নারী কি সন্তান জন্মদানের মেশিন ?
নারীর কাজ কি শুধু সন্তান লালন পালন করা ?
নারী হবে পাইলট, নারী চালাবে রকেট।
উফ ! কথাগুলো কত সুন্দর, কত আকর্ষণীয়, নারীদের কত সুপথ দেখানো হচ্ছে !
নারীর কাজ কি শুধু সন্তান লালন পালন করা ?
নারী হবে পাইলট, নারী চালাবে রকেট।
উফ ! কথাগুলো কত সুন্দর, কত আকর্ষণীয়, নারীদের কত সুপথ দেখানো হচ্ছে !
ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম, গল্পের নাম ‘দশ চক্রে ভগবান ভূত’। গল্পের ঘটনাটা এরকম:
এক হিন্দু ঠাকুর (মন্দিরের পুরোহিত) হাট থেকে পাঠা (বিশেষ প্রকৃতির পুরুষ ছাগল) কিনে বাড়ি ফিরছিলো। পথে তিন ঠগ (জচ্চুর) বিষয়টি লক্ষ্য করলো।
এক ঠগ বললো : “আয়! ঠাকুরের পাঠাখানা আমরা বগলদাবা করি”।
কিন্তু কি করা যাবে ??
তিন জনে ফন্দি এটে ফেললো। এবার রাস্তার তিন অংশে তিন জন দাড়িয়ে রইলো।
ঠাকুর রাস্তা দিয়ে পাঠা নিয়ে আসছে, এমন সময় রাস্তা আটকে দাড়ালো এক ঠগ। প্রথমেই মাথা ঠুকে প্রণাম জানালো ঠাকুরকে।
এরপর বললো : ঠাকুর ! কুকুর নিয়ে কোথায় চললেন ?
ঠাকুরের তো ঠগের কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম ! বলে কি চ্যাংড়া ! “আরে চোখের কি মাথা খেয়েছো ?? কুকুর পেলে কৈ ? আমি তো পাঠা কিনে আনলাম।”
কথা শুনে হেসে মাটিতে লুটোপুটি খেতে থাকলো ঠগ।
বললো : ঠাকুর আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে, আমি দেখছি কুকুর, আর আপনি দেখছেন পাঠা। যাকগে সেটা আপনার ব্যাপার। আমি চললাম। এ বলে, প্রথম ঠগ চলে গেলো।
এরপর ঠাকুর ফের রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করলো। এমন সময় ২য় ঠগ রাস্তা আটকে দাড়ালো এবং যথারীতি প্রণাম ঠুকলো। বললো : “মহাশয় ! কোথায় চললেন ?”
ঠাকুর বললো : “দেখছো না পাঠা নিয়ে যাচ্ছি”।
২য় ঠগ বললো : কি বকছেন আবোল-তাবোল !! যাচ্ছেন কুকুর নিয়ে, আর বলছেন কি না পাঠা নিয়ে যাচ্ছেন ? আপনি কি চোখে ভুল দেখছেন??
ঠাকুর তো এবার সত্যি মহাচিন্তায় পরে গেলো। দু’হাত দিয়ে চোখ কচলে বললো: “না আমি ভুল দেখছি না, ঠিকই দেখছি। আমি পাঠা-ই কিনেছি, কুকুর নয়”।
২য় ঠগ বললো : সেটা আপনার ব্যাপার। আমি যা সত্য তাই বললাম। আপনি কুকুরকে পাঠা মনে করলে আমি কি করবো ?” এ বলে ২য় ঠগও চলে গেলো।
এরপর চিন্তিত ঠাকুর ফের রাস্তা ধরলো । এবার রাস্তা আটকে দাড়ালো ৩য় ঠগ। এবারও যথারীতি প্রণাম ঠুকে দিলো এবং বললো : “ঠাকুর মশাই কুকুর নিয়ে কোথায় চললেন?”
