গতকাল প্রায় সব মিডিয়া চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউএসটিসির ধর্ষক শিক্ষক মাসুদ মাহমুদের পক্ষে সংবাদ করেছে।
১) প্রথম আলো: “‘ধর ধর’ বলে প্রবীণ অধ্যাপকের গায়ে কেরোসিন ঢাললেন শিক্ষার্থী” (https://bit.ly/2xrLloE)
২) কালেরকণ্ঠ: ‘যৌন হয়রানি’ না ষড়যন্ত্র! ইউএসটিসিতে প্রবীণ শিক্ষককে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছনা (https://bit.ly/2Jk9zXb)
৩) বাংলাট্রিবিউন: ইউএসটিসিতে শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন ঢালার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক (https://bit.ly/2KRYWON)
৪) বিডিনিউজ২৪: শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন! (https://bit.ly/2NrzWzO)
৫) ডেইলি স্টার: Protests at USTC: Students try to set teacher afire (https://bit.ly/2LA4JIj)
আদৌ ঐ ছাত্র ঐ শিক্ষকের গায়ে কোরোসিন ঢেলেছে কি না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
যদি ঢেলেও থাকে ধরে নেই, তবে এ ধরনের ঘটনা কেন তৈরী হলো, কেন এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলো, সেটা নিয়ে খবর করার দরকার ছিলো আগে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সবাই সে খবরটি এড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা গত প্রায় ৩ মাস যাবত ঐ ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন-প্রতিবাদ করছে, কিন্তু অনেক দলিল-প্রমাণ থাকার পরও বিষ্ময়কর কারণে প্রশাসন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বরং যে সকল ছাত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিলো।
যদি ঢেলেও থাকে ধরে নেই, তবে এ ধরনের ঘটনা কেন তৈরী হলো, কেন এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলো, সেটা নিয়ে খবর করার দরকার ছিলো আগে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সবাই সে খবরটি এড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা গত প্রায় ৩ মাস যাবত ঐ ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন-প্রতিবাদ করছে, কিন্তু অনেক দলিল-প্রমাণ থাকার পরও বিষ্ময়কর কারণে প্রশাসন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বরং যে সকল ছাত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিলো।
ইউজিসি’র চেয়্যারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগগুলো হুবুহু বর্ণনা করা হলো-
“জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ জানাতে চাচ্ছি যে, আমাদের ইংরেজী বিভাগের উপদেষ্টা ও শিক্ষক জনাব মাসুদ মাহমুদ দ্বারা আমরা শ্রেণীকক্ষে অশালীন ও যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা দ্বারা প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হচ্ছি। তিনি শ্রেণী কক্ষে বিভিন্ন অশ্লীল ও প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেন। যেমন-
১। স্যার শ্রেণীকক্ষে অপ্রাসঙ্গিক যৌনউত্তেজনামূলক কথা বলেন, যা আমাদের পাঠ্যের সাথে সংযুক্ত নয়।
২। যৌন উত্তেজনামূলক কথা বলার সময় স্যার শ্রেণীকক্ষে ছেলেদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন এবং বলেন, ছেলেরা থাকলে আমার কথায় মজা পেতো।
৩। ভুলে যোগাযোগের কারণে একদিন শ্রেণীকক্ষে সবাই অনুপস্থিত ছিলো, তখন উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল হয়ে গেছে বলতে গেলে স্যার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, একা আসলে আমি তোমাকে রেপ করে দিতাম ?
৪। মেয়েদের প্রিয়ড ও ছেলেদের মাস্টারবেশন নিয়ে প্রায়শঃই কথা বলেন।
৫। মায়ের সাথে ছেলের সেক্সুয়্যাল রিলেশনশীপ এবং বাবার সাথে মেয়ের সেক্সুয়্যাল রিলেশনশীপ নিয়ে কথা বলেন।
৬। বিবাহিত মেয়েদের সাথে অনেক অশোভন কথা বলেন। যেমন-
--আমার কথাগুলো তোমাদের মজা লাগবে না, কারণ তোমরা সব কিছু করে…….
