমাণে তেল থাকায় এটা বেশ দাহ্য এবং খোদ এর আবাসভূমি অস্ট্রেলিয়াতে একে অগ্নি সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আমাদের দেশের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০৩ সেন্টিমিটারের বেশি নয়। অথচ এ প্রজাতির গাছের জন্য স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭০০-৮০০ সেন্টিমিটার দরকার। ফলে আশপাশের এলাকা সবসময় শুষ্ক থাকায় দাবানল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬. ইউক্যালিপটাসের পাতার কারণে পরিবেশের অনেক উপকারি পোকা-মাকড় মারা যায়।
(https://bit.ly/2keDB6l, https://bit.ly/2Md4J2J, https://tinyurl.com/y4o6tvv4, https://www.youtube.com/watch?v=ZTMCZxP4woU)
আমার মনে হয়, বাংলাদেশের পরিবেশ ধ্বংষের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এই গাছ যতবেশি দিন দেশে থাকবে, ততদিন দেশের জনগণ ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। এ কারণে সরকার মুখে বললেও বাস্তবে এ গাছ কাটায় কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না। এখন যেহেতু সরকার মুখে হলেও স্বীকার করেছে, তাই জনগণের উচিত হবে, সরকার যেন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে গাছ কাটা শেষ করে, সেদিকে আওয়াজ তোলা।