এ কথা শুনে ঠাকুর মাথা চুলকাতে থাকলো। বললো : “ না মানে...., না মানে..., আমি তো বাজার থেকে পাঠা কিনেই আনলাম, কিন্তু সবাই কেন যে কুকুর বলছে, বুঝে উঠতে পারছি না”
ঠগ বললো: “ কি যে বলেন মশাই ! কুকুর কি কখন পাঠা হয় ??”
ঠগ ঠাকুরের হাত থেকে পাঠার দড়ি নিয়ে ছেড়ে দিয়ে বললো : দূর! কুকুরটাকে ছেড়ে দিন তো।”
ঠাকুর ভাবলো, সত্যিই মনে হয় তার কোথাও ভুল হয়েছে, সে মনে হয়, কুকুরকে পাঠা ভেবে কিনে এনেছে, তাই পাঠা ফেলেই সে রওনা দিলো। এ সুযোগে তিন ঠগ পাঠা পেয়ে তো মহাখুশি, তাদের মিশন সাকসেস ফুল।
অর্থ্যাৎ ১০ চক্রে ভগবান শেষে ভুত হয়ে গেলো ।
এক হিন্দু ঠাকুর (মন্দিরের পুরোহিত) হাট থেকে পাঠা (বিশেষ প্রকৃতির পুরুষ ছাগল) কিনে বাড়ি ফিরছিলো। পথে তিন ঠগ (জচ্চুর) বিষয়টি লক্ষ্য করলো।
এক ঠগ বললো : “আয়! ঠাকুরের পাঠাখানা আমরা বগলদাবা করি”।
কিন্তু কি করা যাবে ??
তিন জনে ফন্দি এটে ফেললো। এবার রাস্তার তিন অংশে তিন জন দাড়িয়ে রইলো।
ঠাকুর রাস্তা দিয়ে পাঠা নিয়ে আসছে, এমন সময় রাস্তা আটকে দাড়ালো এক ঠগ। প্রথমেই মাথা ঠুকে প্রণাম জানালো ঠাকুরকে।
এরপর বললো : ঠাকুর ! কুকুর নিয়ে কোথায় চললেন ?
ঠাকুরের তো ঠগের কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম ! বলে কি চ্যাংড়া ! “আরে চোখের কি মাথা খেয়েছো ?? কুকুর পেলে কৈ ? আমি তো পাঠা কিনে আনলাম।”
কথা শুনে হেসে মাটিতে লুটোপুটি খেতে থাকলো ঠগ।
বললো : ঠাকুর আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে, আমি দেখছি কুকুর, আর আপনি দেখছেন পাঠা। যাকগে সেটা আপনার ব্যাপার। আমি চললাম। এ বলে, প্রথম ঠগ চলে গেলো।
এরপর ঠাকুর ফের রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করলো। এমন সময় ২য় ঠগ রাস্তা আটকে দাড়ালো এবং যথারীতি প্রণাম ঠুকলো। বললো : “মহাশয় ! কোথায় চললেন ?”
ঠাকুর বললো : “দেখছো না পাঠা নিয়ে যাচ্ছি”।
২য় ঠগ বললো : কি বকছেন আবোল-তাবোল !! যাচ্ছেন কুকুর নিয়ে, আর বলছেন কি না পাঠা নিয়ে যাচ্ছেন ? আপনি কি চোখে ভুল দেখছেন??
ঠাকুর তো এবার সত্যি মহাচিন্তায় পরে গেলো। দু’হাত দিয়ে চোখ কচলে বললো: “না আমি ভুল দেখছি না, ঠিকই দেখছি। আমি পাঠা-ই কিনেছি, কুকুর নয়”।
২য় ঠগ বললো : সেটা আপনার ব্যাপার। আমি যা সত্য তাই বললাম। আপনি কুকুরকে পাঠা মনে করলে আমি কি করবো ?” এ বলে ২য় ঠগও চলে গেলো।
এরপর চিন্তিত ঠাকুর ফের রাস্তা ধরলো । এবার রাস্তা আটকে দাড়ালো ৩য় ঠগ। এবারও যথারীতি প্রণাম ঠুকে দিলো এবং বললো : “ঠাকুর মশাই কুকুর নিয়ে কোথায় চললেন?”
