৩টি খবর ও মন্তব্য:
মন্তব্য : ৯ টাকা জনগণ দিলে বাকি ৫২ টাকা আসতেছে কোথা থেকে ? আমার জানা মতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা ওয়াজেদ মিয়া মারা যাওয়ার আগে এমন কোন সম্পদ রেখে যায় নাই, যা দ্বারা তার মেয়ে/বউ গ্যাস বাবদ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে পারে। কথা হলো- ৫২ টাকা আসে জনগণের পকেট থেকেই- মানে ভ্যাট, ট্যাক্স, মাসুল, মূল্যস্ফীতি, পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যম দিয়েই। টাকা যেহেতু জনগনই দিতেছে, তাই সেটা নিয়ে আলাদা ভাবে প্রধানমন্ত্রীর গর্ব করার মানেটা কি ?
২) “ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। ছেলেমেয়েরা শিক্ষা শেষে গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্প কারখানা করা দরকার। তাই বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি। - কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক (https://bit.ly/2XzcsbK)
মন্তব্য: কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট- ভবিষ্যত প্রজন্ম আর কৃষিতে আসবে না, তাদেরকে শিল্প কারখানায় চাকর (চাকুরী) বানানো হবে। প্রশ্ন আসে, ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি কৃষিতে না আসে, তবে কি কৃষির পতন হবে ? রাষ্ট্রের ইচ্ছাও কি এটা, দেশের প্রধান উৎপাদনশীল খাত শেষ হয়ে যাক ? এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশী ব্যবসায়ীদের সামনে গিয়ে স্পষ্ট করে বলেছিলো,
“আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে যাচ্ছি, আপনারা আসুন” (https://bit.ly/2HOm1Pj)
রাষ্ট্রের মূল মূল দায়িত্বশীলদের বক্তব্য যদি এমন কৃষি বিধ্বংসী হয়, তবে দেশের কৃষি সেক্টরের ভবিষ্যত কোন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা সহজে অনুমেয়।
“আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে যাচ্ছি, আপনারা আসুন” (https://bit.ly/2HOm1Pj)
রাষ্ট্রের মূল মূল দায়িত্বশীলদের বক্তব্য যদি এমন কৃষি বিধ্বংসী হয়, তবে দেশের কৃষি সেক্টরের ভবিষ্যত কোন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা সহজে অনুমেয়।
৩) খবর-
রিকশাচালকদের গ্রামে গিয়ে ধান কাটতে বললেন মেয়র সাঈদ খোকন (https://bit.ly/2xBjEd5)
রিকশাচালকদের গ্রামে গিয়ে ধান কাটতে বললেন মেয়র সাঈদ খোকন (https://bit.ly/2xBjEd5)
মন্তব্য: একজন রিকশাচালক রিকশা চালায় সারা বছর। কিন্তু সব মিলিয়ে ধান করতে পারবে সর্বোচ্চ ৩-৪ মাস। তাহলে বাকি ৯ মাস কি রিকশাচালকের সংসার সাঈদ খোকন চালাবে ? এই সব রিকশা চালকরা শহরের লোক নয়, গ্রাম-চর থেকে উঠে আসা প্রান্তিক শ্রেণীর জনগণ। এদের প্রায় সবার পরিবার গ্রামে থাকে। গ্রামে পরিবার-পরিজন রেখে ঢাকা শহরে তারা মজা-মাস্তি করতে আসেনি। গ্রামে যদি ন্যূনতম তাদের রুটি-রোজগারের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এত কষ্ট করে তারা ঢাকা শহরে রিকশা চালাতে আসতো না। যারা গ্রামে কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঢাকায় আসে, তাদেরই আবার গ্রামে ফিরে যেতে বলাটা আসলে এত ধরনের তামাশা বা মষ্করা। গরিবের পেটে লাত্থি মেরে সেটা নিয়ে তামাশা করা এক ধরনের নিকৃষ্ট স্বভাব, যা ঢাকার বাউন্ডুলে মেয়র সাঈদ খোকন করলো।