আমি একটা কথা সব সময় বলি
আমরা সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখছি, সেটা যেন জনগণের জন্য হয়।
কিন্তু উন্নয়নগুলো যদি দেশের জন্য না হয়ে বিদেশীদের জন্য হয়,
তখন জনগণের উচিত সেই উন্নয়নের বিরোধীতা করা।
যেমন-এই যে নদীর আশেপাশে বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙ্গা হচ্ছে,
এটা কি জনস্বার্থে ভাঙ্গা হচ্ছে কি না ?
যদি জনস্বার্থে ভাঙ্গা হয়, তাহলে সমস্যা নেই।
আমরা সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখছি, সেটা যেন জনগণের জন্য হয়।
কিন্তু উন্নয়নগুলো যদি দেশের জন্য না হয়ে বিদেশীদের জন্য হয়,
তখন জনগণের উচিত সেই উন্নয়নের বিরোধীতা করা।
যেমন-এই যে নদীর আশেপাশে বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙ্গা হচ্ছে,
এটা কি জনস্বার্থে ভাঙ্গা হচ্ছে কি না ?
যদি জনস্বার্থে ভাঙ্গা হয়, তাহলে সমস্যা নেই।
কিন্তু বাস্তবতা হলো- নদীর আশেপাশের স্থাপনাগুলো ভাঙ্গা হচ্ছে-
ক) ভারতীয় অর্থায়নে
খ) ভারতীয় বুদ্ধিতে
গ) ভারতের সুবিধার জন্য
নদীর আশেপাশে যে হাজার হাজার স্থাপনাগুলো ছিলো, সেখানে অনেক শিল্প বানিজ্য ছিলো
অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছিলো, কিন্তু সেগুলো জোর করে ভাঙ্গা হলো।
উপর দিয়ে প্রকাশ করা হলো- এরমধ্যে জনগণের উন্নয়ন আছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো সেটা ছিলো বিদেশী কল্যান, অর্থায়ন ও বুদ্ধিতে।
ক) ভারতীয় অর্থায়নে
খ) ভারতীয় বুদ্ধিতে
গ) ভারতের সুবিধার জন্য
নদীর আশেপাশে যে হাজার হাজার স্থাপনাগুলো ছিলো, সেখানে অনেক শিল্প বানিজ্য ছিলো
অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছিলো, কিন্তু সেগুলো জোর করে ভাঙ্গা হলো।
উপর দিয়ে প্রকাশ করা হলো- এরমধ্যে জনগণের উন্নয়ন আছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো সেটা ছিলো বিদেশী কল্যান, অর্থায়ন ও বুদ্ধিতে।
গত ১৬ই মে, দৈনিক আমাদের সময়ের খবর-
“নদী দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে : নৌপ্রতিমন্ত্রী”
খবরের ভেতরে-
ঢাকার আশপাশে ও অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নিজ কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে ও আশপাশে যে নৌরুট রয়েছে তা দূষণের ফলে যাত্রীদের আগ্রহ কম। এজন্য রুটগুলোকে দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহী।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। দুই দেশের মধ্যে অনেক নৌপথ ও স্থলপথ রয়েছে। আবার অনেক পথ ভারতের অর্থায়নে তৈরিও হচ্ছে। আজ আমরা আলোচনা করেছি রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নতুন করে নৌরুট ও গোদাগাড়ী স্থলবন্দর নির্মাণের বিষয়ে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সার্ভে হয়ে গেছে। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল পর্যায়ে আরও আলোচনা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরের নদীগুলোর দূষণ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে নদী ও স্থলবন্দর নির্মাণ হলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযাগ বৃদ্ধিসহ বাণিজ্য বাড়বে। এজন্য আমাদের অবকাঠামো দুর্বলতা কমাতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্প্রতি যে পর্যটনবাহী জাহাজ চালু হয়েছে তা পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে পর্যটন জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৫০০ থাকলে যাত্রী যায় সাত থেকে ১০ জন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। পর্যটন খাতে সবসময় আর্থিক বিবেচনা করলে চলবে না। এখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন বাড়াতে হলে আমাদের আগে অবকাঠামো বাড়াতে হবে। নৌপথে পর্যটকরা যেখানে নামতে চায়, সেসব স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।’” (https://bit.ly/2EINFv8)
“নদী দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে : নৌপ্রতিমন্ত্রী”
খবরের ভেতরে-
ঢাকার আশপাশে ও অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নিজ কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে ও আশপাশে যে নৌরুট রয়েছে তা দূষণের ফলে যাত্রীদের আগ্রহ কম। এজন্য রুটগুলোকে দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহী।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। দুই দেশের মধ্যে অনেক নৌপথ ও স্থলপথ রয়েছে। আবার অনেক পথ ভারতের অর্থায়নে তৈরিও হচ্ছে। আজ আমরা আলোচনা করেছি রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নতুন করে নৌরুট ও গোদাগাড়ী স্থলবন্দর নির্মাণের বিষয়ে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সার্ভে হয়ে গেছে। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল পর্যায়ে আরও আলোচনা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরের নদীগুলোর দূষণ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে নদী ও স্থলবন্দর নির্মাণ হলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযাগ বৃদ্ধিসহ বাণিজ্য বাড়বে। এজন্য আমাদের অবকাঠামো দুর্বলতা কমাতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্প্রতি যে পর্যটনবাহী জাহাজ চালু হয়েছে তা পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে পর্যটন জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৫০০ থাকলে যাত্রী যায় সাত থেকে ১০ জন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। পর্যটন খাতে সবসময় আর্থিক বিবেচনা করলে চলবে না। এখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন বাড়াতে হলে আমাদের আগে অবকাঠামো বাড়াতে হবে। নৌপথে পর্যটকরা যেখানে নামতে চায়, সেসব স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।’” (https://bit.ly/2EINFv8)