এ কথা শুনে ঠাকুর মাথা চুলকাতে থাকলো। বললো : “ না মানে...., না মানে..., আমি তো বাজার থেকে পাঠা কিনেই আনলাম, কিন্তু সবাই কেন যে কুকুর বলছে, বুঝে উঠতে পারছি না”
ঠগ বললো: “ কি যে বলেন মশাই ! কুকুর কি কখন পাঠা হয় ??”
ঠগ ঠাকুরের হাত থেকে পাঠার দড়ি নিয়ে ছেড়ে দিয়ে বললো : দূর! কুকুরটাকে ছেড়ে দিন তো।”
ঠাকুর ভাবলো, সত্যিই মনে হয় তার কোথাও ভুল হয়েছে, সে মনে হয়, কুকুরকে পাঠা ভেবে কিনে এনেছে, তাই পাঠা ফেলেই সে রওনা দিলো। এ সুযোগে তিন ঠগ পাঠা পেয়ে তো মহাখুশি, তাদের মিশন সাকসেস ফুল।
অর্থ্যাৎ ১০ চক্রে ভগবান শেষে ভুত হয়ে গেলো ।
সন্তান জন্মদান আর সন্তান লালন পালন, এগুলোতো মায়েদের কাজ।
একজন মায়ের মর্যাদা বেশি ?
নাকি একজন পাইলট, গাড়ি চালক বা উবার-পাঠাও চালকের মর্যাদা বেশি?
আমাদেরকে এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে মা হওয়ার মধ্যে কোন মর্যাদাই নেই
সব মর্যাদা পাইলট, গাড়ি চালক, উবার-পাঠাও চালকের মধ্যে।
বার বার মিডিয়ায় প্রচার করে দশ চক্রে ভগবানকে ভুত বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
একজন মায়ের মর্যাদা বেশি ?
নাকি একজন পাইলট, গাড়ি চালক বা উবার-পাঠাও চালকের মর্যাদা বেশি?
আমাদেরকে এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে মা হওয়ার মধ্যে কোন মর্যাদাই নেই
সব মর্যাদা পাইলট, গাড়ি চালক, উবার-পাঠাও চালকের মধ্যে।
বার বার মিডিয়ায় প্রচার করে দশ চক্রে ভগবানকে ভুত বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
একজন মা, মানুষ জাতিকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে
ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করে, এ কাজটার কি কোন তুলনা হয় ?
একজন সন্তানের উপর মা’য়ের কেমন প্রভাব থাকে, তা সন্তান মাত্রই জানে।
ব্যক্তিগত জীবনে আমার মা’ অত শিক্ষিত ছিলো না, কিন্তু আমি অনেকপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছি, পড়ালেখা করেছি।
কিন্তু আমাকে আমার মা’ ছোটবেলায় যে শিক্ষাগুলো দিয়েছিলো সেটাই আমার কাছে বড় শিক্ষা মনে হয়।
আমার জীবনের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্যগুলো আমার মা’ই ছোটবেলায় ঠিক করে দিয়েছে।
আমার কাছে আমার মা’ অনেক বড়, অনেক….।
এরকম প্রত্যেকটা সন্তানের কাছেই তার মা অনেক বড়।
কিন্তু সেই মা’র অসামান্য কাজগুলো হেয় করে অন্য সাধারণ কাজগুলোকে মিডিয়ার সামনে বড় করে দেখানো হয়, তখন একজন সাধারণ নারীকে বিভ্রান্ত করা হয়। বিভ্রান্ত হয়ে সে ভালো মা হতে চায় না, ভালো পাইলট, উবার-পাঠাও চালক হতে চায়।
ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করে, এ কাজটার কি কোন তুলনা হয় ?
