ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।এন.সি- ৩৩১
ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।
Image result for স্প্রিং
একদিন গোলাম ছিলাম রে……..
ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।
৯টি দেশ (ইংল্যান্ড নিজে বাদে) : বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তান কিন্তু এক সময় জলদস্যু শাসিত ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ ছিলো। জলদস্যু ব্রিটিশরা খুব অহংসকার করে বলতো- The sun never sets on the British Empire. অর্থ-ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনো অস্ত যায় না।" জলদস্যু জাত ব্রিটিশরা যখন দেখলো তাদের সম্রাজ্যবাদের পতন আসন্ন, তখন তারা “কমনওয়েলথ” নামক সংস্থা বানিয়ে রাখলো- যাদের দেখলে সব সময় মনে হবে- এই দেশগুলো এক সময় ব্রিটিশ গোলাম ছিলো।
সেই ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীদের বানানো খেলা হইলো- ক্রিকেট।
মালিক খেলা চালু করে গোলামদের ডাক দিছে খেলতে।
আর গোলামরা খেলতে পেরে কত খুশি হইছে।
মালিকও গোলামদের সাথে ছবি তুলে খুশি।
হাসতে হাসতে বলে- তোরা সারাদিন থাকবি খেলা নিয়ে, আর আমার নাতিরা শিখবে যুদ্ধ,
আফগানিস্তানে গিয়ে বোম্বিং করে মজা নিবে।
আমি জানি, এসব বললে- কেউ কেউ বলবে-
সব কিছুর মধ্যে আপনি রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র টেনে আনেন।
আমি তাদের বলবো- ভাই সমস্যা কি জানেন ?
মূল সমস্যা হইলো আমাদের ইজ্জত নাই,
আর তার থেকেও বড় সমস্যা হইলো, আমদের যে ইজ্জত নাই, এটাও আমরা বুঝি না।
আজকে পৃথিবীতে সুপার পাওয়ার হইছে আমেরিকা।
এই ব্যাটা ভালো হোক আর মন্দ হোক, সে কিন্তু ইজ্জত কি এটা বুঝে।
এই আমেরিকা (ইউএসএ) কিন্তু এক সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ ছিলো।
সে বহু কষ্ট করে যুদ্ধ করে সেখান থেকে বের হইছে।
কিন্তু সে কিছুতেই এটা স্বীকার করতে চায় না, যে সে এক সময় ব্রিটিশ গোলাম ছিলো।
এই জন্য এই ব্যাটা ব্রিটিশ বানানো ক্রিকেট খেলতে আসে নাই।
ব্রিটিশ বানানো কমনওয়েলথও যোগ দেয় নাই।
ব্রিটিশরা কোন নিয়ম চালু করলে সেখানে লাফ দিয়ে নামে নাই।
ব্রিটিশরা বাম দিয়ে গাড়ি চালায়, সে চালায় ডান দিয়ে।
ব্রিটিশরা লাইটের সুইচ অন করে উপর থেকে নিচে, আর সে করে নিচ থেকে উপরে।
যদিও ধর্মে দুই দেশ খ্রিস্টান, কিন্তু ব্রিটিশ নিয়ম মানলে আবার ‘এক সময় ব্রিটিশদের গোলাম ছিল’ এটা মনে করতে হয় কি না, এজন্য তারা ব্রিটিশদের বানানো নিয়ম মানে নাই, আবার অনেক ক্ষেত্রে বেশি জরুরী হলো মডিফাই করে ব্যবহার করছে, তবুও ডাইরেক্ট মানে না। এটা হইলো আসল ই্জ্জত। আর ইজ্জত বজায় রাখার জন্য আজকে আমেরিকানরা সুপার পাওয়ার হইতে পারছে।
মুসলমানরা যখন এক সময় সারা বিশ্ব শাসন করতো, তখন এই পলিসি কিন্তু মুসলমানদের মধ্যেও ছিলো।
তারা অমুসলিমদের কোন নিয়ম-কানুন মানতো না। নিজস্ব পলিসিতে চলতো।
খলিফা উমরের জীবনীতে পরেছিলাম- বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়ের পর তিনি যখন চাবি আনতে গিয়েছিলেন,
তখন তিনি চামড়ার তৈরী খাবারের দস্ত থেকে রুটির টুকরা তুলে খাচ্ছিলেন, যা ইসলামের একটি নিয়ম।
তখন অনেকে বলেছিলো- এখানে অনেক খ্রিস্টান রাজা বাদশাহ আছে, তাদের সামনে দস্ত খানা থেকে খাবার তুলে না খেলে কি হয় না।?
তখন তিনি খুব রাগান্বিত হয়ে জোরে বলেছিলেন- এসব আহাম্মকের জন্য কি, আমি আমার ইসলামীক নিয়ম-নীতি ছেড়ে দিবো ?
আমরা দেশকে ভালোবাসি, জাতিকে নিয়ে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি।
আমরা চিন্তা করি বিভিন্ন শত্রুর অধীনে থেকে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে একটা সময় হয়ত সেটার পরিবর্তন হবে।
কিন্তু সেই পরিবর্তন হওয়ার জন্য আগে প্রয়োজন আমাদের মন-মগজের পরিবর্তন করা।
যারা সম্রাজ্যবাদী তারা তো মন-মগজে আমাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে।
যতদিন আমরা আমাদের মন-মগজ ও বিশ্বাসকে তাদের গোলামির কাতার থেকে বের না করতে পারবো, ততদিন আমরা আসলেই স্বাধীন হবো না এবং স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশও করতে পারবো না- এটাই আগে আমাদের বুঝতে হবে।
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কি অত্যাসন্ন ??এন.সি- ৩৩০
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কি অত্যাসন্ন ??

বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কি অত্যাসন্ন ??
