একটা বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত, দেশের অবস্থা আর ভালো না, বরং ক্রমান্বয়ে খারাপ হবে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশের অবস্থা খারাপ হয়েছিলো, কিন্তু এবারের সাথে কোন বারেরটা মিলবে না।
কারণ এবার দেশের উপর যেটা হচ্ছে, সেটা শত বছরের ইতিহাসে দেখা যায়নি।
আপনারা দেখেছেন, আমি প্রায় ২ বছর আগ থেকে সতর্ক করে আসছি,
কর্পোরেটোক্রেসি আসতেছে, সেটাই এখন বেশ তোড়জোড় করে শুরু হচ্ছে।
কর্পোরেটোক্রেসি যত বাড়বে, মানুষকে তত চেপে ধরা হবে, মানুষ তত মাথা খারাপ রোগীর মত চিৎকার করতে থাকবে।
মোটামুটি এবারের বাজেট পেশ করার পর বেশ শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে কর্পোরেটোক্রেসি।
সরকার তার আয় কুড়ানোর জন্য পাবলিককে গলা টিপে ধরবে, ট্যাক্স-ভ্যাট চড়াও করবে, সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে, মানুষ হাসফাস করতে থাকবে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশের অবস্থা খারাপ হয়েছিলো, কিন্তু এবারের সাথে কোন বারেরটা মিলবে না।
কারণ এবার দেশের উপর যেটা হচ্ছে, সেটা শত বছরের ইতিহাসে দেখা যায়নি।
আপনারা দেখেছেন, আমি প্রায় ২ বছর আগ থেকে সতর্ক করে আসছি,
কর্পোরেটোক্রেসি আসতেছে, সেটাই এখন বেশ তোড়জোড় করে শুরু হচ্ছে।
কর্পোরেটোক্রেসি যত বাড়বে, মানুষকে তত চেপে ধরা হবে, মানুষ তত মাথা খারাপ রোগীর মত চিৎকার করতে থাকবে।
মোটামুটি এবারের বাজেট পেশ করার পর বেশ শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে কর্পোরেটোক্রেসি।
সরকার তার আয় কুড়ানোর জন্য পাবলিককে গলা টিপে ধরবে, ট্যাক্স-ভ্যাট চড়াও করবে, সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে, মানুষ হাসফাস করতে থাকবে।
আবার সেই বাজেটের বাড়তি আয়ের জন্য নেয়া বিদেশী ঋণদাতাদের শর্তগুলো পূরণ করার জন্য ফেলে দেয়া হবে দেশীয় বিভিন্ন খাত। যার ফলাফল হিসেবে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, ধানের দাম হ্রাস পেয়ে কৃষকের করুণ অবস্থা, জেলেদের মাছ ধরা আটকে রাখা, রিকশা চালকদের রিকশা চালনা বন্ধ করে দেয়া, পুরান ঢাকার মত ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রে আঘাত হানা, মাঝিদের নৌকা চালনায় হস্তক্ষেপ করা, হকারদের তাড়িয়ে দেয়া, বস্তিতে আগুন দেয়া। সরকার যেহেতু বিশ্বব্যাংক, জাপানের সরকারী ফান্ড জাইকা, চীন, ভারত থেকে ঋণ নিয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের শর্তপূরণ করতে করতেই আমাদের সমাজের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। এগুলোকে আমি বলছি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কর্পোরেটোক্রেসি।
আরেকটি হলো বহুজাতিক কর্পোরেট ষড়যন্ত্র, এটাও এক ধরনের কর্পোরেটোক্রেসি, যা বেসরকারী পর্যায়ে দানা বাধছে । এরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। বিদেশী বহুজাতিকরা বাংলাদেশের উৎপাদন খাত কৌশলে শেষ করে তার স্থান দখল করতে চাইছে, এক্ষেত্রে তারা পাশে পাচ্ছে হাইকোর্টের বিভিন্ন বিচারককে। এর মধ্যে আছে ওয়াসার পানি নিয়ে ষড়যন্ত্র, পেছনে কাজ করছে বহুজাতিক ইউনিলিভার। আছে বাংলাদেশের ডেইরি শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, পেছনে কাজ করছে বহুজাতিক অরলা ফুড বা ডানো। এরকম আরো বহু আছে। যেহেতু এই ষড়যন্ত্রগুলো বেসরকারিভাবে আগত, তাই সরকারের সাথে এর দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যার কারণে যারা এই ষড়যন্ত্রগুলো করছে, সরকার মাঝে মধ্যে তাদের বিরুদ্ধ বক্তব্য দিচ্ছে, যদিও বিদেশী লিঙ্ক থাকায় কঠোর কোন অবস্থায় যাচ্ছে না। সেটা ওয়াসার পানি নিয়ে মিজানুর রহমান হোক কিংবা দেশীয় দুধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ঢাবির ফার্মেসী অনুষদের এক শিক্ষকের ল্যাব পরীক্ষা হোক।
কথা হলো- সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে যে কপোরেটোক্রেসি চলতেছে এর বিরুদ্ধে প্রতিকার কি হবে ?