একজন সন্তানের উপর মা’য়ের কেমন প্রভাব থাকে, তা সন্তান মাত্রই জানে।
ব্যক্তিগত জীবনে আমার মা’ অত শিক্ষিত ছিলো না, কিন্তু আমি অনেকপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছি, পড়ালেখা করেছি।
কিন্তু আমাকে আমার মা’ ছোটবেলায় যে শিক্ষাগুলো দিয়েছিলো সেটাই আমার কাছে বড় শিক্ষা মনে হয়।
আমার জীবনের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্যগুলো আমার মা’ই ছোটবেলায় ঠিক করে দিয়েছে।
আমার কাছে আমার মা’ অনেক বড়, অনেক….।
এরকম প্রত্যেকটা সন্তানের কাছেই তার মা অনেক বড়।
কিন্তু সেই মা’র অসামান্য কাজগুলো হেয় করে অন্য সাধারণ কাজগুলোকে মিডিয়ার সামনে বড় করে দেখানো হয়, তখন একজন সাধারণ নারীকে বিভ্রান্ত করা হয়। বিভ্রান্ত হয়ে সে ভালো মা হতে চায় না, ভালো পাইলট, উবার-পাঠাও চালক হতে চায়।
আরেকটি বিষয়, কথিত নারীবাদীরা নারীর বিবাহিত জীবনকে সব সময় হেয় করে বলে-
“স্ত্রী কি শুধু স্বামীর ভোগের বস্তু?”
এটাও একটা একপেষে প্রোপাগান্ডা। সৃষ্টিগতভাবে নারী ও পুরুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, পুরুষ শুধু নারীর দ্বারা আনন্দ পাবে বিষয়টি এমন নয়, বরং নারীও পুরুষ দ্বারা আনন্দ পাবে।
তাই স্বামী শুধু স্ত্রীকে ‘ভোগ’ (তাদের ভাষায়) করবে তা নয়, বরং স্ত্রীও স্বামীকে ‘ভোগ’ করবে।
আসলে “স্ত্রী কি শুধু স্বামীর ভোগের বস্তু”- এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে বাস্তবে তারা চায় নারী যেন স্থায়ী বিবাহিত জীবনের দিকে না যায়, গেলে তাদের মিশনের ক্ষতি হবে।
“স্ত্রী কি শুধু স্বামীর ভোগের বস্তু?”
এটাও একটা একপেষে প্রোপাগান্ডা। সৃষ্টিগতভাবে নারী ও পুরুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, পুরুষ শুধু নারীর দ্বারা আনন্দ পাবে বিষয়টি এমন নয়, বরং নারীও পুরুষ দ্বারা আনন্দ পাবে।
তাই স্বামী শুধু স্ত্রীকে ‘ভোগ’ (তাদের ভাষায়) করবে তা নয়, বরং স্ত্রীও স্বামীকে ‘ভোগ’ করবে।
আসলে “স্ত্রী কি শুধু স্বামীর ভোগের বস্তু”- এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে বাস্তবে তারা চায় নারী যেন স্থায়ী বিবাহিত জীবনের দিকে না যায়, গেলে তাদের মিশনের ক্ষতি হবে।
আপনি যে কোন একজন পরিনিত নারীর সাথে কথা বলবেন।
সে হয়ত লেখাপড়া শেষ করেছে, কিছুদিন চাকুরীও করতে পারে।
তারপর বিয়ে করেছে, এরপর সন্তান হয়েছে, এ ধরনের নারীর সাথে।
মনখুলে তার সাথে আলাপ করবেন।
আলাপ করলে বুঝবেন, সে অধিকাংশ সময় তার বিবাহিত জীবন, ঘর সংসার, সন্তান নিয়ে আলাপ করছে। তাকে তার বিবাহিত জীবনের পূর্বের জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়ে বলতে পারে- “দূর এত ঘটনা ঘটেছে, আগের কথা ভুলে গেছি।” অর্থাৎ সংসার লাইফটা তার কাছে এত ঘটনাবহুল ও উপভোগ্য যে সে অনেক ক্ষেত্রে পুরাতন স্মৃতি ভুলেই গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে মনেও করতে চাচ্ছে না।
