সরকারের কথিত ‘জঙ্গী বিরোধী’ পলিসিতে পরিবর্তন আনা উচিত। এন.সি-৩০২
সরকারের কথিত ‘জঙ্গী বিরোধী’ 
পলিসিতে পরিবর্তন আনা উচিত

Image result for স্প্রিং
সরকারের কথিত ‘জঙ্গী বিরোধী’ পলিসিতে পরিবর্তন আনা উচিত
সরকার বর্তমানে কথিত জঙ্গীবাদ বিরোধীতে বেশ সক্রিয় অবস্থানে আছে বলে দাবী করেছে। আবার মাঝে মাঝে এমনও বক্তব্য দিচ্ছে, “মাদ্রাসায় পড়লে জঙ্গী হয় না, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে জঙ্গী হয়”। আমার মনে হয়েছে, সরকার নিজেই সন্দিহান আসলে কথিত জঙ্গীবিরোধীতায় তার অবস্থানটা কোথায় ? ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সরকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, অমুক অমুক লক্ষণ হলে সে জঙ্গী হতে পারে। যে দেশের শতকরা ৯৫% মুসলমান, সে দেশের টাখনুর উপর কাপড় পড়লো আর দাড়ি রাখা যদি জঙ্গীর লক্ষণ হয়, তবে সরকারের জঙ্গী ধরার কার্যক্রম হবে অনেকটা খড়ের গাদায় সুই খোঁজার মত।
আমার কাছে মনে হয়, জঙ্গী শব্দটার একটা ধর্মীয়করণ করা হয়েছে, এটা ভুল।
বর্তমানে সরকার যাদের জঙ্গী বুঝাতে চাইছে, তাদের উদ্দেশ্য হিসেব করে বিষয়টিকে ধর্মীয়করণ না করে রাজনৈতিককরণ করা ছিলো বুদ্ধিমানের কাজ এবং সেটাতে সরকারের বরং সুবিধা হতো এবং কাজ সহজ হতো।
বিষয়টি একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক বিবেচনা করলে, চীন বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়াতে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। আর আমেরিকা-ভারত সেটাতে বাধা দিচ্ছে। বর্তমানে পাকিস্তানের চীনা প্রজেক্টগুলোতে কথিত জঙ্গী হামলা হচ্ছে, শ্রীলংকায় চীনের প্রভাব বাড়তে থাকায় সেখানে কথিত জঙ্গী হামলা হলো, আবার মায়ানমারে কথিত জঙ্গীর প্রভাব দমনের অজুহাতে রোহিঙ্গাদের দমন করা হলো। তারমানে প্রত্যেক ক্ষেত্রে জঙ্গীপনা বৃদ্ধির সাথে চীনের প্রজেক্ট বৃদ্ধির একটা ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে। তারমানে যে গোষ্ঠীটি চাইছে চীনা প্রজেক্ট বৃদ্ধি না হোক, তারা কথিত জঙ্গীপনা তৈরী করছে।
এবার আসুন কথিত ‘জঙ্গীপনা’র ধর্মীয় সংজ্ঞা এড়িয়ে একটি রাজনৈতিক সংজ্ঞা দেই।
তাহলে নতুন সংজ্ঞা হবে- যারা বাংলাদেশের চীনা প্রজেক্টের বিরাধীতা করবে অথবা এমন কাজ করবে যাতে চীনা প্রজেক্ট বাধাগ্রস্ত হয়।
সরকার ও তার গোয়েন্দা সংস্থাদের উদ্দেশ্যে বলবো-
আপনারা যখন জঙ্গীর ধর্মীয় সংজ্ঞা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক সংজ্ঞার দিকে যাবেন, তখন-
১) আপনাদের শত্রুর অনেক কাছাকাছি পৌছাতে পারবেন।
২) খড়ের গাদায় সুই খুজতে হবে না।
৩) যারা কথিত জঙ্গীপনা তৈরী করে, তারা যে জঙ্গী দিয়ে সব সময় কাজ করবে তা নয়। যেমন কিছুদিন আগে পায়রাতে বাঙালী শ্রমিক –চীনা শ্রমিক দ্বন্দ্ব করে এক চীনাকে হত্যা করলো। যারা এ কাজটি করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু এক, আউটলুক ভিন্ন। সরকার কিন্তু জঙ্গীপনার পেছনে ঘুড়তে ঘুড়তে কাহিল, কিন্তু সরকারকে জঙ্গীপনার খরের গাদায় ঠেলে দিয়ে তারা যদি অন্যভাবে কাজ করে তবে বসে, তখন সরকারের বসে বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
৪) শুধু শ্রমিক নয়, উগ্র হিন্দু, উপজাতি, এনজিও, বুদ্ধিজীবি, নারীবাদি, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা, মিডিয়াসহ বিভিন্ন আউ্টলুকে ঐ বিশেষ গোষ্ঠীটি চীনা প্রজেক্ট বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকার যদি জঙ্গীপনার নাম দিয়ে খরের গাদায় সুই খোজায় ব্যস্ত থাকে, তবে অন্য অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা তাদের জণ্য সোজা হবে।
৫) “বাংলাদেশে জঙ্গীদের খুজতে হবে এবং ধরতে হবে”- এই প্রজেক্ট কিন্তু আমেরিকানদের শিখিয়ে দেয়া প্রজেক্ট। “বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ছেয়ে যাচ্ছে, সরকার যেন তাদের দমন করে” আমেরিকানদের তৈরী করা দালাল মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদরা কিন্তু প্রতিনিয়ত এইসব খবর প্রচার করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে কাউন্টার রেটোরিজম ট্রেনিং এর নাম দিয়ে ওদের দেশে নিয়ে ওদের মতবাদ মাথায় ঢুকাচ্ছে, আর সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের মাঝে জঙ্গী খোঁজার নাম দিয়ে জনগন আর সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে চলছে।
কথা হলো, বাংলাদেশের জঙ্গীবাদের উত্থান যদি ঘটবে, কেন ঘটবে?
আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষণ করলে, চীনা প্রজেক্ট দমনে আমেরিকান কৌশল ছাড়া এখানে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে না।
তাহলে আমি কথিত জঙ্গী দমন না করে, যারা চীনা প্রজেক্ট দমন করতে চায়, তাদের দমন করি, অথবা তাদেরকে নজরদারির মধ্যে রাখি, তাহলে তো বিষয়টি সহজ হয়ে যায়।
আফগান-রাশিয়া যুদ্ধ, ইরাক-আফগানিস্তানে হামলা, অনেক সময় গড়িয়েছে, অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে,
মার্কিন কৌশল এখন সারা বিশ্বে উন্মুক্ত। এক পচা শামুকে বার বার পা কাটা কোন সমাধান হতে পারে না।
মার্কিনপন্থীরা চাইবে সরকার তাদের নির্দেশিত পথে হাটুক, যেন আর্টিফিসিয়াল ফেসের দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে কাহিল হয়ে পড়ে। কে দাড়ি রাখলো, কে টাখনুর উপর কাপড় পড়লো, কে নিয়মিত নামাজ পড়লো, কোন মহিলা বোরকা পড়লো, এগুলো দিকে চোখ দিয়ে সরকারকে বিশাল মাঠে নামিয়ে জনগণ-সরকার দ্বন্দ্বের দিকে ঠেলে দিলো, আর অন্য দিক দিয়ে কার্য সিদ্ধি করা।
কিন্তু তখন সরকার অধিক স্ম্যার্ট হবে, যদি আমেরিকানদের দেখিয়ে দেয়া পথে না হেটে বা
কথিত জঙ্গী না খুজে, চীনা প্রজেক্ট বন্ধ করতে অরাজকতা তৈরীকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় উন্মুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে গেছে, অনেক দেশই আমেরিকানদের জঙ্গী জঙ্গী নাট্যকলার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট কথা বলছে, এক গর্তে বার বার পরা কখন বুদ্ধিমানে কাজ হতে পারে না।
আমি আবার বলছি, কথিত জঙ্গী দমনের নামে সরকারের উচিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে না লেগে,
যারা চীনা প্রজেক্টের বিরোধীতা করছে, তাদের বিরোধীতা করা, তাদের চোখে চোখে রাখা।
তাহলে কাজটা যায়গামত ও সহজ হবে।
কারণ দ্বন্দ্বটা চীন আর আমেরিকার মধ্যে। তাহলে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া তাদের ও তাদের সমর্থকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। সেই প্রভাব আমাদের সাধারণ জনগণের মধ্যে নিয়ে আসা কখন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ছবি: বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা সরকারের কথিত জঙ্গী লক্ষণ, যা খড়ের গাদায় সুই খোজার সামিল।
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে এক স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এন.সি-৩০১
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে এক স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা
Related image
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে এক স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা
স্বামীর নাম- শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ
স্ত্রীর নাম- আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি
সন্ত্রাসীর নাম- নয়ন বন্ড
নয়নের দাবী, মিন্নি তার সাবেক স্ত্রী। নয়নের দাবী, সত্য হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। মিন্নি নয়নের ‘এক্স’ হতেও পারে আবার বিষয়টি এক তরফাও হতে পারে। কিন্তু কথা হলো- ‘সুন্দরী’ মিন্নির প্রতি আসক্ত ছিলো নয়ন। রিফাত মিন্নিকে বিয়ে করলে নয়ন ক্ষেপে যায় এবং দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আজকের ঘটানাটি ভিডিওতে ধারণ হয়েছে বলে খুব আলোড়িত হচ্ছে, ঠিক যেমন হয়েছিলো, সিলেটে বদরুল কর্তৃক খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ‍কুপানোর ভিডিও। কিন্তু বাস্তবে খোজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বহু ঘটছে, কিছু লোকাল মিডিয়ায় আসছে, আর কিছু আসছে না।
সমাজে এ ধরনের বৃদ্ধির পেছনে যে কারণগুলো খুজে পাওয়া যাচ্ছে-
১) নারী-পুরুষের মাঝে বিয়ের আগে ‘এক্স’ কালচার বাড়ছে।
২) নারী-পুরুষের বিয়ের বয়ষ বাড়িয়ে দেয়ায়, অনেকে এক্স কালচারে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তী জীবনে ঐ ‘এক্স’ সমস্যা তৈরী করছে।
৩) বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় পর্দা প্রথা একটি জরুরী বিষয়। আগে মুসলিমরা পর্দা করতো, পরে মুসলিমদের দেখে হিন্দু নারীদেরকেও পর্দা করতে দেখা যায়। কিন্তু পর্দা প্রথা উঠে যাওয়ায় সমাজে বিরাট বিশৃঙ্খলতা দেখা দিয়েছে। উদাহরণ আজকের ঘটনা। যেমন- মিন্নিদের সাথে যদি নয়নদের আগে সম্পর্ক নাও থাকে, তবু মিন্নিরা পর্দা না করায়, অনেক সন্ত্রাসী এলাকার অনেক সুন্দরী মেয়েকে বউ ভেবে বসে আছে। যার কারণে ঐ সুন্দরীর বিয়ে হয়ে গেলে তার স্বামীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এক্ষেত্রে পর্দা প্রথার গুরুত্ব বোঝা যায়।
অনেকে হয়ত আজকের ঘটনা দেখে, আগে নয়নের ফাঁসি চাইবে,
কিন্তু আমি আগে নয়নের ফাঁসি চাইবো না।
যে মূল সমস্যাগুলোর কারণে সমাজে প্রতিনিয়ত রিফাতদের কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে,
সে মূল সমস্যাগুলো আগে সমাধান চাইবো।
আমাদের সমস্যার গোড়ায় ঢুকতে হবে, তাহলে সমাজে এ ধরনের অরাজকতার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
গতকালকে বরগুনায় রিফাত নামক এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর একটা স্ট্যাটাস দেয়ার পর, অনেকে অনেক ধরনের কমেন্ট করেছে। এন.সি- ৩০০
গতকালকে বরগুনায় রিফাত নামক এক 
যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর একটা স্ট্যাটাস দেয়ার পর, অনেকে অনেক ধরনের কমেন্ট করেছে।

Related image
গতকালকে বরগুনায় রিফাত নামক এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর একটা স্ট্যাটাস দেয়ার পর, অনেকে অনেক ধরনের কমেন্ট করেছে।
এর মধ্যে একদল কমেন্ট করেছে, “এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি দায়ী, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার হইলে, আজকে এ ঘটনা ঘটতো না।”
আরে ভাই- এখানে বিশ্বজিৎকে টানলেন কোন যুক্তিতে ?