বাংলাদেশের মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮০ লক্ষ হেক্টর। (https://bit.ly/2W8VZdw)
Image result for স্প্রিংএক চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ভারতের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ৩০ হাজার একর জমি। (https://bit.ly/2EKA2M8)
এ রকম দেশে মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। সবগুলো মীর সরাইয়ের মত বড় না হলেও চতুপার্শ্বে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও শিল্প-কারখানার বিস্তৃতির আকার মিলিয়ে প্রতিটির আকার ২০-২৫ হাজার একর বা তার কমবেশি হতে পারে।
তাহলে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট জমি লাগবে ২৫ লক্ষ একর। কথা হলো এই জমিগুলো কোথা থেকে আসবে ?
৬৪ জেলাতে নতুন করে জমি সৃষ্টি হচ্ছে না, কৃষি জমি কেড়েই শিল্পাঞ্চল বানানো হবে।
এক মীরসরাইয়ে জমিহারা হবে ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার। (https://bit.ly/2KjnnU1)
এদের থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে নামমাত্র মূল্যে জমি কেড়ে নিচ্ছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা। নষ্ট করছে কৃষি জমি ও পুকুর। https://youtu.be/7vwxPmpHzPE)
আমরা এখন দেখছি-
কৃষকের ধানের দাম কমিয়ে দেয়া হচ্ছে,
বিভিন্ন কৃষিপণ্যের বাজার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শেষ করে দেয়া হচ্ছে ।
কিন্তু কেন হচ্ছে ?
মূল কারণ- কৃষক যেন তার পেশা ছেড়ে দেয়। নতুন পেশার যাওয়ার চিন্তা করে।
জরিপ বলছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ৬৫% কৃষক পেশা ছেড়ে দিতে চাইছে (https://bit.ly/2KjnnU1)
শেখ হাসিনা বিদেশী ব্যবসায়ীদের সামনে গিয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন,
“আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে যাচ্ছি, আপনারা আসুন”
(https://bit.ly/2HOm1Pj)
তারমানে বর্তমান সরকারের পলিসি হচ্ছে দেশী কৃষি শেষ করে বিদেশী শিল্প-কারখানা নিয়ে আসা।
আমাদের লোভ দেখানো হচ্ছে, “অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে, কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে”।(https://bit.ly/2Wjux1U)
এই লোভে আমরা বাংলাদেশে বিদেশী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
কিন্তু সেই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে গেলে কত কোটি লোক বেকার হবে, তার হিসেব কি করে দেখেছি ?
ভয়ের কারণ হচ্ছে,
বাংলাদেশে একদিনে সব কৃষি জমি শেষ হবে না,
আবার একদিনে এতগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চলও প্রতিষ্ঠা হবে না।
হয়ত ১০ বছরে কৃষি জমি শেষ হবে, আর সামনের ১০ বছরে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠা হবে।
কথা হলো কৃষক শেষ হওয়ার ১০ বছর এবং বিদেশী অর্থনৈতিক অঞ্চল বানানোর ১০ বছর, এই ২০ বছর বাংলাদেশের মানুষ কি করবে ? কি খাবে ? তাদের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভর হবে ?
কিছুদিন আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়,
আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে বিলুপ্ত হতে পারে কৃষিজমি, তখন দেশে তৈরী হতে পারে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ। (https://bit.ly/2QDhWAj)
ছোট বেলায় শুনেছিলাম, অনেক শাসক নাকি বিদেশীদের কাছে দেশ বিক্রি করে দেয়।
তখন বুঝতাম না, দেশ তো কোন পণ্য নয় যে, মার্কেটে গিয়ে বিক্রি করে দিবে !
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, দেশী উৎপাদককে ধ্বংস করে টাকার বিনিময়ে বিদেশী উৎপাদকের কাছে দেশের জমি বিক্রি করাটাই তো আসল দেশ বিক্রি। তবে দেশী উৎপাদক ধ্বংস এবং বিদেশী উৎপাদক নিয়ে আসা, এর মধ্যে যদি ২০ বছর তফাৎ হয়, তবে ততদিনে বাংলাদেশের মানুষগুলো আফ্রিকার মত হাড্ডিসার হয়ে যাবে। তখন খুব কমমূল্যে বাংলাদেশে দাস কিনতে পারবে বিদেশী কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ দেশের জমিও বিক্রি হবে, দেশের জনগণও দাস হিসেবে বিক্রি হবে। অন্তত হিসেব নিকেষ তাই বলছে।
প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় নগ্ন নারী দেহ !এন.সি- ৩২৯
প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় নগ্ন নারী দেহ 
!

Image result for স্প্রিং
প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় নগ্ন নারী দেহ !
