এ ভিডিওটা বাংলাদেশের মানুষের দেখা দরকার। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের চিকিৎসা বলতে পাগল। কিন্তু ভারতের হাসপাতালগুলোতে আসলে কি হয় এটা এ ভিডিওতে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশে কোন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবেন, রোগী মারা গেলে আন্দোলন করতে পারবেন। কিন্তু ভারতে গিয়ে এমন কোন ঘটনা ঘটলে, আপনার কিছুই করার থাকবে না। মুখ বুঝে সব সহ্য করে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে।
ভারতীয়রা কিন্তু তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব ভালো জানে, এজন্য বলিউডের ‘গব্বর ইজ ব্যাক’ মুভিতে অক্ষয় কুমার বুঝিয়ে দিয়েছে কিভাবে ভারতীয় হাসপাতালগুলো প্রকৃত অবস্থা কি ? মৃতমানুষকে আইসিইউতে রেখে তারা কিভাবে মোটা টাকা কামাই করে (https://bit.ly/2S4RxvY)।
ভারতীয়রা কিন্তু তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব ভালো জানে, এজন্য বলিউডের ‘গব্বর ইজ ব্যাক’ মুভিতে অক্ষয় কুমার বুঝিয়ে দিয়েছে কিভাবে ভারতীয় হাসপাতালগুলো প্রকৃত অবস্থা কি ? মৃতমানুষকে আইসিইউতে রেখে তারা কিভাবে মোটা টাকা কামাই করে (https://bit.ly/2S4RxvY)।
তবে ভারতীয়রা বুঝলেও বাংলাদেশীরা কিন্তু বুঝে না। বাংলাদেশীরা ভারতের চিকিৎসা বলতে পাগল। এক হিসেবে দেখা যায়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বৈধ পথে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে ৭ লক্ষ রোগী। রোগী প্রতি যদি গড়ে ১ লক্ষ টাকা খরচ করে তবে মোট খরচ হবে ৭ হাজার কোটি, যদি গড়ে ২ লক্ষ খরচ করে তবে মোট হবে ১৪ হাজার কোটি, আর ৩ লক্ষ টাকা খরচ করলে হবে ২১ হাজার কোটি টাকা, যা বাংলাদেশে চলতি বছরের স্বাস্থ্য খাতে বাৎসরিক বাজেটের থেকেও বেশি। ২০১৬ সালের বৈধ পথের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে ২০১৯ সালে বৈধ ও অবৈধ পথের হিসেবটা কত বড় হবে ?
বাংলাদেশের রোগীরা কেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় ?
এর উত্তর যদি নিরপেক্ষভাবে দেই, তবে বলবো- বাংলাদেশীদের ডাক্তারদের ব্যবহার। বাংলাদেশী ডাক্তারদের চিকিৎসা কখনই খারাপ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে আমার কাছে অধিকতর ভালো মনে হয়। কিন্তু ডাক্তারের ব্যবহার রোগীকে ‘অধিকাংশে’ সুস্থ্য করে দিতে পারে, এই তত্ত্বে মনে হয় বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তার বিশ্বাসী নয়। তাদের ব্যবহারের কারণে অনেক রোগী আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং বিদেশে চিকিৎসার দিকে ঝুঁকে।
এর উত্তর যদি নিরপেক্ষভাবে দেই, তবে বলবো- বাংলাদেশীদের ডাক্তারদের ব্যবহার। বাংলাদেশী ডাক্তারদের চিকিৎসা কখনই খারাপ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে আমার কাছে অধিকতর ভালো মনে হয়। কিন্তু ডাক্তারের ব্যবহার রোগীকে ‘অধিকাংশে’ সুস্থ্য করে দিতে পারে, এই তত্ত্বে মনে হয় বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তার বিশ্বাসী নয়। তাদের ব্যবহারের কারণে অনেক রোগী আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং বিদেশে চিকিৎসার দিকে ঝুঁকে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ডাক্তারদের যদি চিকিৎসাবিদ্যার পাশাপাশি আলাদা করে কাস্টমার সার্ভিস ট্রেনিং দেয়া যেতো, তবে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেক্টরের প্রতি রোগীদের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব ছিলো। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রীদেরও সচেতন হতে হবে, তারা কিছু হলেই দেশের ডাক্তারদের ফেলে বিদেশের ডাক্তারদের শরনাপন্ন হন, এতে গণমানুষের কাছে মেসেজ যায়- “দেশের কর্তাব্যক্তিরা যদি দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা না রাখতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ আস্থা রাখবে কিভাবে ?”
আমার মনে হয়, কয়েকটি বিষয়ে একটু সচেতন হলেই, দেশের মানুষ দেশেই চিকিৎসা নিতো, এতে বিরাট অংকের টাকা দেশেই রাখা সম্ভব ছিলো, যা দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য অবশ্যই মঙ্গলজনক হতো।