সরকারের সমালোচনা করা ভালো, কিন্তু আন্দাজে সরকারের সমালোচনা করে নিজেরে গুরুত্বহীন বানাইয়েন না।
বিশ্বজিৎ হইলো একটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, আর রিফাত হত্যাকাণ্ড হইলো- এক মাইয়ারে নিয়ে দুই পোলার কামড়াকামড়ি। এ কামড়াকামড়ি আজকে প্রথম না, সেই শুরু থেকে চইলা আসতেছে। ইহুদী-খ্রিস্টান-মুসলমান তিন ধর্মে মতে পৃথিবীর প্রথম হত্যাকাণ্ড হইলো এক মেয়েকে নিয়ে। হেলেনকে নিয়ে ট্রয় সম্রাজ্য ধ্বংস হওয়ার ইতিহাস সবাই জানে। আমার কথা হইলো, বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের বিচার হইলে কি ঐঘটনাগুলোও থেমে যাইতো ?
আমার মনে হয়, যারা আমার বিরোধীতা করে, তারা হয় আমার লেখাগুলো ঠিকমত পড়ে না, অথবা পড়লেও বুঝতে পারে না। অথচ আমি একটা লাইন লেখার আগে অনেক ভেবে চিন্তে বুঝে কথা বলি। এবং আমার লেখা দ্বারা যেন বহুদূর পর্যন্ত মানুষ উপকৃত হয়, সে চিন্তা করি। যেমন- ঐ লেখায় আমি এক প্যারায় লিখছিলাম-
“আজকের ঘটানাটি ভিডিওতে ধারণ হয়েছে বলে খুব আলোড়িত হচ্ছে, ঠিক যেমন হয়েছিলো, সিলেটে বদরুল কর্তৃক খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ‍কুপানোর ভিডিও। কিন্তু বাস্তবে খোজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বহু ঘটছে, কিছু লোকাল মিডিয়ায় আসছে, আর কিছু আসছে না।”
এ অংশটুকু আমি কেন লিখেছিলাম, আসুন গত মে ও জুন মাসে মিডিয়ায় আসা কিছু খবর দেখি-
১) খবর প্রকাশ: ০৩ মে ২০১৯
খবর : চুয়াডাঙ্গায় এক কিশোরীকে ভালোবাসে দুই বন্ধু, এক বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করলো ১৪ বছরের আরেক বন্ধু
(https://bit.ly/2xfbfLUhttps://bit.ly/2Ybi9xL)
২) খবর প্রকাশ: ১০ মে ২০১৯
খবর: মাদারিপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা
(https://bit.ly/2FCQcHT)
৩) খবর প্রকাশ: মে ১১, ২০১৯
খবর: ময়মনসিংহে পরকীয়ার জেরে প্রেমিকা ও স্বামীকে কুপালো প্রেমিক, প্রেমিকা নিহত
(https://bit.ly/2XeaOBd)
৪) খবর প্রকাশ: ১৪ মে, ২০১৯
পরকীয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, বগুড়ায় মামিকে কুপিয়ে মেরে ভাগ্নের আত্মহত্যা
(https://bit.ly/2Nep20c)
৫) খবর প্রকাশ: ১৫ই মে, ২০১৯
খবর: যশোরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করলো স্ত্রীর প্রেমিক
(https://bit.ly/2YmvFPm)
৬) খবর প্রকাশ: জুন ১৪, ২০১৯
খরব: নড়াইলে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় দু’যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃত্তরা।
(https://bit.ly/2ZJQ7tE)
৭)খবর প্রকাশ: ১৯ জুন, ২০১৯
খবর: পরকিয়া প্রেম করে বিয়ে,শিবচরে সালিশ বৈঠকের আগে প্রেমিককে কুপিয়ে জখম...
(https://bit.ly/2X24IyV)
৮) খবর প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯
খবর : নারায়নগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম
(https://bit.ly/2Yg0eWP)
৯) খবর প্রকাশ: জুন ২০, ২০১৯
খবর: স্ত্রীর সাথে পরকীয়া, ঝিনাইদহে প্রেমিক মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে হত্যা করলো স্বামী
(https://bit.ly/2XhueoV)
১০) খবর প্রকাশ: ২০ জুন, ২০১৯
খবর: চাঁদপুরে প্রেমের ঘটনায় জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম
(https://bit.ly/2IRsABx)
কি বুঝলেন ?
বোঝা গেলে যেহেতু এই কোপাকুপির ঘটনাটা কেউ ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়ছিলো, তাই সেই ভিডিও দেখে পাবলিকের আবেগ শীর্ষে পৌছে গেছে, কিন্তু প্রতিনিয়ত এরকম বহু ঘটনা ঘটলেও সেগুলো ভিডিও হয় না দেখে পাবলিকের সেক্ষেত্রে আবেগও হয় না, এবং তার সম্পর্কে খবরও রাখে না।
আমি আমার লেখায় শুধু বলছিলাম, এক কুপানোর ঘটনার বিচার করলেই এর সমাধান হবে না। কারণ গত ২ মাসের খবরগুলো দেখেন অনেকগুলোর বিচারকাজ চলতেছে, তাই বলে কি নারী নিয়ে পুরুষের মধ্যে কামড়াকামড়ি থেমে গেছে ?
থামে নাই, থামবেও না। কারণ এই সমস্যা মানুষের আবেগের সাথে জড়িত, রাষ্ট্রীয় আইন দিয়ে এই সমস্যার কখন প্রকৃত সমাধান হবে না। বিচারকাজ চলতে পারে, তার গতিতে, সেটা কখন চূড়ান্ত সমাধান নয়।
এই সমস্যার গোড়ায় আঘাত করলে তার সমাধান হবে, যার সমাধান আমি আগের পোস্টে বলেছি, নারী-পুরুষের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া, ধর্মীয় পর্দা চালু করা এবং ধর্মীয় নৈতিকতা চর্চা বৃদ্ধি ছাড়া এই কুপাকুপি কখনই থামানো সম্ভব নয়।

মিন্নি-নয়ন ও সুশীল সমাজের কারসাজি । এন.সি- ২৯৯
মিন্নি-নয়ন ও সুশীল সমাজের কারসাজি

Related image
মিন্নি-নয়ন ও সুশীল সমাজের কারসাজি
“মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে বা পরকীয়া নিয়ে কোন আলোচনা করা যাবে না, করলেই খুনিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে। ” অথবা “হ্যা ভাই এটা অনেক পুরান কৌশল, নারীর চরিত্র নিয়ে চটকদার গল্প রটিয়ে দাও, তাহলে খুনিদের বাচানো সম্ভব।”
একটা সুশীল শ্রেণীকে ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের বক্তব্য দিতে।
যারা মিন্নি ও নয়নের বিয়ের কাবিন নামা,
কিংবা তাদের আগের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছে,
তাদেরকে নিচু মানসিকতা, ঘৃণ্য ব্যক্তি, খুনির দালাল ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে সমালোচনা করতেছে।
কিন্তু আমার কথা হলো, এটা কেন ?