এবার প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যা ২০১৯ এর ৪৫৫-৪৬১ পৃষ্ঠায় মুর্তজা বশীরের লেখা “আমার নগ্নিকারা” আর্টিকেলে ৫টি নগ্ন নারী দেহের চিত্র প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে নগ্ন নারী দেহের ছবি ও ভাস্কর্য এভেলেবেল করার জন্য একটি মহল বেশ সক্রিয়। গত বছর চর্তুথ ঢাকা আর্ট সামিটের সময় নগ্ন নারীদেহের ছবি প্রদর্শন করা হয়। শুধু তাই নয়, ইনুকে আমন্ত্রন করে তাকে দিয়ে বলানো হয়, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে নগ্ন নারী দেহের প্রদর্শনীর দরকার আছে।
(https://bit.ly/2wwxPiP)
উল্লেখ্য মূর্তি বা ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে নগ্ন নারী দেহ তৈরীর সূচনা হয়েছে।
এর মধ্যে ময়মনসিংহ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে নগ্ন নারী মূর্তি (https://bit.ly/2QEcKfD)
এবং গাজীপুরে হুমায়ুনের বানানো নুহাশ পল্লীতে নগ্ন নারীদেহের ভাস্কর্য্য উল্লেখযোগ্য (https://bit.ly/2IcDBvrhttps://bit.ly/2QEXRtm)
মূলত ইহুদীদের একটি স্বভাব হলো, তারা অন্য জাতিগুলোকে সব সময় কলুষিত করতে চায়। এরজন্য তারা শিল্পের নামে যৌনতা আর বিজ্ঞানের নামে নাস্তিকতা ছড়ায়। নগ্ন নারী দেহ ছাড়াও ছবি আকা যায়, শিল্প হওয়া সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো- ইহুদীদের মদদপুষ্ঠ ঐ বিশেষ গোষ্ঠীটি বার বার শিল্পের কথা বলে আমাদেরকে নগ্ন নারী দেহের দিকেই নিয়ে যেতে চায়।
প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যার সেই আর্টিকেলে মুর্তজা বশীর অবশ্য ৪৬১ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট বলেছে, কেন নগ্ন নারী দেহের ছবি আকা হয়। তারই ভাষ্য, এর পেছনে মূল কারণ পুরুষের জৈবিক চাহিদা। মুর্তজা বশীরের সূত্র ধরেই তাহলে বলা যায়, এই ছবিগুলো সমাজের পুরুষের জৈবিক চাহিদা উস্কে দেবে, যার ফলফল ভালো নয়, মন্দ হবে বলে নিশ্চিত।

গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট দলকে হারায়।এন.সি- ৩২৮
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট দলকে হারায়।
Image result for স্প্রিংগতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট দলকে হারায়।
এতে অনেকে ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে।
তবে আমার মনে হয়েছে, খোদ দক্ষিণ আফ্রিকা নামক রাষ্ট্রটিকে নিয়েই আমাদের অনেক আলোচনা করার দরকার আছে। এই রাষ্ট্রটি নিয়ে আলোচনার মধ্যে আমাদের অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। আমার পাঠক শ্রেণীর মধ্যে অনেকে দক্ষিণ আফ্রিকা রাষ্ট্রটি সম্পর্কে আমার থেকে ভালো জ্ঞাত থাকতে পারেন, অথবা খোদ দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রবাসী হিসেবে থাকতে পারেন। তাদেরকেও অনুরোধ করবো, আমার আলোচনার মধ্যে কোন ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন এবং নিজেরাও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭০ লক্ষ। দেশটির জনগণ কয়েকটি জাতিতে বিভক্ত-
১) শেতাঙ্গ : এদের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮%, কিন্তু এরাই দেশটির এলিট ক্লাস, ধনী শ্রেণী। এরা দেশের মূল সুবিধা ভোগ করে। এরা দেশটির আদিবাসী নয়, ইউরোপ থেকে আগত। ডাচ ও ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে এদের পূর্বপুরুষদের আগমন। দেশটির অধিকাংশ সম্পদ তাদের হাতে রয়েছে।
২) কৃষ্ণাঙ্গ : দেশটির মোট জনসংখ্যার তারা প্রায় ৮০%, এরাই দেশের মূ্ল আদিবাসী। এরা এলিট ক্লাস মানে শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত। এরা চরম দরিদ্র হয়। এদের মধ্যে ৬৩% হচ্ছে চরম দরিদ্র শ্রেনীর নিচে বাস করে। দেশের মোট কৃষি জমির মাত্র ৮% এর মালিক তারা।
৩) মিশ্র: শেতাঙ্গরা প্রায় ৩শ’ বছরের বেশি থাকার কারণে কৃষ্ণাঙ্গ ও শেতাঙ্গের মিশ্রণের ফলে এই মিশ্র জাতির তৈরী। জনসংখ্যায় এদের পরিমাণ ৯% এর মত।
৪) এশিয়ান: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে থেকে এদের আগমন। জনসংখ্যায় এদের পরিমাণ ২.৫% এর মত।
ছোটবেলায় যখন দক্ষিণ আফ্রিকার নাম শুনেছিলাম, তখন সেটা শুনেছিলাম নেলসন মান্ডেলার নামের সাথে। তাকে খুব মহান নেতা বলে প্রচার করা হতো। শ্বেতাঙ্গরা এক সময় কালোদের উপর খুব নির্যাতন করতো, তার কারণে নাকি সেই বর্ণবাদের অবসান ঘটে। এজন্য তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়।
তখন এ কথাগুলো শুনে খুব বিশ্বাস করতাম, কিন্তু এখন লেনসন ম্যান্ডেলার মাধ্যমে আসলে কতটুকু বর্ণবাদ দূর হয়েছে, সেটা হিসেব করার দরকার। যেহেতু ক্রিকেট খেলার কথা এসেছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট টিম নিয়ে আলোচনা করলে মূল বিষয়টি খোলাসা হবে, প্রকৃতপক্ষে দেশটিতে কতটুকু বর্ণবাদ দূর হয়েছে। যেমন- বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট টিমে ১১ জন খেললে, তার মধ্যে ৫ জন হতে হবে শ্বেতাঙ্গ (তারা মূল জনংসংখ্যার ৮%), কৃষ্ণাঙ্গ হতে হবে ২ জন (যদিও তারা মূল জনসংখ্যার ৮০%), মিশ্র ও বিদেশী থেকে হবে বাকি ৪ জন।
