পশ্চিমাপন্থী মিডিয়ার খুব পরিবেশবাদী, সে ইটভাটাকে দেখে, কিন্তু বিষাক্ত ইউক্যালিপটাসকে দেখে না
ছবির দিকে তাকান, একটা ইটের চুল্লি দেখা যাচ্ছে। এবং মিডিয়া সেটাই হাইলাইট করতেছে।
অথচ সেই ইটভাটা চুল্লির চারপাশে অসংখ্য ক্ষতিকারক ইউক্যালিপটাস গাছ দেখা যাচ্ছে, সেগুলো একেকটা ইট চুল্লির থেকে বেশিক্ষতিকর, সেটা কিন্তু মিডিয়া দেখতে পাচ্ছে না, দেখাচ্ছেও না।
অথচ সেই ইটভাটা চুল্লির চারপাশে অসংখ্য ক্ষতিকারক ইউক্যালিপটাস গাছ দেখা যাচ্ছে, সেগুলো একেকটা ইট চুল্লির থেকে বেশিক্ষতিকর, সেটা কিন্তু মিডিয়া দেখতে পাচ্ছে না, দেখাচ্ছেও না।
বাংলাদেশকে গাছ লাগিয়ে মরুভূমি বানানোর ষড়যন্ত্র করে প্রথম বিশ্বব্যাংক। সে অনুদান ও বুদ্ধি দেয়- এই গাছ লাগালে অনেক উপকার। পরবর্তীতে ব্র্যাক এর জন্য ঋণ দেয়। এছাড়া পশ্চিমাপন্থী মিডিয়া ‘বনায়ন করলে ভালো’ – এই কথা ছড়িয়ে সেই ইউক্যালিপটাস প্রতি এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ২০১২-১৪ এর দিকে বের হয় হয়, এই গাছ দিয়ে আসলে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে, এই গাছ আসলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সরকারও এক সময় তা নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। এখনও যদি কেউ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যান, তবে অবাক হবেন, শত শত মাইল জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু ইউক্যালিপটাস গাছ আর গাছ। কত কোটি ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। এমন অনেক এলাকা পাওয়া যায়, যেখানে ইউক্যালিপটাস ছাড়া অন্য গাছ পাওয়া অসম্ভব।
বিষাক্ত ইউক্যালিপটাস গাছে ক্ষতি-
১) অক্সিজেন শোষণ করে বেশি
২) কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে
৩) এর চারপাশে ১০ ফুট এলাকার পানি শুষে নেয়
৪) জমির উর্বরতা হ্রাস করে, ফসল উৎপাদনও হ্রাস পায়
৫) এ গাছে পাখি সহজে বসে না। বাসাও বাঁধে না।
৬) এ গাছের আশপাশে অন্যগাছও জন্মাতে পারে না।
৭) এর রেণু ও ধূলিকণা মানুষের হাঁপানি রোগ সৃষ্টির সহায়ক।
(https://bit.ly/2Md4J2J)
১) অক্সিজেন শোষণ করে বেশি
২) কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে
৩) এর চারপাশে ১০ ফুট এলাকার পানি শুষে নেয়
৪) জমির উর্বরতা হ্রাস করে, ফসল উৎপাদনও হ্রাস পায়
৫) এ গাছে পাখি সহজে বসে না। বাসাও বাঁধে না।
৬) এ গাছের আশপাশে অন্যগাছও জন্মাতে পারে না।
৭) এর রেণু ও ধূলিকণা মানুষের হাঁপানি রোগ সৃষ্টির সহায়ক।
(https://bit.ly/2Md4J2J)
কথা হলো, সব দোষ হচ্ছে ইটভাটার। অথচ এই ইটভাটা যে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত করবে, সেটা তো গাছগুলোর শুষে নেয়ার দায়িত্ব ছিলো । কিন্তু সেটা না করে ইউক্যালিপটাস নিজেই অক্সিজেন চুষে নিয়ে, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে তা উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে। । ইউক্যালিপটাস নিজেই ভেতর থেকে প্রচুর পানি শোষন ফসল নষ্ট করছে, কিন্তু দোষ পড়ছে ইটভাটার। অর্থাৎ মানুষ ও তার সৃষ্ট জিসিন পরিবেশ দূষিত করবে, কিন্তু গাছ সেটার ভারসাম্য ঠিক করে দিবে। কিন্তু গাছ যখন নিজেই পরিবেশ দূষণ করতে নামে তখন ভারসাম্য রক্ষা পাবে কিভাবে ?
কথা হলো- পশ্চিমাপন্থী মিডিয়া খুব পরিবেশবাদী, ইটভাটার বিরুদ্ধে লাগছে,
কিন্তু তারা ইউক্যালিপটাসের বিরুদ্ধে কেন বলছে না ?
কেন বলছে না, এই ইউক্যালিপটাস বাংলাদেলে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাদের পোষক বিশ্বব্যাংক বা সমগোত্রীয় ব্র্যাক জড়িত।
কিন্তু তারা ইউক্যালিপটাসের বিরুদ্ধে কেন বলছে না ?
কেন বলছে না, এই ইউক্যালিপটাস বাংলাদেলে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাদের পোষক বিশ্বব্যাংক বা সমগোত্রীয় ব্র্যাক জড়িত।
যদি ১ হাজার ইটভাটা থাকে, তবে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে ১০ কোটি। ইটভাটার থেকে ইউক্যালিপটাস গাছগুলো পরিবেশে বহুগুন বেশি ক্ষতি করতেছে, তাই সেটা আগে কাটা জরুরী।
কিন্তু পশ্চিমাবপন্থী মিডিয়ার চোখ বেশি ইটভাটার দিকে, কারণ ইটভাটার সাথে পুকুর খনন ও মাছ চাষ বৃদ্ধি জড়িত, ইটভাটা আইনের মধ্যে পর্যন্ত পুকুর খননকে ঢুকিয়ে দিয়েছে । পশ্চিমাপন্থী মিডিয়ার টার্গেট ইটভাটার নাম করে বাংলাদেশের মাছ চাষের লাগাম টেনে ধরা। সাগর-নদীতে তো মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিছে, পুকুরের ক্ষেত্রে এখন অন্য পলিসি।
কিন্তু পশ্চিমাবপন্থী মিডিয়ার চোখ বেশি ইটভাটার দিকে, কারণ ইটভাটার সাথে পুকুর খনন ও মাছ চাষ বৃদ্ধি জড়িত, ইটভাটা আইনের মধ্যে পর্যন্ত পুকুর খননকে ঢুকিয়ে দিয়েছে । পশ্চিমাপন্থী মিডিয়ার টার্গেট ইটভাটার নাম করে বাংলাদেশের মাছ চাষের লাগাম টেনে ধরা। সাগর-নদীতে তো মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিছে, পুকুরের ক্ষেত্রে এখন অন্য পলিসি।
ইটভাটা নিয়ে আমার লেখাটিতে বিস্তারিত আছে-https://bit.ly/2VRfzv1