প্রশ্ন-১:
ভাই আপনি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কথা বলে খালি ব্লক ব্লক করেন,
অমুকে তমুক ব্লকের সদস্য, তমুকে অমুক ব্লকের সদস্য।
আচ্ছা ব্লক জিনিসটা কি ?
ভাই আপনি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কথা বলে খালি ব্লক ব্লক করেন,
অমুকে তমুক ব্লকের সদস্য, তমুকে অমুক ব্লকের সদস্য।
আচ্ছা ব্লক জিনিসটা কি ?
উত্তর-
ব্লক হইলো এক ধরনের সিন্ডিকেট।
অনেকে হয়ত বুঝে না সিন্ডিকেট জিনিস টা কি ?
রোজায় পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সবাই সিন্ডিকেটকে দায়ী করে, চামড়ার দাম পরে গেলে সবাই ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেটকে দায়ী করে, ধানের দাম পড়ে গেলে সবাই রাইস মিলগুলো সিন্ডিকেটকে দায়ী করে।
সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেট মানে হইলো অনেকগুলো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এক জোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিছে তারা সবাই এক রকম করবে, ভিন্ন রকম করবে না। তাদের একতাবদ্ধ সিদ্ধান্তের কারণে পুরো মার্কেটের দাম ইচ্ছাকৃত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হয়। কিন্তু তাদের ক্রেতা বা বিক্রেতারা তো বিচ্ছিন্ন, তারা বিষয়টি বুঝতে পারে না, আসলেই বিষয়টি কৃত্তিমভাবে করা হচ্ছে, নাকি পণ্য সরবরাহ হ্রাস/বৃদ্ধির কারণে দাম উঠানামা করছে। দেখা যায়, সিন্ডিকেটের সদস্যরা মুখে মুখে বলছে- পণ্যের সরবরাহ হ্রাস/বৃদ্ধির কারণে এভাবে দাম ওঠা নামা করছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা সবাই একত্র বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইচ্ছাকৃত দাম উঠাবে/নামাবে, কিন্তু সবাই একযোগে করলে সাধারণ মানুষ বিষয়টি ধরতে পারবে না। এজন্য একটা কথা বেশ মুখরোচক, “সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি”।
ঠিক একইভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ব্লকগুলো হচ্ছে এক ধরনের সিন্ডিকেট। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক পরিচয়ে এই সিন্ডিকেটের লোক আছে। এই সিন্ডিকেটের আন্তর্জাতিকভাবে সম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য উদ্দেশ্য আছে। তারা বিভিন্ন দেশের সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে এমন কাজ করায়, যেন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ঐ রাষ্ট্রটি সিন্ডিকেটের সম্রাজ্যবাদী স্বার্থের দিকে অগ্রসর হয়।
ব্লক হইলো এক ধরনের সিন্ডিকেট।
অনেকে হয়ত বুঝে না সিন্ডিকেট জিনিস টা কি ?