অনেকের মতে, লেনসন ম্যান্ডেলা নাকি একজন বিশ্বাসঘাতক। কৃষ্ণাঙ্গরা প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদেশী শ্বেতাঙ্গদের হাত থেকে মুক্তি পায়নি। কিন্তু ম্যান্ডেলা কথিত বর্ণবাদের অবসানের নাম দিয়ে আসলে স্বগোত্রীয় কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাদের বহুদিন ধরে তৈরী হওয়া মুক্তি আন্দোলনকে স্থিমিত করে দেয়। লেনসন ম্যান্ডেলার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে দেশটির প্রকৃত স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে, পশ্চিমাদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করার পুরস্কার স্বরূপ তাকে নোবেল দেয়া হয়, দেশের প্রধান করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে আমি ধারবাহিক লিখবো বলে চিন্তা করেছি। এই দেশটি থেকে বাংলাদেশীদের অনেক কিছু শেখার আছে। আপাতত এই লেখা থেকে সমাজে তৈরী হওয়া এলিট ক্লাস সম্পর্কে শেখার দরকার আছে, যাদের দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠদের শাসন ও নিপীড়ন করে সম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী- এই বিষয়টি বুঝার দরকার। এছাড়া পশ্চিমারা এমন কিছু সেলিব্রেটি তৈরী করে, যাদের মিডিয়ার মাধ্যমে খুব হাইলাইট করা হয়। কিন্তু এরা জাতীয়ভাবে বেঈমান প্রকৃতির হয়, এদেরকেও চেনার দরকার আছে।
তবে বর্তমান বাংলাদেশীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গবেষণার সবচেয়ে বেশি দরকার কর্পোরেটোক্রেসি সম্পর্কে বুঝতে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা হচ্ছে কর্পোরেটোক্রেসির সবচেয়ে ভালো ও প্রকৃষ্ট উদাহরণ । দক্ষিণ আফ্রিকার সিস্টেমরা বুঝতে পারলেই বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসির আগমন বুঝা একদম সোজা হয়ে যাবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সব বাংলাদেশী কাজ করেন, তারা সব সময় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ থাকেন।এন.সি- ৩২৭
দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সব বাংলাদেশী কাজ করেন, তারা সব সময় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ থাকেন।
Image result for স্প্রিংদক্ষিণ আফ্রিকায় যে সব বাংলাদেশী কাজ করেন, তারা সব সময় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ থাকেন। ঐ দেশে ব্যবসা করতে গিয়ে নিয়মিত খুন ও মারের শিকার হতে হয় তাদের।
একটি দেশের জনগোষ্ঠীটিকে যখন দেশী এলিট ক্লাস ও বিদেশীরা একযোগে শোষণ করে, সম্পত্তি, চাকুরী, ব্যবসা কেড়ে নেয়, তখন দীর্ঘদিন নিপীড়িত হওয়ার পর তারা হিংস্র হয়ে যায়, তারা অপরকে শত্রু মনে করে। মাদক ব্যবসা, খুন, ডাকাতি, চুরি, মারামারি, পতিতাবৃত্তি তাদের জন্য স্বাভাবিক হয়ে যায়। আপনাদের মনে থাকার কথা, পুরান ঢাকায় যখন প্ল্যাস্টিক কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিলো, তখন আমি এ কথাটাই বলেছিলাম। বলেছিলাম, এই প্লাস্টিক কারখানাগুলো বন্ধ হলে, এর সাথে জড়িত একটি শ্রেণী চুরি-ছিনতাইযে নেমে পড়বে। কোন দেশে যখন কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়ন হয় তখন মূল জনগোষ্ঠী এলিট ক্লাস ও বিদেশীদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে অন্য জনগোষ্ঠীগুলো অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে, এটাই স্বাভাবিক।
দক্ষিণ আফ্রিকা চরম শ্রেণীর দারিদ্রতা হচ্ছে ৫৫% জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কালোদের মধ্যে এর পরিমাণ ৬৩% এবং সাদাদের মধ্যে দারিদ্রতা মাত্র ১%। দেশটিতে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। দেশটিতে অফিসিয়ালী বেকারত্বের হার ২৫% এর উপরে। দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে কষ্ঠের বিষয় হলো মুদ্রাষ্ফীতি। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত দেশটির মুদ্রার দাম হ্রাস পাচ্ছে, ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের কালোরা দরিদ্র হলেও জিডিপি বিবেচনা করলে অনেক ধনী রাষ্ট্র থেকেও ধনী হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৭ সালে দেশটির ডিজিপি ছিলো ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের থেকে জিডিপি ১০০ বিলিয়ন বেশি। দেশটির ঘাড়ে রয়েছে প্রচুর বৈদেশিক ঋণ। ২০১৮ সালে দেশটির নোমিনাল জিডিপির অর্ধেক ছিলো বৈদেশিক ঋণ।
জনগণের মধ্যে দরিদ্রতা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পদের প্রাচুর্যতায় ভরপুর। দক্ষিণ আফ্রিকাতে রয়েছে বিশাল বিশাল ৭টি হিরার খনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরার খনি ‘দ্য কিম্বার্লি মাইন’ দক্ষিণ আফ্রিকাতে অবস্থিত। খনিটি আপাতত বন্ধ হলেও একটা সময় তোলা হয়েছে প্রচুর পরিমানে হিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই হিরার উৎসগুলো থেকে একচেটিয়ে ব্যবসা করে ব্রিটিশ কোম্পানি ডি বিয়ার্স। ডি বিয়ার্সের উপরে আছে Anglo American plc নামক কোম্পানি, যা প্রতিষ্ঠা করে Ernest Oppenheimer নামক এক জার্মানির ইহুদী। এই কোম্পানিতে আবার ফিনানসিয়াল ব্যাকিং আছে মার্কিন ইহুদী আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগানের।
শুধু হিরা নয়, আমেরিকান সার্ভের মত হলো, পৃথিবীর ৫০% স্বর্ণের উৎস হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এটাও অ্যাংলো-ডি বিয়ার্সরা কন্ট্রোল করে, এখানেও লাভবান হয় আফ্রিকান ইহুদী ব্যবসায়ী Harry Oppenheimer , যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনীদের একজন।
