ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।এন.সি- ৩৩১

ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।
Image result for স্প্রিং
একদিন গোলাম ছিলাম রে……..
ব্রিটেনের দস্যু রানীর সাথে ছবি তুলেছে ১০ দেশের ক্রিকেট দলের প্রধান।
৯টি দেশ (ইংল্যান্ড নিজে বাদে) : বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তান কিন্তু এক সময় জলদস্যু শাসিত ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ ছিলো। জলদস্যু ব্রিটিশরা খুব অহংসকার করে বলতো- The sun never sets on the British Empire. অর্থ-ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনো অস্ত যায় না।" জলদস্যু জাত ব্রিটিশরা যখন দেখলো তাদের সম্রাজ্যবাদের পতন আসন্ন, তখন তারা “কমনওয়েলথ” নামক সংস্থা বানিয়ে রাখলো- যাদের দেখলে সব সময় মনে হবে- এই দেশগুলো এক সময় ব্রিটিশ গোলাম ছিলো।
সেই ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীদের বানানো খেলা হইলো- ক্রিকেট।
মালিক খেলা চালু করে গোলামদের ডাক দিছে খেলতে।
আর গোলামরা খেলতে পেরে কত খুশি হইছে।
মালিকও গোলামদের সাথে ছবি তুলে খুশি।
হাসতে হাসতে বলে- তোরা সারাদিন থাকবি খেলা নিয়ে, আর আমার নাতিরা শিখবে যুদ্ধ,
আফগানিস্তানে গিয়ে বোম্বিং করে মজা নিবে।
আমি জানি, এসব বললে- কেউ কেউ বলবে-
সব কিছুর মধ্যে আপনি রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র টেনে আনেন।
আমি তাদের বলবো- ভাই সমস্যা কি জানেন ?
মূল সমস্যা হইলো আমাদের ইজ্জত নাই,
আর তার থেকেও বড় সমস্যা হইলো, আমদের যে ইজ্জত নাই, এটাও আমরা বুঝি না।
আজকে পৃথিবীতে সুপার পাওয়ার হইছে আমেরিকা।
এই ব্যাটা ভালো হোক আর মন্দ হোক, সে কিন্তু ইজ্জত কি এটা বুঝে।
এই আমেরিকা (ইউএসএ) কিন্তু এক সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ ছিলো।
সে বহু কষ্ট করে যুদ্ধ করে সেখান থেকে বের হইছে।
কিন্তু সে কিছুতেই এটা স্বীকার করতে চায় না, যে সে এক সময় ব্রিটিশ গোলাম ছিলো।
এই জন্য এই ব্যাটা ব্রিটিশ বানানো ক্রিকেট খেলতে আসে নাই।
ব্রিটিশ বানানো কমনওয়েলথও যোগ দেয় নাই।
ব্রিটিশরা কোন নিয়ম চালু করলে সেখানে লাফ দিয়ে নামে নাই।
ব্রিটিশরা বাম দিয়ে গাড়ি চালায়, সে চালায় ডান দিয়ে।
ব্রিটিশরা লাইটের সুইচ অন করে উপর থেকে নিচে, আর সে করে নিচ থেকে উপরে।
যদিও ধর্মে দুই দেশ খ্রিস্টান, কিন্তু ব্রিটিশ নিয়ম মানলে আবার ‘এক সময় ব্রিটিশদের গোলাম ছিল’ এটা মনে করতে হয় কি না, এজন্য তারা ব্রিটিশদের বানানো নিয়ম মানে নাই, আবার অনেক ক্ষেত্রে বেশি জরুরী হলো মডিফাই করে ব্যবহার করছে, তবুও ডাইরেক্ট মানে না। এটা হইলো আসল ই্জ্জত। আর ইজ্জত বজায় রাখার জন্য আজকে আমেরিকানরা সুপার পাওয়ার হইতে পারছে।
মুসলমানরা যখন এক সময় সারা বিশ্ব শাসন করতো, তখন এই পলিসি কিন্তু মুসলমানদের মধ্যেও ছিলো।
তারা অমুসলিমদের কোন নিয়ম-কানুন মানতো না। নিজস্ব পলিসিতে চলতো।
খলিফা উমরের জীবনীতে পরেছিলাম- বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়ের পর তিনি যখন চাবি আনতে গিয়েছিলেন,
তখন তিনি চামড়ার তৈরী খাবারের দস্ত থেকে রুটির টুকরা তুলে খাচ্ছিলেন, যা ইসলামের একটি নিয়ম।
তখন অনেকে বলেছিলো- এখানে অনেক খ্রিস্টান রাজা বাদশাহ আছে, তাদের সামনে দস্ত খানা থেকে খাবার তুলে না খেলে কি হয় না।?
তখন তিনি খুব রাগান্বিত হয়ে জোরে বলেছিলেন- এসব আহাম্মকের জন্য কি, আমি আমার ইসলামীক নিয়ম-নীতি ছেড়ে দিবো ?
আমরা দেশকে ভালোবাসি, জাতিকে নিয়ে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি।
আমরা চিন্তা করি বিভিন্ন শত্রুর অধীনে থেকে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে একটা সময় হয়ত সেটার পরিবর্তন হবে।
কিন্তু সেই পরিবর্তন হওয়ার জন্য আগে প্রয়োজন আমাদের মন-মগজের পরিবর্তন করা।
যারা সম্রাজ্যবাদী তারা তো মন-মগজে আমাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে।
যতদিন আমরা আমাদের মন-মগজ ও বিশ্বাসকে তাদের গোলামির কাতার থেকে বের না করতে পারবো, ততদিন আমরা আসলেই স্বাধীন হবো না এবং স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশও করতে পারবো না- এটাই আগে আমাদের বুঝতে হবে।