রোজায় পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সবাই সিন্ডিকেটকে দায়ী করে, চামড়ার দাম পরে গেলে সবাই ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেটকে দায়ী করে, ধানের দাম পড়ে গেলে সবাই রাইস মিলগুলো সিন্ডিকেটকে দায়ী করে।
সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেট মানে হইলো অনেকগুলো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এক জোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিছে তারা সবাই এক রকম করবে, ভিন্ন রকম করবে না। তাদের একতাবদ্ধ সিদ্ধান্তের কারণে পুরো মার্কেটের দাম ইচ্ছাকৃত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হয়। কিন্তু তাদের ক্রেতা বা বিক্রেতারা তো বিচ্ছিন্ন, তারা বিষয়টি বুঝতে পারে না, আসলেই বিষয়টি কৃত্তিমভাবে করা হচ্ছে, নাকি পণ্য সরবরাহ হ্রাস/বৃদ্ধির কারণে দাম উঠানামা করছে। দেখা যায়, সিন্ডিকেটের সদস্যরা মুখে মুখে বলছে- পণ্যের সরবরাহ হ্রাস/বৃদ্ধির কারণে এভাবে দাম ওঠা নামা করছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা সবাই একত্র বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইচ্ছাকৃত দাম উঠাবে/নামাবে, কিন্তু সবাই একযোগে করলে সাধারণ মানুষ বিষয়টি ধরতে পারবে না। এজন্য একটা কথা বেশ মুখরোচক, “সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি”।
ঠিক একইভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ব্লকগুলো হচ্ছে এক ধরনের সিন্ডিকেট। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক পরিচয়ে এই সিন্ডিকেটের লোক আছে। এই সিন্ডিকেটের আন্তর্জাতিকভাবে সম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য উদ্দেশ্য আছে। তারা বিভিন্ন দেশের সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে এমন কাজ করায়, যেন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ঐ রাষ্ট্রটি সিন্ডিকেটের সম্রাজ্যবাদী স্বার্থের দিকে অগ্রসর হয়।
প্রশ্ন-২:
আচ্ছা ভাই, এসব আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝে লাভ কি ? আমরা কি করতে পারবো ?
আচ্ছা ভাই, এসব আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝে লাভ কি ? আমরা কি করতে পারবো ?
উত্তর-
আসলে করতে পারবেন কি না-পারবেন সেটার আগে জানার দরকার হচ্ছে-
“আপনি নিজে কি চান ?”
আপনি কি নিজ থেকেই কিছু চাচ্ছেন?
নাকি মিডিয়ার আপনাকে যেটা বলতে বলতেছে, সেটাই আপনি মুখস্ত বলতেছেন ?
এজন্য আসলে আমরা জনগণ কি চাই, সেটা আগে বুঝতে হবে।
এবং সেই জনগণের চাওয়া শিখতেই আন্তর্জাতিক রাজনীতি শেখা।
এ কারণে- আমি একটা টার্ম বের করছি- ‘জনগণের ব্লক’।
ধরেন একটা বড় মাঠে খেলা হচ্ছে, খেলার প্লেয়ারদের নাম হচ্ছে-
ডেমোক্র্যাটিক ব্লক, রিপাবলিকান ব্লক, রুশ ব্লক, চায়না ব্লক, জনগণের ব্লক।
এখন ‘জনগণের ব্লক’ নামক প্লেয়ার মাঠে নামার আগে কি করবে ?
তিনটা কাজ করবে –
ক) মাঠে কোন কোন প্লেয়ার আছে, আগে সেটার খবর নিবে ।
খ) মাঠের প্লেয়াররা কে কেমন খেলে, কার কেমন পলিসি সেটা আগে জানাবে।
গ) এরপর সে সিদ্ধান্ত নিবে, কোন ভাবে খেললে নিজ দলে জয় আসবে, এবং প্রতিপক্ষ তাকে পর্যুদস্ত করবে না।
এরপর সে মাঠে নামবে।
আসলে করতে পারবেন কি না-পারবেন সেটার আগে জানার দরকার হচ্ছে-
“আপনি নিজে কি চান ?”
আপনি কি নিজ থেকেই কিছু চাচ্ছেন?
নাকি মিডিয়ার আপনাকে যেটা বলতে বলতেছে, সেটাই আপনি মুখস্ত বলতেছেন ?
এজন্য আসলে আমরা জনগণ কি চাই, সেটা আগে বুঝতে হবে।
এবং সেই জনগণের চাওয়া শিখতেই আন্তর্জাতিক রাজনীতি শেখা।
এ কারণে- আমি একটা টার্ম বের করছি- ‘জনগণের ব্লক’।
ধরেন একটা বড় মাঠে খেলা হচ্ছে, খেলার প্লেয়ারদের নাম হচ্ছে-
ডেমোক্র্যাটিক ব্লক, রিপাবলিকান ব্লক, রুশ ব্লক, চায়না ব্লক, জনগণের ব্লক।
এখন ‘জনগণের ব্লক’ নামক প্লেয়ার মাঠে নামার আগে কি করবে ?