---একজন পার্টনারের সাথে বেশিদিন শারীরিক সম্পর্ক রাখা উচিত নয়, পরিবর্তন প্রয়োজন।
---একটা মেয়ের যে পরিমাণ সেক্স থাকে, সে চাইলে ৫টা ছেলেকে তৃপ্ত করতে পারে।
---একবার কোন এক পড়া প্রসঙ্গে স্যার বলতে গিয়ে বলেন, `Suck’ করলে যে তৃপ্তি আছে, তা একমাত্র একটা মেয়েই জানে।
এ ধরনের অগণিত অশোভন মন্তব্য নিয়মিত করে থাকেন থাকেন উক্ত স্যার।
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ জানাতে চাচ্ছি যে, আমাদের ইংরেজী বিভাগের উপদেষ্টা ও শিক্ষক জনাব মাসুদ মাহমুদ দ্বারা আমরা শ্রেণীকক্ষে অশালীন ও যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা দ্বারা প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হচ্ছি। তিনি শ্রেণী কক্ষে বিভিন্ন অশ্লীল ও প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেন। যেমন-
১। স্যার শ্রেণীকক্ষে অপ্রাসঙ্গিক যৌনউত্তেজনামূলক কথা বলেন, যা আমাদের পাঠ্যের সাথে সংযুক্ত নয়।
২। যৌন উত্তেজনামূলক কথা বলার সময় স্যার শ্রেণীকক্ষে ছেলেদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন এবং বলেন, ছেলেরা থাকলে আমার কথায় মজা পেতো।
৩। ভুলে যোগাযোগের কারণে একদিন শ্রেণীকক্ষে সবাই অনুপস্থিত ছিলো, তখন উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল হয়ে গেছে বলতে গেলে স্যার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, একা আসলে আমি তোমাকে রেপ করে দিতাম ?
৪। মেয়েদের প্রিয়ড ও ছেলেদের মাস্টারবেশন নিয়ে প্রায়শঃই কথা বলেন।
৫। মায়ের সাথে ছেলের সেক্সুয়্যাল রিলেশনশীপ এবং বাবার সাথে মেয়ের সেক্সুয়্যাল রিলেশনশীপ নিয়ে কথা বলেন।
৬। বিবাহিত মেয়েদের সাথে অনেক অশোভন কথা বলেন। যেমন-
--আমার কথাগুলো তোমাদের মজা লাগবে না, কারণ তোমরা সব কিছু করে…….
---একজন পার্টনারের সাথে বেশিদিন শারীরিক সম্পর্ক রাখা উচিত নয়, পরিবর্তন প্রয়োজন।
---একটা মেয়ের যে পরিমাণ সেক্স থাকে, সে চাইলে ৫টা ছেলেকে তৃপ্ত করতে পারে।
---একবার কোন এক পড়া প্রসঙ্গে স্যার বলতে গিয়ে বলেন, `Suck’ করলে যে তৃপ্তি আছে, তা একমাত্র একটা মেয়েই জানে।
এ ধরনের অগণিত অশোভন মন্তব্য নিয়মিত করে থাকেন থাকেন উক্ত স্যার।
৭। ছেলেদের বীর্য নিয়ে কথা বলেন, আরো বলেন যে, এখন ছেলেদের বিয়ে ভেঙ্গে যায়, ছেলেরা অক্ষম হওয়ার কারণে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মেয়েদের উচিত ছেলেদের সাথে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে তো এটা সম্ভব হয় না।
৮। ছাত্রীরা লজ্জা পেলে তিনি বলেন, কি হয়েছে তোমাদের ? আমার কথা শুনে কি তোমাদের সুড়সুড়ি লাগে ?
৯। যেসব বিবাহিত ছাত্রীর বাচ্চা আছে তাদের চেহারায় ক্লান্তি দেখলে তিনি বলেন, বাচ্চাদের দুধ খাওয়াবা বাসায় গিয়ে। তোমরা বাচ্চার জন্য দুধমা আনো গিয়ে।
১০। মেয়েরা অস্বস্তি বোধ করলে বলেন, আমার ক্লাসে লজ্জা পাওয়া যাবে না। আমার ক্লাসে আসতে হলে ২/৩টা বিয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে হবে।
১১। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে গেলে তোমাদের ফেল করিয়ে দেয়া হবে। আমাকে খুশি করতে হবে। আমাকে কিভাবে খুশি করতে হয়, সেটা তোমরা মেয়েরাই ভালো জানো, কেননা এসব ছলাকলা তোমাদের রপ্ত আছে।
১২। অশালীন কথায় ইতস্তত বোধ করলে তিনি বলেন, “ক্লান্ত বোধ করতেছো ? এত ক্লান্ত মেয়েকে বিয়ে করবে কে ? যদি তোমাদের বিয়ে না হয়, তবে আমার কাছে চলে এসো”।
১৩। কোন বিবাহিতা ছাত্রী ভালো মার্কস পেলে তাকে বলেন, “যাও যাও আজকে বাসায় দিয়ে স্বামীকে বইলো কোলে নিয়ে বেশি করে আদর করতে।”
১৪। কোন বিবাহিতা ছাত্রীর স্বামী বিদেশে থাকলে বলতেন, “তোমরা হাসব্যান্ড কোথায় ? বিদেশে ? তুমি তো জেন্ডার জোনে আছো। তোমার তো সব কিছু শুকায় যাচ্ছে।” “পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে কোথায় যাবা? জামাইয়ের কাছে যাবা ? জামাইয়ের কাছে যেন যাচ্ছো, আমার কাছে আসো, আমি তোমাদেরকে চাই।”
১৫। তিনি অনেক বিবাহিো ছাত্রীকে বলেন, “তুমি কেন বাচ্চা নিছো ? তুমি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াও ? এই জন্যই তো তোমার শরীরের এই অবস্থা। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে তোমার ফিজিক্যাল এট্র্যাকশন চলে যাবে। দেখা যাবে ছেলেরা আর তোমার দিকে তাকাচ্ছে না।
(এই লিঙ্কে https://bit.ly/2JoeXsk ছাত্রীদের নিজমুখে জবানবন্দি এবং ভিডিও’র ৮:০৪ সময়ে ইউজিসি’র চেয়্যারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠির স্ক্রিনশট পাবেন)
৮। ছাত্রীরা লজ্জা পেলে তিনি বলেন, কি হয়েছে তোমাদের ? আমার কথা শুনে কি তোমাদের সুড়সুড়ি লাগে ?
