আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি, এই যে শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে এত প্রতিবাদ, এটার দিকটা শেষে অন্যদিকে ঘুড়ানোর চেষ্টা করা হবে। জনগণকে শিশু ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ করতে মিডিয়া মাঠে নামাবে, কিন্তু দিনশেষে ‘ফল’টা নেয়ার চেষ্টা একটি বিশেষ স্বার্থবাদী গোষ্ঠী। সেই অনেকগুলো ফলের মধ্যে একটা ‘ফল’ হলো বাংলাদেশের পতিতাবৃত্তির বৈধকরণ ও পরিসর বৃদ্ধিকরণ। (https://bit.ly/2LiRKeF)
এতদিন বিষয়টি বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে, এবার দেখবেন মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো হবে। যার শুরুটা হলো ডয়েচে ভেলের মাধ্যম দিয়ে। যে সাংবাদিক তানজির মেহেদীর রেফারেন্স দিয়ে ছড়ানো হলো- সে নিজেও নিউজ২৪ এর সাংবাদিক এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও কালেরকণ্ঠের সাবেক সাংবাদিক। তবে ডয়েচে ভেলে হলো বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটপন্থী সাংবাদিকদের ‘ওয়ান অফ দ্য বস’, তাই সে যখন এই বিষয়ে রিপোর্ট করছে, খুব শিঘ্রই দেখবেন সব মিডিয়া পতিতাবৃত্তির বৈধকরণ ও পরিসর বৃদ্ধিকরণ নিয়ে খুব সোচ্চার হবে।
আজ থেকে ৪ মাস আগে, একটা স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম, দেশে কর্পোরেটোক্রেসি আসছে, তখন দেশের জীবন ব্যবস্থা কেমন হবে। সেখানে অনেকগুলো পয়েন্টের মধ্যে তৃতীয় পয়েন্ট ছিলো-
“দেশে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। কিছু কিছু পর্যটন এলাকা আন্তর্জাতিক মানের হবে। এছাড়া দেশে হবে প্রচুর ফাইভ স্টার, সেভেন স্টার হোটেল, যেখানে বিদেশীরা এসে অবস্থান করতে পারবে। ঐ সময় বাংলাদেশে এসকর্ট সার্ভিস বা পতিতাবৃত্তি খুব এভেইলএবল হবে। যেহেতু বাংলাদেশের উৎপাদন খাত পুরোপুরি বিদেশীদের হাতে থাকবে, তাই বাড়তি ইনকামের জন্য ঘরের পুরুষদের কিছুই করার থাকবে না। তখন ঘরে বাড়তি কিছু খরচ দরকার হলেই ঘরের নারীরা এসকোর্টে গিয়ে পরপুরুষের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে আসবে এবং ঘরের বাড়তি খরচের প্রয়োজন মেটাবে। বিদেশীদের আনার জন্য দেশের নারীদের পতিতাবৃত্তিকে বৈধকরণ খুবই জরুরী একটি বিষয়। (https://bit.ly/2GcQPbz)
“দেশে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। কিছু কিছু পর্যটন এলাকা আন্তর্জাতিক মানের হবে। এছাড়া দেশে হবে প্রচুর ফাইভ স্টার, সেভেন স্টার হোটেল, যেখানে বিদেশীরা এসে অবস্থান করতে পারবে। ঐ সময় বাংলাদেশে এসকর্ট সার্ভিস বা পতিতাবৃত্তি খুব এভেইলএবল হবে। যেহেতু বাংলাদেশের উৎপাদন খাত পুরোপুরি বিদেশীদের হাতে থাকবে, তাই বাড়তি ইনকামের জন্য ঘরের পুরুষদের কিছুই করার থাকবে না। তখন ঘরে বাড়তি কিছু খরচ দরকার হলেই ঘরের নারীরা এসকোর্টে গিয়ে পরপুরুষের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে আসবে এবং ঘরের বাড়তি খরচের প্রয়োজন মেটাবে। বিদেশীদের আনার জন্য দেশের নারীদের পতিতাবৃত্তিকে বৈধকরণ খুবই জরুরী একটি বিষয়। (https://bit.ly/2GcQPbz)