তিনটা কাজ করবে –
ক) মাঠে কোন কোন প্লেয়ার আছে, আগে সেটার খবর নিবে ।
খ) মাঠের প্লেয়াররা কে কেমন খেলে, কার কেমন পলিসি সেটা আগে জানাবে।
গ) এরপর সে সিদ্ধান্ত নিবে, কোন ভাবে খেললে নিজ দলে জয় আসবে, এবং প্রতিপক্ষ তাকে পর্যুদস্ত করবে না।
এরপর সে মাঠে নামবে।
সমস্যা হলো- রাজনৈতিক মাঠে বিভিন্ন প্লেয়ারদের না চেনার কারণে, বিভিন্ন ব্লকের নিজস্ব স্বার্থ ও ইচ্ছা তারা জনগণের উপর কৌশলে চাপিয়ে দেয়। তখন জনগণ নিজে মনে করে- ঐটা মনে হয় তার নিজস্ব ইচ্ছা ও চাওয়া। জনগণ নিজের ইচ্ছা মনে করে ঐ ইচ্ছার পক্ষে মাঠে নামে, গুলি খায়, লাশ হয়। কিন্তু এতে কিন্তু মোটেও জনগণের কোন লাভ হয় না, দিন শেষে লাভ নিয়ে যায় ঐ নির্দ্দিষ্ট ব্লকের সদস্যরা।
এজন্য নির্বাচনের আগে একটা নাটক দেখছিলাম। সেখানে দেখায়- এক রাজনৈতিক নেতা এক লোকের বাড়ি দখল করতে গিয়েছে। তো ঐ রাজনৈতিক নেতা ঐ ব্যক্তিকে হুশিয়ারী দিয়ে বলে- “তুমি যদি বাড়ি ছেড়ে না যাও, তবে জনগণ তোমার বাড়ি জোর করে নিয়ন্ত্রণে নেবে।”
তখন ঐ লোক বলে, “ভাই এখান জনগণ আসলো কোথা থেকে ? আপনি বাড়ি দখল করছেন, আর মুখে বলছেন- জনগণ আমার বাড়ি নিয়ে নেবে। এটা কেমন কথা ?”
তখন ঐ নেতা বললো- আরে ভাই, ঘটনা হইলো-
“লোকে যাকে জনগণ বলে, জনগণ সে নয়,
আমরা যাকে জনগণ বলি জনগণ সে হয়।”
এই নাটকের মতই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্বার্থন্বেশী গোষ্ঠীর ইচ্ছাকে জনগণের ইচ্ছা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, আর আমরা বেকুব জনগণ সেটাই নিয়েই লাফালাফি করছি।
আমাদের বলা হচ্ছে- গণতন্ত্র বা জনগণের তন্ত্র। কিন্তু বাস্তবে সেখানে জনগণের কোন ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে না, ঘটছে বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর ইচ্ছার।
আমাদের শেখানো হচ্ছে- মিডিয়ার বাংলা অর্থ গণমাধ্যম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মিডিয়া বিভিন্ন স্বার্থবাদী, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের হয়ে কাজ করছে।
তাই কোন কিছুর সামনে ‘গণ’ আর ‘জন’ দেখে অন্ধের মত না লাফিয়ে প্রকৃতঅর্থেই জনগণের স্বার্থ বিষয়টি বুঝতে হবে।
এজন্য নির্বাচনের আগে একটা নাটক দেখছিলাম। সেখানে দেখায়- এক রাজনৈতিক নেতা এক লোকের বাড়ি দখল করতে গিয়েছে। তো ঐ রাজনৈতিক নেতা ঐ ব্যক্তিকে হুশিয়ারী দিয়ে বলে- “তুমি যদি বাড়ি ছেড়ে না যাও, তবে জনগণ তোমার বাড়ি জোর করে নিয়ন্ত্রণে নেবে।”
তখন ঐ লোক বলে, “ভাই এখান জনগণ আসলো কোথা থেকে ? আপনি বাড়ি দখল করছেন, আর মুখে বলছেন- জনগণ আমার বাড়ি নিয়ে নেবে। এটা কেমন কথা ?”