একটা ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধান করা কি খারাপ ?
আপনি যদি রোগীর ডায়গোনোসিস না করেন, তবে ওষধ দিবেন কিভাবে ?
এর আগে একবার ছড়ালো, ধর্ষণের জন্য নারীর পোষাক দায়ী নয়। দলিল- ৫ বছরের শিশু তাহলে ধর্ষণ হয় কিভাবে ?
এদের কাজটাই হলো ভুল ডায়গোনোসিস করা, নয়ত অর্ধেক ব্যাখা দিয়ে সমাজের ক্ষত পুষে রাখা।
পরে আমি লিখলাম- পর্নোগ্রাফী হোক বা নারীর শর্ট পোষাক হোক, কোন মাধ্যমে পুরুষ উত্তেজিত হচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট নারীকে সে ধরাসায়ী না করতে পেরে ঐ নারী শিশুর উপর ঝপিয়ে পড়ছে।
এই ব্যাখ্যার পর দেখি তারা কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে।
যাই হোক, কথা হচ্ছিলো- রিফাত হত্যাকাণ্ড এবং মিন্নি ও নয়ন বন্ডের সম্পর্ক নিয়ে।
সুশীল সমাজের অংশ নারীবাদীরা সব সময় চাইবে মিন্নিকে সেভ করতে, কারণ মিন্নির দোষ যদি এখানে বের হয়, তবে নারীর উপর এমন কিছু শিকল আসবে, যা তাদের প্রজেক্ট বন্ধ করে দিবে। এ কারণে তারাই ‘এর জন্য বিচারহীন সংস্কৃতি দায়ী বলে’- একটা স্টেইটমেন্ট প্রচার করেছে।
মজার ব্যাপার হলো, প্রতিদিন বাংলাদেশের অসংখ্য ঘটনা ঘটে, এতে থানা-কোর্ট মিলিয়ে কয়েক হাজার মামলা হয়। সবগুলো ঘটনার জন্য কিন্তু রাস্তায় দাড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’ বলে শ্লোগান তুলতে হয় না, এমনি মামলা হয়। হয়ত বলতে পারেন, মামলা হয় কিন্তু বিচার শেষ হয় না। এর কারণ কি ?
এর কারণ মামলাগুলো থানা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, সেখান থেকে জর্জ কোর্ট হয়ে বিচারকাজ শেষ হয়। কিন্তু তারপর সেটা সুপ্রীম কোর্টের গিয়ে আটকে থাকে। এরকম লক্ষ লক্ষ মামলা সুপ্রীম কোর্টে গিয়ে আটকে রয়েছে, বিচারকাজ শেষ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিকোন থেকে সুশীল সমাজ ও নারীবাদীরা হলো মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লক প্রজেক্ট। এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের জাস্টিসদের একটি বড় অংশ ঐ মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মেইনটেইন করে। এই জাস্টিজরা ব্রিটিশ নিয়মে ৬ মাস ছুটি কাটায়, আর ৬ মাস অফিস করে। অপরদিকে খোলার (সপ্তাহে ৫ দিন) দিনে প্রতিদিন মাত্রে সাড়ে ৪ ঘন্টা করে ডিউটি করে। সকাল সাড়ে ১০টায় কোর্টে উঠে দুপুর ১ টায় নেমে যায় আবার দুপুর ২টায় কোর্টে উঠে বিকাল ৪টা নেমে যায়। জাস্টিসটা যদি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ডিউটি করতো তবে বিচারকাজ পূর্ণ হওয়ার গতি দ্বিগুন এবং ব্রিটিশ নিয়মে ৬ মাস ছুটি না কাটালে আরো দ্বিগুন, মানে সর্বমোট ৪ গুন গতিতে বিচারকাজ শেষ হইতো। ফলে কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হয় না, এটা মানুষ বলতে পারতো না।
আবার, স্বাধীনতার পর থেকে খুব কম সংখ্যক অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। কথিত সুশীল শ্রেণী বা মার্কিন ডেমোক্রেটিক ব্লকের একটা প্রজেক্ট হলো,তারা বিশ্বব্যাপী অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরুদ্ধচারণ করে। এই কারণে বহু খুনি ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড আদেশ হইলেও ফাঁসি কার্যকর করতে পারতেছে না কর্তৃপক্ষ।
আমার বলার উদ্দেশ্যে যারা আমাদের সাধারণ জনগণকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে শ্লোগান শিখিয়ে দিচ্ছে, তাদের সদস্যদের কারণেই আমরা জাস্টিজ পাচ্ছি না, খুনি-ধর্ষকের ফাঁসি হচ্ছে না, এটা কেন তারা বলে না ?
ধর্ষকের বিচার না হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ভুয়া ধর্ষন মামলা। আজকে দৈনিক প্রথম আলোর খরব- দুই ফ্যামিলিতে জমি নিয়ে জমি নিয়ে বিরোধ। সেই বিরোধের কারণে এক ফ্যামিলির মহিলাকে ভাড়াটে ধর্ষক দিয়ে ইন্টারকোর্স করিয়ে, ডাক্তারি রিপোর্ট সংগ্রহ করে তারপর ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণ মামলা করছে। (https://bit.ly/3248M5x)
যারা কোর্ট পাড়ায় যায়, তারা বলতে পারবেন, কতটা নারী নির্যাতন মামলা আসলেই রিয়েল তা নিয়ে সন্দেহ আছে। প্রায় আমরা মিডিয়াতে একটা খবরের শিরোনাম প্রায় দেখি- ‘বিয়ের প্রলভনে ধর্ষণ’।
অনেকে ফেসবুকে কমেন্ট করে- বিয়ের প্রলভনে আবার ধর্ষণ হয় কিভাবে ?