কিন্তু বর্তমানে নারীদের যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, সেখানে কথিত ক্যারিয়ারের কথা বলে, তার লাইফের কম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোকে অধিক হাইলাইট করা হচ্ছে, এবং অধিকগুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোকে (বিয়ে, ঘর, সংসার, সন্তান লালন-পালন) খাটো করে প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে নারীর ক্ষতি করা হচ্ছে, নারীর জীবনকে উপভোগ করাকে সংকুচিত করা হচ্ছে।
সে হয়ত লেখাপড়া শেষ করেছে, কিছুদিন চাকুরীও করতে পারে।
তারপর বিয়ে করেছে, এরপর সন্তান হয়েছে, এ ধরনের নারীর সাথে।
মনখুলে তার সাথে আলাপ করবেন।
আলাপ করলে বুঝবেন, সে অধিকাংশ সময় তার বিবাহিত জীবন, ঘর সংসার, সন্তান নিয়ে আলাপ করছে। তাকে তার বিবাহিত জীবনের পূর্বের জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়ে বলতে পারে- “দূর এত ঘটনা ঘটেছে, আগের কথা ভুলে গেছি।” অর্থাৎ সংসার লাইফটা তার কাছে এত ঘটনাবহুল ও উপভোগ্য যে সে অনেক ক্ষেত্রে পুরাতন স্মৃতি ভুলেই গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে মনেও করতে চাচ্ছে না।
কিন্তু বর্তমানে নারীদের যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, সেখানে কথিত ক্যারিয়ারের কথা বলে, তার লাইফের কম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোকে অধিক হাইলাইট করা হচ্ছে, এবং অধিকগুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোকে (বিয়ে, ঘর, সংসার, সন্তান লালন-পালন) খাটো করে প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে নারীর ক্ষতি করা হচ্ছে, নারীর জীবনকে উপভোগ করাকে সংকুচিত করা হচ্ছে।
একজন নারী প্রডাক্টিভ হচ্ছে ৯ বছর বয়সে, কিন্তু বিয়ে করতেছে ২৭ বছর বয়সে। ১৮ বছর তার প্রডাক্টিভিটি বসিয়ে রাখা হচ্ছে। অপরদিকে ২৭ বছর বয়সে যখন বিয়ে দেয়া হচ্ছে, খুব শিঘ্রই (৩৫ বছর বয়সে) তার প্রডাক্টিভিটি কমে যাচ্ছে। এই ৭ বছর বয়সে সে বিবাহিত জীবন উপভোগ করবে,নাকি সন্তান নিবে, নিলে কয়টি সন্তান নিবে-এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। কম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলো অপচয় করার কারণে নারীর জীবনের বাকি সময়টুকু দুঃসহ হয়ে উঠছে। তার কিছুই হিসেবমত মিলছে না। অথচ নারীর পড়ালেখা বা কথিত ক্যারিয়ারকে যদি বিবাহিত জীবনের মুখোমুখি দাড় করিয়ে না দেয়া হতো, প্রত্যেককে যার যার মত স্বাধীনভাবে চলতে দেয়া হতো তবে এ সমস্যাগুলো কখনই হতো না।
হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন,
“আপনি কি তবে চান, নারীরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকুক, চাকুরী না করুক ?
না। আমি আসলে সে রকম চাই না।
নারীর চাকুরীর দরকার আছে। কিন্তু নারীবাদীরা যে শ্লোগান তুলেছে, “নারী-পুরুষ কর্মক্ষেত্রে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে”- আমি এই থিউরীর বিপক্ষে। নারী ও পুরুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। নারী যেটা পারে, পুরুষ সেটা পারে না। আবার পুরুষ যেটা পারে,নারী সেটা পারে না। যারা দুই শ্রেণীকে একত্রে মাঠে নামাতে চায়, তারা আসলে নারীর ভালো চায় না। নারীর গায়ের শক্তি কম দেখিয়ে নারীর থেকে আলাদা সুবিধা নিতে চায়।
“আপনি কি তবে চান, নারীরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকুক, চাকুরী না করুক ?
