বিভিন্ন রাস্তায় টোল আদায় নিয়ে দেখছি অনেকে অবাক হচ্ছে,
অথচ এগুলো যে দেশে হবে, তা আমি ২ বছর ধরে বহু আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যত আরো কি হবে বুঝতে আমার ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ নিয়ে অনেকগুলো লেখা আছে সেগুলো পড়লে সব ক্লিয়ার হবে যাবে।
২ বছর আগেই বলেছিলাম- বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসি আসছে।
এত সব ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, বড় বড় সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, টানেল, বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, নৌ বন্দর এগুলো হইলো কর্পোরেটোক্রেসির লক্ষণ। বিদেশ থেকে ঋণ এনে এই সব স্থাপনা তৈরী করা হবে এবং সেই ঋণ ট্যাক্সের (কর, আয়কর, মাসুল, টোল, ভ্যাট) মাধ্যমে আর মুদ্রাস্ফীতির (দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি) মাধ্যমে শোধ করতে হবে জনগণকে।
আরো বলেছিলাম- কর্পোরেটোক্রেসির মাধ্যমে অনুৎপাদশীল খাত (ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল) এ প্রচুর ব্যয়ের কারণে উৎপাদনশীল খাত দুর্বল হয়ে যাবে, ফলে দেশের উৎপাদনশীল খাতে পতন ঘটবে। এতে অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
আর সেই বেকারের সুবিধা নিবে দেশে আগত বিদেশী কর্পোরেটরা। তারা প্রতিযোগীতা করে সস্তায় শ্রম নিবে বাংলাদেশের জনগণের থেকে। বিদেশীরা যেন শিক্ষিত শ্রমিক পেতে পারে এজন্য দেশে কারিগরী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
আর জনগণের থেকে ঋণ নিয়ে এত বড় বড় স্থাপনা জনগণের জন্য করা হচ্ছে না, করা হচ্ছে আসলে বিদেশী কর্পোরেটদের সুবিধার জন্য। তারা এগুলো ব্যবহার করে সারা দেশ জুড়ে স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা ও ব্যবসা করবে। এছাড়া তাদের জন্য দেশ সুন্দর করে দেশ সাজানো হচ্ছে, ফুটপাথে হকার উচ্ছেদ, রিকশা উচ্ছেদ করে রাস্তা সাজানো, বস্তি উচ্ছেদ, নদী-লেকের পাশে পর্যটন কেন্দ্র বানানো এগুলো সব তাদের জন্যই হচ্ছে।
তবে শুধু পর্যটনকেন্দ্র বানালেই হবে না, শুধু পর্যটন দেখে বিদেশীরা আসবে না, তাদের জন্য দেশী নারীর মাংশের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য নারীবাদ, নারী স্বাধীনতা নাম দিয়ে নারীদের সবকিছু সহজ করে ফেলা হবে, আর স্কুল থেকে শিশু বাচ্চাদের শিখিয়ে দেয়া হবে কিভাবে জন্মনিরোধীকরণ ব্যবস্থা রাখতে হয়, কারণ খুব শিঘ্রই দেশে পতিতাবৃদ্ধি এভলএবল করতে হবে।
ইতিমধ্যে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক জোন বানিয়ে বিদেশী কর্পোরেটদের ডাকাও শুরু করেছে এবং ভারত, জাপান, চীনের অনক কোম্পানি ইতিমধ্যে সেগুলোতে নামও লিখিয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ প্রথম কর্পোরেটোক্রেসির শিকার হয়েছিলো ২০০ বছর আগে ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসনের মাধ্যমে। যদিও ১০০ বছর পর সেটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। বর্তমানে কর্পোরেটোক্রেসির আক্রান্ত দেশের ভালো উদহারণ হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্র দেশগুলো আর আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো।
কর্পোরেটোক্রেসি মানে বিদেশী সম্রাজ্যবাদী কপোরেটদের শাসন প্রতিষ্ঠা, যা তারা ব্যবসায়ীক মোড়কে করে। আর এক্ষেত্রে কর্পোরেটদের কাছে দেশ বিক্রিতে মূল রাখে ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার।
অথচ এগুলো যে দেশে হবে, তা আমি ২ বছর ধরে বহু আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যত আরো কি হবে বুঝতে আমার ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ নিয়ে অনেকগুলো লেখা আছে সেগুলো পড়লে সব ক্লিয়ার হবে যাবে।
২ বছর আগেই বলেছিলাম- বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসি আসছে।
