বাংলাদেশে হঠাৎ ধর্ষণ বাড়েছে, এর সমাধান কি ? এন.সি- ২৮৯

বাংলাদেশে হঠাৎ ধর্ষণ বাড়েছে, এর
 সমাধান কি ?

বাংলাদেশে হঠাৎ ধর্ষণ বাড়েছে, এর সমাধান কি ?
Image result for স্প্রিং‘আই লাভ ইউ রাইটিং’ নামক একটি ফেসবুক পেইজ থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, যদি দেশে পতিতাপল্লীর সংখ্যা বাড়ানো যেতো, তবে ধর্ষণ কমে যেতো।
আওয়ামী বামপন্থী সুলতান মির্জা স্ট্যাটাস দিয়েছে, বাংলাদেশে পর্ন সাইটগুলোর আইপি ব্যান হওয়ার কারণে ধর্ষণ বেড়ে গেছে। ধর্ষন হ্রাসের সমাধান পর্ন সাইট খুলে দেয়া।
বাংলাদেশের ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার খবর হঠাৎ চাওর হচ্ছে। স্কুল থেকে মাদ্রাসা, বাস থেকে ট্রেন, ঘর থেকে পার্ক কোন যায়গায়ই ধর্ষণ বাদ যাচ্ছে না। কথা হলো- প্রত্যেক সমস্যারই সমাধান আছে। কিন্তু কোন সমস্যার উদ্ভব ঘটলেই একটা মহল চাইবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য। যেমন নারীবাদীরা বলবে-
১. যেহেতু শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে, তাই ধর্ষণের জন্য পোষাক দায়ী নয়। তাই নারীরা যে কোন পোষাক পড়তে পারবে।
২. নারীদের কুংফু প্রশিক্ষণ দিতে হবে,
৩. লিভ টুগেদারের বৈধতা দিতে হবে,
৪. নারীরা পরকীয়া করলেও কিছু বলা যাবে না।
যারা সরকার বিরোধী তারা বলবে-
১. ধর্ষণ বৃদ্ধির পেছনে বিচারহীনতা দায়ী। (এটা ঠিক, কিন্তু সমাধানের কথা বলে না)
২. সরকারি দলের লোকজন ধর্ষণ বৃদ্ধি করছে।
বিষয়গুলো একটু খেয়াল করুন, একেক ব্লকের লোক ধর্ষণ হ্রাসে একেক রকম সমাধান উপস্থিত করছে এবং প্রাপ্ত ফলাফল তার স্বার্থের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। যেমন-
-লুইচ্চা ব্লক চাইছে- পর্ন আর পতিতার স্বাধীনতা,
-নারীবাদী ব্লক চাইছে – লিভটুগেদার, পরকীয়া, পোষাক স্বাধীনতা, কুংফু প্রশিক্ষণ
-এন্টি সরকার ব্লক চাইছে- সরকরের পতন।
কিন্তু কথা হলো- ধর্ষণ বৃদ্ধির খবরে জনগণের ব্লক কি চাইবে ? কোন দাবী তুলবে ধর্ষণ হ্রাসের জন্য ??