৯। যেসব বিবাহিত ছাত্রীর বাচ্চা আছে তাদের চেহারায় ক্লান্তি দেখলে তিনি বলেন, বাচ্চাদের দুধ খাওয়াবা বাসায় গিয়ে। তোমরা বাচ্চার জন্য দুধমা আনো গিয়ে।
১০। মেয়েরা অস্বস্তি বোধ করলে বলেন, আমার ক্লাসে লজ্জা পাওয়া যাবে না। আমার ক্লাসে আসতে হলে ২/৩টা বিয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে হবে।
১১। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে গেলে তোমাদের ফেল করিয়ে দেয়া হবে। আমাকে খুশি করতে হবে। আমাকে কিভাবে খুশি করতে হয়, সেটা তোমরা মেয়েরাই ভালো জানো, কেননা এসব ছলাকলা তোমাদের রপ্ত আছে।
১২। অশালীন কথায় ইতস্তত বোধ করলে তিনি বলেন, “ক্লান্ত বোধ করতেছো ? এত ক্লান্ত মেয়েকে বিয়ে করবে কে ? যদি তোমাদের বিয়ে না হয়, তবে আমার কাছে চলে এসো”।
১৩। কোন বিবাহিতা ছাত্রী ভালো মার্কস পেলে তাকে বলেন, “যাও যাও আজকে বাসায় দিয়ে স্বামীকে বইলো কোলে নিয়ে বেশি করে আদর করতে।”
১৪। কোন বিবাহিতা ছাত্রীর স্বামী বিদেশে থাকলে বলতেন, “তোমরা হাসব্যান্ড কোথায় ? বিদেশে ? তুমি তো জেন্ডার জোনে আছো। তোমার তো সব কিছু শুকায় যাচ্ছে।” “পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে কোথায় যাবা? জামাইয়ের কাছে যাবা ? জামাইয়ের কাছে যেন যাচ্ছো, আমার কাছে আসো, আমি তোমাদেরকে চাই।”
১৫। তিনি অনেক বিবাহিো ছাত্রীকে বলেন, “তুমি কেন বাচ্চা নিছো ? তুমি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াও ? এই জন্যই তো তোমার শরীরের এই অবস্থা। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে তোমার ফিজিক্যাল এট্র্যাকশন চলে যাবে। দেখা যাবে ছেলেরা আর তোমার দিকে তাকাচ্ছে না।
(এই লিঙ্কে https://bit.ly/2JoeXsk ছাত্রীদের নিজমুখে জবানবন্দি এবং ভিডিও’র ৮:০৪ সময়ে ইউজিসি’র চেয়্যারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠির স্ক্রিনশট পাবেন)
একটা সময় মানুষ ইভটিজিং বলতো, পরে সরকার তা পরিবর্তন করে যৌন হয়রানী’ শব্দের প্রচলন করে। এর কারণ, কিছু ধর্ষক যেমন লিঙ্গ দিয়ে ধর্ষণ করে পৈচাশিক আনন্দ পায়, তেমনি মাসুদ মাহমুদের মত কুলাঙ্গাররা মুখের ভাষা দিয়ে নারীদের ধর্ষণ করে, আনন্দ লাভ করতে চায়। তাই লিঙ্গনির্ভর ধর্ষকের সাথে জিহ্বা নির্ভর ধর্ষক মাসুদ মাহমুদের কোন পার্থক্য দেখি না।
কিন্তু অবাক করার মত বিষয়, যেসব মিডিয়া এতদিন মুখে মুখে নিজেদের নারী অধিকারের পক্ষে এবং নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার বলে দাবী করতো, শুধুমাত্র দলীয় মতাদর্শ (বামপন্থী) মিল থাকার কারণে তারা সবাই একযোগে ধর্ষক মাসুদ মাহমুদের পক্ষ নিচ্ছে এবং যেসব সাহসী ছাত্র ঐ ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলো তাদেরকে আগুন দেয়ার মিথ্যা ঘটনা পক্ষে বলে জেলে ভরেছে। গণমাধ্যমের এই নিঃকৃষ্ট অধঃপতনের স্বাক্ষী থাকবে সবাই, ছি:।