উল্লেখ্য,নারী নির্যাতনের কেইসগুলো খুব কঠিন। একবার ধরা পড়লে ৬ মাসের আগে জামিন পায় না। যে এই মামলায় একবার ফাঁসে তার টাকা পয়সা সব শেষ।
হ্যা নারী জাতির প্রতি সবার আলাদা সিমপ্যাথি আছে। কিন্তু সেই সিমপ্যাথিকে পূজি করে যদি পুরুষকে ভুয়া মামলায় ফাঁসানো হয়, বানোয়াট মামলা দিয়ে পুরুষের মা-বাবাকে কঠিন হয়রানি করা হয়, পথের ফকির বানায় দেয়া হয়, তবে পুরুষের নারীর প্রতি সিমপ্যাথি দিন শেষে কতটুকু অবশিষ্ট থাকে তা নিয়ে চিন্তার দরকার আছে।
চিন্তা করে দেখুন,
একদিকে, নারীর পোষাককে উন্মুক্ত করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরী করে চলেছেন।
আবার কোন ঘটনা ঘটে গেলে যখন আমরা কারণ অনুসন্ধান করছি, তখন সেটাতেও বাধা দিচ্ছেন- বলছেন, এর মাধ্যমে খুনিকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে, নারীকে চরিত্রকে টাগের্ট করা হচ্ছে।
তারমানে নারীর উপর দোষ চাপবে দেখে, আপনার মূল ঘটনার অনুসন্ধানও করতে দিচ্ছেন না,
ফলে মিতুর পরকীয়ার কারণে ডাক্তার আকাশ, রুমানার পরকীয়ার কারণে ইঞ্জিনিয়ার হাসান সাঈদ আর মিন্নির কারণে রিফাত জীবন দিতেই আছে। সমাজে অরাজকতা হয়েই চলেছে, কিন্তু মূল ঘটনার কোন সমাধান আসছে না।
অন্যদিকে আবার পুরুষের সিমপ্যাথিকে কাজে লাগিয়ে পুরুষকে ভুয়া মামলায় ফাঁসাচ্ছেন।
আবার আপনাদেরই লোক, ছুটি কাটাতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মামলা জমিয়ে পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে,
আবার আপনরাই খুনি-ধর্ষককে ফাঁসি দিতে বাধা দিচ্ছেন।
এই যে আপনারা সুশীল সমাজ (মার্কিন ডেমোক্রেটিক ব্লক) আমাদের নিয়ে খেলছেন,
জনগণকে (পুরুষ ও নারী) রুটি বানিয়ে গরম তাওয়ায় একবার একদিকে পুড়াচ্ছেন, আবার উল্টিয়ে অন্যদিকে পুড়াচ্ছে দুই দিকে পুড়ে আমরা কয়লা হচ্ছি, কিন্তু কোন সমাধান করতে দিচ্ছেন না।
দয়া করে জনগনকে নিয়ে আপনাদের এই খেলা বন্ধ করুন, বন্ধ করুন।
কোরবানীর উপর ট্যাক্স নিষিদ্ধ হোক । এন.সি- ২৯৮
কোরবানীর উপর ট্যাক্স নিষিদ্ধ হোক

Related image
কোরবানীর উপর ট্যাক্স নিষিদ্ধ হোক
কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে এবার ঢাকা শহরে বসবে ২৬টি পশুর হাট। হাটগুলো সরকার টেন্ডার ডেকে ইজারা দেয়। যেই ইজারার টাকা জমা পড়ে সরকারের রাজস্ব খাতে। প্রতি বছর যেটা দেখা যায়, সরকার যে রেটে ইজারা ডাকে তার ৪ ভাগের ১ ভাগও দরদাতা পাওয়া যায় না। কারণ পেছনে কাজ করে অদৃশ্য, হাত যারা টেন্ডার জমা দিতে দেয় না। দিলেও ২-১টা লাশ পড়লে টেন্ডার দাতাও লুকিয়ে যায়।
দেখা গেছে, সরকার যদি ১৮ লক্ষ টাকা ডাকে তবে ১৮ কোটি হওয়ার কথা, সেখানে দর ৪ লক্ষও পাওয়া যায় না। অথচ যারা হাটের ইজারা পায় তারা পশু প্রতি ৫% হারে হাসিল নেয়। সেই হিসেবে সারা দেশে হাসিলের পরিমাণ দাড়ায় ১ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা।
এখানে স্পষ্ট সরকার নিজ পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের ধর্মীয় অণুষ্ঠান থেকে চাদাবাজি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আর তার উপলক্ষ হচ্ছে রাজস্ব বা ইজারা। সরকার যদি ইজারা না ধরে দিতো, তবে তার সাঙ্গপাঙ্গরা হাসিল নামক চাদাবাজি আদায় করতে পারতো না।
মুখে বলছে এখানে সরকারের আয়, কিন্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সরকারী লোকদের চাদাবাজি। একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকারী ট্যাক্স হোক আর তার দলীয় লোকদের চাদাবাজি হোক কোনটাই মেনে নেয়া যায় না।
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, প্রতিটি হাটের বাশ বানতে, আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা করতে কিছু খরচের দরকার হয়। ঢাকা শহরে মোটি ২৬টি হাট হবে। ২৬টা হাটের বাশ বানতে আর আনুসাঙ্গিক খরচে ২-৪ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা না। সরকার এই সামান্য খরচ বহন করতে চায় না। অথচ হিন্দুদের দূর্গা পূজার সময় ঢাকা শহরে প্রায় ৩০০টি এবং পুরো দেশে প্রায় ৩০ হাজার পূজা মণ্ডপ হয়। সরকার সেখানে বিপুল পৃষ্ঠপোষকতা করে, মণ্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি চাল, মণ্ডপের বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে কারেন্ট গেলে জেনারেটর খরচ পর্যন্ত দেয়। মাত্র ২-৩% হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য এত খরচ করতে পারলে ৯৫% মুসলমানের জন্য ২৬টি হাটের বাশ বাধার খরচ সরকার দিতে পারে না ? একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ট্যাক্স আদায় করতে হয় ? আবার সেই ট্যাক্সকে অজুহাত করে হাজার কোটি টাকার চাদাবাজির সুযোগ করে দেয়া। এক্ষেত্রে সরকারই উচিত নিজ খরচে এসব হাটের ব্যবস্থা করে দেয়া। কারণ প্রতিটি হাটে প্রচুর পরিমাণে আর্থিক লেনদেন হয়, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক উপকার, সেখানে থেকে সামান্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় না করলে বা সামান্য কিছু খরচ করলে সরকারের লাভ নয়, বরং উপকারই হবে। তাছাড়া হাটের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর খুনোখুনিও বন্ধ হবে।
তাছাড়া ৫% হাসিল বন্ধ হলে শুধু যে কোরবানি পশু দাম করবে তা নয়, বরং বেশি কোরবানী হবে, যার দরুণ অনেক গরীব মানুষ কোরবানীর মাংশ খেতে পারবে।
বিষয়টি যদি আপনি ছোট করে দেখেন, তবে ভুল করবেন-
সারা দেশে প্রতি বছর কোরবানী হয় দেড় থেকে দুই কোটি পশু।
যদি ১ কোটিকে হাসিলের আন্ডারে ধরে নেই,
এবং সেখান থেকে যদি ৫% হাসিল নামক চাদাবাজি না হলে যদি ৫% কোরবানী বৃদ্ধি হয়,
তবে ১ কোটিতে হয় ৫ লক্ষ পশু। প্রতি পশুতে যদি ২০ জন গরীর মাংশ পায়, তবে ৫ লক্ষ পশুতে মাংশ পাবে ১ কোটি গরীব মানুষ।
বাংলাদেশের মানুষকে আমি অনেক বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতে দেখি, কিন্তু আমার কাছে বেশি জরুরী মনে হয়েছে কোরবানীর উপর আরোপিত ট্যাক্স (হাসিল+ইজারা) নিয়ে আন্দোলন করাকে। কারণ একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ট্যাক্স আদায় কখন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কোরবানীর ঈদ আসতে আর মাত্র দেড় মাস বাকি, এখনই এ বিষয়ে আন্দোলন ও লেখালেখি শুরু করা জরুরী।
বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চালায় কে ? এন.সি- ২৯৭
বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চালায় কে ?
