বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ‘বিশেষ বিধান’ (১৯ ধারা) দিয়ে কার্যত বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে বৈধ হয়ে গেছে । এ কারণে সরকার যখন আইনটি পাশ করে তখন সারা দেশব্যাপী নারীবাদীরা আন্দোলন করেছিলো বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ‘বিশেষ ধারা’ বাতিল করার জন্য। যদিও তাদের আন্দোলন গ্রহণযোগ্য হয় নাই।
এখানে একটু আন্তর্জাতিক রাজনীতি বোঝার দরকার আছে। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একটি প্ল্যান। অপরদিকে আওয়ামী সরকার হলো এন্টি মার্কিন ব্লকের। তাই ডাইরেক্ট তারা সিআইএ’র প্ল্যান বাস্তবায়ন করে নাই, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন সংস্কার করে ২০১৭ সালে ‘বিশেষ বিধান’ চালু করে বাল্যবিয়ে বৈধ করার জন্য যায়গা করে দিছে।
সমস্যা হলো, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের বিশেষ ধারা চালু হলেও জনগণ অজ্ঞতার কারণে তা থেকে সুবিধা নিতে পারে নাই। অপরদিকে বাংলাদেশের অবস্থানকারী মার্কিনপন্থীরা তাদের পরিচালিত মিডিয়া ও এনজিওগুলোর মাধ্যমে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে ‘বিশেষ বিধান -১৯ ধারা’ আড়াল করে আইনের বাকি অংশ থেকে সুবিধা নিচ্ছে এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করে বর, কাজী ও গার্জিয়ানদের জেলে ভরছে। কিন্তু অধিকাংশ জনগণ এখনও জানেই না, বিশেষ বিধান বা ১৯ ধারা মোতাবেক গেলে বাল্যবিয়ে করতে আর কোন বাধাই থাকে না।
আমার মনে হয়, বাল্যবিয়ের বিশেষ বিধান বা ১৯ ধারাটির ব্যাপক প্রচার দরকার। ডিসি অফিস, ম্যাজিস্ট্রেট অফিস, কাজী অফিস এবং মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো ছড়িয়ে দেয়া উচিত, বিশেষ বিধান বা ১৯ ধারা মোতাবেক বাল্যবিয়ে বাংলাদেশে এখন থেকে বৈধ। কোন বাবা-মা চাইলে সন্তানের স্বার্থেই তাকে বাল্যবিয়ে দিতে পারেন। কেউ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে আসলে তাকে এই আইনের একটি প্রিন্ট কপি দিয়ে বলবেন- “বর্তমান আইনে বাল্যবিয়ে গার্জিয়ান চাইলে বৈধ। আইন দিয়ে প্রমাণ করুণ- আমি অন্যায্য কাজ করছি।” সবাই এক হয়ে শক্ত ও জোরালো প্রতিবাদ করুন, দেখবেন যারা বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে আসছে তারাই লেজ গুটিয়ে পালাবে।
যে আইনের কারণে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে বৈধ- http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_sections_detail.php…
এটা একটা প্রিন্ট নিয়ে বাল্যবিয়ের গার্জিয়ানরা রাখবেন।
এটা একটা প্রিন্ট নিয়ে বাল্যবিয়ের গার্জিয়ানরা রাখবেন।
(ছবি : বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন : ২০১৭ এর ‘বিশেষ বিধান’ বাতিলের দাবীতে নারীবাদীদের বিক্ষোভ)