স্বর্ণ ছাড়াও আছে প্লাটিনাম। ২০০৫ দেশটিতে থেকে বিশ্বের মোট প্লাটিনাম উৎপাদনের ৭৮% এসেছিলো। এছাড়া পৃথিবীর দ্বিতীয় ইউরোনিয়ামের মজুদ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটি থেকে প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হয়। দেশটির সকল খনীগুলোই হলো বড় বড় আন্তর্জাতিক কর্পোরেটদের ঘাটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা খুব খেলাপাগল জাতি। পৃথিবীর মাত্র ৪টি দেশ আছে, যারা একসাথে তিনটি বড় খেলার বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের মধ্যে একজন যে একইসাথে ফুটবল, ক্রিকেট ও রাগবী বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, বড় আয়োজনগুলোর ভেন্যুও সে হয়। যেমন- ১৯৯৫ সালে রাগবী বিশ্বকাপ, ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যটনের দিক থেকে খুব এগিয়ে। দেশটির শহর- জোহান্সবার্গ, কেপটাউন, ডারবান আন্তর্জতিকভাবে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। বিশাল বিশাল বিলাসবহুল হোটেল আর রিসোর্টের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি টুরিস্ট আসে, আমেরিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি ও ব্রিটেন থেকে।
পতিতাবৃত্তির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাপক পরিচিত। দেশটির জনগোষ্ঠী অতি দরিদ্র হওয়ায় কারণে দেশটির মূল নিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মেয়ে পতিতাবৃত্তির পথ বেছে নেয়। সরকারী হিসেবেই নিবন্ধকৃত পতিতার সংখ্যা মোট নারীর ১০ ভাগের ১ ভাগ। নিবন্ধনহীন পতিতার সংখ্যা আরো বেশি। শুধু দেশী পতিতা নয়, পর্যটকদের আগমণের কারণে আশেপাশের দেশগুলো থেকেও প্রচুর পরিমাণে পতিতা দেশটিতে আশ্রয় নেয়। আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় মিডিয়ায় এসেছিলো, দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিফা বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার বিদেশী পতিতার আগমন ঘটবে। উল্লেখ্য দেশটিতে সাড়ে ৫ কোটি মানুষের মধ্যে ৭৫ লক্ষ জনগণ হলো এইচআইভি পজিটিভ। পৃথিবীর দ্বিতীয় শীর্ষ ধর্ষণ সংগঠিত হওয়ার রাষ্ট্রও হলো দক্ষিণ্ আফ্রিকা।
আমি আগেই বলেছি, কর্পোরেটোক্রেসির সবচেয়ে ভালো উদহারণ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কর্পোরেটোক্রেসি কিভাবে কর্পোরেটদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী জাতিকে ধ্বংস করে দেয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বুঝতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে স্ট্যাডি করলে সব বের হয়ে যাবে।
দেশের সম্পদ পাচার,
দেশের জনগণকে দুইভাগে ভাগ করা, এলিট ক্লাস দিয়ে সাধারণ জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা।
দেশের সম্পদ নিয়ে যেতে বিদেশী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিদের ডেকে নিয়ে আসা।
দেশের দুর্নীতিবাজ শাসক বিদেশীদের কর্পোরেটদের সাথে যোগাযোগ রাখা
ভূমি ও সম্পত্তির মালিকানা এলিট ক্লাস ও বিদেশীদের হাতে রাখা।
কাজীর গরু খাতায় থাকবে, গোয়ালয়ে থাকবে না। জিডিপি অনেক বেশি কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ খুবই গরীব।
দেশকে খেলাপাগল করা, সারাদিন খেলায় মত্ত থাকা।
দেশকে পর্যটন নির্ভর করা, বিদেশীদের কর্পোরেটদের আসা যাওয়া ও থাকার জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ করে দেয়া।
জনগনকে দরিদ্র করে অপরাধের দিকে ঢেলে দেয়া,
পুরুষরা হবে সন্ত্রাসী, নারীরা হবে পতিতা।
ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়া
আমার দেয়া তথ্যগুলো আমি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি, কিন্তু কিছু রেফারেন্স আছে অ্যানালাইসিস ভিত্তিক। তবে খুব বেশি তথ্য এদিক-সেদিক হবে না।
আমরা দক্ষিণ্ আফ্রিকার সাথে ক্রিকেটে জিতে গেছি, এটা ঠিক। এজন্য হয়ত খুশি হয়েছেন। কিন্তু দেশটিকে নিয়ে পর্যালোচনা করলে বুঝবেন, আমাদেরকেও কিন্তু তাদের পথে হাটানো হচ্ছে। সুতরাং ভবিষ্যত বাংলাদেশ কোন পথের দিকে যাচ্ছে সেটাও এখান থেকে অনুমান করা সম্ভব।
চকবাজারে দেশী পণ্যের বিরুদ্ধে অভিজান করলেন, কিছু হলো না।এন.সি- ৩২৬
চকবাজারে দেশী পণ্যের বিরুদ্ধে অভিজান করলেন, কিছু হলো না।
Image result for স্প্রিং
চকবাজারে দেশী পণ্যের বিরুদ্ধে অভিজান করলেন, কিছু হলো না।
৫২ পণ্যের বিরুদ্ধে অভিজান করলেন, কিছু হলো না।
নিউ মার্কেটের ফাস্ট ফুড দোকানগুলোতে অভিজান করলেন, কিছু হলো না
গ্রিন লাইন বাস কাউন্টারের বিরুদ্ধে অভিজান করলেন, কিছু হলো না।
কিন্তু যেই না, আড়ং এর আউটলেটে অভিজান পরিচালনা করলেন, সাথে সাথে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে স্ট্যান্ড রিলিজ!
আমি যখন বলতাম, এই সব কথিত অভিজানগুলো হচ্ছে, সম্রাজ্যবাদীদের বিশেষ পলিসির অংশ হিসেবে, এর মাধ্যমে দেশী শিল্প ধ্বংস করা হবে। এর মাধ্যমে আমাদের দেশে কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়ন হবে।
তখন, অনেকেই আমার কথা নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন, ভাবতেন- “এ পাগলটা কি সব কথা বলে !”