Related image
বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চালায় কে ?
এদের প্রত্যেকের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটুকু অবগত ?
এরা যে মাঝেমধ্যেই আমেরিকারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রেনিং আনতে যায়, তখন ঐ দেশের এজেন্ট/এজেন্সী তাদের মধ্যে ঢুকে যায় কি না ?
বিষয়গুলো আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, কারণ-
আমেরিকার হইলো দুই হাত, তার এক হাত নিজেই জঙ্গী
এবং অন্য হাত দিয়ে সে জঙ্গী দমন করে।
এই দুইহাতের কারসাজির মাঝখানে কোন দেশকে ফেলে তার জীবন শেষ করে।
বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দরকার আছে, আমি তা অস্বীকার করতেছি না
কিন্তু তাদেরকে মনিটরিং করার মত সরকারের আলাদা কোন নিরপেক্ষ সেল থাকা উচিত।
এমনও তো হতে পারে, বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নিজেই আমেরিকার এক হাত হয়ে, অন্য হাতকে ডেকে আনার পথকে সুগম করতে পারে, তাই সাবধান থাকা ভালো।
বিষয়গুলো বেশি সন্দেহজনক, কারণ বিভিন্ন সময় তারা যে সব কথিত উগ্রবাদী ইনডিকেটর ছড়ায়,
সেগুলো দেখলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, আদৌ কি তাদের উদ্দেশ্য জঙ্গী দমন, নাকি আমেরিকার এক হাত হয়ে জঙ্গী প্রোপাগান্ডা তৈরী করা ?
কারণ সরকারের মূল পলিসি হলো বার বার প্রচার করা, “বাংলাদেশে জঙ্গী নাই”, সেখানে এই গ্রুপটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিভিন্ন লক্ষ্যণকেই জঙ্গিবাদী বলে প্রচার করছে, আশ্চর্য!!
আমি আগের এক পোস্টে বলেছিলাম- সরকারের উচিত এ অঞ্চলে কথিত জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের দিকে খেয়াল করে, কথিত জঙ্গীবাদীদের ধর্মীয় পরিচয় বাদ তাদের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিচয়ের দিকে যাওয়া।
বিশেষ করে- এ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রক্সিওয়ার যত দৃঢ় হবে, তত এ অঞ্চলে মার্কিন জঙ্গী জঙ্গী নাটক বৃদ্ধির সম্ভবনা আছে। এ অবজ্ঞায় মার্কিনপন্থীদের মূল উদ্দেশ্য হবে চীনের সম্ভাব্য প্রভাব যে কোন উপায়ে ঠেকানো। এই ঠেকানোর কাজটি সে অনেকগুলো আর্টিফিসিয়াল ফেসে করতে পারে। এরমধ্যে একটি জঙ্গীবাদী ফেস হতে পারে, কিন্তু এটাই একমাত্র ফেস নয়, এরকম আরো ডজনখানের ফেস আছে। এক্ষেত্রে সহজ হতো, যদি কথিত জঙ্গী নামক ধর্মীয় ফেস বাদ দিয়ে, যারা তাদেরকে চালাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের দিকে খেয়াল করে তাদের রিয়েল ফেস উন্মুক্ত করা, তাহলে সরকারের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যেতো এবং যেহেতু ৯৫% জনগণ মুসলমান, যেহেতু সরকারকে জঙ্গীবাদ দমনের নামে ৯৫% জনগণের সাথে দ্বন্দ্ব লাগানোও আমেরিকার পলিসির অংশ হতে পারে, সে ফাঁদে সরকারকে পা দিতে হতো না।
যাই হোক, বিভিন্ন সময় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট উগ্রবাদী ইনডিকেটর বলে যে সমস্ত লক্ষণ প্রচার করছে, সেই সব লক্ষণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের অনেকের মধ্যে থাকতে পারে। এবং এই থাকাটাই তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র এবং স্বাধীনতার অংশবিশেষ। কিন্তু সেটাকে জঙ্গীবাদী লক্ষণ বলে প্রচার করে দেশের একটা বড় অংশকে জঙ্গীবাদী ট্যাগ দিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ধরনের প্রচার যে ক্ষতিগুলোর জন্ম দিবে-
১) দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপানো হবে। এবং সুযোগ বুঝে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐ গোষ্ঠীটিকেই আমেরিকা ব্যবহার করবে।
২) সরকারী সংস্থার ব্যানারে কথিত জঙ্গীবাদী ইনডিকেটরের নামে বিভিন্ন সময় যে লক্ষণগুলো প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলোকে পরবর্তীতে ব্যবহার করে সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশে কোন জরিপ পরিচালনা করতে পারে এবং কথিত ইনটিকেটরকে পূজি করতে তারা দাবী করবে বাংলাদেশের ৮০% মানুষ জঙ্গী বা জঙ্গীভাবাপন্ন। এ ধরনের জরিপ দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
৩) বাংলাদেশে কথিত জঙ্গীবাদ নামক বেলুন করে বড় করে, সেদিকে সবার লক্ষ্য নিয়ে যাওয়া। আর সে সুযোগে চীনকে দমনে মার্কিনীদের অন্য হাতগুলোকে আরো শক্তিশালীভাবে অগ্রসর করা এবং দেশে বড় অরাজকতা তৈরী করবে।