কোন সমাধানগুলো হলে প্রকৃতপর্থেই জনগণের পক্ষে, হ্রাস পাবে ধর্ষণ।
নির্বাচনের আগ মূহুর্তে ইশতেহার : ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮’- শিরোনামে আমি একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছিলাম (https://bit.ly/2G0B47h), সেখানে আমি কিছু ধারা দিয়েছিলাম, আমার মনে হয়েছে, এই ধারাগুলো প্রকৃতঅর্থে নারী নির্যাতন হ্রাস করতে পারে এবং এই দাবীগুলো জনগণের ব্লকের দাবী হওয়া উচিত। আসুন দাবীগুলো দেখি-
১. নারী নির্যাতন বন্ধ করতে নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে সেটা হোক স্কুল বা মাদ্রাসা। সেখানে ছাত্রীদের জন্য নারী শিক্ষক, নারী স্ট্যাফ থাকবে,পুরুষ থাকতে পারবে না। পাশাপাশি নারীদের জন্য আলাদা শপিং কমপ্লেক্স, গণপরিবহণ, হাসপাতাল, পাবলিক টয়লেটও তৈরী করতে হবে। সেখানেও শুধু নারী থাকবে, পুরুষ থাকবে না। নারীদের জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠানে নারীরা কাজ করবে, ফলে অনেক নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থান হবে।(১৬.৮)
২. বিয়ের জন্য কোন বয়স নির্ধারণ করা যাবে না। কেউ উপযুক্ত হলে বিয়ে করতে পারবে। সরকারীভাবে বিয়েতে সাহায্য করতে হবে। তবে প্রেম/ব্যাভিচারে ধরা পড়লে আইনত দণ্ড দেয়া হবে। (৮.৫)
৩. অপরাধ, দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়ম, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস হ্রাসের জন্য সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতা বৃদ্ধি করতে হবে। (২.৩)
৪. ধর্মকে ব্যক্তির মধ্যে আটকে রাখার কূট-পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। সমাজের প্রতিটি সেক্টরে ধর্মীয় নিয়ম-প্রথার চর্চা করতে দিতে হবে। (৮.১)
৫. সমাজে বিশৃঙ্খলতা তৈরী হতে পারে বা অন্যকে অন্যায়ে উব্ধুদ্ধ করতে পারে এমন কোন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা যাবে না। সমাজে সুশৃঙ্খলতা বজায় থাকে, এমন পোশাক-পরিচ্ছেদ নারী-পুরষকে পরিধান করতে বলতে হবে। (৮.১০)
৭. বিজাতীয় সংস্কৃতি প্রমোট করে এমন মিডিয়া নিষিদ্ধ করতে হবে। মিডিয়ায় অশ্লীলতা বন্ধে কঠোর কার্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। (৮.২),সিনেমা, বিজ্ঞাপন, মডেলিং, পোস্টার যে কোন স্থানে নারীকে পণ্য বানানোর মাধ্যমে অবমাননা নিষিদ্ধ করতে হবে। কেউ করলে তাকে কঠোর শাস্তির ব্যবহার করতে হবে । (১৬.৯)
৮. পর্নগ্রাফী নিষিদ্ধের পাশাপাশি এইজরেস্ট্রিকডেট সকল পেইজ-সাইট বন্ধ করতে হবে।(১৪.৩)
৯. পতিতাবৃত্তি সর্বাধিক অমানবিক কাজ। সংবিধানে ‘পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ’ এই আইন দেশজুড়ে জারি করতে হবে। পতিতাদের বিয়ে ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। (১৬.১৩)
১০. ছোট নয় বড় ও যৌথ পরিবার সুখ ও নিরাপত্তার কারণ, এই ধারণার তৈরী করতে হবে। (৮.৯)
১১. বিচাব বিভাগীয় কার্যক্রম দ্রুততর করতে - সুপ্রীম কোর্টে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। (১.৫) দেশের প্রতি থানায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং প্রতিবিভাগে হাইকোর্টের শাখা থাকতে হবে। (১.৬) হাইকোর্টের অতিরিক্ত ছুটি বাতিল করে সরকারী নিয়ম অনুসারে ছুটি দিতে হবে। (১.৭)
১২. শুধু আইন দিয়ে নয়, বরং সর্বত্র ধর্ম ও নৈতিকতার মাধ্যমে অপরাধ হ্রাসের উদ্যোগ নিতে হবে। (১.৮)
কোন একটি আন্দোলন তৈরী হতে অবশ্যই সেখানে মূল ভূমিকা পালন করে জনগণ। জনগণ অনেক কষ্ট করে কিন্তু তার ফল নিয়ে যায় বিভিন্ন দল ও ব্লক। এটা যেন না হয়, সে জন্য জনগণকে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে। আগে থেকেই জনগণের দাবী দাওয়াগুলো বার বার বলতে হবে, যেন সমাধানগুলো জনগণের উপকারের জন্যই হয়।