আসলে- গরীবের কথা বাসি হলে ফলে।
এ কথিত অভিজানগুলো সরকারের মধ্যে ইনফিলট্রেশন করে যাদের পলিসিতে পরিচালিত হতো, আড়ং এ অভিজান করার মাধ্যমে ভুল করে তাদের উপরেই বিষয়টি প্রয়োগ হয়ে গেছে। এ কারণেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী এবং উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার দ্রুত বদলি করে দেয়া হলো। তাদের দৃষ্টিতে এই সরকারী কর্মকর্তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। শুকরের মত বাবার পাছায় কামড় দিয়ে দাঁতের ধার পরীক্ষা করেছে। তারা যদি সরকারি কর্মকর্তা না হয়ে বেসরকারি কর্মকর্তা হতেন, তবে নিশ্চিত জেল হয়ে যেতো।
আরো সহজে মিলিয়ে দিচ্ছি,
‘কর্পোরেটোক্রেসি’র সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’র শাসন।
-ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কার অনুমতিতে এ এলাকায় এসেছিলো ?
উত্তর : ব্রিটিশ রাজ (দস্যু) পরিবার ।
-ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’র নেতৃত্বে যে সব শীর্ষ দস্যু থাকতো তাদের উপাধি কি ছিলো ?
উত্তর – নাইট উপাধি । ডাকা হতো - স্যার ।
-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নব্যরূপ বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের মালিক হলো ফজলে হাসান আবেদ। ফজলে হাসান আবেদকেও কিন্তু নাইট উপাধি দিয়েছে ব্রিটিশ রাজ (দস্যু) পরিবার। তাকেও ডাকা হয় স্যার বলে। তার প্রথম কর্মস্থল ছিলো ডাচ দস্যুদের তেল কোম্পানি ‘শেল’। ই সেই ফজলে হাসান আবেদ ১৯৭৮ সালে এই আড়ং প্রতিষ্ঠা করে।
দেশী পোষাকের নাম করে বিকৃত সংষ্কৃতির পোষাক গলাকাটা মূল্যে বিক্রি করে ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুন্ন করে দেশব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানটি কুখ্যাত। কিন্তু তাকে আপনি কিছু বলতে পারবেন না। এটাই সম্রাজ্যবাদীদের আসল চেহারা। যেমন- তারা সারা দিন কথিত সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে সবাইকে সাইজ করবে, কিন্তু সে নিজেই একটা বড় সন্ত্রাসী । তাকে আপনি সন্ত্রাসী বলে ডাকতে পারবেন না, ডাকলেই আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। ঠিক তেমনি- ঐ গ্রুপটির পলিসিতে ভেজাল-বিষাক্ত নাম দিয়ে দেশী পণ্য/শিল্প/উৎপাদন খাত ধ্বংস করা হবে, কিন্তু তাদের কোন কাজে ভুলেও হাত দিতে পারবেন না, দিলে আপনার হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে।
অথচ দেখুন, ফরমালিনের নাম করে ৫০ হাজার টন আম, ফল ও মাছ ধ্বংস করা হয়েছে, কিন্তু পরে বের হয়েছে আসলে মেশিনেই ভুল ছিলো, ফরমালিন ছিলো না। তখন কিন্তু কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করা হয় নাই, কিংবা ঐ ব্যবসায়ী/কৃষককে ক্ষতিপূরণও দেয়া নাই। এতেই বোঝা যায়, আসলে জনগণকে ধোকা দেয়া হচ্ছে। দেশ গঠনের নামে দেশ-ই ধ্বংস করা হচ্ছে, আর বোকা পাবলিক সেটা দেখেই হাত তালি দিচ্ছে, আনন্দে আত্মহারা হচ্ছে।
এক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করছিলাম,। এন.সি- ৩২৫
এক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করছিলাম,।
Image result for স্প্রিংএক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করছিলাম,
বলছিলাম- আজকাল মেয়েরা কেমন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। কেমন উচ্ছৃঙ্খল পোষাক পড়ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই মিডিয়া দায়ী।
আমার ঐ ভাই বলেছিলো- দূর ! মিডিয়া দায়ী কিভাবে ? মিডিয়া কি পোষাক বানায় ? পোষাক বানায় তো ফ্যাশন হাউজগুলো। মিডিয়া কোন পোষাকের প্রচার করতে পারে। কিন্তু যারা এসব উচ্ছৃঙ্খল পোষাক বানাচ্ছে, তারা কারা ? কি উদ্দেশ্যে বানাচ্ছে ? তারা কাদের সাথে চলে ? কাদের স্বার্থ রক্ষা করে, এগুলো নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই বের হয়ে যাবে, আজকাল মেয়েদের উচ্ছৃঙ্খল করার জন্য পেছন থেকে আসলে কারা দায়ী।
আমার ঐ ভাইয়ের সাথে আলাপের পর থেকে আমি সব সময় ফ্যাশন হাউজগুলো নিয়ে চিন্তা করি। ফ্যাশন হাউজগুলোর ডিজাইনার কে, মালিক কে এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করি।
আড়ংকে বাংলাদেশে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় দেশী ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে। কিন্তু এই ফ্যাশন হাউজের পেছনে কে আছে ? তাদের কি উদ্দেশ্য ? তারা কি আদৌ আমাদের দেশী ফ্যাশনের পক্ষে নাকি সেটা আগে যাচাই করা উচিত।
আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস থেকে পুরষ্কার নিচ্ছে আড়ং এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ। অনুষ্ঠানটি জর্জ সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের। ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনে ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস ৩২ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে। ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অনেক কাজ, তার মধ্যে অন্যতম হলো কাউন্টার কালচার প্রমোট করা। কাউন্টার কালচার হচ্ছে চলমান সংষ্কৃতির বিপরীত সংস্কৃতি (যেমন-সমকামীতা) চালু করা। ইহুদীরা চায় সকল কমিউনিটি ভেঙ্গে দিতে। কমিউনিটিগুলো ভেঙ্গে দিলে তাদের দখল করে নেয়া সহজ। এই ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আগে দরকার বিভিন্ন কমিউনিটির সংস্কৃতিগুলো ভেঙ্গে দেয়া। সংষ্কৃতি ভেঙ্গে দিলে ঐ কমিউনিটির সদস্যরা আর কখন জোড়া লাগবে না।।
লক্ষণীয় ফজলে হাসান আবেদ হচ্ছে সেই ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘সিইইউ’ পুরষ্কারপ্রাপ্ত, যে পুরষ্কারটি দেয়া হয় তাদেরকে, যারা ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মতবাদ ছড়িয়ে দিতে পেরেছে । সেই ফজলে হাসান আবেদ যখন দেশী সংস্কৃতির নাম করে আমাদেরকে আড়ং চাপিয়ে দেয়, তখন আমাদেরকে সেটা যাচাই করে নেয়া উচিত। আসলেই কি তার উদ্দেশ্য দেশী সংস্কৃতি আমাদের উপহার দেয়া, নাকি ওপেন সোসাইটির কাউন্টার কালচার আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটানো, যেন ধিরে ধিরে আমরা নিজস্ব সংষ্কৃতি হারিয়ে এতিম হয়ে যাই, তখন অন্য কোন সংস্কৃতির লোক যেন খুব সহজে আমাদের দখল করে নিতে পারে।
আমার আরো লেখা পড়তে পারেন-
১) রাশিয়ার স্পুটনিকের খবর: রোহিঙ্গা বিতাড়নের পেছনে রয়েছে জর্জ সরোসের তেল ব্যবসা : https://bit.ly/2JXQjld
২) নারীবাদীদের পেছনে ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস : https://bit.ly/2Wo5x9u
৩) জর্জ সরোজ ও ফজলে হাসান আবেদ ও রোহিঙ্গা সমস্যা - https://bit.ly/2QJNSDt
বাংলাদেশে চাঁদ দেখা নিয়ে আগে তেমন গণ্ডগোল দেখি নাই।এন.সি- ৩২৪
বাংলাদেশে চাঁদ দেখা নিয়ে আগে তেমন গণ্ডগোল দেখি নাই।
বাংলাদেশে চাঁদ দেখা নিয়ে আগে তেমন গণ্ডগোল দেখি নাই।
কিন্তু ৬ মাস আগে আওয়ামী সরকার নতুন টার্মে এসে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ’কে করার পর থেকে দেখছি চাঁদ নিয়ে নিত্য নতুন গণ্ডগোল লেগেই আছে। ২ মাস আগে তো চাঁদ নিয়ে মানুষকে হাইকোর্টে যেতে দেখেছে দেশবাসী, আর এবার দেখা গেলো ঈদের চাঁদ নিয়ে ভয়ঙ্কর এত তামাশা।
Image result for স্প্রিংগতকালকে সোশাল মিডিয়ার কল্যাণ্যে বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধা ৭:৪৫ থেকেই দেখতেছি ফেসবুকে ঘুড়তেছে উত্তরবঙ্গে (কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট) থেকে নাকি চাঁদ দেখা গেছে। আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায়, সেটার সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারি নাই। কিন্তু অবাক লাগছে রাত ৯:০০ টার দিকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ ঘোষণা দিলো চাঁদ দেখা যায় নাই, বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ঈদ। আমার ভেতরে তখন খটকা লাগছিলো। যাই হোক, এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ১১:০০ টার দিকে দেখি আবার ঘোষণা পরিবর্তন হলো, শেখ আব্দুল্লাহ বললো চাঁদ দেখা গেছে। আমি তৎক্ষণাৎ কুড়িগ্রামে আমার এক বন্ধু ছিলো, তার সাথে যোগাযোগ করলাম, ঘটনা জানার জন্য। ঘটনা জানতে গিয়ে পেলাম এক ভয়ঙ্কর তথ্য। জানতে পারলাম, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার অনেক লোক চাঁদ দেখে এবং তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসে সন্ধার সময় জানায়। কিন্তু তাদের দেয়া তথ্য নাকি শেখ আব্দুল্লাহ গ্রহণ করছে না। তাদের চাঁদ দেখার তথ্যকে উপেক্ষা করেই চাদ না দেখার ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার ঈদের ঘোষণা দেয় শেখ আব্দুল্লাহ। এই খবর টিভিতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে। তাদের ব্যাপক বিক্ষোভ ও তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রশাসনে সর্বত্র বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সরকারের উধ্র্বতন মহল থেকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ’র উপর চাপ আসে। তখন শেখ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আবার মিটিং এ বসে এবং তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। কালকে রাতে যদি কুড়িগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যাপক বিক্ষোভ ও সরকারি কার্যালয় ঘেরাও না করতো তবে ঈদের দিনও বাংলাদেশের মানুষকে রোজা রাখতে হতো। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে হঠাৎ করে কেনো ছিনিমিনি খেলছে নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ? আর যে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী নিজেই বিশ্বস্ত নয় তার অধীনে ধর্মমন্ত্রনালয় রাখাই বা কতটুকু যুক্তি সংগত ?