৪) যেহেতু ভারতে উগ্র জাতীয়তাবাদ বিদ্যমান, সেহেতু তার প্রভাবে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধচারণ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের মানুষ আচার-আচারণে মধ্যপন্থী। তাই সেই বিরুদ্ধচারণটা মধ্যপন্থার মধ্যেই ঘুরপাক খাবে, এর বেশি হওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু আচারণগুলো যদি জঙ্গীবাদী ট্যাগ দিয়ে চেপে ধরা হয়, তখন সেখানে বিষ্ফোরণসহ বৃদ্ধি ঘটতে পারে, তখন একটা বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সরকারের উচিত মানুষের স্বভাব-রীতির স্বাভাবিক আচরণগুলো সফটলি হ্যান্ডেল করা। কিন্তু কাউন্টার টেরোরিজম যে হার্ডলাইনে যাচ্ছে, তাতে ভালোর থেকে মন্দ আসা স্বাভাবিক।
কাউন্টার টেরোরিজম তো জঙ্গী ইনডিকেটর প্রকাশ করেছে,
আর আমার ব্রেইন মেসেজ দিচ্ছে - কাউন্টার টেরোরিজমে মার্কিনব্লকের লোক ঢুকেছে।
এটা যদি হয়, তবে খুব ভয়ঙ্কর হবে। খুনি মোশতাক মার্কিন ব্লকের হওয়ার পরেও বঙ্গবন্ধু তাকে বিশ্বাস করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দিয়েছিলেন, তার প্রতিদান বঙ্গবন্ধু পেয়েছেন। শেখ হাসিনাও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের মত গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় মার্কিনব্লকের লোক ঢুকায় তার পিতার ভাগ্যের দিকে হাটছেন কিনা, সেটাই এখন আশঙ্কা হচ্ছে।
Image may contain: text that says 'উগ্রবাদের সাথে জড়িয়ে পড়লে আচার-আচরনে বেশ কিছু দৃশ্যমান (Indicators) পরিলক্ষিত হয় উগ্রবাদ ও সহিংস গোঠীর প্রতি সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন। ধর্মগ্রস্থের 'আক্ষরিক' উগ্র আগ্রহ। ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ। এড়িয়ে চলা আচার-অনুষ্ঠান বর্জন AORISN বিনোদনমূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকা বাঙালি সংস্কৃতিকে ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর মনোভাব সরকারী অনুদানে তৈরী মসজিদে নামাজ পড়া শিক্ষা প্রতিষঠানে অনিয়মিত হওয়া, অনুপস্থিতর হার বৃদ্ধি ক্লাসে অমনোযোগিতা। ইন্টারনেট/অনলাইনে গোপনীয়তার সাথে উগ্রবাদী অনুসরন করা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে ধর্মীয় আচারের বিষয়ে ক্রমাগতচাপ প্রয়োগ করা ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ পুরানো বনধুদের এড়িয়ে চলা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রাঙ্গন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি'
ইউরোপ আমেরিকায় অনেক জঙ্গি হামলাকারীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়,। এন.সি- ২৯৬
ইউরোপ আমেরিকায় অনেক জঙ্গি হামলাকারীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়,
Related image
ইউরোপ আমেরিকায় অনেক জঙ্গি হামলাকারীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়,
হামলাকারী আগেই একবার গ্রেফতার হয়েছিলো এবং পুলিশি হেফাজতে ছিলো।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় যে জঙ্গীবিরোধী অভিজান হয়, বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গী দমন হয়,
সেখানেও দেখা যায় একই কথা, অর্থাৎ যেই জঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিজান চালানো হয়,
সেই কথিত জঙ্গী এর আগেও পুলিশি হেফাজতে ছিলো।
অর্থাৎ যে সব জঙ্গীকে মিডিয়ার সামনে হাইলাইট করা হচ্ছে, তার সাথে আগেই আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারীদের সম্পর্ক দেখা যায়, এটা একটা বড় ধরনের সন্দেহজনক বিষয়।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ‘উগ্রবাদকে না বলুন’ শিরোনামে একটি ভিডিও রিলিস করা হইছে (https://www.youtube.com/watch?v=cxw0fjHnI08), যেখানে মুসলমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হইলে (যেমন: গান পছন্দ না করা, খেলাধূলা পছন্দ না করা, ছবি আকা পছন্দ না করা, টিভি দেখতে না চাওয়া ) পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে পুলিশ তাদের কাউন্সিলিং করে তাদের সেই স্বভাব পরিবর্তন করবে।
বাংলাদেশে এ ধরনের যারা প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এরা আমেরিকা থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত। আপনাদের আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ভবনের সামনে বোমা হামলা চালনার চেষ্টা করা ‘নাফিস’ নামক এক বাংলাদেশী তরুণের কথা মনে থাকার কথা, যাকে মার্কিন সরকার ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো। ধর্মপ্রিয় খুব সাধারণ ছেলে ছিলো নাফিস। নিউইয়র্ক পুলিশই তার সাথে যোগাযোগ করে, তাকে বেনামে জঙ্গীবাদে উদ্ধুদ্ধ করে, এবং তার পুলিশ-ই ট্র্যাক ভর্তি ভুয়া বিষ্ফোরক দ্রব্য দিয়ে আসে। এবং শেষে তাকে গ্রেফতার করে। অর্থাৎ পুরোটাই মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর সাজানো নাটক। নিউইয়র্ক পুলিশের দাবী- নাফিসের মনের ভেতর সুপ্ত জঙ্গিবাদ (!) ছিলো, সেটাকে শুধু জাগিয়ে তুলেছে তারা। দোষ নাফিসেরই, তার ভেতরে জঙ্গিবাদ (!) ঘুমিয়ে থাকবেই বা কেন ?
