কোরবানীতে ট্যাক্স : জনগণের ধর্মীয় উৎসবের টাকা সন্ত্রাসীদের রদস বানাচ্ছে সরকার। এন.সি- ২৮০

কোরবানীতে ট্যাক্স : জনগণের ধর্মীয় উৎসবের টাকা সন্ত্রাসীদের রদস বানাচ্ছে 
সরকার

Related image
কোরবানীতে ট্যাক্স : জনগণের ধর্মীয় উৎসবের টাকা সন্ত্রাসীদের রদস বানাচ্ছে সরকার
কোরবানী ঈদ আসলেই হাটগুলো ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে। খুনোখুনি খুব স্বাভাবিক বিষয়। এ থেকে বোঝা যায়, কাদের হাতে কোরবানীর হাটগুলো যায়,কারা এর দ্বারা আর্থিক লাভবান হয়। কোরবানীর হাসিল নাম টাকা দিয়ে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস পালবে, অস্ত্র কিনবে, সংগঠন শক্তিশালী করবে। আর সেই টাকা আদায়ের সুযোগ করে দেবে সরকার।
আমরা সব সময় বলি, “সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন”, “সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন”। কিন্তু সন্ত্রাসীদের আর্থিক উৎসগুলো বন্ধ করি না। দেশের সন্ত্রাসীদের একটা বড় আর্থিক উৎস হলো এই কোরবানীর হাসিল। কোরবানীর ঈদে যদি ৫০ হাজার কোটি টাকা পশু বিক্রি হয়, তবে হাসিলের পরিমাণ দাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী হয় এবং অস্ত্র সস্ত্র সমৃদ্ধ করে। সরকার যদি রাজস্বের নামে কোরবানীর হাটগুলোতে ইজারা সিস্টেম না করতো, তবে সন্ত্রাসীরা হাসিল আদায় করতে পারতো না, সন্ত্রাসের রসদও লাভ করতে পারতো না।
সরকার কত কিছুতে খরচ করে। শুনলাম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলাকে উপলক্ষ করে নাকি সারা ঢাকা শহর লাইট দিয়ে সাজাইছে। এছাড়া হিন্দুদের পূজার সময়, খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস বা বৌদ্ধদের পূর্নিমার সময় অনেক খরচ করে সরকার। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয়, সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় উৎসব কোরবানী ঈদের হাটগুলোতে কি সরকার নিজ থেকে সামান্য কিছু দিয়ে বাশ বানাতে পারে না? সেখান থেকে সামান্য ট্যাক্স আদায় না করলেই কি নয় ?
নাকি সরকারই ইজারার নাম দিয়ে নিজেই ইচ্ছে করেই তার দলীয় সন্ত্রাসীদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দেয় ?
জনগণকে এই বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে, কোরবানীর টাকা থেকে কিছুতেই সরকার ট্যাক্স নিতে পারবে না, ধর্মীয় উৎসবের টাকা কিছুতেই সন্ত্রাসীদের রসদ করতে দিবে না। তাই হাসিল সিস্টেম বাতিল হোক।