মিডিয়া হইলো দেশী শিল্পের বিরুদ্ধে ।এন.সি- ৩০৫

মিডিয়া হইলো দেশী শিল্পের বিরুদ্ধে ।
Image result for স্প্রিং
মিডিয়া হইলো দেশী শিল্পের বিরুদ্ধে ।
এজন্য- ৯৬টি গরুর দুধ ও দইয়ের নমুনায় ৯৩টার মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, এই ভুয়া জরিপ ভাইরাল করছে। (https://bit.ly/2xcUOA0)
কিন্তু গতকাল হাইকোর্টে উত্থাপিত আরেক রিপোর্টে- ৩০৫টি দুধ ও দইয়ের নমুনায় ৩০৩টি বিশুদ্ধ পাওয়া গেছে, সেই রিপোর্ট কিন্তু হাইলাইট করে নাই। (https://bit.ly/2FwZllo)
আবার হাইকোর্টের বিচারকরাও হইলো ইশপের গল্পের বাঘের মত।
হরিণ শাবক ঝর্ণা পানিতে মুখ দিছে। বাঘ তাই বলে- তুই আমার পানি ঘোলা করলি কেন ?
হরিণ শাবক তখন বলে, আমি তো নিচে, আপনি তো উপরে। আমি আপনার পানি ঘোলা করলাম কিভাবে?
তখন বাঘ বলছিলো- তুই ঘোলা করিস নি তো কি হয়েছে, তোর বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের কেউ তো ঘোলা করেছে, তাই তোকে আমি খাবো।
মানে একটা না একটা অজুহাতে হরিণ শাবককে খাবে বাঘ, খাওয়াটাই মুখ্য, হরিণ শাবকের দোষ মূখ্য নয়।
এর আগে ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯৩টি নমুনায় ক্ষতিকারক জীবাণু পাওয়া গেছে বিদেশী অর্থপুষ্ট জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট নিয়ে কত চোটপাট করলো বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে এম হাফিজুল আলম’। কিন্তু গতকাল যখন দলিল প্রমাণসহ ৩০৫টি নমুনার মধ্যে ৩০৩টি নমুনা শুদ্ধ দেখানো হলো, তখন তারা কথা ঘুরিয়ে বললো- “লাইসেন্স ছাড়া কেউ দুধ-দই বিক্রি করতে পারবে না, লাইসেন্স ছাড়া কে কে দুধ-দই বিক্রি করে তাদের তালিকা তৈরী করতে হবে।” (https://bit.ly/2xckbSi)
হাইকোর্টের বিচারপতি নামক নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে এম হাফিজুল আলম যে ইশপের গল্পের বাঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশী শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়, তার প্রকৃষ্ট উদহারণ এই বক্তব্য। কৃষি প্রধান অর্থনীতির বাংলাদেশে বহু কৃষক প্রান্তিক পর্যায়ে গরুর দুধ বিক্রি করে, তারা কিভাবে লাইসেন্স করবে ?
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সবার ঈদের ছুটি ৩ দিন, কিন্তু হাইকোর্টের বিচারকদের ১৯ দিন। ব্রিটিশ আমলে বিচারকরা আসতো ব্রিটেন থেকে, তাই তারা বছরের অর্ধেক সময় ছুটি কাটাতো। এখনও সেই ব্রিটিশ নিয়ম অব্যাহত আছে। উচ্চ আদালতের বিচারকরা বছরের অর্ধেক সময় ছুটিতে থাকে। এসিতে ঠাণ্ডা দেয়া থাকে ১৬। সবাই ডাকে ‘মাই লর্ড’ ‘মাই লর্ড’ বলে। আসতে যাইতে প্রভুকে মাথা নিচু করে কুর্নিশ করে। এই হাইকোর্টের বিচারকরা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের অবস্থা কি করে বুঝবে ? ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নেদারল্যান্ডের ফান্ডে বাংলাদেশের গরুর দুধকে খারাপ বানানোর জন্য করা রিপোর্টকে তারা সেটাই গুরুত্ব দেয়, বাংলাদেশের ডেইরী শিল্পকে ধ্বংস করতে তারাও যে সেই ফান্ডের অংশ পায় না, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। দেশের ১২ লক্ষ দুগ্ধ খামার শেষ করা আর ১ কোটি লোককে বেকার করা যে তাদের উদ্দেশ্যে নেই, সেটাও তো বলা যায় না।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবত ডেনমার্কের অরলা ফুডের (ডানো দুধ) কারসাজিতে দেশের ডেইরী শিল্প ধ্বংসে একটি মহলটিকে বেশ সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। ডানো দুধ চাইছে, বাংলাদেশের পুরো মার্কেট তাদের হাতে নিতে, কিন্তু দেশী খামারিরা সক্রিয় থাকায় তারা সফল হতে পারছে না। এখন বাধ্য হয়ে, মিডিয়া, হাইকোর্ট এবং জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি উপর ভর করে বাংলাদেশের ডেইরী শিল্পকে আঘাত করছে। কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন, বাংলাদেশের খামারিরা সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো সাধারণ জনগণের মধ্যে। তারই তারা আমে ফরমালিন আর দুধে জীবাণু- এসব গুজব বেশি খায়। ষড়যন্ত্রগুলো না বুঝলে জনগণকেই বিদেশী শত্রুরা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে, তা বলা যায় নিশ্চিত।