গতকালকে বাংলাদেশ সময় রাত ১১:০০ টায় ঈদের চাদ দেখার ঘোষনা দেয়ার সময় সময়টিভি লাইভটা (https://bit.ly/2WKANz2) যদি দেখেন, তবে বুঝবেন, কতটা অনুপযুক্ত ও বদ রাগী একটা লোককে ধর্মমন্ত্রনালয়ের চেয়ারে বসানো হয়েছে। তার বক্তব্যের মধ্যে সমস্যাগুলো হলো-
১) সে কথায় কথায় দেশের বিভিন্ন কমিউনিটির ধর্মীয় নেতা বা আলেমদের কথা নিয়ে আসে। এটা তার একটা চালাকি। সে নিজে ভুল করে, কিন্তু বিভিন্ন পরিচিত আলেমদের নাম বলার মাধ্যমে তার নিজের দোষের সাথে অন্যদের জড়িয়ে ফেলে। মানে নিজে ডুবলে অন্যদেরকে নিয়েও ডুবতে চায়। এমনকি চাদ দেখা নিয়ে ব্যর্থতার দায় সে স্পষ্ট জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। সময় টিভি লাইভে সে স্পষ্ট বলেছে- “এর দায় জনগণ নিবে।
২) সে চাঁদ দেখার কথা বলে, বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা, আলেম ওলামার নাম আনছে । কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আন্ডারে যে জাতীয় চাদ দেখা কমিটিকে সরকারি টাকা দিয়ে রাখা হইছে মাসে ১ বার চাঁদ দেখার জন্য, তারা কতজন কতক্ষণ চাঁদ দেখেছে, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে কি না, সে বক্তব্য সে এড়িয়ে গেছে।
৩) আমার এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে জেনেছিলাম, বিভিন্ন জেলার ‘জাতীয় চাদ দেখা কমিটি’র অপর নাম নাকি ‘জাতীয় চা খাওয়া কমিটি’। যে দিন চাদ অনুসদ্ধানের কথা, সেই দিন নাকি তারা সবাই রুমের মধ্যে বসে চা-বিস্কুট খায়। আর দারোয়ানকে পাঠায় ছাদে চাদ দেখার জন্য। দারোয়ানও তো তাদের মত ধান্ধাবাজ। সেই ধান্ধাবাজ চাদ খুজলে খুজলো, নাহলে আন্দাজে যেটা বলে সেটাই রিপোর্টে লিখে দেয় চাঁদ দেখা কমিটি। সেই রিপোর্ট নিয়ে দেশের ১৬ কোটি মুসলমান ধর্ম-কর্ম পালন করে। প্রতি মাসে চাঁদ দেখার জন্য তারা ধর্মমন্ত্রনালয় থেকে একটা টাকার খাম পায়, যদিও সেই খামের জন্য তারা কোন পরিশ্রম করে না। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির মূল দায়িত্ব থাকে ডিসি-টিএনও’র। এদের সন্ধার সময় আকাশে চাঁদ খোজার সময় কোথায় ? তারা তাদের অন্যান্য অফিসিয়াল কাজ বা ব্যক্তিগত কাজে তুমুল ব্যস্ত থাকে। এরাও নামকাওয়াস্তে রিপোর্ট দেয়। এদের মধ্যে অনেকে আছে আবার অমুসলিম।
৪) astronomical moon sighting বিভিন্ন ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখতে পাওয়ার যুক্তিসংগত সম্ভবনা ছিলো। (https://bit.ly/2Z4tU9e) কিন্তু গতকাল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ব্যতিত দেশের অন্যান্য অঞ্চল ছিলো মেঘাচ্ছন্ন, অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিলো। যার কারণে অন্য এলাকার মানুষ চাঁদ দেখতে পায়নি, কিন্তু উত্তরাঞ্চলে মুসলমানরা বেশ সময় ধরে চাঁদ দেখেছে। আর উত্তরাঞ্চলে সূর্য পরে ডুবে, ফলে সেখানে অন্যান্য এলাকার অনেক পরে চাঁদ দেখা যায়। কিন্তু এ আসল কথাটাই ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনতে পেলাম না। তখন বুঝলাম- আসলে এ লোকটা চাঁদ দেখা সম্পর্কে কিছু বুঝেই না।
৫) বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহার করেন। কিন্তু ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ফেসবুকে তেমন কোন কার্যক্রম দেখলাম না (https://bit.ly/2MwQSEC)। অথচ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার চাঁদ দেখার খবর খুব সময়ের মধ্যে নেয়া সহজ ছিলো। তারা গতানুগতিক মান্ধারতার আমলের সিস্টেমে কিছু টিএন্ডটি নাম্বার দিয়ে দায় সারে। ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ‘আহসান ফয়সাল’ নামক এক শিক্ষককে দেখলাম, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তার একজন ছাত্র চাঁদ দেখেছেন। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফোন বিজি আছে, অথবা ধরতেছে না। যার কারণে কোন খবর জানাতে পারছে না। এক্ষেত্রে আমাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর অবস্থানকে দায়িত্বহীন বলে মনে হয়েছে।
৬) দেশের এমন অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল আছে, যারা হয়ত সরকারের ৯টার চাদ না-দেখার খবর শুনতে পেরেছে, কিন্তু রাত ১১টার সময় চাদ দেখার খবর শুনতে পায়নি। ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর গাফেলতির কারণে অনেকের মধ্যে তাই বিভ্রান্তি তৈরী হওয়া স্বাভাবিক।
আমার মনে হয়েছে, গতকাল ঈদের চাঁদ নিয়ে তামাশা করার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার দরকার আছে। বিশেষ করে ধর্মমন্ত্রনালয় একটি সেনসেটিভ মন্ত্রনালয়, এ মন্ত্রনালয়ে শেখ আব্দুল্লাহ’র মত অতিবৃদ্ধ, রগচটা ও দায়িত্বহীন লোককে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রাখলে দেশে হঠাৎ করে বড় ধরনের কোন অরাজকতা তৈরী হতে পারে । তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে পদচ্যূত করাই বাঞ্চনীয়।
Image may contain: 1 person