আজকে শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী দেশের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আমি আপনাদের আগেও বলেছি, এখনও বলছি- ভুলেও আপনার সন্তানকে এ ফ্রি ওষুধ খাওয়াবেন না। এবং আপনার বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিচিতদের নিষেধ করুন, কেউ যেন তার সন্তানকে এ ফ্রি ওষুধ না খাওয়ায়।
কারণ এ ক্যাম্পেপেইনে একটা শিশুকে জোর করে ওভারডোজের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে, এটা অনেক ক্ষতিকর। এ সম্পর্কে আমি আগে স্ট্যাটাসে বলেছিলাম-
“..............................
পাঠক, আপনি যদি সাধারণ কোন ব্যক্তি হোন, তবে ইংরেজীতে গুগল করুন, ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সেফ ডোজ কত ?
উত্তর পাবেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার আইইউ, আর বড় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আইইউ (https://bit.ly/2FIe52x)। এর বেশি নেওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
উল্লেখ্য অনেক ভিটামিন ওয়াটার সলিবল, যা অতিরিক্ত হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু ভিটামিন এ ফ্যাট সলিবল, যা শরীরের মধ্যে থেকে যায়, এবং অতিরিক্ত হলে সমস্যা তৈরী করে।
কারণ এ ক্যাম্পেপেইনে একটা শিশুকে জোর করে ওভারডোজের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে, এটা অনেক ক্ষতিকর। এ সম্পর্কে আমি আগে স্ট্যাটাসে বলেছিলাম-
“..............................
পাঠক, আপনি যদি সাধারণ কোন ব্যক্তি হোন, তবে ইংরেজীতে গুগল করুন, ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সেফ ডোজ কত ?
উত্তর পাবেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার আইইউ, আর বড় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আইইউ (https://bit.ly/2FIe52x)। এর বেশি নেওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
উল্লেখ্য অনেক ভিটামিন ওয়াটার সলিবল, যা অতিরিক্ত হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু ভিটামিন এ ফ্যাট সলিবল, যা শরীরের মধ্যে থেকে যায়, এবং অতিরিক্ত হলে সমস্যা তৈরী করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের নামে বাচ্চাদেরকে যে ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হচ্ছে সেগুলো দুই ধরনের।
- ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ১ লক্ষ আইইউ
- ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ২ লক্ষ আইইউ, তা সহ্য মাত্রার থেকে অনেকগুন বেশি। (https://bit.ly/2FQoZ5n)
- ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ১ লক্ষ আইইউ
- ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ২ লক্ষ আইইউ, তা সহ্য মাত্রার থেকে অনেকগুন বেশি। (https://bit.ly/2FQoZ5n)
অতিরিক্ত ভিটামিন হওয়া শরীরের মধ্যে বিষক্রিয়া তৈরী করে যাকে বলে হাইপারভিটামিনোসিস। এই বিষক্রিয়ায় –
১। শিশুদের করোটির হাঁড় অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে যায় ।
২।দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ।
৩।হাঁড়ে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় ।
৪।সচেতনায় পরিবর্তন আসে ।
৫।ক্ষুধা কমে যায় ।
৬।মাথা ঝিমঝিম করে ।
৭।ঘুম ঘুম ভাব লেগেই থাকে ।
৮।মাথা ব্যাথা করে ।
৯। হৃদপিণ্ডের কপাটিকা শক্ত হয়ে যায় ।
১০।আক্রান্ত ব্যাক্তি দ্রুত রেগে যায় ।
১১। লিভার নষ্ট হয়ে যায় ।
১২।বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া ।
১৩।দৈহিক ওজন কমে যায় ।