এই যে ধর্মপ্রিয় ছেলেকে কাউন্সিলিং এর জন্য ডাকা হচ্ছে, কয়েকদিন পর হয়ত তাদেরকে গুলি খাওয়া অবস্থায় পাওয়া যাবে, হয়ত মারা যাওয়ার ছবি প্রকাশ করা হবে, তারা কালো পতাকার সামনে এক আঙ্গুল তুলে পোজ দিয়েছে, সেই ছবি দেখিয়ে ঐ ছেলেগুলোকে খুন করা বৈধ করা হবে।
আমি আগেও বলেছি, আমেরিকার দুই হাত, একহাত টেরোরিস্ট, অন্যহাত কাউন্টার টেরোরিস্ট। এই দুই হাতের চাপায় সে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। এ কারণে যে এলাকায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাউন্টার টেরোরিজমের কার্যক্রম বাড়বে, সেখানে সমানুপাতিক হারে কথিত জঙ্গীদের ‘লোন উলফ' বা 'সিঙ্গেল এ্যাটাক'ও বাড়বে। অর্থাৎ যায়গায় যায়গায় জঙ্গী হামলা বাড়বে, যা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি বা-হাতের কাজ, যার মাধ্যমে প্র্যাকটিসিং মুসলমানদের ভয় দেখিয়ে সেক্যুলার বানানোর কাজে ব্যবহৃত হবে।
এই বিষয়টি বুঝতে আরেকটু গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে সাধারনত প্রশিক্ষণ দেয় আমিরকার জঙ্গি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা র‌্যান্ড কর্পোরেশন। র‌্যান্ড কর্পোরেশনের কাজ হলো কোন দেশের মুসলমানদের সেক্যুলার বানানো, আর যারা সেক্যুলার হতে পারবে না, তাদের জঙ্গী ট্যাগ দিয়ে শেষ করা। এজন্য তাদের কতগুলো পর্যায় আছে।
র‌্যান্ড কর্পোরেশনের মতে, মুসলমানরা চার ধরনের হয়ে থাকে
১) ফান্ডামেন্টালিস্ট : এটা শুধু ধর্মকে বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না বরং দৈনন্দিন জীবনে ধর্মকে পরিপূর্ণ রূপে পালন করে। র‌্যান্ডের দাবি, এরা হলো পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদের ১ নম্বর শত্রু। এদের যে কোন মূল্যে শেষ করতে হবে, এরাই হলো, পশ্চিমা কালচার, পশ্চিমা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২) ট্র্যাডিশানালিস্ট: এরা মুসলমানদের মধ্যে নরমাল হুজুর শ্রেণী। এ জাতীয় মুসলিমদের গন্ডি মসজিদ, মাদ্রাসা, শেখা-শেখানো, ফতোয়া, মাসআলা, খুতবা দেওয়া - এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে তাদের মধ্যে নিজস্ব অন্য কোন কনসেপ্ট নেই। র‌্যান্ড বলছে, এরা পশ্চিমা সভ্যতার জন্য হুমকি না।
কিন্তু সাবধান! যদি কখনো এরা ফান্ডামেন্টালিস্টদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে বিশাল ঝামেলা। কারণ ট্র্যাডিশানালিস্টদের সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব আছে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো এদের জন্য সহজ। প্রতি শুক্রবার নামাজের মানুষ তাদের কথা শুনছে। ছোট্ট একটা অনুষ্ঠান বা জনসমাবেশ করতেও কিন্তু মেলা ঝক্কি। জায়গা ঠিক করো, পোস্টার ছাপাও, এই করো, সেই করো - অথচ মানুষ নিজে থেকেই প্রতি শুক্রবার, গোসল করে, আতর মেখে, সুন্দর করে সেজে, ভালো কাপড় পড়ে, এদের কাছে আসছে। তাই এরা যদি ফান্ডামেন্টালিস্টদের সাথে একসাথে হয়, তাহলে সেটা অনেক বড় বিপদ।
একারণে এ দুটো শ্রেণীকে একে অপরের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। আর যারা ট্র্যাডিশানালিস্ট – হুজুর, তাদেরকে নিজেদের মধ্যে মাসলাক-মাযহাব-ফিকহ ইত্যাদি বিভিন্ন তর্কে ব্যস্ত রাখতে হবে। তারা যেন নিজেদের মধ্যেই তর্কাতর্কিতে ব্যস্ত থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) মর্ডানিস্ট মুসলিম: এরা হল ঐসব লোক যারা ইসলামের নতুন নতুন ব্যাখ্যা করতে চায়। আর এসব নতুন ব্যাখ্যার পেছনে উদ্দেশ্য থাকে ইসলামকে পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা, পশ্চিমা সভ্যতার সাথে কম্প্যাটিবল, সামঞ্জস্যপূর্ণ বানানোর চেষ্টা। র‌্যান্ডের পলিসি সাজেশান হল - এদের সাহায্য করতে হবে, এদের জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। আর বিশেষভাবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এদের প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সাধারণ মুসলিমদের কাছে এদের তেমন একটা গ্রহনযোগ্যতা নেই। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে এদেরকে বেশি বেশি করে মানুষের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যাতে তাদের কথা মানুষের কাছে পৌছে যায়।
৪) সেক্যুলারিস্ট: এরা প্রথম থেকেই পশ্চিমাদের পকেটেই আছে। পশ্চিমের শিক্ষা এরা আত্মস্থ করে ফেলেছে, হজম করে ফেলেছে। এরা মনস্থির করে ফেলেছে, শাসনের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম হল ধর্ম, আর ধর্ম হল বিশ্বাস, ইবাদত আর আচার-অনুষ্ঠানের সমষ্টি। এরা তো ওদেরই লোক।
ইসলামের বিরুদ্ধে সভ্যতার সংঘাতে জেতার জন্য, পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি র‌্যান্ড কর্পোরেশনের প্রেসক্রিপশান হল - মর্ডানিস্ট আর সেক্যুলারিস্ট, এই দুটো শ্রেণীকে সবধরনের সাহায্য করো। আর ফান্ডামেন্টালিস্ট ও ট্র্যাডিশানালিস্ট, এই দুটো দলকে দমন করো। এদেরকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরে রাখো। আর ট্র্যাডিশানালিস্টদের ব্যস্ত রাখো নিজেদের মধ্যেকার ইখতেলাফে, মতপার্থক্যে। এই হল মুসলিমদের ওপর বিজয়ী হবার পলিসি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্নভাবে র‌্যান্ড কর্পোরেশনের কার্যক্রম বাড়ছে। অনেকেই র‌্যান্ড কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত, যেমন-
ক) মাওলানা ফরিদুদ্দিন সাহেবের ছেলে ব্যরিস্টার মাকতুম র‌্যান্ড কর্পোরেশন থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত।
খ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আন্ডারে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম এবং ‘দারুল আরকাম’ মাদ্রাসা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরমাধ্যমে সহস্রাধিক মসজিদ-মাদ্রাসার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, এ কার্যক্রমের পেছনে র‌্যান্ড কর্পোরেশনের হাত রয়েছে।
গ) র‌্যান্ডের প্রকল্প হিসেবে ‘হিজবুত তাওহিদ’ নামক একটি গ্রুপকে প্রমোট করা হচ্ছে, তারা চায় সব মুসলমান ঐ দলটির মত হয়ে যাক।
ঘ) ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভার্সিটির ভাইস চেয়্যারম্যান প্রফেসর ওমর ইজাজ রহমানও র‌্যান্ড কর্পোরেশনের সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য র‌্যান্ড কর্পোরেশনের কেন্দ্রে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে বয়ঃবৃদ্ধ ইহুদী হেনরী কিসিঞ্জার।