বর্তমানে একটি মহল সরকার বিরোধীতায় মাঠে আছে, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তারা সমালোচনা করছে, আন্দোলন করছে। অনেকে ভাবছে তাদের সাথে মিলিয়ে সরকারের সমালোচনা ও বিরোধীতা করলেই আসলে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে। আসলে এই গ্রুপটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সম্রাজ্যবাদী ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মেইনটেইন করা একটি গোষ্ঠী। এদের সাথে দেশীয় ডান-বাম এক হয়ে সরকারের বিরোধীতা করতেছে, সরকারের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলতে এখন শুধু এটাই দৃশ্যমান।
কিন্তু আমার এ্যানালাইসিস বলছে, এই বিরোধীতা বা আন্দোলন করে জনগণের খুব একটা লাভ হবে না।
বিশেষ করে এই আন্দোলনের বুদ্ধি ও নেতৃত্ব যখন সম্রাজ্যবাদী ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের নিয়ন্ত্রণে।
তাই দিনে শেষে জনগণের কোন ফায়দা হবে না। বরং এর ফসলগুলো ডেমোক্রেটিক ব্লক গোষ্ঠীরাই নিয়ে পোটলায় ভরে নিয়ে যাবে।
বিশেষ করে যে খারাপ সময় আসতেছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যদের পলিসিগত কোন সমস্যা নাই, বরং অনেক স্বার্থ জড়িত আছে। তাই তাদের অধিনে সরকারবিরোধী আন্দোলন বা সমালোচনা করে আসলে দিন শেষে আসল সমস্যা সমাধানে জনগণের ভাগ্য খাতায় কিছু যোগ হবে না, বরং পণ্ড শ্রম হবে।
বিশেষ করে এই আন্দোলনের বুদ্ধি ও নেতৃত্ব যখন সম্রাজ্যবাদী ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের নিয়ন্ত্রণে।
তাই দিনে শেষে জনগণের কোন ফায়দা হবে না। বরং এর ফসলগুলো ডেমোক্রেটিক ব্লক গোষ্ঠীরাই নিয়ে পোটলায় ভরে নিয়ে যাবে।
বিশেষ করে যে খারাপ সময় আসতেছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যদের পলিসিগত কোন সমস্যা নাই, বরং অনেক স্বার্থ জড়িত আছে। তাই তাদের অধিনে সরকারবিরোধী আন্দোলন বা সমালোচনা করে আসলে দিন শেষে আসল সমস্যা সমাধানে জনগণের ভাগ্য খাতায় কিছু যোগ হবে না, বরং পণ্ড শ্রম হবে।
আমার অ্যানালাইসিস বলছে, এই যে দেশে বিরাট সমস্যা (যা সম্পূর্ণ নতুন) আসন্ন, কিন্তু এর প্রতিরোধে জনগণের কোন প্রস্তুতি নেই।
কর্পোরেটোক্রেসির মত অত্যাধুনিক ষড়যন্ত্র রূখতে নতুন কোন পলিসি নেই, নতুন কোন বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম নেই। সবাই চলমান সিস্টেমের পক্ষে চলতে অভ্যস্ত। কিন্তু কর্পোরেটোক্রেসি রুখে দিতে নতুন একটা সিস্টেমের উত্থান দরকার তার কোন উদ্যোগও নেই। আবার আমরা মিডিয়ায় যে সব নেতা ও গোষ্ঠী প্রধানদের দেখছি, তারাও যে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে, সেটাও আমার মনে হয় না। কারণ অধিকাংশ বিষয়টি জানেই না বুঝেও না। তাদের যদি জানানোও যায়, তবে নতুন করে রিসার্চ করে একটা পাল্টা পলিসি দাড় করানোর মত বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রমও তাদের নেই।
কর্পোরেটোক্রেসির মত অত্যাধুনিক ষড়যন্ত্র রূখতে নতুন কোন পলিসি নেই, নতুন কোন বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম নেই। সবাই চলমান সিস্টেমের পক্ষে চলতে অভ্যস্ত। কিন্তু কর্পোরেটোক্রেসি রুখে দিতে নতুন একটা সিস্টেমের উত্থান দরকার তার কোন উদ্যোগও নেই। আবার আমরা মিডিয়ায় যে সব নেতা ও গোষ্ঠী প্রধানদের দেখছি, তারাও যে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে, সেটাও আমার মনে হয় না। কারণ অধিকাংশ বিষয়টি জানেই না বুঝেও না। তাদের যদি জানানোও যায়, তবে নতুন করে রিসার্চ করে একটা পাল্টা পলিসি দাড় করানোর মত বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রমও তাদের নেই।
আমার কাছে মনে হচ্ছে, ২০০ বছর আগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসার পর দেশে যে ধরনের একটি সমস্যা তৈরী হয়েছিলো, মানে দেশের ধনীরা দরিদ্র হয়ে গেছিলো আর দরিদ্ররা দুর্ভিক্ষে হাড্ডিসার হয়ে মারা গেছিলো, সেই সময়টা ২০০ বছর পর আবার নতুন করে ফেরত আসতেছে। ফেরত আসতেছে আরো স্ম্যার্ট ও কৌশলী হয়ে। জনগণের একটা পক্ষ (জনগণের ব্লক) যদি নতুন পলিসি দিয়ে সেই পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারে, তবে সবাইকে ২০০ বছরের পুরাতন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখার জন্য আবার প্রস্তুত থাকতে হবে।