না। আমি আসলে সে রকম চাই না।
নারীর চাকুরীর দরকার আছে। কিন্তু নারীবাদীরা যে শ্লোগান তুলেছে, “নারী-পুরুষ কর্মক্ষেত্রে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে”- আমি এই থিউরীর বিপক্ষে। নারী ও পুরুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। নারী যেটা পারে, পুরুষ সেটা পারে না। আবার পুরুষ যেটা পারে,নারী সেটা পারে না। যারা দুই শ্রেণীকে একত্রে মাঠে নামাতে চায়, তারা আসলে নারীর ভালো চায় না। নারীর গায়ের শক্তি কম দেখিয়ে নারীর থেকে আলাদা সুবিধা নিতে চায়।
আমার মনে হয় নারীর জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত ব্যবস্থা, শপিং কমপ্লেক্স, হাসপাতাল, বস্ত্র ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা দরকার আছে, যেখানে শুধু নারীরাই চাকুরী করবে। যেহেতু নারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান, তাই নারীদের জন্য যদি এগুলো পৃথক করে বানানো যায়, তবে –
১) প্রচুর নারীর কর্মসংস্থান হবে।
২) নারীর শ্রমের মূল্য অনেক বাড়বে।
৩) তাকে পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করতে হবে না। বর্তমানে পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করতে গেলে নারীত্বে বিষয়গুলো ইচ্ছা করেই অস্বীকার করতে হয়, চাপিয়ে রাখতে হয়। যেমন- ঘর সংসার বাদ দিতে হয়ে, নিয়মিত এবরেশন করাতে হয়, ওষুধ খেয়ে গর্ভধারণ এড়িয়ে যেতে হয়। এগুলো তার জন্য অনেক কষ্ঠের। কিন্তু শুধু নারী নারী কাজ করলে এ বিষয়গুলো স্বাভাবিক হবে, নারী-নারীর সমস্যা বুঝবে। এতে নারীর বিবাহিত বা মাতৃ জীবনে কোন প্রভাব পড়বে না।
৪) অনেক ক্ষেত্রে কম সময় লেখাপড়া করেও নারী ভালো চাকুরী পাবে।
৫) নারীর কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা আসবে।
১) প্রচুর নারীর কর্মসংস্থান হবে।
২) নারীর শ্রমের মূল্য অনেক বাড়বে।
৩) তাকে পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করতে হবে না। বর্তমানে পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করতে গেলে নারীত্বে বিষয়গুলো ইচ্ছা করেই অস্বীকার করতে হয়, চাপিয়ে রাখতে হয়। যেমন- ঘর সংসার বাদ দিতে হয়ে, নিয়মিত এবরেশন করাতে হয়, ওষুধ খেয়ে গর্ভধারণ এড়িয়ে যেতে হয়। এগুলো তার জন্য অনেক কষ্ঠের। কিন্তু শুধু নারী নারী কাজ করলে এ বিষয়গুলো স্বাভাবিক হবে, নারী-নারীর সমস্যা বুঝবে। এতে নারীর বিবাহিত বা মাতৃ জীবনে কোন প্রভাব পড়বে না।
৪) অনেক ক্ষেত্রে কম সময় লেখাপড়া করেও নারী ভালো চাকুরী পাবে।
৫) নারীর কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা আসবে।
আমার দৃষ্টিতে, নারীবাদের সৃষ্টি একিউট পুরুষবাদীদের দ্বারা।
তারা মুখে নারীদের পক্ষে বলবে, কিন্তু আলটিমেট রেজাল্ট যাবে নারীদের বিপক্ষে।
তাদের কথা শুনলে, নারীরা কখন প্রকৃত সুখী হবে না, বরং নারীর সুখ কেড়ে গোপনে দুঃখী বানানো তাদের লক্ষ্য। তাই নারীর ভালোর জন্যই আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা জরুরী।
তারা মুখে নারীদের পক্ষে বলবে, কিন্তু আলটিমেট রেজাল্ট যাবে নারীদের বিপক্ষে।
তাদের কথা শুনলে, নারীরা কখন প্রকৃত সুখী হবে না, বরং নারীর সুখ কেড়ে গোপনে দুঃখী বানানো তাদের লক্ষ্য। তাই নারীর ভালোর জন্যই আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা জরুরী।