মূলত কর্পোরেটোক্রেসির স্বার্থ বা বিদেশী টানার স্বার্থেই বাংলাদশে পতিতাবৃত্তির পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, এবং অজুহাত হিসেবে দাড় করানো হচ্ছে শিশু নির্যাতন।
পতিতাবৃত্তি বৈধকরণের পাশাপাশি ডেয়েচে গংদের আরেকটা দাবী হলো শিশুদের ক্লাসে যৌনশিক্ষা দেওয়া। এর মাধ্যমে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল থেকেই পতিতা হওয়ার ট্রেনিং নিবে। ‘কনডম ব্যবহার করলে বাচ্চা হবে না, এইডস হবে না’, এটা হলো বাচ্চাদের প্রাথমিক ট্রেনিং। (বাচ্চাদের স্কুলে যৌন শিক্ষা নিয়ে আমার আরেকটি লেখা আছে, সেখানে বিস্তারিত আছে -https://bit.ly/2XItt8u)
যাই হোক, আমি জনগনের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম-
বিশেষ গ্রুপটি চাইবে কোন একটি আন্দোলনের ফল তাদের দিয়ে ঘুড়িয়ে নিতে। জনগণের কাজ হবে আন্দোলনের ফল জনগণের দিকে ঘুড়িয়ে নেয়া, এবং জনগণের দাবীগুলো উত্থাপন করা। শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের কি দাবী হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আমি আগেই দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম সে দুটো পড়তে পারেন এবং ছড়াতে পারেন।
বিশেষ গ্রুপটি চাইবে কোন একটি আন্দোলনের ফল তাদের দিয়ে ঘুড়িয়ে নিতে। জনগণের কাজ হবে আন্দোলনের ফল জনগণের দিকে ঘুড়িয়ে নেয়া, এবং জনগণের দাবীগুলো উত্থাপন করা। শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের কি দাবী হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আমি আগেই দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম সে দুটো পড়তে পারেন এবং ছড়াতে পারেন।
মনে রাখবেন-
কৌশলে ষড়যন্ত্র আসবে, জনগণকেও ষড়যন্ত্র রুখতে হবে কৌশলে।
অনেকে হতাশ হয়ে যান, চিন্তিত হয়ে যান।
আসলে হতাশ হওয়ার কিছু নাই, কারণ আমরা যে তাদের এত কৌশলী ষড়যন্ত্র ধরতে পারতেছি, এটাও একটা বড় বিষয়। এতদিন তো সেটাও সম্ভব হয় নাই।
এখন সবাই একযোগে বিষয়গুলো প্রচার করলেই, ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা খাবে।
কৌশলে ষড়যন্ত্র আসবে, জনগণকেও ষড়যন্ত্র রুখতে হবে কৌশলে।
অনেকে হতাশ হয়ে যান, চিন্তিত হয়ে যান।
আসলে হতাশ হওয়ার কিছু নাই, কারণ আমরা যে তাদের এত কৌশলী ষড়যন্ত্র ধরতে পারতেছি, এটাও একটা বড় বিষয়। এতদিন তো সেটাও সম্ভব হয় নাই।
এখন সবাই একযোগে বিষয়গুলো প্রচার করলেই, ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা খাবে।
আরো মনে রাখবেন-
ষড়যন্ত্রকারীদের সংখ্যায় কম কিন্তু তারা কৌশলী ও বুদ্ধি দিয়ে আগায়।
আর জনগণের সংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু বুদ্ধি নাই।
তাই জনগণের মাথায় শুধু বুদ্ধি দিতে পারলে, ষড়যন্ত্রকারীরা ভয়ে দৌড়ে পালাতে বাধ্য।
ষড়যন্ত্রকারীদের সংখ্যায় কম কিন্তু তারা কৌশলী ও বুদ্ধি দিয়ে আগায়।
আর জনগণের সংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু বুদ্ধি নাই।
তাই জনগণের মাথায় শুধু বুদ্ধি দিতে পারলে, ষড়যন্ত্রকারীরা ভয়ে দৌড়ে পালাতে বাধ্য।