তখন ঐ নেতা বললো- আরে ভাই, ঘটনা হইলো-
“লোকে যাকে জনগণ বলে, জনগণ সে নয়,
আমরা যাকে জনগণ বলি জনগণ সে হয়।”
এই নাটকের মতই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্বার্থন্বেশী গোষ্ঠীর ইচ্ছাকে জনগণের ইচ্ছা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, আর আমরা বেকুব জনগণ সেটাই নিয়েই লাফালাফি করছি।
আমাদের বলা হচ্ছে- গণতন্ত্র বা জনগণের তন্ত্র। কিন্তু বাস্তবে সেখানে জনগণের কোন ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে না, ঘটছে বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর ইচ্ছার।
আমাদের শেখানো হচ্ছে- মিডিয়ার বাংলা অর্থ গণমাধ্যম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মিডিয়া বিভিন্ন স্বার্থবাদী, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের হয়ে কাজ করছে।
তাই কোন কিছুর সামনে ‘গণ’ আর ‘জন’ দেখে অন্ধের মত না লাফিয়ে প্রকৃতঅর্থেই জনগণের স্বার্থ বিষয়টি বুঝতে হবে।
প্রশ্ন:৩-
ভাই দেশীয় রাজনীতি দেখলেই হয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতি শিখে লাভ কি ?
ভাই দেশীয় রাজনীতি দেখলেই হয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতি শিখে লাভ কি ?
উত্তর : অনেক লাভ। দেশীয় যে কোন বড় ঘটনা আসলে আন্তর্জাতিক পলিসি’র প্রতিফলন।
এক্ষেত্রে যদি আপনার আন্তর্জাতিক পলিসি ও রাজনীতি জানা থাকে, তবে আপনি অনেক কিছুই আগে ধারণা করতে পারবেন, যেটাকে অনেকে ভবিষ্যতবাণী বলে ভুল করতে পারে। আসলে বিষয়টি ভবিষ্যত বাণী না, আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা কোন কিছুই হুটহাট করে না, বহু আগে থেকেই প্ল্যানের মাধ্যমে করে। সেই প্ল্যানটা যদি ধরা যায়, তবে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। এবং সে অনুসারে প্ল্যান নেয়া যায়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতর উদাহরণ আন্তর্জাতিক অর্থনীতি দিয়ে দেই। যেমন, ধরুন-
এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সেক্টরে কর্পোরেটোক্রেসি আসতেছে, বিশ্বব্যাংক বুড়িগঙ্গার তীরে বিভিন্ন প্রজেক্ট নিচ্ছে ২০১৪-১৫ সাল থেকেই। তখন যদি আপনি সতর্ক হয়ে যান, এখানে কোন একটা স্যাবোটেজ ঘটতে পারে, এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্য ডিস্ট্রার্ব করার জন্য।
কিন্তু দেখা গেলো, সেটা সম্পর্কে আপনি জানেনই না। ২০১৯ এ এসে যখন সেখানে আগুন ধরে অনেক লোক মারা গেলো তখন আপনি অ্যানালাইসিস শুরু করলেন- আগুনটা সিলিন্ডার দিয়ে লাগলো না কেমিকেল দিয়ে লাগলো, ডান দিয়ে লাগলো নাকি বাম দিয়ে লাগলো, ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করলেন। ঐ এলাকার ব্যবসায়ী অন্য এলাকার ব্যবসায়ীদের দোষ দিতে থাকলো, আওয়ামীলীগ বিএনপি’র দোষ দিলো, বিএনপি আওামীলীগের। ব্যস এখানেই ঘুরপাক খেতে থাকলো। কিন্তু মূল যারা ঘটনা ঘটাইলো তারা সর্বদা আড়ালেই থেকে গেলো। আর আপনি ক্ষতি থেকেও বাচতে পারলেন না।