১৪।ত্বক ও চুলের রং পরিবর্তন হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায় ।
১৫।ত্বক ও চুল তেলতেলে হয়ে যায় এবং ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করে ।
১৬।স্বতঃস্ফুর্তভাবে হাঁড় চটে যায় ।
১৭।ঠোঁটের কোণে ফাঁটল বা চিড় ধরে ।
১৮। কোমা, মৃত্যু
(https://bit.ly/2R3QgDq)
১। শিশুদের করোটির হাঁড় অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে যায় ।
২।দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ।
৩।হাঁড়ে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় ।
৪।সচেতনায় পরিবর্তন আসে ।
৫।ক্ষুধা কমে যায় ।
৬।মাথা ঝিমঝিম করে ।
৭।ঘুম ঘুম ভাব লেগেই থাকে ।
৮।মাথা ব্যাথা করে ।
৯। হৃদপিণ্ডের কপাটিকা শক্ত হয়ে যায় ।
১০।আক্রান্ত ব্যাক্তি দ্রুত রেগে যায় ।
১১। লিভার নষ্ট হয়ে যায় ।
১২।বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া ।
১৩।দৈহিক ওজন কমে যায় ।
১৪।ত্বক ও চুলের রং পরিবর্তন হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায় ।
১৫।ত্বক ও চুল তেলতেলে হয়ে যায় এবং ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করে ।
১৬।স্বতঃস্ফুর্তভাবে হাঁড় চটে যায় ।
১৭।ঠোঁটের কোণে ফাঁটল বা চিড় ধরে ।
১৮। কোমা, মৃত্যু
(https://bit.ly/2R3QgDq)
পাঠক ! যে শিশুটির শরীরে ভিটামিন এ’র অভাব আছে, তাকে না হয় এক-দুই বার ওভার ডোজ দেয়া গেলো, কিন্তু যার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আছে, তাকে ওভার ডোজ দিলো তো সমস্যা হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সম্রাজ্যবাদীদের বেধে দেয়া শ্লোগান “বাদ যাবে না একটি শিশু” (https://bit.ly/2R6g9CB), ইহুদি মাস্টারপ্লান এসডিজি বাস্তবায়ন করতে আমাদেরকে থার্ডওয়ার্ল্ড কান্টি ট্যাগ লাগিয়ে আড়াই কোটি শিশুকে গণহারে ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, যা তার দেহে বিষক্রিয়া বা হাইপারভিটামিনোসিস তৈরী করতে পারে। আমরা বাচ্চাটিকে এতকষ্ট করে ওষুধ খাওয়াাচ্ছি সুস্থ সবল প্রজন্ম পাওয়ার জন্য, কিন্তু ৫ বছরে ১০ বার ওভার ডোজের ওষধ খাওয়ানোর ফলে যদি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দায় নেবে কে?......................................” (https://bit.ly/2L7Ic5q)
উল্লেখ্য গত বছর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর জামালপুরের একটি এলাকায় ১ শিশু নিহত ও ৫শ’ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
(https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/367424350479811/)
(https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/367424350479811/)
এখানে লক্ষ্যনীয়,
সম্রাজ্যবাদীদের কথা হলো- বাংলাদেশ একটা থার্ডওয়ার্ড কান্ট্রি, তাই এর সব শিশুর শরীরে ভিটামিন এ –এর অভাব আছে, তাই সবাইকে গণহারে ওভারডোজ ভিটামিন এ দেয়া যাবে। অথচ এটা কিন্তু বাস্তবসম্মত কোন বিষয় নয়। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন সস্তা সবজীতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। সেক্ষেত্রে আদৌ বাংলাদেশে কতজন মানুষ ভিটামিন এ’র অভাবে তা পরিমাপের বিষয়। অথচ সেটা পরিমাপ না করে গণহারে সবাইকে ওভারডোজ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কোন বিজ্ঞানসম্মত সমাধান হতে পারে না। তাছাড়া কথিত উন্নত বিশ্বে যেখানে ওভারডোজ ভিটামিন এ খাওয়ানো নিষেধ, যেখানে আমাদের কেন তৃতীয় বিশ্ব ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে গণহারে ওভারডোজ ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে?