এত সব ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, বড় বড় সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, টানেল, বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, নৌ বন্দর এগুলো হইলো কর্পোরেটোক্রেসির লক্ষণ। বিদেশ থেকে ঋণ এনে এই সব স্থাপনা তৈরী করা হবে এবং সেই ঋণ ট্যাক্সের (কর, আয়কর, মাসুল, টোল, ভ্যাট) মাধ্যমে আর মুদ্রাস্ফীতির (দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি) মাধ্যমে শোধ করতে হবে জনগণকে।
আরো বলেছিলাম- কর্পোরেটোক্রেসির মাধ্যমে অনুৎপাদশীল খাত (ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল) এ প্রচুর ব্যয়ের কারণে উৎপাদনশীল খাত দুর্বল হয়ে যাবে, ফলে দেশের উৎপাদনশীল খাতে পতন ঘটবে। এতে অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
আর সেই বেকারের সুবিধা নিবে দেশে আগত বিদেশী কর্পোরেটরা। তারা প্রতিযোগীতা করে সস্তায় শ্রম নিবে বাংলাদেশের জনগণের থেকে। বিদেশীরা যেন শিক্ষিত শ্রমিক পেতে পারে এজন্য দেশে কারিগরী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
আর জনগণের থেকে ঋণ নিয়ে এত বড় বড় স্থাপনা জনগণের জন্য করা হচ্ছে না, করা হচ্ছে আসলে বিদেশী কর্পোরেটদের সুবিধার জন্য। তারা এগুলো ব্যবহার করে সারা দেশ জুড়ে স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা ও ব্যবসা করবে। এছাড়া তাদের জন্য দেশ সুন্দর করে দেশ সাজানো হচ্ছে, ফুটপাথে হকার উচ্ছেদ, রিকশা উচ্ছেদ করে রাস্তা সাজানো, বস্তি উচ্ছেদ, নদী-লেকের পাশে পর্যটন কেন্দ্র বানানো এগুলো সব তাদের জন্যই হচ্ছে।
তবে শুধু পর্যটনকেন্দ্র বানালেই হবে না, শুধু পর্যটন দেখে বিদেশীরা আসবে না, তাদের জন্য দেশী নারীর মাংশের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য নারীবাদ, নারী স্বাধীনতা নাম দিয়ে নারীদের সবকিছু সহজ করে ফেলা হবে, আর স্কুল থেকে শিশু বাচ্চাদের শিখিয়ে দেয়া হবে কিভাবে জন্মনিরোধীকরণ ব্যবস্থা রাখতে হয়, কারণ খুব শিঘ্রই দেশে পতিতাবৃদ্ধি এভলএবল করতে হবে।
ইতিমধ্যে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক জোন বানিয়ে বিদেশী কর্পোরেটদের ডাকাও শুরু করেছে এবং ভারত, জাপান, চীনের অনক কোম্পানি ইতিমধ্যে সেগুলোতে নামও লিখিয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ প্রথম কর্পোরেটোক্রেসির শিকার হয়েছিলো ২০০ বছর আগে ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসনের মাধ্যমে। যদিও ১০০ বছর পর সেটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। বর্তমানে কর্পোরেটোক্রেসির আক্রান্ত দেশের ভালো উদহারণ হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্র দেশগুলো আর আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো।
কর্পোরেটোক্রেসি মানে বিদেশী সম্রাজ্যবাদী কপোরেটদের শাসন প্রতিষ্ঠা, যা তারা ব্যবসায়ীক মোড়কে করে। আর এক্ষেত্রে কর্পোরেটদের কাছে দেশ বিক্রিতে মূল রাখে ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার।
সমস্যা হলো- স্বাধীনতার ৪৭ বছর হয়ে গেছে, আমাদের এখন নিজের পায়ে দাড়ানোর মত যথেষ্ট অবস্থা হয়েছে, কিন্তু সেটা না করে ফের বিদেশী কর্পোরেটদের শিকলে দেশকে মুড়িয়ে নেয়ার যে লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি, তা সত্যিই দুঃখজনক।
দেশপ্রেমিক জনগণ যদি পৃথক কিছু চিন্তা করতে পারতো, তবে কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্র থেকে কৌশলে বেড়িয়ে দেশকে জনগণের পক্ষে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলো। কিন্তু সমস্যা অধিকাংশ জনগণ হুজুগে, বিভেদপ্রেমী এবং স্বার্থবাদী। এ লক্ষণগুলো না এড়ালে ষড়যন্ত্রকারীদের এত কৌশলী পলিসি মোকাবেলা করা কখন সম্ভব হবে না।
দেশপ্রেমিক জনগণ যদি পৃথক কিছু চিন্তা করতে পারতো, তবে কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্র থেকে কৌশলে বেড়িয়ে দেশকে জনগণের পক্ষে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলো। কিন্তু সমস্যা অধিকাংশ জনগণ হুজুগে, বিভেদপ্রেমী এবং স্বার্থবাদী। এ লক্ষণগুলো না এড়ালে ষড়যন্ত্রকারীদের এত কৌশলী পলিসি মোকাবেলা করা কখন সম্ভব হবে না।