এগুলো অবশ্য আমি অনেক আগেই প্রকাশ করেছি-
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমি এক স্ট্যাটাসে বলেছিলাম- ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা উত্তরাঞ্চলে কোন নৌ-রুট নেই যেটা ভারতীয় কোন সমুদ্র বন্দর থেকে ঢুকেছে। একমাত্র বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে নদীপথ ভারতের উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত পৌছেছে। এটা ভারত ব্যবহার করতে চাইছে। (https://bit.ly/2JN3rJD)
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমি এক স্ট্যাটাসে বলেছিলাম- ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা উত্তরাঞ্চলে কোন নৌ-রুট নেই যেটা ভারতীয় কোন সমুদ্র বন্দর থেকে ঢুকেছে। একমাত্র বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে নদীপথ ভারতের উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত পৌছেছে। এটা ভারত ব্যবহার করতে চাইছে। (https://bit.ly/2JN3rJD)
এছাড়া ১৩ই মার্চ বলেছিলাম- বুড়িগঙ্গার তীরে তৈরী হওয়া পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বিশ্বব্যাংক কেন সেখানে ইনভেস্ট করছে।,( https://bit.ly/30ROECN)
এটা কিন্তু বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটি বড় দিক। আমেরিকা-চীনের বাণিজ্য যু্দ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমেরিকা চাইছে চীনের বিকল্প একটি পণ্য সমৃদ্ধ দেশ দাড় করানোর জন্য। এজন্য সে মোদির ভারতকে (রিপাবলিকান ব্লক) দাড় করাচ্ছে। কিন্তু পণ্যের দাম কমানোর জন্য দরকার পরিবহণ খরচ বাচানো। কিন্তু ভারতের সবচেয়ে জনবহুল উত্তরাঞ্চলে কোন নৌ-রুট না থাকায় ভারতীয় পণ্যের খরচ কমছে না। এজন্য ভারত বাংলাদেশের চট্ট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ইনভেস্ট করেছে্ এবং নদীগুলো পলিমুক্ত ও বড় জাহাজ পারাপারের উপযোগী করে তোলার জন্য ঋণ দিচ্ছে।
তবে জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারত যাওয়া বা সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার আগে ঢাকাকে একটি কেন্দ্র করে সার্কেল বানাতে চায়, এজন্য ঢাকার চারপাশের নদীগুলোও তারা দখলমুক্ত ও খনন করছে। তবে ঢাকাকে তারা ব্যবসায়ীক এলাকা নয় বরং রিসোর্ট বা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিবে। এখানে তাদের ব্যবসায়ীরা বিশ্রাম করবে, বিনোদন করবে। কিন্তু ভারতের ব্যবসায়ীদের বিনোদন দেয়ার জন্য যে ৪০০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীক কেন্দ্রকে তুলে দিতে হবে, এটাও জোর করে বাংলাদেশকে স্বীকার করানো হচ্ছে। এজন্য তারা সরকারকে প্রচুর ঋণ নামক উৎকোচ দিচ্ছে এবং এখানে সেখানে আগুন লাগায় পুরান ঢাকার ব্যবসা ও শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে রিসোর্ট বানানো এবং পুরান ঢাকায় পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে আধুনিক শহর বানানো সব সেই পলিসির অংশ বিশেষ। এজন্য রিপাবলিকান ব্লকের ভারতের মোদি সরকার, মার্কিন থার্ডপার্টি সংস্থা বিশ্বব্যাংক অগ্রগণ্য।
তবে জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারত যাওয়া বা সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার আগে ঢাকাকে একটি কেন্দ্র করে সার্কেল বানাতে চায়, এজন্য ঢাকার চারপাশের নদীগুলোও তারা দখলমুক্ত ও খনন করছে। তবে ঢাকাকে তারা ব্যবসায়ীক এলাকা নয় বরং রিসোর্ট বা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিবে। এখানে তাদের ব্যবসায়ীরা বিশ্রাম করবে, বিনোদন করবে। কিন্তু ভারতের ব্যবসায়ীদের বিনোদন দেয়ার জন্য যে ৪০০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীক কেন্দ্রকে তুলে দিতে হবে, এটাও জোর করে বাংলাদেশকে স্বীকার করানো হচ্ছে। এজন্য তারা সরকারকে প্রচুর ঋণ নামক উৎকোচ দিচ্ছে এবং এখানে সেখানে আগুন লাগায় পুরান ঢাকার ব্যবসা ও শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে রিসোর্ট বানানো এবং পুরান ঢাকায় পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে আধুনিক শহর বানানো সব সেই পলিসির অংশ বিশেষ। এজন্য রিপাবলিকান ব্লকের ভারতের মোদি সরকার, মার্কিন থার্ডপার্টি সংস্থা বিশ্বব্যাংক অগ্রগণ্য।
বাংলাদেশে এখনও অনেক সুশীল শ্রেণী আছে, যারা সরকারের এইসব ভাংচুর/উচ্ছেদ দেখে বাহবা দেয়।
কিন্তু আমি এগুলো কখন সমর্থন করি না, কারণ যে কথিত উন্নয়ন জনগণের জন্য না হয়ে বিদেশীদের জন্য হয়,
সেটা দেখতে যত সুন্দর হোক, সেই উন্নয়ন আমি চাই না।
কিন্তু আমি এগুলো কখন সমর্থন করি না, কারণ যে কথিত উন্নয়ন জনগণের জন্য না হয়ে বিদেশীদের জন্য হয়,
সেটা দেখতে যত সুন্দর হোক, সেই উন্নয়ন আমি চাই না।