সম্রাজ্যবাদীদের কথা হলো- বাংলাদেশ একটা থার্ডওয়ার্ড কান্ট্রি, তাই এর সব শিশুর শরীরে ভিটামিন এ –এর অভাব আছে, তাই সবাইকে গণহারে ওভারডোজ ভিটামিন এ দেয়া যাবে। অথচ এটা কিন্তু বাস্তবসম্মত কোন বিষয় নয়। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন সস্তা সবজীতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। সেক্ষেত্রে আদৌ বাংলাদেশে কতজন মানুষ ভিটামিন এ’র অভাবে তা পরিমাপের বিষয়। অথচ সেটা পরিমাপ না করে গণহারে সবাইকে ওভারডোজ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কোন বিজ্ঞানসম্মত সমাধান হতে পারে না। তাছাড়া কথিত উন্নত বিশ্বে যেখানে ওভারডোজ ভিটামিন এ খাওয়ানো নিষেধ, যেখানে আমাদের কেন তৃতীয় বিশ্ব ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে গণহারে ওভারডোজ ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে?
আমি জানি, অনেকে বলবে, আপকি কি ডাক্তার ? ডাক্তারি বিদ্যা সম্পর্কে আপনার কতটুকু অভিজ্ঞতা আছে ? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যেখানে বিষয়টি করতে বলেছে, সেখানে আপনার কি যোগ্যতা আছে এর বিরোধীতা করার ?
আসলে যারা আমাকে এ ধরনের কথা বলবেন, তাদেরকে আমি বলবো, শুধু চিকিৎসা বইগুলো না দেখে দয়া করে বিশ্ব মিডিয়ার দিকেও কিছুটা চোখ রাখুন। অতি সম্প্রতি আমেরিকাতে একটি আলোচিত ঘটনা হচ্ছে, ‘পারডিউ ফার্মার অপিওয়েড কেলেঙ্কারী’। অপিওয়েড হচ্ছে এমন একটি ওষুধ, যা হেরোইন বা মরফিনের মত। এটি প্রায় মৃত্যু পথযাত্রীদের ব্যাথ্যানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পারডিউ ফার্মা বিষয়টিকে এমনভাবে বিপনন করে, যেন তা সাধারণ যে কোন ব্যথ্যা বা সাধারণ মাথাব্যাথার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। এতে বহু মানুষ অপিওয়েড আসক্ত হয়ে পড়ে এবং ওষুধ বিক্রি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এতে ওষুধ কোম্পানির মালিক ইহুদী স্যাকলার পরিবার ফুলে ফেপে উঠে এবং ২০১৫ সালে বিশ্বের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এদিকে, অপিওয়েড আসক্ত বা সামান্য ওভারডোজের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নামে মার্কিন কংগ্রেস। তদন্তে বেড়িয়ে আসে, ইহুদী স্যাকলার পরিবার তাদের ওষুধের বিক্রি বাড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে গোপনে অর্থায়ন করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথিত ফেসভ্যালু কাজে লাগিয়ে তারা সবার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে বিপনন বাড়ায়। (https://bit.ly/2WYJ82T, https://bit.ly/2X4zwnD)
পাঠক ! এখানে চিন্তার বিষয়,, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে বিশ্ব স্বাস্ব্য সংস্থাকে প্রভাবিত করে ইহুদী কর্পোরেট পরিবারগুলো যদি ওষুধের বিক্রি বাড়াতে পারে, তবে আমাদের বাংলাদেশ তো কোন বিষয়ই না।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত পথে ছোট ছোট শিশুদের ফ্রি ওভারডোজের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে, দেখা যাবে এর পেছনেও রয়েছে কোন সম্রাজ্যবাদী ঔষধ কোম্পানির হাত। এ ওভারডোজের ঔষধ খেয়ে বাচ্চারা হয়ত এমন কোন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বা হবে, যার দরুণ বড় ধরনের ব্যবসায়ীক ফায়দা নিবে কোন সম্রাজ্যবাদী ওষুধ কোম্পানি। অথবা এসব ওষুধ প্রযোগে শারীরিক বা মানসিকভাবে দুর্বল ভবিষ্যত প্রজন্ম ইহুদী সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কিছু করা তো দূরের কথা, সহজেই তাদের দাসত্ব স্বীকার করে নিবে। তাই সাবধান।