গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে একটা খবর দেখছি, পদ্মা সেতুর জন্য নাকি মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে।
এ খবরটি উৎস ও সত্যতা আমি যাচাই করতে পারি নাই।
এ খবরটি উৎস ও সত্যতা আমি যাচাই করতে পারি নাই।
তবে এটা ঠিক, ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর যখন কাজ শুরু হয়, তখন নদীতে গরুর রক্ত ফেলে এবং গরুর মাথা নদীর পাশে রেখে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছিলো চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
এ সম্পর্কে বিডিনিউজ২৪ এ আসা খরবটি দেখুন-
“নদীতে ‘রক্ত ঢেলে’ শুরু পদ্মা সেতুর ভিত্তিস্থাপন
নদীতে পশুর রক্ত ঢেলে ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছে পদ্মা সেতুর দায়িত্ব পাওয়া চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তাদের বিশ্বাস, বড় কাজের শুরুতে পশু উৎসর্গের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, এড়ানো যায় বড় দুর্ঘটনা। রোববার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় মূল সেতুর পরীক্ষামূলক ভিত্তি স্থাপনের সময় নদীতে গরু ও খাসির রক্ত ঢালতে দেখা যায় চাইনিজ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। ভাসিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মুরগিও।
গত বছর পদ্মায় মূল সেতু তৈরির দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
সেতু তৈরির এ মহাযজ্ঞ শুরুর পর প্রকল্পে চীনের প্রায় ১৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৩৫০ জন কর্মী অংশ নিয়েছে।
কর্মরত এসব চীনা নাগরিকরা তাদের প্রথাগত বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী রোববার দুটি কালো ষাড়, দুটি খাসি এবং দুটি মোরগ পদ্মা তীরে জবাই করে। পরে পশুর রক্ত ঢেলে দেওয়া হয় পদ্মায়।
এছাড়া ষাড়ের সামনের দুটি পা এবং জবাই করা দুটি মুরগিও তারা ভাসিয়ে দেন। অবশ্য অবশিষ্ট মাংস প্রকল্পে কর্মরত চীনাদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পশু উৎসর্গের পর ভিত্তি স্থাপন (অ্যাংকর পাইল) কাজের চারিদিকে একেরপর এক আতশবাজি ফুটতে দেখা যায়। এতে অংশ নেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই।
প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্ট এক বাংলাদেশি প্রকৌশলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের প্রচলিত রীতি ও বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করেন বড় কোন কাজের শুরুতে এই পশু উৎসর্গ করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। আর এটি কাজে দুর্ঘটনা রোধ করে সফলতা নিয়ে আসবে।”
চীনা কোম্পানিটি তাদের প্রকৌশলী ও কর্মীদের আগ্রহে এ রীতি পালনে অর্থায়ন করেছে বলে জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের নিজস্ব রীতি।” (https://bit.ly/30qJblv)
গত বছর পদ্মায় মূল সেতু তৈরির দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
সেতু তৈরির এ মহাযজ্ঞ শুরুর পর প্রকল্পে চীনের প্রায় ১৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৩৫০ জন কর্মী অংশ নিয়েছে।
কর্মরত এসব চীনা নাগরিকরা তাদের প্রথাগত বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী রোববার দুটি কালো ষাড়, দুটি খাসি এবং দুটি মোরগ পদ্মা তীরে জবাই করে। পরে পশুর রক্ত ঢেলে দেওয়া হয় পদ্মায়।
এছাড়া ষাড়ের সামনের দুটি পা এবং জবাই করা দুটি মুরগিও তারা ভাসিয়ে দেন। অবশ্য অবশিষ্ট মাংস প্রকল্পে কর্মরত চীনাদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পশু উৎসর্গের পর ভিত্তি স্থাপন (অ্যাংকর পাইল) কাজের চারিদিকে একেরপর এক আতশবাজি ফুটতে দেখা যায়। এতে অংশ নেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই।
প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্ট এক বাংলাদেশি প্রকৌশলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের প্রচলিত রীতি ও বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করেন বড় কোন কাজের শুরুতে এই পশু উৎসর্গ করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। আর এটি কাজে দুর্ঘটনা রোধ করে সফলতা নিয়ে আসবে।”
চীনা কোম্পানিটি তাদের প্রকৌশলী ও কর্মীদের আগ্রহে এ রীতি পালনে অর্থায়ন করেছে বলে জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের নিজস্ব রীতি।” (https://bit.ly/30qJblv)
খবরের মাধ্যমে জানা গেলো, গরু, ছাগল ও মুরগীর রক্ত উৎসর্গ করেই চাইনিজরা পদ্মা সেতুর কাজ শুরেু করেছিলো। তবে আমি বেশ কয়েক বছর আগে, ব্যক্তিগতভাবে শরীয়তপুর জেলার কিছু কিছু লোকের সাথে কথা বলে জানাতে পেরেছিলাম, তাদের বক্তব্য হলো- ``উপর দিয়ে গরু-খাসী-মুরগী জবাই করছে, কিন্তু চাইনিজরা মানুষও জবাই করে রক্ত দিছে, পিলারের নিচে বাচ্চা পুতে আসছে।“
এটা অনেক আগের কথা। তাদের মুখের শোনা কথা। যদিও তাদের এই বক্তব্যের পক্ষে আমি কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স পাই নাই।
এটা অনেক আগের কথা। তাদের মুখের শোনা কথা। যদিও তাদের এই বক্তব্যের পক্ষে আমি কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স পাই নাই।
তবে এটা ঠিক- চীনা, জাপানি, ইহুদী, হিন্দু, ইউরোপীয়ান খ্রিস্টানদের মধ্যে কোন কন্সট্র্যাকশনের কাজের জন্য মানুষ বলী দেয়ার রীতি প্রচলিত ছিলো। অনেকে দাবী করে লন্ডন ব্রীজ বানানোর সময় বহু মানুষকে বলী দেয়া হয়। জাপানিদের মধ্যে এই রীতি বেশ সমাদ্রিত। তারা একে বলে ‘হিতোবাসিরা’ । হিতোবাসিরা অর্থ মানব স্তম্ভ। এই রীতি অনুযায়ী জাপানিরা কোন স্থাপনা (বাড়ি, সেতু, ব্রীজ, বাধ) তৈরীর সময় নরবলি দেয়, তাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে স্রষ্টা ঐ স্থাপনার স্থায়িত্ব দান করে। তাদের বহু প্রাচীন স্থাপনা হিতোবাসিরা বা নরবলি দেয়ার প্রমান পাওয়া যায়।
(হিতোবাসিরা সম্পর্কে জানাতে- ক) https://bit.ly/2S3MJqU, খ) https://bit.ly/2xEGYq5, গ) https://bit.ly/2xA4zbp)
(হিতোবাসিরা সম্পর্কে জানাতে- ক) https://bit.ly/2S3MJqU, খ) https://bit.ly/2xEGYq5, গ) https://bit.ly/2xA4zbp)
তবে আন্তর্জাতক রাজনীতির দৃষ্টিকোন থেকে বর্তমানে মার্কিন-জাপানি ব্লকের একটি মহল বাংলাদেশে বিভিন্ন চীনা স্থাপনার বিরোধীতা করতেছে, হতে পারে এটি তাদের ছড়িয়ে দেয়া গুজব। তবে এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে, চীন, জাপান বা ইউরোপীরদের মধ্যে ‘হিতোবাসিরা’ বা স্থাপনা তৈরীতে মানুষ বলী’ দেয়ার সংস্কৃতি কখন ছিলো না বা বর্তমানেও নেই।