এক্ষেত্রে যদি আপনার আন্তর্জাতিক পলিসি ও রাজনীতি জানা থাকে, তবে আপনি অনেক কিছুই আগে ধারণা করতে পারবেন, যেটাকে অনেকে ভবিষ্যতবাণী বলে ভুল করতে পারে। আসলে বিষয়টি ভবিষ্যত বাণী না, আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা কোন কিছুই হুটহাট করে না, বহু আগে থেকেই প্ল্যানের মাধ্যমে করে। সেই প্ল্যানটা যদি ধরা যায়, তবে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। এবং সে অনুসারে প্ল্যান নেয়া যায়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতর উদাহরণ আন্তর্জাতিক অর্থনীতি দিয়ে দেই। যেমন, ধরুন-
এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সেক্টরে কর্পোরেটোক্রেসি আসতেছে, বিশ্বব্যাংক বুড়িগঙ্গার তীরে বিভিন্ন প্রজেক্ট নিচ্ছে ২০১৪-১৫ সাল থেকেই। তখন যদি আপনি সতর্ক হয়ে যান, এখানে কোন একটা স্যাবোটেজ ঘটতে পারে, এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্য ডিস্ট্রার্ব করার জন্য।
কিন্তু দেখা গেলো, সেটা সম্পর্কে আপনি জানেনই না। ২০১৯ এ এসে যখন সেখানে আগুন ধরে অনেক লোক মারা গেলো তখন আপনি অ্যানালাইসিস শুরু করলেন- আগুনটা সিলিন্ডার দিয়ে লাগলো না কেমিকেল দিয়ে লাগলো, ডান দিয়ে লাগলো নাকি বাম দিয়ে লাগলো, ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করলেন। ঐ এলাকার ব্যবসায়ী অন্য এলাকার ব্যবসায়ীদের দোষ দিতে থাকলো, আওয়ামীলীগ বিএনপি’র দোষ দিলো, বিএনপি আওামীলীগের। ব্যস এখানেই ঘুরপাক খেতে থাকলো। কিন্তু মূল যারা ঘটনা ঘটাইলো তারা সর্বদা আড়ালেই থেকে গেলো। আর আপনি ক্ষতি থেকেও বাচতে পারলেন না।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝলে এটাই সুবিধা- আপনি আগে থেকেই আন্তর্জাতিক প্ল্যান মেকারদের পলিসিগুলো ধরতে পারবেন, এবং সেই অনুসারে জনগণের প্ল্যান সাজাতে পারবেন। দেখা গেলো, ৫ বছর আগে তাদের পলিসি বুঝে, আপনি ছোট্ট একটা প্ল্যান নিলেন, জনগণকে সতর্ক করতে থাকলেন। আর তাতেই ৫ বছর পর আপনার দেশে আন্তর্জাতিক রাজনীতিকদের পলিসি বাস্তবায়নের গ্রাউন্ডই নষ্ট হয়ে গেছে। অর্থাৎ সমূহ খারাপ পরিস্থিতি আপনাকে সম্মুখিন হতে হচ্ছে না, আপনি সিম্পল পলিসি দিয়ে তাদেরকে দমন করতে পারছেন। এজন্য একটা কথা বলে- ছিদ্র শুরুতে ছোট থাকে, সেখানে সুই প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সেই সুই পরিমাণ ছিদ্র প্রথমে বন্ধ না করতে পারলে সেটা বড় হতে হতে হাতিও সেখান দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রগুলো সুই পর্যায়ে দমন করতে পারলে ভবিষ্যতে সেটা দিয়ে হাতি যাওয়ার প্ল্যান নষ্ট করে দেয়া সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখার কোন বিকল্প হতে পারে না।